Sunday, September 28, 2014

একগুচ্ছ তুমি

সেই কবে শুকিয়েছে মাটি,
গড়েছি নতুন বালুতট,
একাকী বোবা বন্দরে,
নিষিদ্ধ পুরাতন স্রোত।
ইঁট-পাথরের সেই গানে,
সবুজ আবেগ হয়ে এলে,
হঠাত ফসল কেটে নিলে,
জাহাজের পাঁজরে লুকানো,
কত সেই ভেজা চিৎকার,
জেগে উঠতে চায় -
ভয় লাগে।
আমাদের একসাথে ইচ্ছেরা অভিমানী দেওয়াল খোঁজে,
লুকিয়ে লুকিয়ে চোখ অঝোর বাদলে ভেজে।
নীরবতা দুজনের কত যুগ ধরে,
ঘিরেছে নক্ষত্রের নাগপাশে,
আজ কিছু শব্দের খোঁজে -
শহরের বুকে কিছু ক্ষতস্থানে,
কাঁচা রাস্তায় যারা কবি হবে।
হুঁশ ফেরে সময়ের দামে,
লড়াই যে যুদ্ধ ও ঘামে-
আমার যে ঝড় তবু ভালো,
আমি খুব সাধারণে বাঁধা ।
ভেংগে গেলে জাহাজ-মাস্তুল,
লেখা রবো পঙ্গু কবিতা ।।



****
মেঘলা কেশে, রাতের আকাশ,
স্বপ্নে ফেরে স্বপ্নকাড়ে,
অধরে তার ডিংগির খেলা,
কবরীতে ফুলের মেলা,
দুই নয়নে ভাসছে তরী,
চোখের তারায় কান্ডারী রয়,
মাঝ আকাশে কালো তারা,
স্রোতে যে তার বিষণ্ণতা,
ভাসছে যেন শ্রাবণধারায়।
দিগন্তজোড়া ভুরুমেলে,
নাসিকাতে পাল হাওয়ায় খেলে।

*****
আমায় চিনেও চিনলে না যে,/
আমায় ভুলেও ভুললে না যে।/
কত হাজার ফাগুন হাওয়ায় ভেসে গিয়েও ভাসলেনা যে।/
কত ভরা শ্রাবণ মাসে ভিজতে চেয়েও ভিজলেনা যে।/
আমায় ভালোবাসতে গিয়েও পাশে আমার থাকলেনা যে।


********


কিছুই হয়তো না ছিল।
আগুনে পুড়েছে।
পড়ে আছে মানুষের ছাই।
রক্তাক্ত মাটির উপর।
তবুও সে জনবসত আবার ঘুরে দাঁড়াতে চায়।
বাধ সাধে কিছু শেয়াল,
শকুনআর কিছু মানুষ পোড়ার গন্ধ।
অথচ মুখে দাম্ভিক অস্বীকার।
তোমায় এখনো ভালোবাসি।।
*****


নাহয় তুমি স্বপ্নে এলে,/
বধূর বেশে,/
আলপটকা কথার পরে,/
হঠাৎ থেমে,/
স্বর জড়ালো,/
ব্যথার সাথে। /
পদ্মপাতায় বৃষ্টিফোঁটা/
তোমার চোখে,/
বললে তুমি তবুও হেসে,/
কেমন আছো? /
এক নিমেষে, আকাশ ভারী,/
বাঁধলনা আর,/
ঝড়ের চোটে উথাল-পাতাল,/
একটুকু ওই হ্রদয়খানি।/
মুশলধারে আমার বুকে,/
আছড়ে এলে।/
অনেকদিনের পর আজ বৃষ্টি হল।।



পাঁচ মিনিট

"বিষ টা খাওয়ার আগে একবার আমাকে বলতো!! " কথাটা শেষ করতে না করতেই গলা ধরে এলো কিরণ এর। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এর বাইরে ...