একটা ডিগ্রীকে কিভাবে দামী বানানো যায়? ডিগ্রীধারীরা সেই ডিগ্রী নিয়ে কি করছে দেখে নাকি কজন সেই ডিগ্রীর এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ব্যর্থ হল সেই হিসেব দেখে?
এম.বি.বি.এস বিশাল ডিগ্রী, কারণ জয়েন্ট বা হালের নিট দিয়ে অনেকে ব্যর্থ হয় এই ডিগ্রী তে ভর্তি হতে। কি অদ্ভুত যুক্তি!!! কেউ প্রশ্ন করেনা মেডিক্যাল জয়েন্টে পদার্থবিদ্যার প্রশ্ন কেন আসে? সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে কোথায় স্রোডিঞ্জারের ফরমূলা কাজে লাগে? বা হার্ট ফেলিউর চিকিৎসা করতে গিয়ে বাইনারি র অংক বা সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে কি জ্ঞান কাজে লাগে? এন্টান্স পরীক্ষায় তার ভিত্তিতে সিলেকশন কেন করা হয় ? যেটুকু বেসিক অংক বা পদার্থবিদ্যা লাগে সেটা ক্লাস এইটের বিদ্যে। কেউ রিসার্চ করতে চাইলে সে পড়ুক। কিন্তু যে এম.বি.বি.এস পড়তে এসেছে মানে সে সাপের কামড়ের চিকিৎসা শিখতে এসেছে। রিসার্চ করতে গেলে নতুন ভাবে করুক। কতজন ডাক্তারবাবু ইউপ্যাক সিস্টেম এ জৈব যৌগের নামকরণ ডাক্তারি পড়তে কাজে লাগে? আমরা এটা প্রশ্ন করিনা এন্ট্রান্স পরীক্ষাগুলোতে কোন ডিগ্রীর যোগ্যতা নির্ধারণ হয় না এলিমিনেশন প্রসেশ হয়?
কেউ দেখে একজন এমডি বা এমএস কত চিকিৎসার দিক খুলে দিল? কেউ দেখেনা একজন এম.বি.বি.এস কতজন কে কনফিডেন্টলি সিপিআর দিয়ে বাঁচালো। কত রোগীকে কত অন্যভাবে ট্যাকেল করলো। সবাই দেখে কিছু জেরক্স করা কাগজে লেখা প্রোটোকল আর ফ্লোচার্ট মুখস্ত করে কে কত টাকা আয় করলো। কেউ দেখেনা একজন আই.আই.টি পাশ কটা যুগান্তকারী মডেল বানালো, সবাই দেখে সে একটা কম্পানিতে কত টাকার প্যাকেজ পেলো চাকর বা মেশিন হিসেবে। একটা উদাহরণ দিই। আই.আই.টি. খড়গপুর থেকে বিটেক খুব দামী। কারণ ভালো প্যাকেজ পাওয়া যায়। আর প্রচুর এপ্লিক্যান্টের সিংহভাগ যায় বাতিলের খাতায়। কিন্তু এই একই জায়গা থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী এম.এম.এস.টি. ডিগ্রীর সেরকম কোন দাম নেই, অনেকে জানেইনা৷ কারণ? বলে দিতে হবে?
তাহলে কি দাঁড়ালো আমাদের সমাজ বা শিক্ষাব্যবস্থাতে, সেই ডিগ্রীর ই দাম আছে যেই ডিগ্রী পেতে বেশী সংখ্যক লোক তথাকথিত যোগ্যতা না থাকায় বাতিল হয়। সমাজ, কোম্পানি সবাই এই সব ডিগ্রীর পেছনে বেশি লাইন দেয়। সেদিক থেকে দেখলে সরকারি চাকরি ও একটা ডিগ্রী। আপনি একটি বেকার এমবিবিএস হয়ে এক বছর বসে দেখুন, যেকোন সরকারী চাকুরিজীবি আপনার থেকে বেশি দাম পাবে। এটা কে শিক্ষা বলা হয়। আমার কিছু টাকা জমলে, আমি একটা অনলাইন-অফলাইন ওপেন কলেজ খুলবো, যেখানে শিক্ষা হবে মুক্ত। যে কেউ যা খুশি শিখতে পারে চাইলে। সিলেবাস কলেজ অথরিটি নয়, ছাত্র রা তৈরি করবে। তারা কি শিখতে চায়, জানতে চায় তার উপর কলেজের ডিগ্রী, কারিকুলাম তৈরি হবে। কোন গ্রেডিং সিস্টেম থাকবেনা। কারিকুলাম এ অনলাইন, অফলাইন দুরকমের জায়গা থাকবে। ছোট থেকে এক্সপেরিমেন্ট করে গেছি৷ আজও করছি ছোট স্কেলে৷ আমৃত্যু করবো৷ হয়তো বড় স্কেলে সফল হবো। আজ যার রাগ করার, ব্লক করার, হাসাহাসি করার করে নিন। যে রোবট শিক্ষাব্যবস্থার দাসত্ব করে খুশি থাকার থাকুন। আমার ওই সিস্টেমকে বন্ধ করার ইচ্ছে নেই। কিন্তু চাই একটা অলটারনেটিভ সিস্টেম। এই দাসত্ব, বদ্ধ শিক্ষা পেতে পেতে, পরীক্ষা দিতে দিতে ক্লান্ত মানুষেরা সবাই একদিন আমার সিস্টেম কে মান্যতা দেবে। যারা এই সিস্টেমে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে চায় আমাকে নির্দ্বিধায় মেসেজ করুন। আজ, কাল, দশ বছর পর যখন আপনি প্রয়োজন বুঝবেন একটা নতুন সিস্টেমের।।
এম.বি.বি.এস বিশাল ডিগ্রী, কারণ জয়েন্ট বা হালের নিট দিয়ে অনেকে ব্যর্থ হয় এই ডিগ্রী তে ভর্তি হতে। কি অদ্ভুত যুক্তি!!! কেউ প্রশ্ন করেনা মেডিক্যাল জয়েন্টে পদার্থবিদ্যার প্রশ্ন কেন আসে? সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে কোথায় স্রোডিঞ্জারের ফরমূলা কাজে লাগে? বা হার্ট ফেলিউর চিকিৎসা করতে গিয়ে বাইনারি র অংক বা সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে কি জ্ঞান কাজে লাগে? এন্টান্স পরীক্ষায় তার ভিত্তিতে সিলেকশন কেন করা হয় ? যেটুকু বেসিক অংক বা পদার্থবিদ্যা লাগে সেটা ক্লাস এইটের বিদ্যে। কেউ রিসার্চ করতে চাইলে সে পড়ুক। কিন্তু যে এম.বি.বি.এস পড়তে এসেছে মানে সে সাপের কামড়ের চিকিৎসা শিখতে এসেছে। রিসার্চ করতে গেলে নতুন ভাবে করুক। কতজন ডাক্তারবাবু ইউপ্যাক সিস্টেম এ জৈব যৌগের নামকরণ ডাক্তারি পড়তে কাজে লাগে? আমরা এটা প্রশ্ন করিনা এন্ট্রান্স পরীক্ষাগুলোতে কোন ডিগ্রীর যোগ্যতা নির্ধারণ হয় না এলিমিনেশন প্রসেশ হয়?
কেউ দেখে একজন এমডি বা এমএস কত চিকিৎসার দিক খুলে দিল? কেউ দেখেনা একজন এম.বি.বি.এস কতজন কে কনফিডেন্টলি সিপিআর দিয়ে বাঁচালো। কত রোগীকে কত অন্যভাবে ট্যাকেল করলো। সবাই দেখে কিছু জেরক্স করা কাগজে লেখা প্রোটোকল আর ফ্লোচার্ট মুখস্ত করে কে কত টাকা আয় করলো। কেউ দেখেনা একজন আই.আই.টি পাশ কটা যুগান্তকারী মডেল বানালো, সবাই দেখে সে একটা কম্পানিতে কত টাকার প্যাকেজ পেলো চাকর বা মেশিন হিসেবে। একটা উদাহরণ দিই। আই.আই.টি. খড়গপুর থেকে বিটেক খুব দামী। কারণ ভালো প্যাকেজ পাওয়া যায়। আর প্রচুর এপ্লিক্যান্টের সিংহভাগ যায় বাতিলের খাতায়। কিন্তু এই একই জায়গা থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী এম.এম.এস.টি. ডিগ্রীর সেরকম কোন দাম নেই, অনেকে জানেইনা৷ কারণ? বলে দিতে হবে?
তাহলে কি দাঁড়ালো আমাদের সমাজ বা শিক্ষাব্যবস্থাতে, সেই ডিগ্রীর ই দাম আছে যেই ডিগ্রী পেতে বেশী সংখ্যক লোক তথাকথিত যোগ্যতা না থাকায় বাতিল হয়। সমাজ, কোম্পানি সবাই এই সব ডিগ্রীর পেছনে বেশি লাইন দেয়। সেদিক থেকে দেখলে সরকারি চাকরি ও একটা ডিগ্রী। আপনি একটি বেকার এমবিবিএস হয়ে এক বছর বসে দেখুন, যেকোন সরকারী চাকুরিজীবি আপনার থেকে বেশি দাম পাবে। এটা কে শিক্ষা বলা হয়। আমার কিছু টাকা জমলে, আমি একটা অনলাইন-অফলাইন ওপেন কলেজ খুলবো, যেখানে শিক্ষা হবে মুক্ত। যে কেউ যা খুশি শিখতে পারে চাইলে। সিলেবাস কলেজ অথরিটি নয়, ছাত্র রা তৈরি করবে। তারা কি শিখতে চায়, জানতে চায় তার উপর কলেজের ডিগ্রী, কারিকুলাম তৈরি হবে। কোন গ্রেডিং সিস্টেম থাকবেনা। কারিকুলাম এ অনলাইন, অফলাইন দুরকমের জায়গা থাকবে। ছোট থেকে এক্সপেরিমেন্ট করে গেছি৷ আজও করছি ছোট স্কেলে৷ আমৃত্যু করবো৷ হয়তো বড় স্কেলে সফল হবো। আজ যার রাগ করার, ব্লক করার, হাসাহাসি করার করে নিন। যে রোবট শিক্ষাব্যবস্থার দাসত্ব করে খুশি থাকার থাকুন। আমার ওই সিস্টেমকে বন্ধ করার ইচ্ছে নেই। কিন্তু চাই একটা অলটারনেটিভ সিস্টেম। এই দাসত্ব, বদ্ধ শিক্ষা পেতে পেতে, পরীক্ষা দিতে দিতে ক্লান্ত মানুষেরা সবাই একদিন আমার সিস্টেম কে মান্যতা দেবে। যারা এই সিস্টেমে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে চায় আমাকে নির্দ্বিধায় মেসেজ করুন। আজ, কাল, দশ বছর পর যখন আপনি প্রয়োজন বুঝবেন একটা নতুন সিস্টেমের।।