সৃজিতের সংগে দেখা করতে এসেছে প্রমথেশ। নামটা শুনতে বড়। তাই তার ব্যান্ডের ফ্যানেরা তাকে ছোট করে প্রোমো বলে ডাকে। ব্যান্ডের লিড সিংগার।প্রচারের আলো যেরকম, সব দায়িত্বও তেমনি তার ঘাড়ে। ব্যান্ডের লাইফস্টাইল আর ভালো লাগছিলনা। প্লেব্যাক সিংগার হতে চায় সে। তাই সৃজিতের সংগে দেখা করতে আসা। সৃজিত তখন আউটডোর শুটিং এ ব্যস্ত। ব্যান্ডের অন্য মেম্বাররা শুটিং দেখতে গেল। হইচই ভালো লাগেনা তার। দূরে একটা বটগাছের তলায় পুকুরপারে বসল সে। অনেক্ষণ চুপচাপ বসে কি যেন ভাবছিল। হঠাৎ পাশে এসে কে দাঁড়ালো আর একটা অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ।
- বসতে পারি ?
ফিরে দেখল এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
- না তো বলতে পারিনা। এটা ওপেন প্লেস।
সে উত্তর দিল।
- মানে !!! নাহলে কি না বলতেন ?
- এখন তো বলছিনা। দাঁড়িয়ে না থেকে আপনি বসুন না !!
- ভেবেছিলাম একদম অভদ্র, সেরকম নয় তাহলে।
- যার কাছে ভদ্রতার সংজ্ঞা যেরকম।
- কিরকম ?
- ধরুন, একজন খুব গভীর কিছু ভাবছিল, আপনি তার কাছে গিয়ে বললেন - 'এক থা টাইগার' দেখতে যাবেন ? সে যদি তখন ভদ্র আচরণ করে সে তাহলে নিজের সংগে অভদ্রতা করবে।
- বুঝলাম, তো আপনি কি গভীর ভাবছিলেন শুনি ?
- এই যে ধরুন, এই পুকুরপাড় কি জানে, এর ধারে কাছে সৃজিত সাহেব শুটিং করছেন । জানলে এও নিশ্চয়ই শুটিং দেখতে যেত। (মেয়েটি হেসে উঠল)
না না হাসবেন না। কি ভয়ানক ব্যাপার বলুন তো, তখন আর এই পুকুরের জলে আকাশ দেখতে পেতাম না। রাতের বেলা হয়তো কোন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে চাঁদ হিসেবে কল্পনা করত, পুকুরে পড়া চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে, সেটাও হতনা। সে ফোন করে বলত তার প্রেমিকাকে, আজ আলু, টম্যাটো দেখেই তোমার কথা মনে করতে হল।
মেয়েটি খিল খিল করে হেসে উঠল।
- আপনি তো খুব রোমান্টিক মানুষ। কি করেন, কবিতা -টবিতা লেখেন নিশ্চয়ই।
- কি যে বলেন, আমি একজন মধ্যবিত্ত বাঙালি। আর
সব বাঙালি মা 'র পেট থেকে বেরিয়েই কবিতা লেখা শুরু করে।এভাবে লজ্জা দেবেন না।
- আরে না, সত্যি বলছি। আমি আপনার মত রোমান্টিক কথা কারো মুখে শুনিনি। শেক্সপিয়ারের ফ্যান বুঝি ?
- আজ্ঞে না। আমি একটি ব্যান্ডে গান গাইতাম।এখানে এসেছি সৃজিত সাহেবের কাছে কাজের খোঁজে। আমার বন্ধুরা গেছে শুটিং এর কাছে। আপনার পরিচয় জানা হলনা।
- আমি এই সিনেমার যে আজকের ক্যামেরাম্যান, তার ভাইঝি। শুটিং দেখতে এসেছিলাম। বাট্, খুব বোর হয়ে এদিকে এসেছি। এদিকটা ফাঁকা।
- কোথাও ফাঁকা নেই, এখানে এসেও দেখলেন একজন ভিখারি বসে আছে।
- ভিখারি !! আপনাকে দেখে তো শিক্ষিত মনে হয়। কোন কলেজ ?
- এন.আর.এস., ফাইনাল ইয়ার।
- ডাক্তার !
-দুর্ভাগ্যক্রমে !! আপনি ?
- আমি যাদবপুর ফিলোজফি সেকন্ড ইয়ার। ফিল্মের অফার পেয়েছি, বাট্ এখনই নামতে চাইনা।
এই সময় হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠল প্রমথেশের।
-সৃজিত সাহেবের শুটিং শেষের পথে, আমি তবে আসি।
- আপনি কিছু ভুলছেন না তো ? ( মুচকি হেসে মেয়েটি জানতে চাইল)
- পৃথিবীটা গোল, যদি আবার দেখা হওয়ার হয় নিশ্চয়ই হবে, নাম, ফোন নাম্বার না জানলেও চলবে।
এই বলে প্রমথেশ চলে গেল। মেয়েটি হাঁ করে রইল তার দিকে।এরকম ছেলে সে কখনো হয়তো দেখেনি।
তারপর মনে মনে ভাবল - ধুস্, পাগল একটা !!!
- বসতে পারি ?
ফিরে দেখল এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
- না তো বলতে পারিনা। এটা ওপেন প্লেস।
সে উত্তর দিল।
- মানে !!! নাহলে কি না বলতেন ?
- এখন তো বলছিনা। দাঁড়িয়ে না থেকে আপনি বসুন না !!
- ভেবেছিলাম একদম অভদ্র, সেরকম নয় তাহলে।
- যার কাছে ভদ্রতার সংজ্ঞা যেরকম।
- কিরকম ?
- ধরুন, একজন খুব গভীর কিছু ভাবছিল, আপনি তার কাছে গিয়ে বললেন - 'এক থা টাইগার' দেখতে যাবেন ? সে যদি তখন ভদ্র আচরণ করে সে তাহলে নিজের সংগে অভদ্রতা করবে।
- বুঝলাম, তো আপনি কি গভীর ভাবছিলেন শুনি ?
- এই যে ধরুন, এই পুকুরপাড় কি জানে, এর ধারে কাছে সৃজিত সাহেব শুটিং করছেন । জানলে এও নিশ্চয়ই শুটিং দেখতে যেত। (মেয়েটি হেসে উঠল)
না না হাসবেন না। কি ভয়ানক ব্যাপার বলুন তো, তখন আর এই পুকুরের জলে আকাশ দেখতে পেতাম না। রাতের বেলা হয়তো কোন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে চাঁদ হিসেবে কল্পনা করত, পুকুরে পড়া চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে, সেটাও হতনা। সে ফোন করে বলত তার প্রেমিকাকে, আজ আলু, টম্যাটো দেখেই তোমার কথা মনে করতে হল।
মেয়েটি খিল খিল করে হেসে উঠল।
- আপনি তো খুব রোমান্টিক মানুষ। কি করেন, কবিতা -টবিতা লেখেন নিশ্চয়ই।
- কি যে বলেন, আমি একজন মধ্যবিত্ত বাঙালি। আর
সব বাঙালি মা 'র পেট থেকে বেরিয়েই কবিতা লেখা শুরু করে।এভাবে লজ্জা দেবেন না।
- আরে না, সত্যি বলছি। আমি আপনার মত রোমান্টিক কথা কারো মুখে শুনিনি। শেক্সপিয়ারের ফ্যান বুঝি ?
- আজ্ঞে না। আমি একটি ব্যান্ডে গান গাইতাম।এখানে এসেছি সৃজিত সাহেবের কাছে কাজের খোঁজে। আমার বন্ধুরা গেছে শুটিং এর কাছে। আপনার পরিচয় জানা হলনা।
- আমি এই সিনেমার যে আজকের ক্যামেরাম্যান, তার ভাইঝি। শুটিং দেখতে এসেছিলাম। বাট্, খুব বোর হয়ে এদিকে এসেছি। এদিকটা ফাঁকা।
- কোথাও ফাঁকা নেই, এখানে এসেও দেখলেন একজন ভিখারি বসে আছে।
- ভিখারি !! আপনাকে দেখে তো শিক্ষিত মনে হয়। কোন কলেজ ?
- এন.আর.এস., ফাইনাল ইয়ার।
- ডাক্তার !
-দুর্ভাগ্যক্রমে !! আপনি ?
- আমি যাদবপুর ফিলোজফি সেকন্ড ইয়ার। ফিল্মের অফার পেয়েছি, বাট্ এখনই নামতে চাইনা।
এই সময় হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠল প্রমথেশের।
-সৃজিত সাহেবের শুটিং শেষের পথে, আমি তবে আসি।
- আপনি কিছু ভুলছেন না তো ? ( মুচকি হেসে মেয়েটি জানতে চাইল)
- পৃথিবীটা গোল, যদি আবার দেখা হওয়ার হয় নিশ্চয়ই হবে, নাম, ফোন নাম্বার না জানলেও চলবে।
এই বলে প্রমথেশ চলে গেল। মেয়েটি হাঁ করে রইল তার দিকে।এরকম ছেলে সে কখনো হয়তো দেখেনি।
তারপর মনে মনে ভাবল - ধুস্, পাগল একটা !!!
No comments:
Post a Comment