Wednesday, November 20, 2019

Maverick



#ক্যাজুকলমে
বেশ দুজন মিলে ভরবেগ -
তুমি মালদিনি, আমি নাটমেগ;
আমি সুর, তুমি টেম্পো,
তুমি এ মিলানের শেভচেংকো ।

তুমি মাইক, আমি ফিল্টার ;
তুমি শক্, আমি সিপিআর -
তুমি ব্যারিকেড, আমি স্লোগান,
তুমি মিস্টিক্, আমি লোগান।

তুমি ফুচকা, আমি টকজল ;
তুমি আগুন, আমি দমকল,
তুমি বুম্বা, আমি দেব -

তুমি শীতের রাতের কম্বল।।


****

কখনো কোনদিন,
অস্তিত্ব এ বিলীন -
কিছু আমি,
নীরব সিলিংএ চোখ রেখে -
তোমায় আঁকি।
যে ঘর আগুনে পুড়েছে,
সেই ছাইএ
কিছুটা আগুন এখনো রয়েছে বাকি।
স্থির তুমি,
মনে ভয়ের নিম্নচাপ,
স্থাবর অস্থাবর সব প্রেম রাখি,
তোমার জন্য বাজি। 
টিপটিপ আদর,
বাধাহীন,
তোমাতে বিলীন,

আমি আজ হারতেও রাজি।।

***

ধরা যাক, আপনি একজন মানুষ৷
আপনার কোন দেশ নেই, ধর্ম নেই -
জাতি নেই, গোত্র নেই।
ধরা যাক, আপনি একজন মানুষ।
আপনার আকাশ বাকি সবার মত নীল।
সবার সাথে আপনার প্রাণে আছে মিল।
আপনি উঁচু নন, নীচু নন, মাঝারিও নন।
আপনি একজন মানুষ৷
আপনি কারো চাকর নন,
আপনার কোন চাকর নেই,
আপনি নিজেও স্বাধীন, ঠিক বাকিদের মত।
ধরা যাক, আপনি মুক্ত,
বাকিদের মত আপনি একজন মানুষ।।




******

কয়েকটা পাখি, কয়েকটা পশু বনে একসাথে থাকতো। সকাল হলে পাখিরা আকাশে উড়ে যেত। পশুরা জংগলের বিভিন্ন জায়গা চরে বেড়াতো ৷ খাবার রোজ কোন না কোন ভাবে জুটেই যেত। তারপর কিছু মানুষ এল সেখানে গৃহপালিতকরণ এর জন্য ইন্টারভিউ নিতে। মানে জঙ্গলে কষ্ট করে আর থাকতে হবে না৷ রোজ নিয়ম করে খাবার এনে দেবে প্রতিবেলা। রোজ স্নান করিয়ে দেবে৷ বদলে রোজ চাকরের কাজ করতে হবে। সকাল হলে পাখিরা চিঠি পৌঁছে দেবে, গাধারা মুটের কাজ করে দেবে এরকম আর কি। ব্যাস, লাইফ সেটলড্। যে যত বড় ঘরে কাজ করবে তার তত লাইফ সেটলড্।।


*****

দেখছি, ভাবছি, করছিনা,
করছি, লিখছি, বলছিনা,
বলছি কিন্তু শুনছিনা ||


*****



বৃষ্টি কিভাবে হয় ?

বৃষ্টি হয় কালের নিয়মে,
বিপ্লবী সেখানে নিমিত্ত মাত্র।
প্রখর তাপে পৃথিবী যখন শুকিয়ে যায়,
কৃষক যখন ধান রুইতে পারেনা।
মানুষের মাথার ঘাম শুষে নেয় প্রখর তাপ।
নদী-নালা শুকিয়ে একটু একটু করে-
বাষ্প যখন উপরওয়ালা শোষণ করে।
বাষ্প জমতে থাকে মেঘ হয়ে ধীরে ধীরে -
বিদ্যুৎ জন্ম নেয়।
মেঘ ভারী হলে ধুলিকণাও সাথ দেয়।
তারপর শুরু হয় কোন আন্দোলন।
কখনো ইলশেগুঁড়ি, কখনো ভরা বৃষ্টি।
সব আন্দোলন মাটি ভেজায় না।
আবার কোন বৃষ্টিই শেষ বর্ষা নয়।।


****

কখন বুঝবে তোমার বয়স বাড়ছে?
যখন রাগে তোমার মাথার শিরা দপদপ করবে,
তোমার উপর অন্যায় হবে,
তবুও তুমি চুপ থাকবে।
কখন বুঝবে তোমার বয়স বাড়ছে?
যখন কেউ পাশে নেই বুঝেও -
একা নিজের জন্য দাঁড়াতে পারবেনা,
তোমার সাথে অন্যায় হবে,
তবুও তুমি চুপ থাকবে।
যখন নিজেই নিজের ভেতর গুমরে মরতে শিখবে,
এক একটা বন্ধু নিখোঁজ হয়ে যাবে এক এক করে,
মোবাইলে অনেক কনট্যাক্ট নাম্বার,
কিন্তু সবুজ বোতাম ডায়াল করার মত কেউ নেই।
চোয়াল চেবাতে চেবাতে মুখের হাসি হজম করবে,
কি লাভ বলে, জানি কিছুই হবেনা,
কি লাভ করে , জানি কিছুই হবেনা -
ভেবে চুপ থাকতে শিখবে,
সেদিন বুঝবে তোমার সত্যিই,
সত্যি বয়স বাড়ছে।।


*****


ছোটবেলা থেকে দেখেছি যারা স্কুলে প্রথম হয়, রাজ্যে র‍্যাংক করে স্বভাবতই সেই যে সবথেকে সম্ভাবনাময় ধরে নেওয়া হয়। প্রথম হওয়া অবশ্যই কৃতিত্বের। কিন্তু তার সাথে শেষ বেঞ্চের যে ছেলেটার উদ্ভাবনী শক্তিকে আমরা সবাই ইগনোর করে যাই, কারণ সেটা আমাদের সিস্টেমের সিলেবাসের বাইরের উপপাদ্য। জীবনে এরকম কিছু উপপাদ্য র দেখা না পেলে মনে হত, হ্যাঁ আমাকে আমার সমাজ আমার চারিপাশে যা শিখিয়েছে তাই ঠিক। বেশি নাম্বার মানে বেশি শিক্ষা। অহংকারে তার মাটিতে পা পড়ে না। পরীক্ষাহল থেকে বেরিয়ে তাকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবক ও অভিভাবিকারা "বাহুবলী" র মত একবার ছুঁয়ে দেখতে চায়৷
তাদের না জানলে বিশ্বাস করতাম না, "থ্রি ইডিয়টস্ " এর র‍্যাঞ্চোর গল্পকে। আমাদের পরীক্ষা ব্যবস্থা যে আসলে ক্লারিক্যাল রোবোটিক জব এর জন্য সব থেকে উপযুক্ত ছেলেটিকে প্রথম বানায় সেটা মানতে চাইতাম না, সেই কয়েকজন কে না জানলে। নিজেকে বোকা মনে হত না। সেই মুক্ত হাওয়া তে নিজের দুহাত মেলে দাঁড়াতে ইচ্ছে করতো না। সেই মুক্তচিন্তাভাবনা কে নিজের যুক্তির পরশপাথরে যাচাই করে নিজের জীবন দর্শনের লকারে সাজাতে ইচ্ছে করতোনা।
বিশ্বাস হত না নিজের "আমি" কে সম্মান দিয়েও "তুমি" দের সম্মান করা যায়। তারা হতাশা করতে শেখেনি। কারণ হতাশার আগুনে পুড়ে তাদের জন্ম।
বিশ্বাস করতাম না বড় বড় ব্যর্থতার পরও ঘুরে দাঁড়ানো যায় বুক চিতিয়ে। নিজের পথে চলে৷ সেই কয়েকটা মানুষকে আমার জীবনে অসীম পজিটিভ প্রভাব ফেলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ৷।


****



আমাদের তখন বাথরুম ছিল না। তো একদিন সকালবেলা পায়খানা করতে গেছি মাঠে একটা গাছের তলায়। গিয়ে শুনি tick দের কথা হচ্ছে। একটা মা টিক্ আরেকটা বাচ্চা টিক্ কে বলছে - বাবু ভালো করে পড়ো। তোমার বুবুন দাদা কে দেখে শেখো। কত ভদ্র, বিনয়ী। কত প্রাইজ। কত কিছু পারে৷ তুমি তো এখনো টাই-ফাঁস ও করতে পারোনা !!
বাচ্চা টিক্ বললো - মা, মা, দাদা কি SLE? যে সবই করতে পারে ??
- সেটা আবার কি?
- ওটা একটা রোগ যেটা সব কিছুই করতে পারে।
- চুপ্, খালি বাজে বকা। যাও পড়তে বসো।

একটু পরে বাচ্চা টিক্ আবার এলো।
বললো - মা, মা বলছি টিকবুকে এমনি লোকেদের একটা গ্রুপ এ একটা ডাক্তারের ছবি দিয়ে বলছে 'এ ডাক্তার গাফিলতি করে মার খেয়েছে।' তার নীচে অনেক কমেন্ট। কেউ বলছে মেরে ফেলা উচিত ছিল। কেউ বলছে বেশ হয়েছে। কেউ বলছে এটাই একমাত্র পথ। কেউ বলছে পশ্চিমবঙ্গে কিছু হয়না, বাংলা শেষ, ভালো চাইলে বাইরে যাও। ডাক্তার দের গ্রুপে গিয়ে দেখলাম একজন পালটা মার খাওয়া পেশেন্ট পার্টির ছবি। দিয়ে ক্যাপশন দেওয়া যে এ ডাক্তার দের মারতে এসেছিল। আশ্চর্য যে এখানেও একই কমেন্ট।
ঠিক একই রকম ভাবে হিন্দুদের গ্রুপে হিন্দুরা বলছে মার ওদের মার। মুসলমানদের গ্রুপে ও একই কথা৷ সাদা চামড়ার লোক বলছে কালো চামড়া কে মার। কালো বলছে সাদা কে। জেনরেল কাস্ট বলছে স্পেশ্যাল সুযোগ পাওয়া ক্যাটেগরিকে মার। স্পেশ্যাল সুযোগ পাওয়া লোক বলছে জেনেরেল কে। ধনী বলছে গরীবরা ছোটলোক , ওদের মার। গরীবরা বলছে ধনীদের৷ এবার ধরো দুজন ডাক্তার। একজন হিন্দু উঁচু জাত কালো৷ আর একজন মুসলমান জেনেরাল সাদা। আর দুজন পেশেন্ট পার্টি যার একজন হিন্দু নীচু জাত সাদা। আর একজন মুসলমান স্পেশ্যাল ক্যাটেগরি কালো৷ এবার আমাকে বলো কে, কার সাথে, কার মারবে??
মা একটু ভাবলো।
ভেবে উত্তর দিল - এসব প্রশ্নের উত্তর আমার একার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। একমাত্র পলি-টিকস্ এর পক্ষেই দেওয়া সম্ভব ৷।


*****

আমাদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ১২ জন পেশেন্ট কনস্ট্যান্ট। বেশি ও না, কম ও না। তাই ১২ জনের ১২ টি পেশেন্ট পার্টি। একটু অন্যভাবে যদি ভাবা যায়। আমাদের ইউনিটে আমার ডিউটির সময় ১২ জন মানুষ যারা দুর্ভাগ্যক্রমে অসুস্থ আর তাদের পরিবারের লোকজন। এভাবে ভাবলে ব্যাপার টা পুরো পালটে যায়। যে সময় কোন বড়লোক বাবা তার ছেলে মেয়ে র গরম লাগলে বাড়িতে এসি লাগিয়ে দিচ্ছে, খেলনা লাগলে খেলনা কিনে দিচ্ছে, জন্মদিনে কত সাইজের টেডি বিয়ার দেবে সেই নিয়ে চিন্তিত; সেই সময় কোন টিনের চালের বাড়িতে হ্যারিকেন এর আলোয় বাড়ির দাওয়া তে বসে কোন বাচ্চা উপপাদ্য বুঝছে। ইমোশন মানুষ কে ভাবতে শেখায়। ভালোবাসা মানুষকে ফিল করতে শেখায়। এমপ্যাথি মানুষকে অন্যের পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করে, নিজে ইনভলভ্ড না হয়ে।
"AVATAR" সিনেমাটা যদি কেউ দেখে থাকেন, দেখবেন আমরা মানুষ হলেও আমাদের ইমোশন এমন এক প্রজাতি কে সাপোর্ট করেছে যারা মানুষের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ - ইমোশন নিজের প্রজাতি নয়, ভালোবাসা কে সাপোর্ট করেছিল। যেটা বলছিলাম একটু অন্য ভাবে ভাবলেই পুরো ব্যাপারটাই পালটে যায়। শুরুর দিকে পেশেন্ট পার্টি মিট করতে ভয় লাগতো, কাউকে না কাউকে সাথে নিয়ে যেতাম। এখন যখন কয়েকজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলতে যাই কাউকে লাগেনা। বরং একাই যাই, যাতে তারা সব কথা খুলে বলতে পারে।
আমার সময় থাকলে, আর সেরকম বাড়ির লোক থাকলে পার্টি মিটিং এ দাঁড়িয়ে বেশ খানিকক্ষণ কথা বলি। বাড়ি কোথায়, কি করে। এরকমই একজন বছর ১৬-১৭ র ছেলে এসেছিল পার্টি হিসেবে বোধহয় মাস দুই তিন আগে। বাবা-মা নেই। তার দাদা মজুরি করে। আর ভাই পড়াশোনা করে। দাদা আমাদের ইউনিটে ভর্তি। ভেন্টিলেটর এ। দাদার মজুরি তে ওদের সংসার চলে। ওর ভাই এর সাথে যখন এই কয়েকটা কথা বলি, আমার পায়ে জড়িয়ে কাঁদতে শুরু করলো - ডাক্তারবাবু, আমার দাদা কে বাঁচিয়ে দেন, নাহলে আমার আর কেউ থাকবেনা। আমি সায়েন্সে পড়ছি। আর পড়তে পারবোনা।
ওর দাদার কি হয়েছিল আমার মনে নেই। কিন্তু এটুকু মনে আছে সে রাতে ওই ডেথ সার্টিফিকেট আমিই লিখেছিলাম। আরো মনে আছে ডক্টরস রুমে ফিরে কিছু একটা ফেটে বেরোতে চাইছিল। হঠাত্ কেউ একজন ডাকলো - নতুন পেশেন্ট এসেছে, পেশেন্ট খারাপ আছে।
আমার মাথায় অনুবাদ হল - নতুন মানুষ এসেছে, সে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মৃত্যুর মুখে।
সব ভুলে গেলাম। গত কয়েকদিন খুব খারাপ কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় ঘটনা টা মনে পড়ল, লিখতে ইচ্ছে হল। কে বলে স্পোর্টিং স্পিরিট শুধু খেলার মাঠে শেখা যায় !!



*****


কিছু নদী শুকিয়ে গেলেও থাকে,
জলঙ্গী নদীর মত যাকে দেখে জীবনানন্দ হওয়া যায়,
বাংলা কে ভালোবাসা যায়।


*****


নক্ষত্রেরাও সরে যায়,/
একে অন্যের থেকে দূরে,/
স্ট্রিং থিওরির সুরে। /
সরে যাবো আমিও এবার,
মখমলের মত নীরবতার, /
ডানা মেলে উড়ে যেও,/
যেখানে দুচোখ-মন চায়,/

তোমার ইচ্ছে আকাশে ।।

*****

অনেক প্রশ্নচিন্হের কোন 
উত্তর থাকেনা,
জ্যোতস্নাও বিরক্ত হয়,
প্রশ্ন যখন সম্ভাবনাময়,
তারা রাত জাগিয়ে রাখে -
নিহারীকার আঁকেবাকে,
চোখ ভেজায়।
জোনাকি পালিয়ে বাঁচে,
সব কথা শেষ হলে,
আলো নিভিয়ে বালিশ ভিজতে থাকে।
উত্তর পেলেও প্রশ্ন বাড়ে,
অনেক প্রশ্ন করা বারণ ,
উত্তর জেনেও তাই নাম্বার মেলেনা।
তারা ব্যস্ত রোদে,
ভিড়ের ঘামে একা।
শুধু জেগে থাকে হৃদস্পন্দন,
বুকের মাঝে শুরুর অপরাধে।
বোবা ধানক্ষেতও তার অস্তিত্ব জানায়,
নদীতীরে সন্ধ্যে বাতাসে,
ঘরফেরার ডাকে পাখির মত,
কান পেতে শুনি সেই হৃদস্পন্দন,
বুকের মাঝে শুরুর অপরাধে।
একদিন নিস্তব্ধ টেলিফোন বেজে ওঠে,
অস্বস্তি আজ এ পৃথিবীতে নেই,
অনেক দূরে সে আকাশপট এ বাঁশির সুরে,
গান গাইতে গেছে,
এখনই তবে খুশি তোমার, 
তাই তো চাই,
তাই তো চাই।
অস্বস্তি আজ তোমার কাছে নেই।
আজকে যদি একবার ও বুক কাঁপে,
নীরবতা রোজ তোমাকে ঘিরবেই।
সেদিন তুমি মনে নাইবা রেখো,
উত্তরগুলো গুছিয়ে ভুলতে শেখো,
মৃত তার হৃদস্পন্দন,
অস্বস্তি আজ তোমার কাছে নেই।।
****

শেষবেলা যারা এলোনা আমার সাথে,
তারা যেখানেই থাক ভালো থাক,
নিজের সাথে এলাম শুধুই আমি,
আমিও যেখানেই থাকি ভালো থাকবো,
নিজের কাছে একমাত্র দামী ।

****

একদিন খোলা আকাশের দিকে চেয়ে তুমি দেখবে তুমি এই পৃথিবীতে ওই খোলা আকাশের মতই ব্যবহৃত হতে এসেছো, তুমি ওর মতই শূন্যে বিলীন। তোমাকে এই পৃথিবী তার টানে ধরে রেখেছে, কিন্তু তোমার ওই পৃথিবীর বাইরেও অস্তিত্ব রয়েছে। তোমার একটা পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে, কিন্তু তোমার ধ্বংস নেই। যেদিন এটা তুমি বুঝবে সেইদিন দেখবে কারোর উপর কোন রাগ, অভিমান, বিদ্বেষ থাকবেনা। নিজেকে তাই খোলা আকাশ ভেবো, আর ওই খোলা আকাশের তলায় দাঁড়িয়ে নিজের বুকে হাত রেখে চিৎকার করে বলো - ফাইট ম্যান ফাইট। 

দু ফোঁটা চোখের জল পড়লে ক্ষতি নেই।

*****


অনেক কথা চিৎকার করে ক্ষেপে উঠতে চাইছে। রাগের ফসফরাসে মন জ্বলছে। ঘুম নেই। তাই ছটা তারে ছটা ইন্দ্রিয় কে শান্ত করা। গিটার লিড আর মাউথ অর্গানে রাত কাবার হতে বসেছে। কে বলে আমি আনলাকি? আমি পৃথিবীর সব থেকে ভাগ্যবান একজন। নিজেকে নিজে এন্টারটেন করতে পারি।

মিউজিক না জানলে আমি আজ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েই ফেলতাম নিশ্চিত।।


*****


একটা চ্যাটবক্স খোলা। তাতে আপনি অনেক কিছু টাইপ করলেন। অনেক কথা লিখলেন। তারপর একটা দীর্ঘনি:শ্বাস ফেলে পুরোটা মুছে নেট টা অফ করে দিলেন। এরকম পাগলামি কমবেশি সবাই করেছে। কখনো কোন পাগলের কান্ডকারখানা দেখে হাসেন নি, এটা হতে পারেনা । আমিও হেসেছি । আমাদের কলেজের গেটের বাইরে একজন পাগল ছিল, সে দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে একদিন চিত্কার করে করে বলছিল - "সমাজ টা পচে গেছে, সবাই পচে গেছে। হা হা হা।"
তার গাল দিয়ে লালা পড়ছে। সবাই একটু দূর দূর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। আমিও। আমি ওর সাথে একদিন আলাপ করেছি। ভালো রকম শিক্ষিত লোক একজন। লোকমুখে শুনেছি ওর সম্পর্কে অনেক ট্রাজিক গল্প।

আমাদের হোস্টেলে খাবার দিয়ে যেত সাহেব দা। আমার সাথে আলাপ গান নিয়েই। ছাদের অন্ধকারে বসে গান করতাম তখন একা। একজনকে দেখতাম ছ তালা উঁচু ছাদের রেলিং এ পা তুলে বাইরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে। আমার গান শুনে আমার সাথে আলাপ করতে এলো একদিন। অভাবে পড়তে পারেনি মাধ্যমিকের পর। আমি বলেছিলাম, পড়বে ? কোন উত্তর দেয়নি। ওরা এখন স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়। জীবন সংগ্রাম ওদের স্বপ্ন দেখার চোখ গুলো খুবলে নিয়েছে।

আরেকজন পাগল ছিল। সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ডে। একজন মেয়ে। সবাইকে প্রোপোজ করতো। আমাকে বলেছিল, ডাক্তারবাবু চলুন গাড়ি করে ঘুরে আসি । আমি বললাম, গাড়িতে তেল নেই। বললো, টাকা দিচ্ছি তেল কিনে আনুন।

পাগলরা খুব এন্টারটেনিং হয়, কখনো বিরক্তিকর  ও। আমরা নিজেদের মনের একটা লাইন বানিয়ে নিই। সিংহভাগ যেরকম আচরণ করে তার থেকে নড়ে গেলেই সে পাগল তকমা পায়। মনের রোগ সব থেকে বেশি নেগলেক্ট করা হয়। কিন্তু কেউ যদি কখনো জানে তথাকথিত পাগলদের কি কি অবস্থা, পরিস্থিতি পেরিয়ে আসতে হয়েছে হয়তো আর তাদের প্রতি তাচ্ছিল্য ভাব আসবেনা। যারা খুব সেন্সসিটিভ কিন্তু দুর্বল তারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। মানসিক ভারসাম্যহীনদের প্রতি দয়া,  করুণা আসে। কিন্তু কখনো সেই দয়া, করুণা কে অনেকে ভালোবাসা ভেবে সুস্থ হয়ে ওঠে। সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসে যখন সে অনুভব করে যে ওটা শুধুমাত্র দয়া ছিল। একগাল হেসে সে লিখে রাখে নিজের মধ্যে - আমি মানুষ ভয় পাই।
একজন আক্সিডেন্ট পেসেন্ট কে নিয়ে কেউ হাসাহাসি করেনা। কিন্তু একজন পাগল কে নিয়ে করা হয়। কারণ সে সমাজের কিছু নিষ্ঠুরতার শিকার। কিছু বর্বরতা, বেইমানি, অপমান আরো অনেক গল্প থাকে যারা মেন্টাল ট্রমা থেকে মানসিক ভারসাম্য হারায়। একজন কে দেখেছি কিছু লোক তাকে রেপ করে হসপিটালে ফেলে রেখে যায়, সে তার নিজের পরিচয় ভুলে গেছে। সে এখন শুধু নিজেকে ভাবে সে সেই হসপিটালের ডাক্তার। এরকম অনেক গল্প।

ওদের গল্প গুলো শুনবেন না। তাহলে আপনাকেও লিখে রাখতে হবে, 'আমি মানুষ ভয় পাই।'

****


কিছু রাত ঘুম দাবী করে, মন চায়না।

কিছু রাত মন ঘুম চায়, ঘুম আসেনা।


****


কিছু মানুষকে দুদিন সময় কাটানোর টুল হিসেবেই ভালো লাগে। এদের সাথে তাই কিছুদিন পর বোর লাগতে শুরু করে। এদের সাথে সিরিয়ালের গল্প করা যায়না, সিরিয়াল কিলারের গল্প করা যায়। এরা তাই বেশিদিন কোথাও স্থায়ী হতে পারেনা। 

যেদিন সেই মানুষগুলো নিজের সম্পর্কে সেই সত্যিটা উপলব্ধি করে, মানুষকে ভয় পেতে শুরু করে । সব থেকে বেশি ভয়।


****

আমার শহর কোলকাতা, আজ হঠাত খুব একা লাগছে। কাজ সেরেই আগে এরকম লাগলেই সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বেরিয়ে যেতাম। আজ তারা কেউ নেই। হস্টেলে গেলাম। বারান্দা দিয়ে যেন তাদের ছায়াগুলো আমাকে ভেদ করে আশে পাশ দিয়ে হেঁটে গেল। কারোর সাথে বেরোব, কেউ নেই সেরকম। যারা ছিল তারা হয় দূরে, নাহলে বিয়ে করে নিয়েছে, নাহলে কমিটেড, নাহলে কাজে ব্যস্ত। ভাবলাম একা ঘুরে বেড়াতাম আগে, আজও একাই বেরোই, কিন্তু নিজে যেন অনুপস্থিত নিজের কাছে। রাস্তায় প্রচুর লোক, তাদের গায়ে ধাক্কা খাচ্ছি, তাদের ঘামের গন্ধ আমার নাকে আসছে, কিন্তু কেউ যেন নেই। ভাবলাম নন্দনে যাই, বহুদিন যাইনি। হেঁটেই যাই শিয়ালদা থেকে। এরকম ফাঁকা সময় আবার কবে পাব ঠিক নেই। গেলাম, সেখানেও সব শুনশান মনে হল, চলে এলাম ফিরে। ফিরে এসে এক কাজে ব্যস্ত বন্ধুর কাছে গেলাম দেখলাম সে তখন ক্লাসে। আগে রেস্তোরাঁতে খেতে যেতাম। আমার মন খারাপ হলে, একা লাগলেই আগে কাউকে নিয়ে কোথাও গিয়ে গিলে আসতাম। কেউ না গেলে একাই। মন ভালো হয়ে যেত। কিন্তু চরম আনহেডোনিয়া পেয়ে বসেছে। তার উপর জ্বর। জ্বরকে কোনদিন পাত্তা দিই না । কিন্তু এটা কি হচ্ছে?  ক্যাজুয়াল থেকে বেশ ভালোই তো ছিলাম, এটা কি হচ্ছে ? অগত্যা প্রলয়, ধ্বংসের দেবতা মহাদেব এর দ্বারস্থ হলাম।।


*****


ভেজা গালে কান্না শুকোয় সময়ের সাথে,

সব বেসুরো রাতের শেষ আছে সুপ্রভাতে...

****

রেটিনা অনেক দেখে বাইরের কথা,

মস্তিুষ্ক কোষে শুধ তোমার বারতা।

*****


আমার কিছু বয়স্ক কবি ও লেখকদের সাথে যোগাযোগ ছিল একসময়। সেই সুবাদে একটি লোকাল সাহিত্যসভায় আমায় একবার অনিচ্ছাসত্ত্বেও ডাকা হয়েছিল। সেখানে আমার তিন মিনিটের একটি ছোট্ট বক্তৃতার পর আমাকে আর কোন সাহিত্য সভায় ডাকা হয়না। এতদিন আগের বক্তৃতাটি আমার মনে নেই পুরোপুরি। যেটুকু মনে আছে তার নির্যাসটুকু সেটুকুই বলছি। জানিনা তার পর থেকে আর কেন ডাকেনা। আপনারাই পড়ে বিচার করুন।

" একটা কথা 'ম্যারি মি ' এটিকে বিভিন্ন বিখ্যাত বাঙ্গলা ভাষার লেখক-লেখিকারা কিভাবে বলবেন।

মহাশ্বেতা দেবী - সুবিমল বর্মনের কন্যা শতরূপা বর্মন কি হাড়ভাংগা নিবাসী রাধেশ্যাম সান্যালের দশম পুত্রসন্তানের সাথে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। বি দ্র - নামগুলি কাল্পনিক।

বনফুল - বি.য়ে.।

তসলিমা নাসরিন - কন্যার স্বয়ংবর সভায় পুরুষ পাত্র যদি যায় তখন পাত্রীর যদি ভাগ্যক্রমে অনেকের মাঝে ওই একজন পুরুষ পাত্রের উপর হরমোনের প্রভাব আসে তাহলে কি পুরুষ পাত্র তখনই বিয়ে করবে না দুদিন দেরী করে?

নারায়ণ সান্যাল - আপনি কি চান যে এর পরের সাত জন্ম পর আপনার এটা অনুভূতি হবে কোন অন্ধকার ঘরের কোণে যে আপনি আমার সাথে সাত জন্ম আগে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন ? 

শ্রীজাত - তোর ঠোঁটে চাই আজীবন ঘরভাড়া।

শরত্চন্দ্র - সংসারে যে শুধু দিল, পেলনা কিছুই, তার ঘর আজ তোমাকে চাইছে।

নজরুল - আমি প্রেম করে রণক্লান্ত, বিয়ে করলে, হব শান্ত...

রবীন্দ্রনাথ - কবে নিয়ে আমার বাঁশি বাজাবে গো আপনি আসি...

বুদ্ধদেব গুহ -... "


তারপরই 'থাক' বলে থামিয়ে দিল আমায়। কিজানি কি এমন বললাম।

****


Love a girl, your family , your friends , but don't love music .. 
Listen to songs , but don't love music ..
Play Guitar, keys ; make friendship with some interested girls but don't love music ..
Play anything , any music instruments, sing in functions ,ceremonies, form a band, earn money .. do anything , but don't love music .. 

Because if you love music , you just won't care anything else .. You will become isolated automatically .. even if you force yourself to quit music, you can't .. Music will chase you and find you .. You can't run away .. you can't break up .. at last you will realise Music is the only truth in this universe ..


****

যারা ঠকে যায়, হেরে যায়,
তাদের জন্যও কটা গান লেখা থাক।
যাদের মাঝরাতে কান্নাগুলো বাষ্পের অভাবে -
 ভেতরে ফোঁপাতে থাকে,

তাদের জন্যও কটা গান লেখা থাক।


****

জলছবি ঘুম ভাংগে চোখের তারায়,
আমাদের ঠোঁট শুধু ক্ষত চায়,
ঠোঁটের ডায়েরি পড়ে মন চুপিসারে।

আংগুলের ডগা ছেঁড়ে গিটারের তারে ।।

****

অবহেলা আর ক্ষত সব লুকানো আছে,

অভিমানী রাতের মেঘলা আকাশে।


****

রাগ প্রচুর আমার, প্রচুর।
যখন বৃষ্টি নতুন সুর শেখায়,
আর সেই সময় ফোন আসে,
'কিরে কি করছিস ? '
রেগে যাই।
যখন আমি আমার চেতনা কে শূন্যে বন্দক রেখে,
একেবারে চুপ।
আমাকে কেউ তখন এসে কথা বলতে চাইলে,
 রেগে যাই।
আর যখন অন্ধকারে হাতড়ে যাই,
আলোর খোঁজে,
তখন আমার ছায়াকেও খুঁজে পাইনা।
অবহেলাতে রাগিনা। 
কেউ ভুলে গেলে রাগিনা।
এভাবেই জীবাশ্ম আমার একলা সময়,
বাড়তি আরো নতুন শিখি ।
নতুন পরিচয়কে গা বাঁচিয়ে লিখি।
এরপর যখন বলে আমি কম কথা বলি,
অহংকারে,
তখন রেগে যাই।
রাগ, আমার রাগ প্রচুর।
কথা, আমার কথা প্রচুর।

সব শব্দের সাথে আমি আমার শব্দ -এর দ্রবণ বানাই।।


****


কোথাও ধাক্কা না খেলে ঢেউ তৈরি হবে কি করে ?? ঢেউ তৈরি না হতে থাকলে সমুদ্র হব কি করে,  ডোবা-পচা পুকুর আর পাতকুয়া হয়ে থেকে যাবো...


****


বাজে বকা -

কারো সাথে খুব কথা বলতে চান, এই মুহূর্ত এ তাকে দরকার, কিন্তু তাকে পাচ্ছেন না।  কি করবেন ? না আমি আপনাকে বলবোনা আপনি নিজের সাথে কথা বলুন, আমি জানি আপনি বিরক্ত হবেন, ওটা আপনার আসেনা। আপনি ভাবুন, ওর মধ্যেই আপনি আছেন, নিজের আত্মাকে তার বিমূর্ত ফোল্ডারের মধ্যে কপি-পেস্ট করে দিন। এবার আপনার মধ্যে মনে হবে, সে কি আমি তো আমার সাথেই কথা বলার জন্য হাঁকপাক করছি। তারপর আপনি আবার বিরক্ত হবেন, নিজের কাজে মন দেবেন।


****


বয়স বাড়ছে যত ফেসবুকে বিতর্কিত লেখা আমার কমছে, থাকতে না পেরে কিছু লিখে ফেললেও ডিলিট করে দিই। কারণ ফেসবুকে লিখে বিপ্লব করার ভাব কমছে, আমার আশেপাশের আজেবাজে ঘটনায়, কথায়, লেখায় প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ইচ্ছে কমছে। তার মানে এই নয় আমি দেখছিনা, শুনছিনা, কাজ করছিনা । একজন শিল্পী / বিজ্ঞানী যে কোন সৃজনশীল ব্যক্তিত্বর প্রধান কাজ তাই। তবে প্রতিক্রিয়া কমছে। যত বুড়ো  হচ্ছি, কপালে ভাঁজ বাড়ছে, মাথায় চুলে পাক ধরছে, একজন চরিত্রকে খুব মনে পড়ছে যাকে কখনো নিজের আইডল মনে হয়নি, যার ভক্তদের বলেছি বাড়িতে গিয়ে শুধু কলমী শাকপাতা আর দুধভাত খেতে। তিনি হলেন রাহুল দ্রাভিড়। আজ যখন দেশের আঁতেলরা একে তাকে ওপেন নেটে খিস্তি দিচ্ছে। বুদ্ধিজীবিরা অন্যায়ে আর মুখ খুলছেনা। খুললেও সেটা পাবলিসিটি স্টান্ট। মিডিয়া বলছে ডাক্তারের কিভাবে ডাক্তারি করা উচিত, যে জীবনে কোন সুর তৈরি করেনি সে একজন সুরকারের সুরের সমালোচনা করছে,  যে কোনদিন গরু আর কুকুর ছাড়া রচনা লেখেনি সে একজন লেখক বা লেখিকা কে রাষ্ট্রদ্রোহিতা র অপরাধে ভূষিত করছে। পাড়ার বেচুদা যে জীবনে ব্যাট ধরেনি, সে বিরাট কোহলির কিভাবে খেলা উচিত ছিল বা নেইমারের কিভাবে গোলটা করা উচিত ছিল পাড়ার চায়ের দোকানে তার মতামত শোনাচ্ছে, রাজনীতিবিদ বলে দিচ্ছে মিডিয়াকে তার কিভাবে লেখা উচিত।
যে যা খুশি মন্তব্য করছে আর মিডিয়া, থেকে নেটদুনিয়া আর পাড়ার চায়ের দোকান সবাই সেটা নিয়ে মেতে উঠছে। কোথায় যেন অনলাইন সাইকোলজিকাল এনট্রপি বেড়ে গেছে প্রচন্ড রকম। তার প্রভাব পড়ছে সমাজে।
এইভাবে কোন আথলিটকে নিয়ে মেতে উঠলে সে তো মাঝরাতে ঘুম থেকে ধড়পড় জেগে উঠে বাথরুম সেরে প্রাক্টিসে যেত। সোনার খিদে তে।
ফেসবুক, মিডিয়াতে কোন ইভেন্টে যত জন যাবে বলে তার সামান্য কিছু শতাংশই হয়তো আসলে যায়। যেকোন প্রোটেস্ট সিট-ইন অথবা অন্য যেকোন ধরনের ইভেন্ট অরগানাইজার এখন বাস্তবে পাবলিক থেকে এতটা ডিটাচড তারা কেউ বোঝেনা এগুলো মাধ্যম হতে পারে, প্লাটফর্ম নয়। জনসংযোগহীন নেতারা আজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে ভুলে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক বিরোধিতা শুধু ওই প্যাঁচালো কথায় কয়েকটা মিডিয়া আর নেটের জগতে। সুন্দরবনের একজন মানুষ তার ন্যায্য প্রতিবন্ধীভাতা পায়নি, এরা তার খবর রাখেনা। ভালো বিরোধী না হলে নিরংকুশ স্বৈরতন্ত্র আসবেই। গানের জগতের লোকের কাছে সামনে হাজার শ্রোতা না থাকলে মুখ থেকে গান বেরুবেনা। গায়ক হল সে যে একমাত্র জনগনের মনমোহিনী গান গায়। বাউল শাহ আব্দুল করিম, লালনের গানের আসরে ভিড় হয় শুধু গাঁজাখোরদের। তাদের গানের কথামৃত, ভাবধারা  সুস্থ মাথায় শোনার লোক কয়জনা ? 
সেই কবে লিখে গেছেন লালন ফকির - 
এমন মানবসমাজ কবে গো সৃজন হবে, যবে হিন্দু-মোসলমান,  জাতি গোত্র নাহি রবে।
উত্তর টাও জানা - যেদিন মানুষ দেখবে তার অস্তিত্ব বিপন্ন, সেইদিন আবার মানুষ এক হবে, আদিম যুগের মত।
 তার আগে কখনই নয়,  নানা ইস্যু ভিত্তিক দলাদলি, ঘৃণা চলতেই থাকবে। তাই ছিলাম নাও, রাহুল দ্রাভিড় হয়ে যাও।
তবুও আশাবাদী আমি। সবাই আমরা ড্রেনে, তবু তারার দিকে তাকাতেই হয়। অনেক কাজ ভালো ও হচ্ছে। তার জন্য শুভেচ্ছা।
'সকল দ্বন্দ্ব বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো সেই তো তোমার ভালো।'


****

Obedient to the stream

অনেকক্ষণ সন্ধ্যে হয়েছে। সন্ধ্যে নামলেই মোহর কুঞ্জ তে একটা নানা রংগের ফোয়ারার শো হয়। আপনি আর পাশে আপনার প্রেমিকা বসে। হালকা হাওয়া দিচ্ছে। আপনারা দেখছেন। বেগুনী, নীল, লাল, সবুজ আলো জলের উচ্ছসিত হাসিতে ঠিকরে এসে আপনাদের চোখে অনুরণন সৃষ্টি করছে। হঠাত দেখলেন একি আপনি তো একা বসে। পাশে তো কেউ নেই। ও তো আর নেই।
আসলে পাশে আপনার একটা মূহুর্ত ছিল। আপনার ব্রেন তখন ফোর্থ ডাইমেনসানে ছিল কিছু মুহূর্তের জন্য। তারপর কাউকে, ওর মতই কাউকে সত্যি আবার খুঁজে পেলেন। দেখলেন সেই আপনার প্রতিচ্ছবিটা, তার মধ্যে আপনারই কিনা। মনে হল হ্যাঁ এই তো। এভাবেই চলতে থাকে। নিজের আয়নাকে খুঁজে বেড়ানো অবসরে। হয়তো মনে হল এই আয়না, কিন্তু আয়নাটা চায়না। তখন ফোর্থ ডাইমেনসনের উর্ধ্বে উঠে কথা বলতে হয়। যাকে আপনি চান, কথা বলতে। যত খুশি যা খুশি বলুন। চিন্তা নেই। কখনো ফিরিয়ে দেবেনা। কেউ দেওয়ালের সাথে কথা বলে তাদের পাগলা গারদে রাখা হয়। লালন ফকির জলের দিকে তাকিয়ে কথা বলতেন, "দেখ্ লালন চাঁদ উঠেছে,"
 আর গান গাইতেন - ' অনেক ভাইগ্যের ফলে কেউ সেই চাঁদ দেখিতে পায়.. '
আপনি ঠিক করলেন না আমি গাছের সাথে কথা বলবো। না, গাছ তো শুধু হাওয়াতে মাথা দোলানো আর পাতা ঝরানো ছাড়া কিছু সাড়া দেয়না। তো ঠিক করলেন আপনি জীবজন্তুর সাথে কথা বলবেন। রোজ বুড়ির দোকানে চা বিস্কুট ডিম টোস্ট খেতে যেতেন। একদিন দেখলেন একটা কুকুর এগিয়ে এসে জিভ বের করে আছে। আপনি দেখলেন এই সুযোগ। ডিমটোস্ট টা একটু শেয়ার করলেন। তারপর থেকে রোজ খাবার শেয়ার করে কুকুরটাকে আপনি পটালেন। আপনি তাকে শোনাতে থাকেন , আজ আপনার চাপের ডিউটি আছে। আজ আপনার ল্যাপটপের উপর মাথা রেখে আপনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। একটা বিশাল সুযোগ এসেছে হওয়ার কেউ এ-কেটা কেউ । 
কুকুরটা উত্তর দেবে - ঘেউ। আপনি বুঝবেন - হোয়াটস্যাপে ব্লু টিক বা ফেসবুক মেসেঞ্জারে সিন হয়েছে। সোজা কথায় ও শুনছে।

এতটা পড়ে যে কোন সুস্থ মানুষের প্রতিক্রিয়া হবে - 'আরে ভাই, কেহনা কেয়া চাহতে হো ? '
কিছুই বলতে চাইনা দাদা, আসলে একটা পায়রা দেড়-দু মাস মত আগে বাড়ির ছাদে জখম হয়ে পড়েছিল। ওকে একটা বাক্সে পুরে লুকিয়ে লুকিয়ে ড্রেসিং করে করে সুস্থ করে তুলেছি। বাড়ির কাউকে বুঝতেও দিইনি। প্রথম দুদিন প্রচুর ফড় ফড় করতো। তারপর চিনে গেল। সেই থেকে ও চুপ আর আমি ফড় ফড় করতাম। একদিন যেমন ওকে বোঝাচ্ছিলাম - শিব আসলে একজন এলিয়েন ছিল। কৈলাসে ইউ.এফ.ও দেখা যায়। আর শিবলিংগ আসলে নিউক্লিয়ার রিয়াক্টরের প্রতীক। শিবের একজন শিষ্য ছিল অগস্ত্য। যে অত আগে অনেক কিছু আধুনিক বিজ্ঞানের পদ্ধতি বলে গেছে। ইলেকট্রোকেমিস্ট্রি র পদ্ধতি, ব্যাটারি র নকশা দিয়ে গেছে। তামিল ব্যকরণ তৈরি করেছেন। 
তারপর হঠাত মনে হত - পায়রাটা বোর হচ্ছেনা তো ? জানতে চাইলে পায়রা টা বলতো - বক্ বকম। এর মানে চালিয়ে যাও। 
পায়রাটার সাথে ওই সাত - আট দিন মত দারুণ বক-বকম করতাম। গান  করতাম - 'সূর্য ডোবার পালা আসে যদি আসুক বেশ তো..'
পায়রা টা মাঝে মাঝে বক বকম করে বিট দিত। 

তারপর যেদিন উড়তে পারলো উড়িয়ে দিলাম আকাশে, খোলা আকাশে। একটা পালক ওর স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রেখে দিয়েছিলাম। সেটাও বেশ কয়েকদিন হল খুঁজে পাচ্ছিনা। মাথাটা পুরো খারাপ হয়ে আছে। সব লেখার কি মোরাল থাকে, সব লেখার কি শেষ হয় ? সব লেখার কি.......



****

মানুষ দুই প্রকার।
কারো বৃষ্টি পড়লে মন খারাপ হয়,
কারো বৃষ্টি পড়লে মন খুশি হয়। 
এদের বাইরেও কেউ থাকে। 
যারা নিজেরা বৃষ্টি হয়ে যায়।

****


আমি তুমি সবের আড়ালে -
এক পৃথিবী আছে, 
নক্ষত্র- আকাশে, 
কারোর না হোক, 
সে ভেজা আকাশ -
শুধু আমার। 
মৃত্যু যেখানে আলো দিতে ডাকে। 

ফেরারী স্তবকে।।


*****


এক্সট্রা টাইম

আমায় একজন মেসেজ করেছিলেন তার দু বছরের একটা সম্পর্ক ব্রেক-আপ হয়েছে তিনদিন হল। কান্নার মাঝে আমার গান তাকে শান্ত করেছে। সেই সব ভেংগে পড়া মানুষদের জন্য আজকের এই লেখা।

রাত্রিবেলা হঠাত ঘুম ভেংগে গেল। ফোনটা খুলে দেখলেন - যার সরি বলা মেসেজ এর স্বপ্নে আপনার ঘুম ভেংগেছে। আদৌ সেই মেসেজ আসেই নি। ওটা স্বপ্ন ছিল। হঠাত মনে হল সে তো নেই, চলে গেছে। কান্নাতে ভেংগে পড়লেন। 
আজ যে আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে যে মুখটা আপনার জন্য অপেক্ষা করতো, কাল সে অন্য কোথাও অন্য কারো জন্য অপেক্ষা করবে। আজ যে আপনার সাথে মুক্তি চেয়েছিলো, কাল সে আপনার কাছ থেকে মুক্তি চাইবে.. আজ যে আপনার হাত ধরে জলফড়িং হয়ে লাফাতো, কাল তার আপনার সাথে এক সেকেন্ড কাটানো দমবন্ধ লাগবে। আজ যার সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পেরোচ্ছেন, শীতের সকালে যার ঘুম ভাংগিয়ে এক অপূর্ব বন্ধনে বাঁধা পড়ছেন, কাল সে সেই বন্ধন খুলে উড়ে যেতে চাইবে। চারিদিকে এত প্রলোভন, ইনবক্সে প্রতি মূহুর্্তে ছেলেরা বন্ধু হওয়া, সময় দেওয়ার জন্য বসে আছে। ফেসবুক কোট খুঁজলেই পাওয়া যাবে। 'ওপেন টু অল।' সিংগেল স্ট্যাটাস বলে আজকাল কিছু হয়না। কেউ কারো জন্য থেমে থাকেনা। এরকম পরিস্থিতিতে মেনে নিতে হয়। অন্যকে না বুঝিয়ে নিজেকে বোঝান। প্লাটফর্মে উঁকি ঝুঁকি মারলে ট্রেন তাড়াতাড়ি আসেনা। বরং পড়ে গিয়ে চোট লাগার সম্ভাবনা। যে উড়ে যেতে চায়, তাকে গা ভাসিয়ে দিতে বলতে হয় একগাল হেসে। কিছুই শেষ হয়না। সামনের সময়টাকে বেকার অন্যের সাপোর্ট না খুঁজে কাজে লাগান। এক্সট্রা টাইম আপনার লাইফে যোগ হল সেই ভেবে আনন্দ করুন। 

একজন ডাক্তার যদি ওই এক্সট্রা টাইম পড়ে, সে একজন বেটার ডাক্তার হতে পারে। একজন ইঞ্জিনিয়ার, একজন রিসার্চ স্কলার আরো বেটার হতে পারে। একজন আর্টিস্ট ওই কষ্টগুলোকে চেপে আরো ভালো আর্ট তৈরি করতে পারে। যে ভালোবাসে তার না বলার অধিকারকে স্বীকার করুন। কয়েকবার বোঝানোর পর না ফিরলে তাকে ধরে রাখার কোন মানে নেই। নিজেকে ভেংগে আবার গড়ে তুলুন ধীরে ধীরে । নিজের সাথে সময় কাটান। নিজের জীবন দর্শনকে আরো শান দিন। একা লাগার কোন কারণ নেই। এই বিশ্ব-ব্রম্ভান্ড তার জন্য নেমে আসে যে স্বপ্ন দেখে আর কাজ করে।


****


লেখাটা এক মাস আগের। নোটপ্যাডে পড়ে ছিল। আজ পোস্ট করলাম। সেই ছোট্ট বোনটির জন্য যাকে তার প্রেমিক ছেড়ে গেছে অন্য একজনের সাথে । আমি তার মনে শান্তির জন্য তার আল্লাহ্ র কাছে দোয়া করি, অবশ্যই যদি আমার মত যুক্তিবাদীর কথা আল্লাহ্ পাত্তা দেন।  

উত্তরহীন প্রশ্নগুলো জমতে থাকে, 
কান্নাগুলো নতুন করে পাঁজর ভাংগে নাকে, 
কাল যদি ফের সকালে চোখ খুলি,
আসবেনা আর বৃষ্টি বলো, 
জমবে তো রোদ ? 

ঠকেছেন প্রেমে ? আপনার মনে হচ্ছে, পৃথিবীর সব ছেলে/ মেয়ে ঠগবাজ ? ঠকেছেন ভেবে কষ্ট পেতে ভালো লাগছে ? ঠকা মানে কি ? 
কারো তো মনে হতেই পারে একদিন সকালে উঠে আপনার আর কথা শুনতে ভালো লাগছেনা। আপনাকে পুরানো মনে হচ্ছে। আর ইম্প্রেস করতে ইচ্ছে করছেনা। সে আপনাকে ছেড়ে অন্য কারো সাথে চলে গেল। এটা ঠকানো ? এটা তার স্বভাব, ঠকানো নয়।
সত্যি করে ভেবে দেখুন, ধরা যাক পর পর দশজন আপনাকে এভাবে ছেড়ে চলে গেলো। এটা কি খুব বোকার মত কাজ নয়, তাদের চলে যাওয়াতে আপনার কষ্ট হচ্ছে। আনন্দ করুন। একা লাগলে বৃষ্টিপাত হোক। আবার হাসুন খিল খিল করে। রাগ আসবে। রাগটাকে জয় করুন আলো দিয়ে। রাগ ক্ষতি আপনারই করবে। যার উপর হয় তার করবেনা। এটা কেন করলো, ওটা কেন করলে, এটা কেন বলেছিলে। এইসব প্রশ্নের কোন শেষ নেই। উত্তরবিচিত্রাও কোনদিন পাওয়া যাবেনা। টেক ইউর টাইম। মেঘ জমলে বৃষ্টি হোক। আবার জনবসতি শুরু হোক। সবাই এক কি এক নয়, পরে কি হবে না হবে পরে ভাবা যাবে। যে যাওয়ার তাকে তো হাজার চেষ্টাতেও ধরে রাখা যায়না।
সাধারণত যেটা হয়, লোকে তার চরিত্র নষ্ট করে ফেলে অজুহাত দেয়, একজন ঠকিয়েছে তাই আমার কাছে প্রেম মানে ভোগবাদ ছাড়া কিছু নয়।
দেবদাস হয়ে যায় কেউ।
এগুলো শুধুই একটা অজুহাত। আর কিছুই নয়। যে যে স্বভাবের সে সেটা হওয়ার জন্য অজুহাত খুঁজে নেয়। বরং নিজেকে আরো কঠিনভাবে গড়ে তুলুন। এই লড়াইগুলো একাকে লড়তে হয়। কারণ কারো সাপোর্ট নিয়ে আপনি হয়তো একটা জায়গা অবদি যাবেন। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন কোন কিছুই স্থায়ী নয়। 
ভালোবাসা আছে। নিজেকে দেখুন। আয়নায়। দেখবেন ভালবাসেন।পৃথিবীতে বৃষ্টির আলপনা হয়, জ্যোতস্না অমাবস্যার রাতে টিনের চালে সেতার বাজায়। গোলাপ 
দেখে হা-হুতাশ করার কিছু নেই। রাস্তার পাশে ঝোপঝাড়ে কিছু জংগলি ফুলগুলোকে দেখুন, ওরা চরম অবহেলায় দারুণ সুন্দরভাবে বেঁচে আছে। তবুও বলছেন প্রেম বলে কিছু হয়না ? 
ভালোবাসা আছে। যারা বোঝেনা বুঝিয়ে কাজ নেই। 
এই যন্ত্রণা আপনাকে হয়তো একদিন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। শান্তি আনুন মনে। 
ক্ষমা করুন, কারণ আপনার শান্তি প্রয়োজন। মনে শান্তি থাকলে অসাধ্য সাধন হয়।


****


একটা বাস থেকে গরমে ঘামতে ঘামতে কাঁধে গিটার নিয়ে নেমেছিলাম একটা গ্রাম্য এলাকায় । উদ্দেশ্য ছিল দুর্গাপূজায় স্টেজে গান গাওয়া। একজন জুনিয়রের বাড়িতে থাকবো।নেমেই ভেবেছিলাম ভুল জায়গায় এসেছি। আবার ডিপ্লোম্যাসি করতে হবে। যাই হোক করে দুটো দিন কাটিয়েই পালাতে হবে। ভাবিনি আমি আরেকটা ঘর আর কিছু মানুষ পেয়ে যাবো যারা আমার চুল টেনে, ঘুম ভাংগিয়ে বুঝতে দেবেনা অন্য কারো বাড়িতে আছি, যাদের কাছে আমার সাধারণ পোশাক ম্যাটার করেনা । জানিনা ওই বাড়িতে সবাইকে এভাবে দেখা হয় কিনা। সেবারও দুর্গাপূজা ছিল। একা লাগতো। সামনে ফাইনাল এম.বি.। পড়াতে মন ছিল না। ঢুকেছিলাম জড়োসড়ো হয়ে। কারণ ওই বাড়িতে আমার ইম্প্রেসন একটা 'বদ ছেলে' হিসেবে ছিলো। একটা পুরানো শাল গায়ে দিয়ে ঘর অন্ধকার করে বসে থাকতাম। ভাবিনি কয়েকজন কাছের মানুষ পেয়ে যাবো। যারা আমার লেপ টেনে, ঘর অন্ধকার করে ভূতের গল্প শুনবে। একসাথে গানের রিহার্সাল। অর্কর সে কি তবলা, অসাধারণ। আমি নিজে তবলা বাজিয়েছি ছোটবেলায়, আমি জানি অভ্যেস ছাড়া ওই লেভেলে তবলা বাজাতে কি লেভেলের ট্যালেন্ট লাগে। ভুট্টুসের আসল ডাক নাম ভুলে গেছি। কুট্টুসদের গোয়েন্দাগিরির জ্বালায় সিগ্রেটটাও ছাড়তে হয়েছে।। আমি জানতাম না গোটা বাড়িটা কিরকম মেতে উঠতে পারে দুর্গাপূজা নিয়ে। সবাই কিরকম অন্যরকম সাধারণ রূপে অসাধারণ । বিসর্জনে গ্রামের ছেলেদের সাথে পুকুরে সাঁতার ফ্রেন্ডলি কম্পিটিশন। তারপর ভাইফোঁটা। কুট্টুসদের বাড়িতে গিয়ে জ্বরে পড়লাম।শাল মুড়ি দিয়ে শুয়ে। ছোট পিসি এসে দেখছি আমার মাথায় গাডার বেঁধে চুলে ঝুঁটি করে দিচ্ছে।কাকুকে অন্য মেজাজে দেখেছি ওই ভাইফোঁটাতে। বহুদিন দেখা হয়না। কিন্তু আমি কোনদিন মানুষগুলোকে ভুলবোনা। এখনো মনে পড়লে মনটা ভালো না খারাপ বুঝতে পারিনা। 
ওইরকম দুর্গাপূজাও ফিরবেনা বোধহয়। নিজেকে চিনেছিলাম আমি। নিজে আসলে কি ? লাইট বন্ধ করে আম্বিয়েন্স তৈরি করে সবাই মিলে শ্যামাসংগীত শোনা হোম থিয়েটারে। চারিদিকে উতসবমুখর মেজাজে আমার নিজের ঘরে বসে বসে মনে পড়ছিল সবার কথা। আমি যে একজন বদ্ধ পাগল সেটা বুঝি এখন। কিসব করেছি ! ট্রেনে একা ফিরছিলাম, দুপাশে বড় বড় গাছের জংগল। ফোনে একটা মেসেজ ঢুকলো - 'কে আর ভূতের গল্প শোনাবে ?'
জুনিয়রটা আজ আমার বন্ধুদের থেকেও বেশি আপন। 
মনে পড়ছে। দুর্গাপূজো সবার খুব ভালো কাটুক।

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়তো ফোন করেনা। কিন্তু প্রত্যেকটা মূহুর্ত সাজিয়ে রেখেছে ভেতরে। একা লাগলে মনে করে।


****


I had a friend in my Nursery .. We were our only friend .. Unfortunately, he was deaf and dumb .. but , we understood each others emotions and inner voices very well without any sentence spoken through mouth .. We could share thoughts without so called communication.. He was our neighbour and 3 yrs older than me .. After we shifted from that area , from that time I was searching someone like him ... I fell in love / felt affection with many people .. I made friends with many many people , of them very few in my friend list .. but I failed and failed ( i don't use the word 'betray' intentionally .. its not their fault .. i am responsible.. I failed ) more than thousand times .. Now when I am tired .. In darkest phase of my life still now .. suddenly I have found U.. In my mirror .. Oh .. I have found you ..


****


-আপনি কি করেন ? 
- আজ্ঞে পড়াশোনা করি, খেলাধুলা করি আর সময় পেলে মাঝে মাঝে পিঠ চুলকাই ।
- আরে বলছি আপনার কালার কি ? 
- আজ্ঞে ডিপ সবুজ।
- ও আপনি তৃণমূল।
- আজ্ঞে না, আপনি আমার প্রাণের রং জিজ্ঞেস করলেন  ওটা আমার প্রাণের রং।
- না না আপনি কোন দলের সমর্থক?  লেখা পড়ে বুঝতে পারিনা ।
- আজ্ঞে আমি একজন মানুষ, লিখতে ইচ্ছে হলে লিখি। কোন দলকে সমর্থন জানাতে নয়।
- উফ্, আপনি এবার কোন দলকে ভোট দিলেন ?
- ইভিএম এ ইঁকিড় মিকিড় চাম চিকিড় করে বোতাম টিপে দিয়েছি। এম সি কিউ করে করে যা হয় আর কি।
- উফফ্, সোজা কথায় বলুন না লাল, সবুজ না গেরুয়া ?
- লাল গোলাপ ভালো লাগে, ডিপ সবুজ আমার প্রাণের রং, আর গেরুয়া তো বৈরাগ্যের। ওটাও ভালো।
- আপনি কি ঝাড়ু প্রজাতির ?
- আজ্ঞে আমি নিজের ঘরটাতে ঝাঁট দিয়ে থাকি।
- আপনি বলবেন নাকি ?
- কি মুশকিল সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি তো।
- আচ্ছা বলুন আপনি ইন্ট্রোভার্ট না এক্সট্রোভার্ট ? 
- কঠিন প্রশ্ন। আমি সুপ্রভাত।
- বুঝলাম আপনি একজন আঁতেল ভুলভাল। আপনাকে ব্লক করলাম।

- তথাস্তু।।


****


' আআরে, সুপ্রভাত, কি খবর ?' 
ট্রেনে এই সম্বোধনটা শুনে চমকে তাকালাম।
-আরে।
- কোথা থেকে?
- দূর থেকে।
- চল্ নদীর ধারে যাই।
- যাবি চল্।
 একঘন্টা হল নদীর ধারে বসে তার গল্প শুনলাম। কাঁদছিল। 
প্রশ্ন করল। তোর কোন গল্প নেই।এরকম।
-'না রে, বিশ্বাস কর পকেট ফাঁকা।'
- তুই ডাক্তার হয়ে এসব বলছিস ... তুই এরকম কাঁদিসনা ? 
- এখন না। আমার ল্যাক্রিমাল গ্লান্ডে ব্লক আছে।
- তোদের আর কি ? চাইলেই তো হাতে টাকা, খ্যাতি -যশ। সবকিছু। সুখের লাইফে কান্না আসেনা।
- হ্যাঁ এটা ঠিক।চল উঠি।
- আরেকটু বসা যাবেনা ?
- না রে। তোকে একটা কথা বলব ?
- হ্যাঁ বল।

- কাঁদতে হয় একা। সবার আড়ালে...


*****



ট্রেনে যাচ্ছিলাম। রবিবারের বাজারে অন্য দিনের তুলনায় ভিড় কম। জানালার ধারে বসেছিলেন একজন সুটেড বুটেড ভদ্রলোক। হাতে দামী ঘড়ি। আমি তার পাশে। আমার গায়ে ছেঁড়া জিন্স, ছেঁড়া গেঞ্জি, পায়ে ছেঁড়া কিটো। ঘড়ি মোবাইলে দেখি। এত সিট থাকতে ওই সিটএই বসেছিলাম, মনে হয়েছিল যাই হোক বিড়ি তো খাবেনা। পাশে বসে বিড়ি খেলেই আমার আবার খেতে ইচ্ছে করে, কিন্তু ট্রেনে বিড়ি খেয়ে আগে কেস খেয়েছি। এখন কেস, বিড়ি কোনটাই আর খেতে ইচ্ছে করছিলনা। যাই হোক, ট্রেনটা ফাঁকা হতেই একটা পা আর একটা পা র উপরে তুলে দিলেন ভদ্রলোক। বুটটা এসে আমার জিন্সে লাগলো। তাকালাম। ভদ্রলোক সরিটা বলার অভদ্রতাও করলেন না। হয়তো ভেবেছিলেন গোবেচারা। নিজের পা টা এবার ক্রসলেগ করে তুলে দিলাম। আমার ছেঁড়া কিটো আর ভদ্রলোকের বুট পাশাপাশি ঠোক্কর  খেতে লাগল। দুতিনবার। ভদ্রলোক আর আমি দুজনেই যথানুক্রমে পা নামিয়ে নিলাম।


***

তখন আমার দ্বিতীয় বর্ষ। আমি গীটার নিয়ে বসলেই সিনিয়র দাদারা আমায় আমার গীটার নিয়ে বের করে দিত। কেউ হাসত আমায় গীটার বাজাতে দেখে। আমি চুপ করে হাসিমুখে ছাদে একা অন্ধকারে বসে গান করতাম, নিজেই শুনতাম, নিজেই নিজেকে বকতাম, নিজেই নিজেকে সাবাশি দিতাম। সেই অন্ধকারে বুঝিনি কখন সেই দ্বিতীয় 'আমি ' জয়ন্ত হয়ে গেছে।তোর ভালো /খারাপ কিছু হলে কিছু না বললেও দেখে বুঝতে পারি। উল্টোটাও সত্যি। আমার রুম-মেট অর্ককে শত্রু ভাবতাম। তোর মাধ্যমে সেও কবে প্রিয় বন্ধু হয়ে গেল বুঝতে পারিনি।নিউরোফিজিক্স নিয়ে থিওরি বের করার ভূত, কলকাতার রাস্তায় গীটার কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, গান লিখতে লিখতে ভোর হওয়ার দিনগুলো, খেতে ভুলে যাওয়ার দিনগুলো, বিভিন্ন অফিস থেকে কুকুর-ছাগলের মত তাড়ানোর দিনগুলো আরো কিছু অবহেলার দিন.. একটাও ভুলিনি।তুই ভেংগে পড়লে আমি সামলাতাম। আমি ভাংগলে তুই.. আমাদের দুজনের অদ্ভুত একটা হাসি আছে সেটা শুধু অবহেলাতেই বেরোয় , তখন সব দু:খ ভুলে যাই. এখনো অনেক পথ চলা বাকি..  মাঝে অনেক ঝগড়া আর ভুলবোঝা হয়েছে।ভেবেছিলাম সব কেটে দেব।সেদিন যদি দুজনেই নিজের ভুল মেনে না নিতাম, তোরা হারিয়ে যেতিস আমার জীবন থেকে। অর্ক আর তুই আমায় আরো পরিণত করেছিস। আমি কতটা সফল হব পরের কথা, তোরা আমার চারপাশে থাকলেই সেটা আমার সব থেকে বড় সাফল্য।  মাঝে মাঝে আপশোস হয়, জয়ন্ত তুই কেন মেয়ে হলিনা !!!

মজা বাদ দিয়ে যেটা আসল কথা সেটা হল, আমি তোদের সংগে আবার জন্মাতে চাই। আমি মুক্তি চাইনা। আমি তোদের নিয়ে বাঁচতে চাই।।


****

When no one with you , no one to support , nothing is positive in life .. Everyone is pointing finger at you just don't react  .. Be tough and Patient .. This is the high time to look at the mirror , and to see someone U love , something positive, the only person who can change Ur life, URSELF  .. 

From Toittoriyo Upanishad - Where u r alone , there is no agony ...


****


ভোটের কলরবে যখন ওষ্ঠাগত প্রাণ,

সেই সুযোগে একলা হল আবোলতাবোল গান ।।


****


My most fav movie is August Rush... abar shamuk r khol e ogyatobas ..superficially nir choto , bt vetor e khola boro akash e jonaki rochona .. aro boro swapno .. prokiti r aro kache .. Now with a broader dream ... goal is fixed .. bt I dream to live .. its my necessity .. it may seem like a corner of a dark room .. For me this is light .. freedom .. to think.. and find ... ' Society often forgives a criminal , but never a dreamer ' ... Though I have to dream and work for it .. passionately. . Now with a broader dream .. its my necessity. ..  


****

এমন একটা জায়গায়,
যেখানে আশেপাশে কোন মানুষ নেই,
আর যেখানে কেউ একা, সেখানে কোন আঁধার নেই,
সামনে নদী, সূর্য, খোলা আকাশ,
আর অনেকটা খোলা আলো,
খোলা বাতাস।
আশেপাশে কোন নকল নেই,
সবই আসল।
গাড়িটাও আসল।

মানুষের থেকেও আসল।

****


মুখ আর দেখিনা,
মুখোশ সব।
স্বপ্নের কবরে,

উঁকি মারে বাস্তব ।।

****



Every Politician wants to work for poors, and pretends to be honest .. You can believe anything about yourself, pretend about yourself  .. Everyone has own definition of the adjectives to justify ... But in the end , you and your lifestyle will be analysed by your own action  .. You have to select whose analysis is important to you and how much...

*****


আর প্রায় চার ঘন্টা পরে, আমার হোস্টেলে ছেলেরা বারান্দায় বেরিয়ে হই হুল্লোড় করবে।  কাগজে আগুন জ্বালিয়ে উপর থেকে ফেলবে।আনেক্স বিল্ডিং থেকে নর্থ এর ছেলেদের উদ্দেশ্যে প্রশস্তিমূলক বিশেষণ এর ফোয়ারা ছুটবে। পাটকেলটাও সামলে। যার আজকে বিকেলেও ক্যান্টিনে কোন অস্তিত্ব ছিলনা সেও ফ্লোরে সবার বুকে জায়গা করে নেবে নতুন বছরের আনন্দের অজুহাতে। কিছু বন্ধুরা বাইরে বেরোবে, কিছু বন্ধুরা একসাথে বারোটা পেরোবে, ছাদে একসাথে পান করতে করতে, কিংবা রুম বন্ধ করে আর এই বছরের যত তিক্ত স্মৃতি ফেলে পা দেবে নতুনবছরে।  নাহ্ সেই ছাদ নেই। হোস্টেল আছে, আমি আর আমার আমরা যে যার মত দুনিয়া বেছেছি। কিন্তু নিশ্চয়ই নতুন ভাইরা আছে। আর সেই পাশের বস্তিতে বক্সের গান। আছে পরীক্ষার টেনশন। বারোটা বাজা মাত্রই সব ভুলে মেতে ওঠা। এভাবেই স্রোত বয়ে যায়। আচ্ছা যদি প্রত্যেকটা দিনকে এভাবে সেলিব্রেট করতাম এটা এত স্পেশ্যাল হত। না, সেটা হয়না বলেই এত স্পেশ্যাল ছিল নিউ ইয়ারস মাঝরাতে গিটার নিয়ে ছাদে এক বুক কুয়াশাভেদ করা সেই গানগুলো .....


****

বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে যখন/
সন্ধ্যের হাহাকার নামে,/
পথের ধারে হঠাত্ দমকা হাওয়াতে -/
যেন কান্না লেখা থাকে,/
গাছের পাতারা সমস্বরে সমব্যথী,/
মন জ্যোৎস্নার ঢাল বেয়ে দিশাহীন,/
রাজপথে ছুটে চলা আলোদের ভীড়ে তখন অমর-/
সেদিনের সেই অস্পৃশ্য প্রেম।


****


বাড়ছে বয়স, পাকছে মাথা,
মানুষ খুঁজছি পাচ্ছিনা ।
ভিড়ের মাঝে একলা হয়েও-
হারার আগে হারছিনা ।।


***

Talk with everyone .. Know urself and ur values  .. after that learn to delete people whose basic morality don't match with you .. Learn this basic rule in life .. If u can't change your surrounding , change your surrounding. .. because ur surrounding defines u to some extent ..


***

মনে আমার ছটপটানি,
খোলা আকাশ চাইছে সে যে আজ, এখুনি।
তোমরা মানুষ হও,
আমি বরং পাখি হব।
ডানা মেলে রং ছড়াবো চোখে চোখে,
অসীম মাঝে সসীম খুঁজে বিষম খাবো।
আমি বরং একটুকরো পাখি হবো।
হতাশ হয়ে পড়ছি নুয়ে কাজের ভারে,
ঠিক তখুনি ভাবনা গাড়ি চলতে শুরু।
হঠাৎ যেন উগ্রতা আর মৌলবাদে,
চিন্তা মাথায় এলোমেলো,
তোমরা মানুষ হও,
আমি বরং পাখি হবো।
দুষ্কৃতি আজ দিচ্ছে হানা সব দেশেতে,
শয়তান আজ ভদ্র লোকে-দের বেশেতে,
মানুষ হয়ে মারছো মানুষ,
শরীর -মনে,
রাজা সে তো রাজাই থাকে,
সিংহাসনে,
তোমরা মানুষ হও,
আমি, আমার বন্ধুরা সব, একজোটে আজ পাখি হবো।
ট্রোপোস্ফিয়ার হোক সীমানা,
মঙ্গলে গিয়ে কাজ নেই,
মন-গলে গেছে মেঘ সরাতে,
বৃষ্টি আসুক আজ বুকেতে,
এই মানুষের ফানুস ওড়াই,
ডানা মেলে আমি আমার বন্ধুরা সব ,
ধর্ম, জাতি, মনের ভীতি,
নিজের যত রীতিনীতি,
ভন্ড প্রীতি,  রাজনীতি,
যে যার লকারে বন্দী করে -
একজোটে পাখি হবো।
আর সেদিন,
সেদিন একটা রামধনুর ফ্যান্টাসিতে আমরা চোখ বুজবো ।।


****

Life in a metro মেট্রো লাইফের সম্পর্কগুলো নিয়ে একটা অসাধারণ সিনেমা... সত্যিগুলো চোখের সামনে তুলে ধরেছে।
Stay true to yourself , after that nothing is in your hand ..
শক্ত খোলসে ঢাকা
আদি অকৃত্রিম-
আমায় চিনলে,
ভালোবাসলে আমায়,
কিছুই আগের মতো থাকবেনা আর..
বাসের ধারে রাস্তায় আমার হোর্ডিং,
গোটা শহর তখন হবে আমার বিজ্ঞাপন...
এখনো মনে জোনাকি মিছিল..
মিথ্যেকথার এই শহরে,
আমি সুতোকাটা ঘুড়ি,
আকাশে মুক্তির খোঁজে,
যদি আজ রামধনু মেলে,
দুচোখে ছুঁয়ে -
আমি দূর দেশে ভেসে যাই।।

****

সবাই ঠিক,
তোমার নীতিকথা শুধু ঠিক,
তোমার মৌলবাদ শুধু ঠিক,
তোমার সমাজতন্ত্র শুধু ঠিক,
তোমার পূঁজিবাদ শুধু ঠিক,
তোমার ধোনি ও ঠিক, দাদাও ঠিক,
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা যা কিছু নিয়ে-
তুমি চায়ের কাপে ঝড় তোল -
তুমি যাই বল সব ঠিক।
তোমার বেশ্যাবৃত্তি ও ঠিক।
তোমাদের সব ঠিক।
আমি এত কিছু বুঝিনা বাপু,
বুঝতে গেলেই,
আমি শুধু একা, আমি একা ভুল,
হয়ে যাব সবার চক্ষুশূল ।।


*****



ভালো আছি, খুব ভালো। মন পূজো পূজো ইউফোরিক। যারা ভুলে গেছে, যাদের মনে আছে তাদের সবাইকে পাগলা দাশু জানায় শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা। একদিন সব ভুলে যান। পরে ভাববেন। যা কিছু ভাবার। আপনি তো জবাইএর অপেক্ষায় থাকা বলির পাঁঠা নন। মানুষ হয়েছেন যখন মানুষ হয়েই বাঁচুন। মন যেন পূজো পূজো ইউফোরিক। ভুলে যান আগের পূজো কিভাবে কাটিয়েছেন। ভালো বা খারাপ। কি যায় আসে??  আজ একটু আশাবাদী হলে ক্ষতি কি ?? অতীত তো মৃত। বর্তমান জীবিত। জীবন তো একটাই। ইউফোরিয়াতেই বাঁচলাম নাহয়। আর যে ভবিষ্যত নিয়ে আজ চিন্তা কাল সেটা অতীত হবে। মন নস্টালজিক হতে চায়। ইস্, যদি ওর সাথে থাকতে পারতাম,  ওখানে যেতে পারতাম,  ওইগুলো আগের মত করতে পারতাম। কেন সময়ের অযথা অপচয়। চা খান লম্বা চুমুক দিয়ে,  বেরিয়ে পড়ুন।  আজকের দিনটাকে এমন ভাবে কিছু করুন যাতে আপনার অতীত,  ভবিষ্যত সবাই হিংসে করে। কি যায় আসে?  জীবন তো একটা ই। রাস্তায় বেরিয়ে একা লাগলে একজন ভিখারী বা পাগলে মানুষটার সাথে আড্ডা দিন। ওনাকে কিছু খেতে দিন।  দারুণ হবে। ঘরে বসে কেওড়া নস্ট্যালজিয়ার থেকে ঢের ভালো। যান বেরিয়ে পড়ুন। জীবন যে ডাকছে। এক মিনিট, আমার একটা কবিতা পড়ে বেরোবেন।  বুঝতেই পারছেন কোন কাজ নেই। তাই লিখলাম।

স্বপ্নেরও অতীত ছিল,
মাটির প্রদীপে কেউ আগুন যত্ন করে-
সলতে সাজাবে।
জংগলি হাওয়ায় দুহাতের আড়ালে,
সেখানে তুলবে আদিম স্পন্দন,
স্বপ্নেরও অতীত ছিল।
যখন পৃথিবীতে প্রাণ ছিলনা,
তখনও কিছু বায়বীয় প্রেমে
এই বীজ তার ছিল গোপন।
বারুদের মুখে সেই প্রেমের আগুন দিলে,
তুমি বল কেন হবেনা -
অবাক বিস্ফোরণ  ??


****


সব কালো ভুলে যাব একদিন,/
অপরিণত জেল এর মত থকথকে মনে,/
যে স্মৃতি বুকে আগুন জ্বালাতো,/
সব ভুলে যাব। /
একবুক আকাশের মাঝে, /
নক্ষত্রের ঘেরাটোপে, /
'নহি যন্ত্র' সাদামাটা - /
আছি সেই একি আমি, /
আলোকপথগামী। /
নব রূপে এসে তুমি, /
দামামা বাজাও।।


*****


ছোটবেলায় কার্টুন দেখতাম। হো হো করে হাসতাম। তারপর বড় হওয়ার পথে সুকুমার রায় ছেড়ে কবে নিকোলাই অস্ত্রভস্কি ধরেছি মনে নেই। আর তার সাথে নিউজ চ্যানেলের নেশা। খুব হয়েছে। কয়েকদিন হল স্পঞ্জবব, উগি এসব দেখছি। হেভ্ভি। লাইফ নিয়ে এরকম ফিলোজফি। গম্ভীর হয়ে দেখি আর হা হা করে হাসি।এগুলো ছোটোবেলায় বুঝতাম না। অনেক হল। কার্টুন-ই ভালো। অনেক সুস্থ স্বাভাবিক থাকা যায় ।।


****

একটু খুঁজে দেখুন আপনার আশেপাশে এরকম অনেককে পাবেন যারা বৃষ্টি দেখতে দেখতে তার কোন এক কাছের মানুষকে মিস করছেন। কেউ সেটাকে প্রকাশ করছে বিভিন্ন পোস্ট, লিংক শেয়ার করে, কেউ কবিতা লিখে, কেউ বা বারের অন্ধকার কোণে বসে একা একা রংগীন জলের নেশায়, কেউ অন্য কোন নেশায়, আর কেউ এক্কেবারে চুপ থেকে নিজের ভেতরে ভেতরে সেই যন্ত্রণাকে উপলব্ধি করছেন। স্ক্রোল করে একটা ছবি দেখলেন ফেসবুকে, আর আপনার তার কথা মনে পড়ল। আপনি সিংগেল, কমিটেড, এনগেজড যাই হোন না কেন রেডিও তে হঠাৎ বেজে ওঠা গান শুনে আপনার কাউকে ভেবে দীর্ঘনি:শ্বাস পড়বেই। এই দীর্ঘনি:শ্বাসকে অবহেলা করতে শিখুন। আপনার কোন বন্ধুর ইমোশনাল পোস্ট দেখে আপনার পুরানো প্রেমকে মনে পড়লে আপনি দীর্ঘনি:শ্বাস ফেলার বদলে বন্ধুকে প্রাণ খুলে গালি দিয়ে কমেন্ট করুন। বন্ধু তো !  যদি কিছু মনে করে মেসেজে একটা ছোট্ট সরি পাঠান। এর পরও যদি বাওয়ালি করে বিদায় করুন এরকম বন্ধুকে। যাই করুন কোন ছেড়ে যাওয়া মানুষের জন্য অন্ধকারে দীর্ঘনি:শ্বাস ফেলবেন না। বৃষ্টি এলে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে উপভোগ করুন বৃষ্টিকে। কিন্তু দীর্ঘনি:শ্বাস ফেলবেন না। হঠাৎ একদিন দেখবেন একজন নতুন কেউ আপনার সংগে চলতে প্রস্তুত। তাকে আগের জনের থেকেও ভালো লাগছে। আগের জনকে আর মনে করতে ইচ্ছে করছেনা। নতুন মানুষটির চোখে চোখ রেখে বলতে ইচ্ছে করছে - তোমার মত আগে কাউকে তো ভালোবাসিনি।


*****


Suppose , u got an incurable disease.. All you have is few months left in your life.. what will you do ?? Surely you will be sad.. but after that...u wld like to catch all the spectrum of life... like to enjoy the life for today and only today.. U wld forgive all, & say sorry whom u hurt one time... Come on man.. Do it today. .. live it..  Its your life.. Don't just survive... We all have this incurable disease.. ur life is not like 'Temple Run'.. just running in rat race without any purpose.. Get well soon... life , more life...

If someone comes into your life and has a positive impact on you, be thankful that your paths crossed. And even if they can’t stay for some reason, be thankful that somehow they brought joy into your life, even if it was just for a short while. Life is change. People come and go, some stay, some don’t and that’s okay. Remember the good times and smile that it happened.


**-***


TB ( Total Balatkar) is an endemic disease in medical world.. BCG is specially indicated to post-TB trauma syndrome.. It means 'B**L CH*RA GECHE'.... Route of administration subconsciously.. Contraindicated in morons.. it also provides herd immunity... so spread it..

Source - Medicos ভেদাস


****


Treat me with fun... Today the iron is melting, but tomorrow it will make a sword of steel. ..


****

কেউ তোমার মূল্য বোঝেনি, তোমার কথাকে তার পাগলের প্রলাপ মনে হয়েছে, কেউ তোমায় ঘৃণা করে, তোমার তার জন্য ভালো চাওয়াকে সে ঘৃণার চোখে নেয় !!! নিজের অহং ত্যাগ করে তাকে কয়েকবার বোঝাও। না বুঝলে তারপর আর বুঝিও না। এসব সে উপরের নির্দেশে করছে, তাকে তার ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দাও, যে তোমার মূল্য বোঝেনি তার জন্য একটা সেকেন্ডও আর খরচা কোরোনা। প্রতারক ছেড়ে চলে গেছে, আনন্দ কর। ভেবে দেখো এটা কত ভাগ্যের কথা তোমায় কোন প্রতারকের সংগে সময় কাটাতে হচ্ছেনা।তাকে আর নিজের মূল্য বোঝাতে যেওনা। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকো। তোমার নিজের একটা জীবন ছিল। সেটাকে আবার একটু একটু করে সাজিয়ে তোল। নিজেকে ভালবাসো।



***

খুব কাছের মানুষদেরই খুব দূরে চলে যেতে হয়, কাছে আসার অপরাধে...


****



বাস্তব বড় নিষ্ঠুর, তবু সেইদিনগুলোয় তোমায় নিয়ে যেটুকু আনন্দ নিজেদের কাছে ধরেছিলাম সেটাই অনেক আমার কাছে। তারপর অনেক পথ হেঁটে যেখানে আমরা ঠিকানা হারিয়েছিলাম...
তুমি অস্ফুটে বললে ডান দিকে যেতে, আমি বোকার মত বুঝলাম বিপরীত..
চেনা চশমায় তখন ধুলো মুছতে ব্যস্ত ছিলাম, বুঝিনি কখন অনেক দূরে আমার হাতের নাগালের বাইরে তুমি আমায় একলা ফেলে হারিয়ে গেছ... একটা কথা তোমায় বলতাম - তুমিও কি সত্যি এটাই চেয়েছিলে ? আমি চাইনি।প্রথমে ভেবেছি লুকোচুরি খেলছ।অনেক ডেকেছি, কোন সাড়া পাইনি। তোমায় সেদিন থেকে আমি খুঁজে বেরিয়েছি...তারপর একসময় ক্লান্ত হয়েছি। বাস্তব বড় নিষ্ঠুর। যে পথ তোমায় নিয়ে হাঁটব ভেবেছিলাম, সেই পথ perhaps একাই হাঁটতে হবে। If you really want this , I will never disturb you.... ভালো থেকো..


****

ঘুম, খানিক তোকে ছুটিই নাহয় দিলাম, /
জাগুক নাহয় হতাশার কল্লোল,/
আমার চোখে না পাওয়া স্বপ্নগুলো দুফালি জল আনুক।/
তারপর ঘুমের সম্মোহনে লোপাট হবে অ-আ-ক-খ,/
কাল জেগে আমি সবার মত হব।।


***

সব পথের শেষে,
আবার ফিরেছি আমি আমার পথে,
অবচেতনের রথে।
সামনের ঝিলে টলমল ঝাউ বনের ছায়া,
পাখিরাও কেন জানি চুপ,
তার ওপারে পাতা আছে
সবুজের শৃংগার।
আকাশ উদার এসে পেতেছে হাত,
সূর্যের ছায়া উঁকি দেয়,
যেন কামনার সংঘাত।
পাহাড় হাতছানি দিয়ে ডাকে,
ক্লান্ত আমাকে।
প্রতারিত আমি-
ফিরেছি আবার আমার পথে,
নিজের দেশে হয়েছি উজাড়
ডানা মিলে,
মুক্ত ঈগলের মত আকাশ ছুঁয়ে- ফিরেছি আমি  বারবার,
আহত আবার, আমি-
ফিরেছি আমার পথে,
অবচেতনের রথে।।

****


আমায় রবীন্দ্রনাথের নেশা ধরান আমার দাদু। মেদিনীপুরের ওই বাড়িটার এক কোণে বসে একসময় কত সাহিত্য আলোচনা হয়েছে। আমায় কোনদিন উনি ছোট ভাবতেন না। এমনভাবে আলোচনা করতেন যেন আমি একজন বিখ্যাত লেখক, খাটে বসে বসে গল্প করছি কালিদাস, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ  নিয়ে । আমার দেখা সেরা বাংলা শিক্ষক উনি। আমাদের বাড়িতে সাহিত্যের প্রবেশ অবাধ ছিলনা। দাদু সেখানে খোলা হাওয়া হয়ে অচলায়তন ভেংগেছিলেন। আট বছর আগে আমি দাদুকে 'রক্তকরবী ' র বিশ্লেষণ লিখেছিলাম। তার যে উত্তর পেয়েছিলাম আমি ভুলবনা। তোমায় খুব মনে পড়ে। সেই দিনগুলো ফিরে পেতাম যদি।


****



কখনো ভেবে দেখেছেন নিজের ছোটবেলায় যে আপনি জানালা দিয়ে 'জল পড়ে পাতা নড়ে' দেখে আনন্দে উদ্বেলিত হতেন, সেই তাকে এখন সুখ খুঁজে বেড়াতে হয় কেন?
পুজোতে ঘুরতে বেরিয়ে মা-বাবা র কাছে আব্দার করে পাওয়া এগরোল খাওয়ার আনন্দ মনে পড়ে। সংগে 'মা, কোল্ডড্রিংক্স  খাব, দাও না। ' - আপনি হয়ত পুরোটা খেতে পারবেন না। কিন্তু পাইপ দিয়ে আপনাকে ওই ঝাঁঝওয়ালা জল খেতেই হবে কিছুটা।
রাস্তা দিয়ে ৫০ পয়সার বরফের গাড়ি যাচ্ছে ' বরফ, বরফ ',  আর আপনি মার হাতে পায়ে পড়ে ৫০ পয়সা নিয়ে হাফ্ প্যান্ট পড়ে রাস্তা দিয়ে পাগলের মত খালি গায়ে ছুটে ' ও কাকু, দাঁড়াও '। আপনার হাত দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে বরফ গলা জল।আপনি সেটাও চেটেপুটে সাফ করে দিচ্ছেন। মনটা কেমন ভাল হয়ে গেল, তাইনা?
এইবার আজকের দিনে ফিরুন।আপনার ফ্রিজে আছে কোল্ডড্রিংক্সের বোতল। পুজোতে ঘুরতে বেরোন, রঙ্গীন সেল্ফি পেতে।এখন আপনি ৫০ পয়সার বরফ খাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেননা। গাছের পাতায় জলের ফোঁটার কম্পন দেখার সময় আপনার নেই।
আনন্দ আগেও ছিল,  এখনও আছে। শুধু মাধ্যম বদলেছে। চাহিদা বদলেছে। এই বদল আনন্দকে অনুভব করতে দেয়না।


*****

বন্ধু তোমার জন্য গান লিখেছি,
বালিশ ধুয়ে গেছে অভিমানে,
শব্দ আজ কোন মরা আবেগের চোরাস্রোতে
করছে হাহাকার।
বন্ধু অনেক স্বপ্নে রাত জেগেছি,
তোমার কথায় উঠেছে ভৈরবী স্পন্দন,
তবু চোখে-মুখে তোমার আমার সম্মেলন
করেছি নির্বাক অস্বীকার।
বন্ধু আর কয়েকদিন জানিনা,
আর কয়েকরাত জানিনা।
শুধু চাই, যদি আবার জীবন পাই,
আবার এভাবে স্বপ্ন দেখিও।।



***

মন এখন নি:স্তব্ধতার মরুভূমিতে জাবর কাটছে,
সে শশব্যস্ত স্টেশনে ধাক্কা চাইছে,
কানে বাজে পিঠেপুলি আর তেপান্তরের মাঠ,
কেউ খুঁজে এনে দাও।।

***

What do you do when you walk/run.. You don't move both your legs forward. .One leg stays backward to thrust your body forward.. bt if you keep that there you can never move on. .
#simple_theory_of_life
yet hard to apply.... :(


***


People close to you have the power to disturb you the most...


***

Wanted to be an Einstein , Wanted to be a Picasso, wanted to be a Bruce Lee, wanted to be an Enrique Iglesia , wanted to be a Sherlock Holmes, wanted to be a Sigmund Freud , wanted to be a Kaka', wanted to be a many more......
Now just wanna live my life peacefully .  As a good person


***


আমরা সবাই সময়ের মহাসমুদ্রে ভেসে বেড়ানো স্পেসের হিমশৈল। প্রকৃতির নিয়মে কাছে আসি,  প্রকৃতির  নিয়মে দূরে সরে যাই অন্য একটা কোন স্পেসের সন্ধানে।


****


When you are in a mentally puzzeled state, follow your heart . At least you will get your mental peace.

***


কোনদিন এই পৃথিবীর শেষে যেতে চাই, /
যেখানে কেউ না শুধু আমি /
আর ফুলে বসা প্রজাপতি/
সকালে পাখির ডাক কান বাজাবে, আর দিনের শেষে ঝিঁঝিঁ।/
সেখানে গান থাকবে, নাচ,  খেলা, কবিতা থাকবে।/
আর কিচ্ছু না।/
তৃষ্ণাতে পাব নদীর জল,
ক্ষুধা মেটাবে গাছের ফল।/
প্রাণভরে হাওয়া নেওয়া যাবে, /
সেরকম দেশে মন নিয়ে চল।


***

রিলেশানসিপ,  প্রেমিকা খুব ভাল। কিন্তু একটু ভেবে দেখলেই বোঝা যায় ছেলেরা যেভাবে তার প্রেমিকাকে মিস করে সেভাবে তার বাবা-মা কে মিস করলে পৃথিবীতে একটাও বৃদ্ধাশ্রম থাকতনা।


****

স্বর্গ কে চায়?
আমার আদম-ঈভের দুনিয়া বরং ভালো।

***
And again a silent night.
I was about to brace it as you,
Kiss the silence as ur lips.
A peacefully restless space is created.
As if time has entered thorugh it to the infinity.
As if it will never return.
Don't want a solace.
Just want some teardrops to শেদ

***


Happiness is a state of mind... Fuck. . I am happy..

***

I'm waiting for you from a different era
From the months of ice age
When the sun couldn't reach the sea, I'm waiting.
Under the water, when the life was yet to be born, I'm waiting
See when the earthquake mistook the earth as my heart,
with that shivering heart I'm waiting.
I'm waiting for you ignoring the dimension of time.
Yes I'm waiting


****

ট্রেনে ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে আসছিলাম। আমার পাশে জানালার ধারে একটা বছর তিনেকের বাচ্চা আরামে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ সে হাততালি দিয়ে বলে উঠলো - মা, দেখ কি মজা ছাগল। দেখ দেখ।
এতেও কেউ মজা পেতে পারে!!!  মা যথারীতি বিরক্ত  হলেন। আমি বাচ্চাকে জানতে চাইলাম -  এ বাচ্চা তোর কি সব কিছুতেই মজা!!!  তোর জীবনে দুখ নাই???
বাচ্চা উত্তর দিল- দুখ,  নতুন চকোলেট বুঝি??
আমি আর কথা বাড়ালাম না। ঘড়িটা একবার দেখে নিলাম।


***

জীবনে শান্তির বড় অভাব। আপনার জীবন যদি দিন দিন আরো জটিল হয়ে ওঠে চিন্তার কিছু নেই। বুঝবেন আপনি আরো উন্নত আর পরিণত হয়ে উঠছেন। ভেবে দেখুন জীবন এককোষী দিয়ে শুরু হলেও অভিব্যক্তির ধাপে ধাপে তার উষ্ণীষে যুক্ত হয়েছে নিত্য নতুন জটিলতা। তবু আদিম মানুষ শুধু খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানে শান্তি পাইনি। শান্তির খোঁজে সে আজ মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে। সৃষ্টি করেছে একাধিক ভগবান। মাঝে মাঝে ভাবি সদ্যজাত শিশুও কি শান্তি খোঁজে??  সে কি ভগবান মানে??  এসবের জন্য একটা শিশুকে একা একটা বিচ্ছিন্ন জায়গায় রাখতে হবে। আমাদের উপনিষদে বলা আছে- যেখানে মানুষ একা সেখানে কোন দুখ -অশান্তি নেই। আমাদের  পক্ষে সেরকম শান্তি একমাত্র মৃত্যুইই দিতে পারে। জীবনের পরিণতিই হল ট্রাজেডি। তাই তো ট্রাজিক নোভেল - সিনেমা মিলনাত্মক সাহিত্যের থেকে অনেক বেশি মনে ধরে।।


***


কখনো গ্রামে কোন কৃষকের ছেলেকে দেখবেন। বাবা বুড়ো বয়সে রোদে চাষ করছে। আর ছেলে চোখে সানগ্লাস পড়ে রকে বসে মোবাইলে ফেসবুক করছে। শুধু কৃষক কেন যে কোন নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের একই ছবি। খুব কঠিন সমস্যা। এর কারণ কি? একটা দুর্ভিক্ষ আসুক। তৈরি হোক খাদ্যসংকট। যে পেপারে বড় বড় শাহুরুখ- আমির -নেতা-নেত্রীদের কথা লেখা হয় সেই পেপারের সম্পাদকের পেটে টান পড়ুক। তখন সেই দিন আসবে যখন উচ্চশিক্ষিতরা লাঙল হাতে ক্ষেতে নেমে গান গাইছেন - আমরা চাষ করি আনন্দে। সেদিন পেপারে এইসব বীরপুরুষদের কাহিনী ছাপা হবে।


****


Aj Jeta niye eto chintito kal Seta bigoto otit hye jabe. kal abar notun jinis r chintay matbo. chinta manush r dhormo. jibon janena joro chinta kore kina. tarao hoyto amader moto vabe. Tader consciousness hoyto amader k joro vabe. prithibi ta ek boro golok-dhada. vabte bosle pagol hye jete hoy

*****

যদি কোনোদিন কফিহাউসে ঢুকিস আমায় মনে করিস। যদি কোনোদিন নিউমার্কেট যাস আমায় মনে করিস। যদি কোনোদিন রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে উঠিস গুনিগুনিয়ে আমায় মনে করিস। যদি কোনোদিন শহীদমিনারের মাথায় জমা মেঘ দেখিস আমায় মনে করিস।যদি কোনোদিন খারাপ সময়  আসে আমায় মনে করিস। আরো অনেক কিছু না বলা কথায় আমায় মনে করিস। আর হ্যাঁ, যদি কখনো মনে ভালবাসা আসে আমায় মনে করিস।


****


-বাবা কিছু দিয়ে যাবি বাবা??
অন্যদিন হলে হয়ত পাশ কাটিয়ে চলে যেতাম। কিন্তু আজ যাচ্ছি প্রথম ডেটিং এ। ছোটবেলায় স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেলে যেমন পথে কোন খারাপ কিছু ঘটতে দিতামনা, কলেজে প্রথম ডেটিং সেরকম। দিলাম ৫ টাকা। বুড়ি খেয়ে খুশী হোক।আমায় পুণ্য দিক।আজ যার সাথে ডেটিং এই মেয়েটি খুব ভাল।আগের বান্দরীটার মত  না। এখন নতুন একটা ছাগলের সাথে ঘুরছে। আমাকেও দেখ। বসে নেই রে।আমি আজ খুব খুশি। মাঝের কয়েকদিন দেবদাস না হয়ে আরো তাড়াতাড়ি যদি একে পেতাম তাহলে মাঝের কটা দিন শুধু শুধু  ওইভাবে... দাদারা ঠিকই বলত আরেকটা প্রেম করতে।থাক আজকের শুধু শুধু ওর কথা ভাববো না।হ্যাঁ ওইতো দাঁড়িয়ে আছে।
-কেমন আছো?
     জানতে চাইলাম।
-একি হাত ধরলে যে
-ও আসলে উত্তেজনায় সামলাতে পারিনি।চল আমরা হেঁটে কলেজ স্ট্রীট যাই।
-হেঁটে!!!  ট্যাক্সি কি দোষ করল??

ট্যাক্সি এল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ও এলিয়ে পড়ল আমার গায়ে। ওই পেঁচীটা এরকম ছিলনা। ও অন্য। অন্যরকম ছিল।একসাথে হেঁটে যেতে খুব পছন্দ করত।বলত হাঁটলে পায়ের সাথে সাথে মনও চলতে লাগে। প্রথম যেদিন দেখা করতে গেছিলাম আমার হাত ধরে বলেছিল - প্রেম করলে এভাবে হাত ধরতে হয়।নাহলে নাকি হাতের লেখা মেলেনা। হ্যাঁ ঠিক এখানেই তো ফুচকা খেয়েছিলাম। আমার মাথায় গাঁট্টা মেরে জীবনানন্দের কবিতা বুঝিয়েছিল। এইতো এই দোকানটা থেকে ওর প্রজেক্ট এর জিনিস কিনেছিলাম।আর কখনো ও ফিরবেনা। এক মিনিট, আমি কার সাথে হাঁটছি!!????

-কি হল, দাঁড়িয়ে গেলে যে???
-সরি, আমি দুকখিত ম্যাডাম, আমি এটা পারবনা। পারবনা।আমি এখনো তাকে ভালোবাসি।

"তবু বারবার তোকে ডাক দিই, একি উপহার, নাকি শাস্তি??"


****


আমি আর দেবারুণ একটা ছাতায় কোনরকমে মারামারি করে রাতের অন্ধকারে পূব দিকে রওনা দিচ্ছিলাম।অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল।হঠাৎ আমার হাতের আলো নিভে গেল।তারপর দেখলাম গ্রামবাংলার সেই মায়াবী পরিবেশ।আমি থ হয়ে দাড়িয়ে রইলাম। কোন নাইটক্লাবে এই মোহময় পরিবেশ পেতে পারেন।কিন্তু তাতে এই মুগ্ধতা থাকেনা।
"বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাইনা আর।"


****

Two types of happy idiots are there.
1. Would be husband
2. Would be doctor
What an idiot human being is.
Searching for a life partner in half of its life
& regret in another half for that partner.

***


No comments:

Post a Comment

পাঁচ মিনিট

"বিষ টা খাওয়ার আগে একবার আমাকে বলতো!! " কথাটা শেষ করতে না করতেই গলা ধরে এলো কিরণ এর। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এর বাইরে ...