হোস্টেলের ছাদে বসে কাঁদছিল একটা ছেলে। দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেলো অনিকেত। অনিকেত হোস্টেলের বোর্ডার- ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র । হোস্টেলের সবাই তাকে তার অন্যরকম স্বভাবের জন্য এক ডাকে চেনে।একটু কাছে গিয়ে দেখলো তাদেরই ফ্লোরের একজন জুনিয়র। জিজ্ঞেস করলো
- কি হল রে ?
- কে ও অনি দা। বসো।
- সে নাহয় বসলাম। কি হয়েছে কি ?
- কিছুনা।
- হার্ট কেস ?
- হুম্।
- কি ল্যাংগ খেলি ?
- না। তবে বেরিয়ে আসতে চাই।
- না পোষালে বেরিয়ে আয়। অসুবিধে কি আছে ?
জুনিয়রটি চুপ। অনিকেত এবার নরম হয়ে বললো -
'ওকে ভালোবাসতিস খুব। তাইতো ?'
জুনিয়র চুপ।
আরো নরম হয়ে বললো -
'ওকে ফিরে পেতে চাস আগের মত ?'
- না, আমি আর এসবে নেই। বড় ডাক্তার হব।
- আচ্ছা কি হয়েছে বল ?
- কি দরকার ছিল এইসব ডুয়াল গেম খেলার ? আমায় বলতো ডিরেক্টলি আমায় আর পোষাচ্ছেনা। আমি সরে আসতাম।
- ও প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। হয়, হয়।
- যেটুকু রেস্পেক্ট ছিল থাকতো। এদিকে সরে এলে আমাকেও ছাড়বেনা। ওদিকে রিজার্ভ বেঞ্চ ধরে রেখে আমায় ব্ল্যাকমেল করে যাবে।
- ঠিক আছে বেরিয়ে আয়। চুপচাপ।
- সেটা তো দিচ্ছেনা।ভাবছি ওপেন চার্জ করবো।
- কি দরকার। তুমি অধম তা বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন।
- ওসব নীতিকথা রাখো। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
কোনটা মানবো ?
- দেখ মোরালিটি তে যখন কনফ্লিক্ট হয়, তখন রিয়েলিটি কি বলে দেখ। ও কি জানে তুই সব ধরতে পেরেছিস ??
- না। তবে বুঝতে পারছি ও আমায় একদিকে প্যাম্পার করছে। দেখাচ্ছে ওর বাড়িই চায়না আমার সাথে রিলেশন থাক।আর আমায় ভুলভাল বলে অন্যদিকে টোপ ফেলছে। যুক্তি, প্রমাণ সব তাই বলে। রেস্ট্রিকশনেই সব সত্যি গুলো জলের মত পরিষ্কার হল।
- বেশ তো। এবার রিয়েলিটি দেখ। তোর কি কোন লাভ আছে ওকে চার্জ করে ? এনি মোরাল গেন ?
- না। তাহলে ও যদি চুপ করে যায় সরে আয়। যদি না করে চুপ করা।
- ও হয়তো ভালো জানো তো। কিন্তু ওর পরিস্থিতি...
- হতেই তো পারে দুজন ভালোমানুষ একসাথে থাকতে পারেনা। মেয়েদের তো কিছু করার নেই। ও ওর দিক থেকে ভাববে। কারণ তুই যদি দুম করে ছেড়ে যাস। মেয়েরা তো ওভাবে থাকতে পারেনা। সাপোর্ট দরকার। তোকে বেরোতে দিচ্ছেনা মানে তোর উপর ফিলিং আছে। কোথাও। বা যতক্ষণ না রিজার্ভ বেঞ্চ আসল টিমে জায়গা না পাচ্ছে তোকে খেলিয়ে যাবে। তোর পারফর্মেন্স ওদের বাড়ির, সময়ের জন্য উপযুক্ত নয়। এবার তুই ঠিক কর তোর কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ। কারো ভালোবাসা নাকি সত্যি ?
মুখে হাসি এল এবার জুনিয়রটির।
'সত্যি। ভালোবাসা তো অনেকেই দিতে চেয়েছে। কিন্তু সত্যিকারের মানুষের ভালোবাসা ভেবে এগিয়েছিলাম।তো সেখানে সেই জায়গাতেই যখন গলদ। তার ভালোবাসা সত্যি হোক বা মিথ্যে কোন প্রয়োজন নেই।'
- রাগ থেকে বলছিস না তো?
- না ওরা ভালো থাক।
- দ্যাটস্ মাই বয়। চলো আজ পার্টি হোক। গান - খাওয়া দাওয়া। নো মদ - গাঁজা।
- একদম, আজ আমি গান গাইবো।
- সে গাস। তবে 'প্রাক্তন' কে অন্যের হাত ধরে দেখলে কিছু হবেনা তো ?
- না। যেভাবে ভালোবাসতে জানি উজাড় করে, সেরকম দূরে সরাতেও জানি। মুছে ফেলতেও জানি। ওরা ভালো থাক।
- তোকে অপমান করবে কিন্তু দূরে সরাতে গেলে..
- যা অপমানিত হওয়ার হয়ে গিয়েছি অনি দা। নতুন করে আর কি ?
- আজ কি গান গাইবি -'সেই তো আবার কাছে এলে ?'
- না। 'হে নূতন।'
- কবি বলেছেন -
যদি বহুদিন পর
তোমার সংগে আবার দেখা হয়
নীল সমুদ্রের ধারে,
যদি সেদিনও জ্যোতস্না থাকে।
তুমি থাকো অনুরাগ নিয়ে নীল স্বপ্নের ঘোরে,
তোমায় আবার চাইবো আমি উষ্ণ নি:শ্বাসে।
চাইবিনা তো ?
- না, এবার শুধু যুদ্ধ। আর যুদ্ধ। তোমারি লেখা আরেকটা কবিতা বলি তবে -
- কি হল রে ?
- কে ও অনি দা। বসো।
- সে নাহয় বসলাম। কি হয়েছে কি ?
- কিছুনা।
- হার্ট কেস ?
- হুম্।
- কি ল্যাংগ খেলি ?
- না। তবে বেরিয়ে আসতে চাই।
- না পোষালে বেরিয়ে আয়। অসুবিধে কি আছে ?
জুনিয়রটি চুপ। অনিকেত এবার নরম হয়ে বললো -
'ওকে ভালোবাসতিস খুব। তাইতো ?'
জুনিয়র চুপ।
আরো নরম হয়ে বললো -
'ওকে ফিরে পেতে চাস আগের মত ?'
- না, আমি আর এসবে নেই। বড় ডাক্তার হব।
- আচ্ছা কি হয়েছে বল ?
- কি দরকার ছিল এইসব ডুয়াল গেম খেলার ? আমায় বলতো ডিরেক্টলি আমায় আর পোষাচ্ছেনা। আমি সরে আসতাম।
- ও প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। হয়, হয়।
- যেটুকু রেস্পেক্ট ছিল থাকতো। এদিকে সরে এলে আমাকেও ছাড়বেনা। ওদিকে রিজার্ভ বেঞ্চ ধরে রেখে আমায় ব্ল্যাকমেল করে যাবে।
- ঠিক আছে বেরিয়ে আয়। চুপচাপ।
- সেটা তো দিচ্ছেনা।ভাবছি ওপেন চার্জ করবো।
- কি দরকার। তুমি অধম তা বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন।
- ওসব নীতিকথা রাখো। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
কোনটা মানবো ?
- দেখ মোরালিটি তে যখন কনফ্লিক্ট হয়, তখন রিয়েলিটি কি বলে দেখ। ও কি জানে তুই সব ধরতে পেরেছিস ??
- না। তবে বুঝতে পারছি ও আমায় একদিকে প্যাম্পার করছে। দেখাচ্ছে ওর বাড়িই চায়না আমার সাথে রিলেশন থাক।আর আমায় ভুলভাল বলে অন্যদিকে টোপ ফেলছে। যুক্তি, প্রমাণ সব তাই বলে। রেস্ট্রিকশনেই সব সত্যি গুলো জলের মত পরিষ্কার হল।
- বেশ তো। এবার রিয়েলিটি দেখ। তোর কি কোন লাভ আছে ওকে চার্জ করে ? এনি মোরাল গেন ?
- না। তাহলে ও যদি চুপ করে যায় সরে আয়। যদি না করে চুপ করা।
- ও হয়তো ভালো জানো তো। কিন্তু ওর পরিস্থিতি...
- হতেই তো পারে দুজন ভালোমানুষ একসাথে থাকতে পারেনা। মেয়েদের তো কিছু করার নেই। ও ওর দিক থেকে ভাববে। কারণ তুই যদি দুম করে ছেড়ে যাস। মেয়েরা তো ওভাবে থাকতে পারেনা। সাপোর্ট দরকার। তোকে বেরোতে দিচ্ছেনা মানে তোর উপর ফিলিং আছে। কোথাও। বা যতক্ষণ না রিজার্ভ বেঞ্চ আসল টিমে জায়গা না পাচ্ছে তোকে খেলিয়ে যাবে। তোর পারফর্মেন্স ওদের বাড়ির, সময়ের জন্য উপযুক্ত নয়। এবার তুই ঠিক কর তোর কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ। কারো ভালোবাসা নাকি সত্যি ?
মুখে হাসি এল এবার জুনিয়রটির।
'সত্যি। ভালোবাসা তো অনেকেই দিতে চেয়েছে। কিন্তু সত্যিকারের মানুষের ভালোবাসা ভেবে এগিয়েছিলাম।তো সেখানে সেই জায়গাতেই যখন গলদ। তার ভালোবাসা সত্যি হোক বা মিথ্যে কোন প্রয়োজন নেই।'
- রাগ থেকে বলছিস না তো?
- না ওরা ভালো থাক।
- দ্যাটস্ মাই বয়। চলো আজ পার্টি হোক। গান - খাওয়া দাওয়া। নো মদ - গাঁজা।
- একদম, আজ আমি গান গাইবো।
- সে গাস। তবে 'প্রাক্তন' কে অন্যের হাত ধরে দেখলে কিছু হবেনা তো ?
- না। যেভাবে ভালোবাসতে জানি উজাড় করে, সেরকম দূরে সরাতেও জানি। মুছে ফেলতেও জানি। ওরা ভালো থাক।
- তোকে অপমান করবে কিন্তু দূরে সরাতে গেলে..
- যা অপমানিত হওয়ার হয়ে গিয়েছি অনি দা। নতুন করে আর কি ?
- আজ কি গান গাইবি -'সেই তো আবার কাছে এলে ?'
- না। 'হে নূতন।'
- কবি বলেছেন -
যদি বহুদিন পর
তোমার সংগে আবার দেখা হয়
নীল সমুদ্রের ধারে,
যদি সেদিনও জ্যোতস্না থাকে।
তুমি থাকো অনুরাগ নিয়ে নীল স্বপ্নের ঘোরে,
তোমায় আবার চাইবো আমি উষ্ণ নি:শ্বাসে।
চাইবিনা তো ?
- না, এবার শুধু যুদ্ধ। আর যুদ্ধ। তোমারি লেখা আরেকটা কবিতা বলি তবে -
তুমি সুন্দর, আমি সজীব ...তুমি বদ্ধ , আমি মুক্ত ..
তোমার ব্যারিকেড এ আমি চুম্বন এঁকে যাই।
তুমি সফল, আমি শিল্পী ... তুমি নিয়ম, আমি দর্শন ...
তোমার বাস্তব কে আমি সেলাম জানাই।
তোমার ব্যারিকেড এ আমি চুম্বন এঁকে যাই।
তুমি সফল, আমি শিল্পী ... তুমি নিয়ম, আমি দর্শন ...
তোমার বাস্তব কে আমি সেলাম জানাই।
No comments:
Post a Comment