নাহ্, এবার ঘর থেকে বেরোতেই হবে, বহুদিন বেরোনো হয়নি। সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে কবে থেকে একটা ঘরে বসে পড়ে চলেছে রবি। সবার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পাড়ার লোকে আড়ালে হাসাহাসি করে, এককালের সেরা ছাত্র এখন বাড়িতে হাঁস হয়ে বসে আছে। বলুক, একদিন সময় পাল্টাবে।তাদের কোম্পানির সবাই জানে কেন রবি চাকরি ছেড়েছিল। সেদিনটা এখনো মনে পড়ে রবির, অনেক-কিছু অনেকভাবে হতে পারতো হয়তো মেয়েটার সাথে, কিন্তু হয়নি। আর ওখানে মন টিকছিলনা। তাই Engineering এ নিজের লাইনের চাকরি পেয়েও ছেড়ে দিয়ে IAS পরীক্ষা দিচ্ছে।যদিও এটা প্রথম নয় রবির, তবুও মেনে নিতে মন চায়না।সে ভেবেছিল আর কাউকে সে ভালোবাসতে পারবেনা, তবুও এল। অনেক ভয়, অনেক সাবধানে এগিয়েছিল রবি। কিন্তু হঠাৎ করে সে যখন আলো দেখিয়ে চলে গেল, সেই অন্ধকার সে আর মেনে নিতে পারলনা। সাইকেলটা নিয়ে নদীর ধারে চলে এল। রোদটা এখনো পড়েনি। কিন্তু হাওয়াটা এত ভালো দিচ্ছিল যে দিব্বি রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়। কতদিন মদ খায়নি। একটু মদ হলে বেশ ভালো হত। তার বন্ধুর অভাব নেই। ইচ্ছে করে ফোন করে কিছু বন্ধু মিলে কাছেপিঠে কোথাও একটু যদি ঘুরে আসা যেত, মনটা অনেক হালকা হত। না, তার লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।সূর্যটা অনেকটাই তখন নিস্তেজ হয়ে এসেছিল। রবি সাইকেলটা ঘোরালো। আবার নতুন উদ্যমে শুরু করতে হবে পড়া।
"এই রাস্কেল ! "
একটু অন্যমনস্ক ছিল রবি, আর একটু হলে ধাক্কা লাগত গাড়িটার সাথে। দোষ তারই।সেই লক্ষ্য করেনি। আসলে এত সরু রাস্তায় সাধারণত চার চাকা খুব কম আসে। যাই হোক, সরি বলল রবি গাড়ির চালককে।
গাড়ির চালক তবুও থামল না। আরো কিছু সাধু শব্দ প্রয়োগ করতে যাচ্ছিল রবিকে লক্ষ্য করে, এমন সময় গাড়ির পাশের সিটে বসে থাকা একটা হাত পাশ থেকে তাকে থামালো। রবি চেয়ে দেখল।
না, না এ কি করে সম্ভব ?
তাকে দেখেই চোখ নামিয়ে নিল অমৃতা।
চালক আর কিছু না বলে গাড়ি চালিয়ে চলে গেল। আর হঠাৎ করে নিজেকে হারিয়ে ফেলল রবি। অমৃতা। সেই বৃষ্টিভেজা কোলকাতার রাস্তা। রাস্তা পেরোতে খুব ভয় পেত। বাজে বকতে খুব ভালোবাসত।রবি একসময়ের অক্সিজেন ছিল অমৃতার।তারপর.....
রবি দেখল সে নদীর পাড়ে কখন সন্ধ্যে নেমে এসেছে।
সবাই এক...সবাই... বিড়বিড় করতে করতে সাইকেলে উঠে বসল সে।।
"এই রাস্কেল ! "
একটু অন্যমনস্ক ছিল রবি, আর একটু হলে ধাক্কা লাগত গাড়িটার সাথে। দোষ তারই।সেই লক্ষ্য করেনি। আসলে এত সরু রাস্তায় সাধারণত চার চাকা খুব কম আসে। যাই হোক, সরি বলল রবি গাড়ির চালককে।
গাড়ির চালক তবুও থামল না। আরো কিছু সাধু শব্দ প্রয়োগ করতে যাচ্ছিল রবিকে লক্ষ্য করে, এমন সময় গাড়ির পাশের সিটে বসে থাকা একটা হাত পাশ থেকে তাকে থামালো। রবি চেয়ে দেখল।
না, না এ কি করে সম্ভব ?
তাকে দেখেই চোখ নামিয়ে নিল অমৃতা।
চালক আর কিছু না বলে গাড়ি চালিয়ে চলে গেল। আর হঠাৎ করে নিজেকে হারিয়ে ফেলল রবি। অমৃতা। সেই বৃষ্টিভেজা কোলকাতার রাস্তা। রাস্তা পেরোতে খুব ভয় পেত। বাজে বকতে খুব ভালোবাসত।রবি একসময়ের অক্সিজেন ছিল অমৃতার।তারপর.....
রবি দেখল সে নদীর পাড়ে কখন সন্ধ্যে নেমে এসেছে।
সবাই এক...সবাই... বিড়বিড় করতে করতে সাইকেলে উঠে বসল সে।।
No comments:
Post a Comment