আরো কিছু ধুলোবালির মিছিল এসে যোগ দিল মেঘটাতে। বিদ্যুৎপূর্ণ স্লোগান মেঘে গর্জে উঠল প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে। আর নিয়ন্ত্রণ রইলনা। জলকণাগুলো সদলবলে আছড়ে পড়লো পলাশের বাড়ির কাছে। কারেন্ট নেই। অগত্যা গিয়ে জানালার কাছে বসল সে। এটাই সুবর্ণ সুযোগ মনকে আনাড়ি হতে দেওয়ার। বৃষ্টির কোয়ান্টামগুলো যেন ঝড়ের কাছে শক্তিসঞ্চয় করে নিজেদের মধ্যে পাঞ্জা লড়ছে।সামনে কাগজকুড়ানির ছেলেগুলো লাফালাফি করছে কাদায়। খুব লোভ হচ্ছে। দু:খ কি ওরা জানেনা। এদের জীবনটাই সংগ্রাম। তাই এদের আলাদা করে লড়তে হয়না। আচ্ছা পলাশ যদি আদিম মানুষ হত, এই ঝড়বাদলে সে কোথায় লুকাত?? তখন কারন্ট নেই, এই ইঁট-কাঠ-পাথরের ইমারত নেই। কোথায় লুকাত? মনে মনে আদিম মানুষকে প্রশ্ন জিগ্যেস করল সে।
'হ্যাঁগা, বৃষ্টি হলে তোমরা আশ্রয় কোথাও নাও? নারকেল গাছ নাকি বটগাছ? তোমরা ভিজে যাওনা? ভিজে গেলে তোমাদের সর্দি-জ্বর হয়না? '
আদিম মানুষ বলল - 'প্রকৃতি ঝড় দিয়েছে সেই বৃষ্টিতে দল বেঁধে নাচার জন্য, গাছের আড়ালে মুখ লুকিয়ে ঝড় থামার জন্য যারা অপেক্ষা করে, তাদের ঝড় কখনো থামেনা।'
অনেক্ষণ বসে ছিল এভাবে। শেষে গেট খুলে, এগোল ওদের কাছে। উল্লাস হলে মুখ থেকে যে শব্দ বেরোয় তারা শ্রেণীবিভাজন মানেনা। বর্ষা আজ তার প্রেমিকা। চরম আবেগে সে তার শরীরের প্রতিটা অংশে চুম্বন এঁকে দিচ্ছে। কতযুগ আলাদা থাকার পর বর্ষা আর আদিম পলাশের মিলন হল। সে অনুভব করছে তার ঠোঁটে যে বর্ষা আছড়ে পড়ল সেটা তার স্নায়ুকোষে একটা প্রবল তরঙ্গ তৈরি করল তারপর সে সোমাটোসেন্সরি এরিয়া-১ এ পৌঁছাল। এর পরেই সে ঢুকবে এরিয়া-২ এর ইন্টারভিউ বোর্ডে। সেখানে পাশ হলেই সে হিপ্পোক্যাম্পাসে স্থায়ী চাকুরী পাবে। পলাশ আর তার চোখ সেদিন বৃষ্টিতে ভেজেনি, মিশে গেছে।
'হ্যাঁগা, বৃষ্টি হলে তোমরা আশ্রয় কোথাও নাও? নারকেল গাছ নাকি বটগাছ? তোমরা ভিজে যাওনা? ভিজে গেলে তোমাদের সর্দি-জ্বর হয়না? '
আদিম মানুষ বলল - 'প্রকৃতি ঝড় দিয়েছে সেই বৃষ্টিতে দল বেঁধে নাচার জন্য, গাছের আড়ালে মুখ লুকিয়ে ঝড় থামার জন্য যারা অপেক্ষা করে, তাদের ঝড় কখনো থামেনা।'
অনেক্ষণ বসে ছিল এভাবে। শেষে গেট খুলে, এগোল ওদের কাছে। উল্লাস হলে মুখ থেকে যে শব্দ বেরোয় তারা শ্রেণীবিভাজন মানেনা। বর্ষা আজ তার প্রেমিকা। চরম আবেগে সে তার শরীরের প্রতিটা অংশে চুম্বন এঁকে দিচ্ছে। কতযুগ আলাদা থাকার পর বর্ষা আর আদিম পলাশের মিলন হল। সে অনুভব করছে তার ঠোঁটে যে বর্ষা আছড়ে পড়ল সেটা তার স্নায়ুকোষে একটা প্রবল তরঙ্গ তৈরি করল তারপর সে সোমাটোসেন্সরি এরিয়া-১ এ পৌঁছাল। এর পরেই সে ঢুকবে এরিয়া-২ এর ইন্টারভিউ বোর্ডে। সেখানে পাশ হলেই সে হিপ্পোক্যাম্পাসে স্থায়ী চাকুরী পাবে। পলাশ আর তার চোখ সেদিন বৃষ্টিতে ভেজেনি, মিশে গেছে।
No comments:
Post a Comment