Wednesday, November 20, 2019

বিপ্লব আসুক চৌকাঠ থেকে

নেতাজী কে নিয়ে লেখা পড়লে বা সিনেমা দেখলে কি আপনার রক্তনালী হোসপাইপ হয়ে যায়? রক্ত গরম হয়? গলার কাছে দলা পাকিয়ে ওঠে? বেশ ভালো | ওটা গ্লোবাস হিস্টেরিকাস। মূলত কম বয়সী মেয়েদের হয়। আপনার ও যখন দেশপ্রেম পায় তখনও নিশচয়ই সেটা হয়৷ না না আপনাকে ছোট করছিনা। আসলে বলতে চাইছি আবেগ কে প্রকৃত উপায়ে স্থির মস্তিষ্কে পরিচালিত করাটাই প্রকৃত শিক্ষা। ছোটবেলা কখনো ভেবেছেন নিজেকে দেশের কাজে উত্সর্গ করতে? খুব ভালো। সবাই ভাবেনা। বিপ্লব একটা পেয়ারা নয় যেটা নিজে থেকেই গাছে হবে আর নিজে থেকেই খসে আপনার মুখে পড়বে। বিপ্লবের জন্য স্বার্থত্যাগ করতে হয় মশাই। না আপনাকে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে নামতে বলছিনা৷ এন.জি.ও. খুলে নানা ইস্যুতে আন্দোলনে নামতে বলছিনা। না বলছি রাজনীতি তে নামতে৷ স্বপ্ন আমরা সবাই দেখি৷ তুমি বিপ্লবী হয় চেতনায়, নয় স্বপ্নে৷ সবাই আমরা বিপ্লব আনতে পারি। কোন দান খয়রাতি না করেও, কোনও রক্তক্ষয় না করে নিঃশব্দে। এখানে আপনার রক্ত লাগবে না৷ শুধু নিজের কাজের জায়গায় যতটা সম্ভব সিরিয়াসলি কাজ করুন নিজের কাজটা৷ নিজের বাড়িতে সময় দিন। নিজের ছেলে মেয়ের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করুন৷ সময়ে ট্যাক্স দিন৷ সঠিক ট্যাক্স দিন। আপনার ট্যাক্স এর টাকা কোন বেঘরের মাথায় ছাদ দিতে পারে, কোন বুভুক্ষু মানুষকে দু টাকা কিলো চাল দিতে পারে। আপনার সিনসিয়ারিটির জন্য ব্যাংকের কাজে পাঁচ মিনিট সময় একজনের কম খরচ হতে পারে। সেই সময়ে ওই লাইনে দাঁড়ানো কেউ এমন একটা গান লিখতে পারে যেটা পাঁচশ জন মানুষকে অন্ধকার সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি দেবে৷ ওভারটাইম করতে বলছিনা। জাস্ট নিজের কাজটুকু করে বাড়ি গিয়ে সময় দিতে বলছি৷ আপনার সময় দেওয়াতে আপনার বাড়িতে থাকা লোকজন সোশ্যাল প্রেসার মুক্ত হবে। তাদের প্রোডাক্টিভিটি আরো বাড়বে। তবে এর একটাই সাইড এফেক্ট, দান খয়রাতি, রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে যে হাততালি টা পাওয়া যায় সেনাপতির মত, আপনি এখানে একজন শুধু সাধারণ সৈনিক হবেন। আপনাকে গু-গুলে খুঁজলে পাওয়া যাবেনা। কারণ নিজের কাজ করার জন্য কেউ বাহবা পায়না৷ চলুন এক নিঃশব্দ গণ আন্দোলন গড়ে তুলি। যেখানে কেউ কাউকে আর ফ্রি সার্ভিস দিতে বলবেনা, বলবে নিজের সঠিক ইনকামের ট্যাক্স টুকু শুধু দিতে, আর নিজের ঘরে বাইরের ডিউটিটা ঠিক করে পালন করতে। সেই দেশ খুব দুর্ভাগা যেখানে মহাপুরুষ এর জন্ম দিতে লাগে, সেই দেশ খুব দুর্ভাগা যেখানে চ্যারিটি করতে লাগে ।।

No comments:

Post a Comment

পাঁচ মিনিট

"বিষ টা খাওয়ার আগে একবার আমাকে বলতো!! " কথাটা শেষ করতে না করতেই গলা ধরে এলো কিরণ এর। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এর বাইরে ...