ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা কি অস্তমিত সূর্য ?? উত্তর সময় দেবে। তবে এই সিজনের শুরু থেকে যেভাবে খেলছে আমি আশাবাদী হতে পারছিনা৷ একটা - দুটো ম্যাচ বাদ দিলে ভালভার্দের একটা প্ল্যান চোখে পড়েছে সেটা হল মেসিকে দিয়ে গোল করাতে হবে। টিমের বাকি দশজন যেন এই একটা উদ্দেশ্য নিয়ে নামে। যেদিন মেসির ভাগ্য ক্লিক করবেনা সেদিন বার্সেলোনা ফিনিশ। বাকিদের যেন কেউ বারণ করেছে গোলে তারাও শট নিতে পারে।
আর ডিফেন্স, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড নিয়ে কথা না বলাই ভালো। পিকে আর বুসকেট্স একেবারেই ফিট নয়। প্রত্যেকটা ম্যাচে এমন ব্লান্ডার করছে ওদের কাছ থেকে মেনে নেওয়া যায়না। গ্রিজম্যান এখনো মানিয়ে উঠতে পারেনি। একটা ম্যাচ ছাড়া বাকি গুলোতে নিজের ফর্মে খেলতেই পারলোনা। টিমগেম খেলার জন্য যে ক্লাব বিখ্যাত সেই বিশ্বসেরা প্লেয়ারদের টিম টিমগেম টাই খেলতে পারছেনা। প্রত্যেকটা ম্যাচে প্রতিপক্ষর থেকে নয় থেকে দশ কিমি কম দৌড়াচ্ছে। ফুটবল শুধু ব্রেন দিয়ে খেলতে হল জাভি-ইনিয়েস্তা কে লাগে। প্যাশন হারিয়ে গেছে, তাতানোর লোক নেই। এইরকম খেললে লিগের বাঘ হয়েই থাকতে হবে। কোয়ার্টার এর ফাঁড়া কাটিয়ে আগের বার সেমি খেলেছে। এবার সেটা পারলে খুব অবাক হবো। এরকম খেলে নকআউট জেতা চাপ। তাও যদি লিগেও ভালো খেলতো। প্রত্যেকটা এওয়ে ম্যাচ ছড়িয়ে আসছে। এত ভালো টিম নিয়েও যদি এরকম ফল আর এই খেলা বেরোয় সেটা সাপোর্টার দের জন্য হতাশাজনক। তবুও আশা করি, এই সময় কাটিয়ে উঠবে একদিন, কোন এক বছর যখন রাত জেগে খেলা দেখে একটা তৃপ্তির সাথে ঘুমাতে পারবো।
#FC_Barcelona
We all want to see our team to win . That's how we can forget depression, failure of our own personal life. We had a good team , great players , good consistency .. But again like the previous year they failed to show in one knockout match .. It happens in life ,despite good preparation , sometimes we fail .. But this is not failure actually .. Failure is when we can't rise again .. Failure is blaming our own players , thus ourselves .. This is an attitude of losers ..I personally need one week to recover .. But we are not loser . We certainly will rise again , more strongly . What doesn't kill you makes you stronger . After all tomorrow is another day . Thank you for everything, team . We enjoyed your game whole season . Forget this defeat and move on .. that's life .. Congratulations Liverpool and their supporters
We all want to see our team to win . That's how we can forget depression, failure of our own personal life. We had a good team , great players , good consistency .. But again like the previous year they failed to show in one knockout match .. It happens in life ,despite good preparation , sometimes we fail .. But this is not failure actually .. Failure is when we can't rise again .. Failure is blaming our own players , thus ourselves .. This is an attitude of losers ..I personally need one week to recover .. But we are not loser . We certainly will rise again , more strongly . What doesn't kill you makes you stronger . After all tomorrow is another day . Thank you for everything, team . We enjoyed your game whole season . Forget this defeat and move on .. that's life .. Congratulations Liverpool and their supporters
What a match back to back .. Yesterday was RMA vs Ajax .. Today PSG vs Man Utd .. defeated in their home ground despite of away lead ... UCL or thriller movie !! Lukaku = ভরবেগ ... Congratulations Man Utd .. and Ashok Mahalanabish
BTW Buffon choosed the right side to jump , but the historical penalty was scored through a 20 years generation gap ..
BTW Buffon choosed the right side to jump , but the historical penalty was scored through a 20 years generation gap ..
Dusan Tadic destroyed Casimeiro today , and also Real Madrid .. Tadic , remember the name .. Remember the day 5/3 according to European time .. it's also the aggregate vs Ajax .. a significant day in the history of football .. Real Madrid lost consecutive 4 home matches ( Girona, Barca , Barca , Ajax) .. consecutive 2 UCL home matches ( CSKA Moscow, Ajax) .. And three times consecutive winner of UCL ( their fan claims UCL theme song is their official theme song !!) is kicked
out of UCL today in Round of 16 even after away lead (2-1) .. Real Madrid should kick out Ramos first .. then Papa Perez .. they both are pollution to football .. They didn't even respect CR7, Casillas , Raul etc etc .. "Who needs Ronaldo !!" My foot .. One word to trophyless RMA today - please overcome this trauma .. I don't want a good club to become next AC Milan ... Lastly, De Jong amader asche 
#UCL #RMAvsAjax

#UCL #RMAvsAjax
ফুটবল যারা ভালোবাসে, যারা মেসি-রোনাল্ডো র খেলা দেখতে শুধু ফুটবল দেখেনা, তাদের জন্য এই এল-ক্লাসিকো একইরকম ছিল। বার্সার খেলা যেন সাজানো দাবা র বোর্ড। মাপা খেলোয়াড়দের মুভমেন্ট। রিয়েলমাদ্রিদ যেন ছন্নছাড়া সৈন্য৷ আজ বার্সা তার মন্ত্রী মেসি কে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল। মেসিকে ছাড়া ইন্টার মিলান এর বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখার পর আর রিয়েল এর শেষ চারটে ম্যাচ দেখার পর যদিও নিশ্চিত ছিলাম বার্সা জিতবে। বার্সার জর্ডি এলবা আর সার্জিও রবার্তো যেন দুধারের দুই নৌকো। বুসকেটস্ আর আর্থার মেলো যেনো আড়াই ঘরের বেশি নড়েনা। কিন্তু যখন নড়ে, যেকোন দিকে নড়ে আর কেউ আটকাতে পারেনা। তাই ওই দুজন হল ঘোড়া। কুটিনহো আর রাফিনহা হল দুই হাতি। কোণাকুণি ড্রিবল করে শট নেয়। রাফিনহা আজ মেসির পজিশনে খেলে অনেকটাই অভাব ঢেকে দিয়েছে। পিকে, লেংগলেট, র্যাকিটিচ্, সেমেডো, ডেম্বেলে, ভিদাল টিমের বিশ্বস্ত সৈন্য৷ আর সুয়ারেজ হল রাজা। নামেই স্ট্রাইকার। বার্সা টিমে আজকাল ওকে দেখলে মাথা গরম হয়। যদিও আজ হ্যাট্রিক করেছে, কিন্তু পরিষ্কার গোলগুলো ওর জন্য নষ্ট হয়। এই দাবার বোর্ডে ও একমাত্র বেমানান। তবু সুয়ারেজ কে খুব ভালো খেলতে দেখেছি, শেষ দিকেও ওর কিছু ঝলক দেখালো, তাই আশা রাখি এই দাবার বোর্ড এ মেসি এলে রাজা-মন্ত্রীর কম্বিনেশন জমে যাবে। ভার এসে রিয়েল মাদ্রিদের খুব অসুবিধে করে দিয়েছে। আশা করি রিয়েল রেফারি ছেড়ে খেলায় মন দেবে। ভালো খেলতে শুরু করবে। আজ সেকেন্ড হাফের প্রথম কুড়ি মিনিট ছাড়া রিয়েল খেললো কই। দুর্বল রিয়েল মাদ্রিদ কে হারিয়ে কোন মজা নেই। মেসি থাকলে, আর কুর্তোয়া আজ অসাধারণ কিছু সেভ না করলে কত গোলে যে হারতো ।।
আগের গার্লফ্রেন্ড ছেড়ে অন্য একজনের সাথে চলে গেছে বেশ কিছুদিন হল। ওকে ছাড়া নতুন জীবনের শুরু করেছি। কিন্তু সেই জীবনেও একের পর এক হার৷ লুকিয়ে লুকিয়ে আগের গার্ল ফ্রেন্ডের প্রোফাইলে উঁকি দিই। হা-হুতাশ করি। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলি। বুঝতে পারিনা নিজের নতুন জীবন কে সময় দেবো নাকি ওর জীবনের খোঁজ খবর নেবো। আগের গার্ল ফ্রেন্ডের কিছু বদ অভ্যেস ছিল বটে। পাশের বাড়ির পুঁচকি তার বয়ফ্রেন্ডের জন্য চোখে কাজল দিয়েছে তো তাকেও দিতে লাগবে। পুঁচকি কে তার বয়ফ্রেন্ড মাথায় তুলে রাখে তো তাকেও তুলে রাখতে হবে। আরে বুঝতে হবে যে পুঁচকি ইজ পুঁচকি। ওই পাড়ায় আমার বাড়ি হলে পুঁচকি কে আমিই প্রথম প্রোপোজ করতাম৷ হাইট কম হলে কি হবে! বল কন্ট্রোল যে অসাধারণ৷ অবশ্য এতে আমার ও দোষ ছিল। আমার এক্স তার আগের বয়ফ্রেন্ড এর সাথে রিলেশন শেষ করে যখন আমার সাথে আসে তখন একজন পরিশ্রমী সেবাধর্মী পড়াকু গার্লফ্রেন্ড ছিল। আমিই ওকে সাকসেস এর চক্করে নষ্ট করেছি। চোখে কাজল, ভ্রূ প্লাকিং, দাঁত এ ক্লিপ লাগিয়ে সোজা করা করিয়েছি৷ কথায় কথায় - পুঁচকি কে দেখো শুধু ভালো রান্না করলেই হবেনা, ওর বল কন্ট্রোল দেখো, ওর এই দেখো, ওর ওই দেখো। দিয়েছে ভালো করে দেখিয়ে।
নিজের দেওয়ালে মেরে রেখেছি কাগজে "তোকে আমার দরকার নেই।" But everyone knows what is the truth.
মনে পড়ে নিজের যৌবনের পাপের কথা৷ তারই ফল। তখন কাকা-ওজিল খেলতো। কত বড় মাপের খেলোয়াড় কে নষ্ট করেছি। একে একে বের করে দিয়েছি ক্লাব থেকে। এত দিনের গোলকিপার ক্যাসিলাস কে সম্মান দিইনি। তবু সাকসেস-ফুল কিনা তাই কেউ কিছু মাথা ঘামায়নি। তাই ফলস্-মাদ্রিদ না জুভেনাইল-তাস এর মধ্যে যারা কনফিউজড্ হয়ে ঝুলে আছেন, পুঁচকির পাড়ায় আসুন। সাকসেস প্রতি বছরই থাকে। সংগে পাবেন সম্মান। আর ফুটবলের ভগবান এর ক্লাব কে শেষ কয়েক বছর সাপোর্ট করে যাওয়ার সুযোগ৷ নিজের পরবর্তী প্রজন্ম কে বলতে পারবেন আমি সেই ক্লাবের সাপোর্টার ছিলাম যেখানে ভগবান খেলতো ৷।
নিজের দেওয়ালে মেরে রেখেছি কাগজে "তোকে আমার দরকার নেই।" But everyone knows what is the truth.
মনে পড়ে নিজের যৌবনের পাপের কথা৷ তারই ফল। তখন কাকা-ওজিল খেলতো। কত বড় মাপের খেলোয়াড় কে নষ্ট করেছি। একে একে বের করে দিয়েছি ক্লাব থেকে। এত দিনের গোলকিপার ক্যাসিলাস কে সম্মান দিইনি। তবু সাকসেস-ফুল কিনা তাই কেউ কিছু মাথা ঘামায়নি। তাই ফলস্-মাদ্রিদ না জুভেনাইল-তাস এর মধ্যে যারা কনফিউজড্ হয়ে ঝুলে আছেন, পুঁচকির পাড়ায় আসুন। সাকসেস প্রতি বছরই থাকে। সংগে পাবেন সম্মান। আর ফুটবলের ভগবান এর ক্লাব কে শেষ কয়েক বছর সাপোর্ট করে যাওয়ার সুযোগ৷ নিজের পরবর্তী প্রজন্ম কে বলতে পারবেন আমি সেই ক্লাবের সাপোর্টার ছিলাম যেখানে ভগবান খেলতো ৷।
শেষ কবে বার্সিলোনা র খেলা দেখে এত ডোপামিন ব্রেনে এসেছে জানিনা৷ কাল টোটেনহ্যাম এর বিরুদ্ধে বার্সা ছিল অসাধারণ। টোটেনহ্যামের মত ইপিএল এর প্রথম সারির টিম কে নিয়ে কার্যত ছেলে খেলা করেছে বার্সা। তাও দ্বিতীয় হাফে টোটেনহ্যাম কিছুটা হলেও খেলেছে। বার্সা টিমে একজন ভবিষ্যতের প্লেয়ার খুঁজে পাওয়া গেছে। জাভি র মত থ্রু পাস সেভাবে না দিতে পারলেও আর্থার মেলো র কাল বল হোল্ডিং প্লে অসাধারণ ছিল৷ বিপক্ষ একটাও বল কাড়তে পারেনি ওর পা থেকে। তার উপর ওর পিভট মিডফিল্ডে সাইলেন্ট রোল টোটেনহ্যাম মিডফিল্ড কে তাদের ঘরের মাঠে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে দেয়। বুসকেটস্ কেও শেষ কবে এত ভালো খেলতে দেখেছি মনে পড়েনা। মেসি একাই এখন ইনিয়েস্তা র অভাব মেটাচ্ছে, আবার গোল করছে৷ মেসি কাল ৪ গোল পেতেই পারতো দুটো বার এ না লাগলে। মেসি কে শেষ লা লিগা র ম্যাচে একেবারেই নিষ্প্রভ লেগেছিল। আজ যেন পুরো সেই দুটো ম্যাচের খেলা একসাথে খেলে গেল। কুটিনহো দিন দিন আরো ভালো হচ্ছে। বুসকেটস্ -মেলো- মেসি - অ্যালবা - কুটিনহো - সুয়ারেজ লিংক কে কাল অপ্রতিরোধ্য লাগলো। এই বার্সা কে হারাতে গেলে ভালো টিম হিসেবে হারানো যাবেনা। আন্ডারডগ হিসেবে খেলে কাউন্টার এট্যাকিং খেলা খেলে হারাতে হবে। অবশ্য সেমেডোর জায়গায় সার্জিও রবার্তো আর লেংগলেট এর জায়গায় উমিতিতি এলে সেই কাজটাও কতটা সফল হবে বলা মুশকিল। বার্সা এই খেলার ৮০% ও খেলে গেলে এবছর চ্যাম্পিয়নস লিগ আমাদের ৷।
||লুকা মডরিচ্ ও সংগ্রাম ||
2012-13 সিজনে চ্যাম্পিয়নস্ লীগের Round of 16 এর ম্যাচ রিয়েল মাদ্রিদ বনাম ম্যান ইউ। তখনকার ম্যান ইউ এখনকার ম্যান ইউর মত শুধু কাগুজে বাঘ নয়। ম্যানেজার স্যার আলেক্স ফার্গুসন- যাকে ইপিএল হেটার হয়েও চরম সম্মান করি। আর টিমে আমার প্রিয় গিগস, ভয়ংকর ভ্যান পার্সি খেলে। তখন আমি রিয়েল মাদ্রিদ ফ্যান। আমার ক্লাবে তখন আমার খুব প্রিয় প্লেয়ার রা খেলে। কাকা, মেসুট ওজিল, রোনাল্ডো। ম্যাচটা রিয়েল কে চেপে ধরেছিল ম্যান ইউ। চাপ আরো বাড়লো র্যামোস নিজেদের জালে বল ঢোকানোতে। তার একটু পরেই নানি লাল কার্ড খেলো। তারপরেই মডরিচ্ আর হিগুয়েন, আবার মডরিচ্, তারপর ম্যান ইউ ডিফেন্ডার দের অবাক করে চকিতে একটা দূরপাল্লার শট। বল জড়ালো জালে। তার একটু পরেই মডরিচ্ এর পাস পেনাল্টি বক্সে হিগুয়েনকে। সেখান থেকে ওজিল। ওজিল এর অসাধারণ ব্যাকহিল আবার হিগুয়েন কে। তিনজন ডিফেন্ডার বোকা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। হিগুয়েন এর পাস থেকে গোল রোনাল্ডোর। ম্যাচটা চোখ বুজলেই দেখতে পাই। কাকা ও গোল পেতে পারতো তারপর। যাই হোক, সে বছর না পারলেও তারপরের বছর রিয়েল চ্যাম্পিয়নস্ লীগ জিতেছিল। কিন্তু কাকা, ওজিল কে বের করে দেওয়ার পর আর রিয়েল এর খেলায় মন ভরছিল না। অন্য টিমের সাপোর্টার হব কিনা ভাবছি, খিঁচ ছিল একজনই লুকা মডরিচ্। লুকা মাঠে যেরকম সংগ্রাম করে তার শুরু আসলে ওর ছোটবেলা থেকে।
মডরিচ্ এর যখন ছ বছর বয়স তখন ক্রোয়েশিয়া স্বাধীন হয় আর শুরু হয় দেশে যুদ্ধ। সার্বিয়া ও য়ুগোস্লাভিয়া ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। মডরিচ্ এর বাবা ক্রোয়েশিয়ার হয়ে যুদ্ধে নামেন। ঠাকুরদা লুকা কে মেরে ফেলা হয়। আর ওদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় সার্বিয়ার যুদ্ধগোষ্ঠী। শুরু হয় মডরিচ্ এর কষ্টের জীবন। চারিদিকের যুদ্ধ, গোলা গুলির মাঝে একমাত্র ফুটবল ই পারত সব কিছু ভুলিয়ে রাখতে লুকা জুনিয়র কে। রোগা হওয়ার জন্য ভালো টিমে চান্স পেতেন না। বসনিয়ার একটা ক্লাবে খেলে উঠে আসেন তিনি। বসনিয়া র লীগে ফিজিক্যাল ফুটবল খেলা হয়। তা সত্ত্বেও মডরিচ্ কে আটকানো কঠিন হয়ে পড়ে। ২০১২ থেকে রিয়েল মাদ্রিদে খেলতে আসেন। আমি রিয়েল কে সাপোর্ট করা ছেড়েছি ২০১৩-১৪ র পর থেকে। তবু রিয়েল এর খেলা দেখা ছাড়িনি। কারণ ওই ক্লাবে এখন দু-তিন জনের মধ্যে একজন মডরিচ্ এর খেলা দেখার মত। গোটা মাঠে খেলা কে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এই নি:শব্দ সংগ্রামী যোদ্ধা। উনি কি পারবেন আজ ইংল্যান্ডের দৌড় থামাতে?? ইংল্যান্ড লাস্ট যবে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তার অনেক পরে এই ক্রোয়েশিয়া দেশের জন্ম। মডরিচ্ কে আজ প্রধান ভূমিকা নিতেই হবে ক্রোয়েশিয়াকে প্রথম বারের জন্য ফাইনালে তুলতে বিশ্বকাপে। আর কখনো নিজের জীবন কে কঠিন মনে হলে মডরিচ্ এর জীবন এর কথা ভেবে উদ্বুদ্ধ হওয়া যেতেই পারে। আজ জিতুন বা হারুন মডরিচ্ এর জন্য একটা আলাদা জায়গা থাকবে মনে।
শেষ করবো আউটসাইড বুট পাসের বসের একটা কথা দিয়ে -
" critics push you forward to show people they are wrong. Maybe I look lightweight but I am a really strong person mentally and physically, and I never had any problems with my size".
মডরিচ্ এর যখন ছ বছর বয়স তখন ক্রোয়েশিয়া স্বাধীন হয় আর শুরু হয় দেশে যুদ্ধ। সার্বিয়া ও য়ুগোস্লাভিয়া ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। মডরিচ্ এর বাবা ক্রোয়েশিয়ার হয়ে যুদ্ধে নামেন। ঠাকুরদা লুকা কে মেরে ফেলা হয়। আর ওদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় সার্বিয়ার যুদ্ধগোষ্ঠী। শুরু হয় মডরিচ্ এর কষ্টের জীবন। চারিদিকের যুদ্ধ, গোলা গুলির মাঝে একমাত্র ফুটবল ই পারত সব কিছু ভুলিয়ে রাখতে লুকা জুনিয়র কে। রোগা হওয়ার জন্য ভালো টিমে চান্স পেতেন না। বসনিয়ার একটা ক্লাবে খেলে উঠে আসেন তিনি। বসনিয়া র লীগে ফিজিক্যাল ফুটবল খেলা হয়। তা সত্ত্বেও মডরিচ্ কে আটকানো কঠিন হয়ে পড়ে। ২০১২ থেকে রিয়েল মাদ্রিদে খেলতে আসেন। আমি রিয়েল কে সাপোর্ট করা ছেড়েছি ২০১৩-১৪ র পর থেকে। তবু রিয়েল এর খেলা দেখা ছাড়িনি। কারণ ওই ক্লাবে এখন দু-তিন জনের মধ্যে একজন মডরিচ্ এর খেলা দেখার মত। গোটা মাঠে খেলা কে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এই নি:শব্দ সংগ্রামী যোদ্ধা। উনি কি পারবেন আজ ইংল্যান্ডের দৌড় থামাতে?? ইংল্যান্ড লাস্ট যবে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তার অনেক পরে এই ক্রোয়েশিয়া দেশের জন্ম। মডরিচ্ কে আজ প্রধান ভূমিকা নিতেই হবে ক্রোয়েশিয়াকে প্রথম বারের জন্য ফাইনালে তুলতে বিশ্বকাপে। আর কখনো নিজের জীবন কে কঠিন মনে হলে মডরিচ্ এর জীবন এর কথা ভেবে উদ্বুদ্ধ হওয়া যেতেই পারে। আজ জিতুন বা হারুন মডরিচ্ এর জন্য একটা আলাদা জায়গা থাকবে মনে।
শেষ করবো আউটসাইড বুট পাসের বসের একটা কথা দিয়ে -
" critics push you forward to show people they are wrong. Maybe I look lightweight but I am a really strong person mentally and physically, and I never had any problems with my size".
ব্রাজিল আমার দেশ না। তবু ব্রাজিলের ২০ বছরের সাপোর্টার অনেক ছোট থেকে । আবেগটা তাই একটু বেশিই। ব্রাজিল দেশকে নিয়ে নয়। ব্রাজিলের ফুটবল ঘরানাকে নিয়ে। ২০১৪ তে বাজে খেলে হেরেছি সেরকম দু:খ পাইনি। ২০০৬ আর ২০১৮ র কষ্ট টা অন্যরকম। সেদিনের মতই ভাগ্যদেবী সহায় হলনা আমাদের। এতক্ষণ লেখার মত অবস্থায় ছিলাম না। মাতামাতি একটুও করিনি নিজের টিম কে নিয়ে এবার। ব্রাজিল হারলে এত দু:খ পেতাম না। আজ আসলে হেরে গেলো ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ঘরানা। সাময়িক ভাবে ভেংগে পড়লেও এখন ঘুমাতে যাচ্ছি। যারা আমাকে ফোন বা মেসে
জ করেছে আজ বিশেষত আর্জেন্টিনা আর জার্মানি র ফ্যান রা আমি দু:খিত কাউকে রিপ্লাই দিতে পারিনি। ব্রাজিল এর উচিত এখন -
১) একজন ভালো স্ট্রাইকার তৈরি করা যে ইপিএল ছাড়া অন্য যে কোন জায়গায় খেলবে।
২) শেষ বা চলতি মরশুম ইপিএল খেলা যে কোন প্লেয়ার এর ব্রাজিলিয়ান ঘরানার টিমে কোন জায়গা দেওয়া যাবেনা ।
আমার মনে হয়, এদুটো চেঞ্জ করলেই ব্রাজিল নিজস্ব ফুটবল যেটা আজ দ্বিতীয় হাফে খেলেছে সেটা খেলে যেতে পারবে। আর সেটা খেললে ভাগ্য ছাড়াও যে গোল না খেয়ে গোল দেওয়া যায় সেটা প্রমাণিত। বিশ্বকাপ আমার কাছে শেষ নয় এমনিই দেখবো। ফ্রান্স, বেলজিয়াম কে অভিনন্দন। খেলায় হার জিত থাকে। ভালো খেলে হারার জন্য ব্রাজিল প্লেয়ার দের অনেক ভালোবাসা জানাই। তবে জিতলে অনেক ভালো লাগতো । সাময়িক ব্যর্থতার জন্য ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ঘরানা কখনো হারাবেনা বলে আমার বিশ্বাস। কারণ ব্রাজিলিয়ান ফুটবল স্বপ্নের মত ভুলিয়ে রাখে বাস্তবের মরুভূমি কে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল আনন্দে কাঁদায়। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল একজন শিল্পীর মন বোঝে। হেরে যেতে পারি, কিন্তু মদন তাঁতির মতই গামছা বুনে হারিনি ।।
Phillipe Coutinho
একটা ফিরে আসার গল্প বলা যাক। না ফিরে আসা বললে ভুল হবে - পুনর্মিলন একরকম । ধরা যাক, আপনার ছোটবেলার ভালো পড়াশোনা করা প্রিয় বন্ধু হঠাত্ হারিয়ে গেছে অন্য কোথাও। আপনি ভালো রেজাল্ট করে আই.এ.এস অফিসার হলেন। কয়েক বছর পর কোন মন্ত্রী দের সাথে মিটিং এ দেখলেন আপনার সাথে যে আই.এ.এস অফিসার নিযুক্ত হয়েছেন সে সেই হারিয়ে যাওয়া বন্ধু। নেইমার - কুটিনহো র গল্পটাও অনেকটা সেরকম। ব্রাজিলের হয়ে ১০ বছর আগে উপমহাদেশীয় কাপ, যুব বিশ্বকাপ খেলা দুই বন্ধু। তারপর কুটিনহো চলে গেলেন ইন্টার মিলান এ। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত ক্লিক করলো না। ইন্টার থেকে ভাস্কো দা গামা, এস্পানিওল ক্লাবে খেলে সেরকম সাফল্য পেলেন না তিনি। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে কোনভাবেই জায়গা হলনা তার। এদিকে নেইমার ঠিক করলেন ঘরের মাঠে খেলে নিজেকে তৈরি করবেন। তাই করলেন। সাফল্য পাওয়ার পর বার্সেলোনায় সাফল্যের সিঁড়ি চড়া শুরু। যে টিমে নেইমার কুটিনহো সমান গুরুত্ব পেতো সিনিয়র বিশ্বকাপ টিমে কুটিনহো গেলেন হারিয়ে। নেইমার হলেন প্রধান মুখ ২০১৪ সালে। গল্প এখানেই শেষ নয়। এই হারিয়ে যাওয়ার সময়টা তে তাদের যোগাযোগ ছিল। তারপর শুরু হল ফিরে আসার অধ্যায়। লিভারপুল ক্লাবে কুটিনহো ফুলের সুগন্ধ ছড়াতে লাগলো ক্লপের তত্ত্বাবধাহানে। নেইমার সেই সময় বার্সিলোনা ছেড়ে পিএসজি তে গেলেন। কুটিনহো এলেন বার্সিলোনায়। নিয়মিত ভালো খেলে ব্রাজিল দলের নিয়মিত প্লেয়ার হিসেবে ঢুকে পড়লেন কুটিনহো। ২০১৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে কুটিনহোর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা ব্রাজিলেরই এক কিংবদন্তী র কথাতে শুনে নেওয়া যাক।
"Everyone focuses and speaks about Neymar, but the truth is, Coutinho is proving he's a leader for Brazil. Defenders are focused on Neymar, but Coutinho is the one deciding the matches. Coutinho is at Neymar's level."
- Roberto Carlos
শুধু শৃঙ্খলা, Hard work আর মনের জোর দিয়ে কি ফুটবল ম্যাচ জেতা যায় ? যে টিমের এগারো জনই বেঁটে, আর বিপক্ষের সবাই বিশাল চেহারা আর লম্বা সেই টিম নিয়েও সমানে সমানে লড়ে যাওয়া যায় ফুটবলে?? যারা মোটামুটি ক্লাব ফুটবল দেখে তাদের কাছে জাপানের কয়েকটা নামই পরিচিত। কাগাওয়া, হন্ডা, গাকু সিবাসাকি, ইনুউই, ওকাজাকি। যদিও সিবাসাকি নিয়ে লিখেছিলাম বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক মাস আগে যে নজর কাড়তে পারে। কাগাওয়া মাঝে কিছুদিন খুব ভালো খেলেছিল। তবুও এরা কেউই সে অর্থে তারকা নয়। অন্য দিকে হ্যাজার্ড, লুকাকু, কেভি
ন, কম্পানি, ফেলাইনি র মত তারকারা। তার উপর ইংলিশ মিডিয়ার দৌলতে বার খেয়ে এই ইপিএল খেলা লোকজন নিজেদের মহাতারকা ভাবলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। জাপানের এগারো জন একটাই হৃত্পিন্ড নিয়ে খেলতে নেমেছিল। ফুটবল যে তারকাদের খেলা নয়। টিম গেম আবার প্রমাণ হল। জাপান হারবে জানতাম কিন্তু একজন এশিয়ান হিসেবে জাপান কে সাপোর্ট করে কাল খেলা দেখা সার্থক । জাপানের টিম স্পিরিট থেকে সবার শেখা উচিত। শুধু ফুটবল নয়, জীবনের প্রতিটা যুদ্ধে এই মানসিকতা দরকার। 2 গোলে এগিয়ে থেকেও রক্ষণাত্মক খেলা খেলেনি জাপান। অবশ্য ইতিহাসে কবে আর জাপান রক্ষণাত্মক নীতি নিয়ে যুদ্ধ করেছে !!??
৮৭.৪৯ মিনিটে ফ্রান্সের কোচ তুলে নিলেন ১৯ বছরের ছেলেটিকে। বুঝলেন তার কাজ শেষ। গোটা বিশ্বকাপ বাকি। আর্জেন্টিনা যেভাবে রাগবি খেলছে ও চোট পেয়ে গেলে খুব মুশকিল। বিশ্বকাপে পুরো দরকার ওকে। বাকি সময়টা বাকি প্লেয়ার রা আরামসে কাটিয়ে দিতে পারবে। আর আমিও এটা বুঝে লিখতে বসলাম। ছেলেটির নাম Mbappe। আজ নিজের ভুলেই হ্যাট্ট্রিক হলনা। বলতে বলতে মেসির সেটপিস থেকে গোল করলো আগুয়েরো। তাতে কিছু যায় আসেনা। আর বেশি সময় নেই। যাই হোক, লেখায় ফিরি। আমার ম্যাচের প্রেডিকশন ছিল ৩-১ এ ফ্রান্স জিতবে। ভাগ্যের জোরে
আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল পেয়ে যাওয়ায় ভাবলাম হল টা কি ফ্রান্সের। ফ্রান্সের খেলায় ওভারকনফিডেন্স ছাড়া আর কোন ভুল ছিলনা আসলে। Mbappe কে নিয়ে দুবছর আগে থেকে লাফাচ্ছি। আজ এরকম খেলে দেবে ভাবিনি। একাই আর্জেন্টিনা কে উড়িয়ে দিল। মেসিকে কার্যত বোতলবন্দী করে দিয়েছিল ফ্রান্সের ডিফেন্স। আর আর্জেন্টিনা র ডিফেন্স কে নিয়ে আর কি বলবো। এই ছেঁড়া জাল নিয়ে প্রি-কোয়ার্টার অবদি মাছ ধরে যাওয়াটাই অনেক বড় প্রাপ্তি।
মেসির বিদায়ের দিনে উজ্জ্বল আর এক তারকা। Mbappe। ও এই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পেলে অবাক হবনা। নামটা মনে রাখুন ।মাত্র 19 বছর বয়সী।
একটা অনেক উঁচু থেকে উড়ে আসা পাস, বাম থাই দিয়ে রিসিভ, ষষ্ঠেন্দ্রিয় জানালো বাম দিক থেকে বাম দিকের ডিফেন্ডার আসছে ঈশ্বরের বাম পা কে ব্লক করতে। বাম পা দিয়ে তাই একটা আলতো টাচ, বল চলে গেল ডিফেন্ডার এর ট্যাকেল করার সীমার বাইরে, মেসির ডান দিকে। কিন্তু মেসি ডান পা এ তো দুর্বল। বিপক্ষের গোলকিপার এগিয়ে আসছে। মেসির ডান পা দুর্বল, মুহূর্ত কালে তিনি ভাবলেন আমি তো ঈশ্বর, আমার কিসের ভয়। আমার পায়ের উপর আর্জেন্টিনা নির্ভর করে। নির্ভয়ে ডান পায়ে শট। বল জড়ালো গোলে। এগুলো সব ইতিহাস আজ। সব সমালোচকরা আজ মুখ লোকানোর জায়গা খুঁজুক। ঈশ্বর নিজের মঞ্চ বেছে নিলেন। খেলাটা যদিও আর্জেন্টিনা ভালো খেলেনি। প্লেয়ারগুলোর মেসির পাশে খেলার কোন যোগ্যতা নেই। প্রত্যেকের উচিত নতুন করে ফুটবল শেখা। বাকিদের দেখে মনে হল, পাড়ায় ফুটবল খেলছিল বা রাগবি খেলছিল, প্লেয়ার পাওয়া যাচ্ছিলনা সাম্পাওলির মনের মত। তাই ধরে এনেছে। দ্বিতীয় গোলটা যদিও বাকিদের একজন করেছে। লেট গোল এই বিশ্বকাপে প্রায়ই হচ্ছে, তাই আশা করে বসেছিলাম। আর্জেন্টিনার দিন এত খারাপ, একজন হার্ডকোর ব্রাজিল সমর্থককেও আশায় বসে থাকতে হয় আর্জেন্টিনা যেন গ্রুপ স্টেজে বাদ না যায়। আর্জেন্টিনা কে নক আউটে হিমিলিয়েটেড হতে একমাত্র ভগবানই বাঁচাতে পারেন। ও হ্যাঁ, উনি আছেন মাঠে। লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার নীল সাদা জার্সি গায়ে।
শিয়ালের ডাক শেষ,
রাত এখন নিস্তব্ধ।
জেগে থাকা ঝিঁঝিঁ পোকাও চুপ,
উনি এগিয়ে আসছেন এক পা এক পা করে,
পাহাড়ের কিনারে এসে গর্জন।
লিও তুমি আলো,
অন্ধকার কে শিল্পীর মত গোল দাও বারবার,
অন্ধকার অসহায়,
তাকে তোমার সাথে লড়ে যেতে হয়।।
রাত এখন নিস্তব্ধ।
জেগে থাকা ঝিঁঝিঁ পোকাও চুপ,
উনি এগিয়ে আসছেন এক পা এক পা করে,
পাহাড়ের কিনারে এসে গর্জন।
লিও তুমি আলো,
অন্ধকার কে শিল্পীর মত গোল দাও বারবার,
অন্ধকার অসহায়,
তাকে তোমার সাথে লড়ে যেতে হয়।।
রাত নামছে, দিনের কোলাহল শান্ত, শিয়াল-কুকুর রা সব ঘুমোতে যাবে। ঈশ্বর তুমি আজ জেগে ওঠো। এটাই সেই সময়।।
আজকের নাইজেরিয়া র দ্বিতীয় হাফে যা খেলা দেখলাম, আর্জেন্টিনার ছন্নছাড়া ডিফেন্স এর পক্ষে আটকে রাখা কঠিন হবে। তবে একটা ভালো দিক হল, যেহেতু আইসল্যান্ড বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচটা পরের নাইজেরিয়া ম্যাচটার সাথে একই সময়ে তাই, ক্যালকুলেশন করে খেলার রিস্ক কেউ নেবেনা। আইসল্যান্ড বা নাইজেরিয়া দুজনেই অ্যাটাকিং খেলা খেললে, ক্রোয়েশিয়া বা আর্জেন্টিনার জন্য আক্রমণে অনেক স্পেস তৈরি হবে। তাই মেসির মুসা র সৌজন্যে আজ বিশ্বকাপে এখনো ক্ষীণ আশা রয়েছে। আমি যদিও মনে প্রাণে চেয়েছিলাম আর্জেন্টিনা র আর আশা না থাক, কোনভাবে আর্জেন্টিনা নক আউটে চলে গেলে জানিনা কত গোল খাবে। এই আর্জেন্টিনার হয়ে কাপ জেতা আর ছেঁড়া জাল নিয়ে মাছ ধরা একই ব্যাপার।
*****
ম্যাচ || আর্জেন্টিনা বনাম আইসল্যান্ড||
আর্জেন্টিনা টিমের বরাবর এর সমস্যা হল একজন ভালো ম্যানেজার এর অভাব। একজন ভালো ম্যানেজার পেলে টিম এর চেহারা হয়তো অন্য রকম হত। এমন একজন ম্যানেজার যে মেসিকে সম্মান করেই বলবে তুমি ফুটবলের ভগবান হতে পারো, কিন্তু এই টিমে তুমি এগারোর একজন। সে নাহলে বুঝলাম কেন ইকার্ডি নেই। ডিবালা প্রথম এগারো তে নেই। সব মানলাম, কিন্তু হিগুয়েন কেন প্রথম থেকে খেললো না কেউ বলুক। আর্জেন্টিনা র আরো বড় সমস্যা হল ডিফেন্স। এই ডিফেন্স নিয়ে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন না দেখাই ভালো আর্জেন্টিনা র। দুদিন একদিন মহম্মদ সালাহ্, তারপর মেসি কে খালি হাতে ফিরতে হল। বিশ্বকাপের শুরুটা ক্রিশ্চিয়ানো ফ্যান দের মুখেই শুধু হাসি আনলো। বাকিরা দেখলো যে ঈশ্বরের পায়ে বল থাকলে ৫-৬ জন ও গোলপোস্টের সামনে অদৃশ্য লাগে সেই ঈশ্বর একজন সাধারণ মানুষের মত পেনাল্টি মিস করলো। আর দেখলো অস্ট্রেলিয়া, ইজিপ্ট, আইসল্যান্ডের মত দেশের অসাধারণ হার না মানা লড়াই। আইসল্যান্ড পরবর্তী স্টেজে না গেলে খুব খারাপ লাগবে। বিশ্বাস করতে অসুবিধে হয় এই দেশ টার জনসংখ্যা কোলকাতার প্রায় ১৩ ভাগের এক ভাগ। আর প্লিজ মেসি বিশ্বকাপে ফিরে এসো। মেসি র দল আর্জেন্টিনার আমি চরম আ্যন্টি। সহ্য হয়না। তবু এই গ্রুপ অফ ডেথে যদি এই দেশের সাথে অঘটন ঘটে খুব খারাপ লাগবে। ঈশ্বরের জন্য। বিশ্বকাপ এর মত মঞ্চ ঈশ্বরকে ডিজার্ভ করে।।
******
সব ম্যাচ পুরো দেখা সম্ভব নয়, সব দেশের ফুটবল নিয়ে জানি অতি সামান্য, তাই সব ম্যাচ নিয়ে লেখা সম্ভব নয়। তবে এই বিশ্বকাপের ভালো ম্যাচগুলো নিয়ে লিখবো।
ভালোবেসে লিখবো। ফুটবল বিশেষজ্ঞ নই। তাই সবাই খুলে সমালোচনা করতে পারে লেখার।
এটা প্রথম ম্যাচ যেটা নিয়ে রাত জেগে লেখা যায়। ম্যাচের রেজাল্ট হবে ভেবেছিলাম ৫-০ স্পেন এর পক্ষে। তারপর দুম করে বিশ্বকাপ শুরুর একদিন আগে টিমের নতুন কোচ। ফুটবলে কোচের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রেডিকশন পালটে করেছিলাম ২-০ পর্তুগাল এর পক্ষে। স্পেন এই বিশ্বকাপ জিততে পারে বলে অনেকে ভেবেছেন। স্পেন এর ডিফেন্সে বয়সের ছাপ পড়েছে, তার উপর স্পেন এর মাঝমাঠ যতই ছবির মত সাজানো হোক মাঝমাঠের সাথে সামনে লিংক এর অভাব হবেই। রিয়াল, বার্সার বাছা প্লেয়ার দের মাঝমাঠ এর গতিবিধি বুঝতে লিও বা রোনাল্ডো র মত লোক চাই সামনে। তাই স্পেনের পক্ষে যে এই বিশ্বকাপ জেতা সহজ হবেনা বলেছিলাম। সেটা আজ প্রমাণ হল। ফুটবলে আসল কথা বলে গোল। গোল আর বল পসেসান শতাংশ দেখলে মনে হবে রোনাল্ডো বনাম স্পেন খেলা হয়েছে। কিন্তু গোটা খেলাতে পর্তুগীজ ডিফেন্স আর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড এর প্রশংসা করতেই হয়। খেলা টা হয়েছে আক্রমণ বনাম প্রতিআক্রমণ এর। মাঝমাঠের পর স্পেন কে কেমন হঠাত ছন্নছাড়া লেগেছে। মাঝমাঠ আর আক্রমণের লিংকে প্রবলেম হচ্ছে। এরকম মাঝমাঠ নিয়েও স্পেন এর দ্বিতীয় গোল ছাড়া বাকি দুটো নিজস্ব ক্রেডিটে। স্পেনের মাঝমাঠ অনেক্ষণ বল নিয়ে নিজেদের মধ্যে রাখছিল। ডিয়েগো কোস্টা র হঠাত মনে হল দরকার নেই তোদের, একাই পর্তুগীজ দুর্গ ভেংগে প্রথম গোল করলো। ন্যাচোর গোলটাও ওইরকম ভেবেই হয়তো।
পর্তুগাল এ অবশ্য আজ একটাই নাম আকাশে বাতাসে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ডস স্যান্টোস। দ্বিতীয় গোল টা খাওয়ার পর স্পেন এর গোলকিপার আজ গিয়ে লিভারপুল এর গোলকিপারের সাথে আরামসে মদ খেতে পারে। ওদের দুজনের মত একে অপরের ব্যথা কেউ বুঝবেনা। শোয়ার আগেই এটা লিখলাম তাড়াহুড়ো করে। স্বপ্নে হয়তো আসবে। একটা বল স্লো মোশানে মানবপ্রাচীরের ওপর দিয়ে উঠছে, বাঁকছে, নামছে। জালে বল জড়ালো। রোনাল্ডো বলছে আমি এখনো মাঠে রয়েছি। বহুদিন পর বস কে ফিরে পেলাম।।
ভালোবেসে লিখবো। ফুটবল বিশেষজ্ঞ নই। তাই সবাই খুলে সমালোচনা করতে পারে লেখার।
এটা প্রথম ম্যাচ যেটা নিয়ে রাত জেগে লেখা যায়। ম্যাচের রেজাল্ট হবে ভেবেছিলাম ৫-০ স্পেন এর পক্ষে। তারপর দুম করে বিশ্বকাপ শুরুর একদিন আগে টিমের নতুন কোচ। ফুটবলে কোচের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রেডিকশন পালটে করেছিলাম ২-০ পর্তুগাল এর পক্ষে। স্পেন এই বিশ্বকাপ জিততে পারে বলে অনেকে ভেবেছেন। স্পেন এর ডিফেন্সে বয়সের ছাপ পড়েছে, তার উপর স্পেন এর মাঝমাঠ যতই ছবির মত সাজানো হোক মাঝমাঠের সাথে সামনে লিংক এর অভাব হবেই। রিয়াল, বার্সার বাছা প্লেয়ার দের মাঝমাঠ এর গতিবিধি বুঝতে লিও বা রোনাল্ডো র মত লোক চাই সামনে। তাই স্পেনের পক্ষে যে এই বিশ্বকাপ জেতা সহজ হবেনা বলেছিলাম। সেটা আজ প্রমাণ হল। ফুটবলে আসল কথা বলে গোল। গোল আর বল পসেসান শতাংশ দেখলে মনে হবে রোনাল্ডো বনাম স্পেন খেলা হয়েছে। কিন্তু গোটা খেলাতে পর্তুগীজ ডিফেন্স আর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড এর প্রশংসা করতেই হয়। খেলা টা হয়েছে আক্রমণ বনাম প্রতিআক্রমণ এর। মাঝমাঠের পর স্পেন কে কেমন হঠাত ছন্নছাড়া লেগেছে। মাঝমাঠ আর আক্রমণের লিংকে প্রবলেম হচ্ছে। এরকম মাঝমাঠ নিয়েও স্পেন এর দ্বিতীয় গোল ছাড়া বাকি দুটো নিজস্ব ক্রেডিটে। স্পেনের মাঝমাঠ অনেক্ষণ বল নিয়ে নিজেদের মধ্যে রাখছিল। ডিয়েগো কোস্টা র হঠাত মনে হল দরকার নেই তোদের, একাই পর্তুগীজ দুর্গ ভেংগে প্রথম গোল করলো। ন্যাচোর গোলটাও ওইরকম ভেবেই হয়তো।
পর্তুগাল এ অবশ্য আজ একটাই নাম আকাশে বাতাসে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ডস স্যান্টোস। দ্বিতীয় গোল টা খাওয়ার পর স্পেন এর গোলকিপার আজ গিয়ে লিভারপুল এর গোলকিপারের সাথে আরামসে মদ খেতে পারে। ওদের দুজনের মত একে অপরের ব্যথা কেউ বুঝবেনা। শোয়ার আগেই এটা লিখলাম তাড়াহুড়ো করে। স্বপ্নে হয়তো আসবে। একটা বল স্লো মোশানে মানবপ্রাচীরের ওপর দিয়ে উঠছে, বাঁকছে, নামছে। জালে বল জড়ালো। রোনাল্ডো বলছে আমি এখনো মাঠে রয়েছি। বহুদিন পর বস কে ফিরে পেলাম।।
*****
সুনীল ছেত্রী ভারতীয় ফুটবল ফ্যান দের মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে অনুরোধ করেছেন। প্রসংগত বলে রাখি আজ সুনীল ছেত্রীর ১০০ তম ম্যাচ দেশের হয়ে। দেশের জার্সিতে গোল সংখ্যা তে কারেন্ট প্লেয়ার দের মধ্যে সুনীল ছেত্রীর স্থান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লিওনেল মেসির পরেই তিন নম্বরে । আজ গোল করলে সর্বকালের দেশের হয়ে করা গোল সংখ্যায় টপকে যাবেন ডেভিড ভিলা কে। কি বলেছেন সুনীল সারমর্ম করলে যা দাঁড়ায় -
আমরা তাদেরকে বলছি যারা বড় ইউরোপিয়ান ক্লাবদের সাপোর্ট করে, তারা যে প্যাসন নিয়ে সাপোর্ট করেন সেই প্যাশন নিয়েই ঘরে বসে না থেকে মাঠে আসুন। তারা হতাশ আমাদের দেশের ফুটবল সেই লেভেল এর নয়। আমরা সত্যিই সেই লেভেলের নয়, কিন্তু আপনারা মাঠে এসে খেলা দেখুন, সমালোচনা করুন,গালি দিন। কিন্তু খেলা দেখতে আসুন। আপনারা মাঠে আসতে থাকলে কে বলতে পারে একদিন ভারত সেই জায়গায় পৌঁছে যাবে।
#MeriDoosriCountry মাই ফুট। আমার একটাই দেশ। ইন্ডিয়া। আজও সময় পেলে খেলা দেখি। আগের ম্যাচ টা ও দেখেছি। বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা থেকে দেখি, দ্বিতীয় দেশ বানাতে নয়। ইন্ডিয়ার ফুটবল দেখুন তারপর সমালোচনা করবেন। মেন হিরো কে না দেখে সিনেনা দেখুন।
নতুন আর্টিস্ট দের নিজের কম্পোজ করা মিউজিক শুনুন। তবে সেই লেভেল আসবে। একদিনে আসবেনা।
1st April, 2018
হিসু পায়, পায়খানা পায়, খিদে পায় কিন্তু লেখা পেলে মানুষ কি করে।
একদিন কি লিখবো ভাবছিলাম হঠাত শুনলাম একটা ডাক - "মেসি দা, ও মেসি দা!"
দেখলাম নেইমার ডাকছে মেসি কে।
মেসি বললো, "বলো ভাই কি খবর "
নেইমার বললো - " মেসি দা দারুণ একটা অফার পেয়েছি। আমি চুল সাদা করবো ভাবছিলাম, তো সেলুনওয়ালা বললো দুজন করলে কম টাকায় হয়ে যাবে, তুমি কি করবে?? "
তারপর সবাই জানে সাদা রং এর চুলের মেসি নেইমার এর খেলা। ভাবলাম হারিয়ে গেল নাকি মেসি! না হারায়নি। মহান রা হারায়না।
ফিরে এল এক নতুন অবতারে। আমি আজ অবদি কাউকে ভগবান ভাবিনি। কিন্তু আজকাল মেসিকে ঈশ্বররূপী মানুষ মনে হয়।
ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটা ম্যাচে ডিফেন্সে নেমে বল কাড়ছে, মিড ফিল্ড কন্ট্রোল করছে, আসিস্ট করছে। কাউন্টার আটাকে মার্কার কে কোন যাদুবশে আচ্ছন্ন করে স্পেস ক্রিয়েট করছে। আর টু পারফেক্ট ফিনিশিং। ক্লিন খেলা। নিজের পা তে পা লাগিয়ে পেনাল্টি বক্সে পড়ে যেতে হয় না মেসি কে গোলের জন্য। লিও নামলে খেলাটা লিও কেন্দ্রিক হয়ে যায়। কখনো আটাকিং মিডফিল্ড, কখনো উইং, কখনো ফলস্ নাইন। আর্জেন্টিনা র জন্য দু:খ হয়। এরকম একজন কে বিশ্বকাপ দেওয়ার ক্ষমতা নেই টিমটার। তবু লিও একা টিমকে বিশ্বকাপে জেতানোর ক্ষমতা রাখে। ও নামলেই বিপক্ষে ত্রাস সৃষ্টি হয়। পক্ষে সাহস। সেভিলা এখন খুব ভালো খেলছে। ওল্ড ট্রাফোর্ড এ ম্যান ইউ কে হারিয়ে এসেছে। বার্সেলোনা কাল যখন হারতে বসেছিল তখন ভাবছিলাম ম্যান ইউ র থেকে কোন দিক থেকে ভালো বলে নিজের মন কে বোঝাবো। ম্যান ইউ নিজের মাঠে হেরেছে। আর কোন পার্থক্য নেই। না আছে। লিও ফিজিক্যালি ফিট নয়। লিও যখন কাল অনেক পরে বাধ্য হয়ে নামলো। মিসপাস করছিল। ডিস ব্যালান্সড হচ্ছিল বারবার। মনে হয়েছিল আজ লিও র দিন নয়, বার্সেলোনা অনেক দিন পর হারছে। তাও আবার সেভিলা র কাছে। ম্যাচের বয়স তখন ৮৮ মিনিট। সুয়ারেজ ট্যাপ ইন এক গোল করার পর মূহুর্তেই মেসি র অসাধারণ গোল। দলের নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা করলো লিও।
দলের বাকি দশজন তো মানুষ তারা এসে শুধু বাহবা দিল। একটাই আফশোস হয় দলটায় যদি নেইমার থাকতো !! বার্সেলোনা আর্জেন্টিনা র মত মেসি দা নির্ভর হয়ে পড়তো না ।
No comments:
Post a Comment