বাঙালিরা ঠিক কতটা ফাঁপা হয়? না, আমি অবশ্যই সব বাঙালিদের কথা বলছিনা। আমি বলবো বেশিরভাগ বাঙালিদের কথা। একটা ঘটনা দিয়ে লেখাটা আরম্ভ করি। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে। এর আগে স্কুলে পড়াশোনা বাদ দিয়ে কোন বিষয়ে আমি পুরস্কার কখনো পাইনি। এমনকি আমি যে প্রাইমারি স্কুলে পড়েছি সেখানে একজন দিদিমণি আমাকে থাপ্পড় মেরে বলেছিল - তোর মত ক্যালাসের দ্বারা আর যাই হোক আঁকা হবেনা।
বাংলা তে আমি নামে মাত্র নাম্বার পেতাম। আমি ক্লাস সিক্স থেকে লেখা-লিখি করি। মানছি সেগুলো ভালো লেখা নয়৷ কিন্তু লিখতাম। কেউ সেগুলো কোন পত্রিকা তেও ছাপেনি কোনদিন৷ স্কুলের পত্রিকাতে আমার জায়গা হয়নি৷ আমি কোন বিতর্ক সভাতে অংশগ্রহণ করিনি৷ কারণ আমার মনে হত ওখানে বিচার হবেনা। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় চুপচাপ লিখে আসতাম। কোনদিন সান্ত্বনা পুরস্কার জোটেনি। প্রসংগত, আমি স্কুলের কোন শিক্ষক মহাশয়ের কাছে কখনো টিউশন পড়িনি৷ এরপর জীবনে একটি ঘটনা ঘটল। নরেন্দ্রপুরে একটি ইন্টারস্কুল প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পেয়ে গেলাম। তারপর থেকে প্রতিবছর পত্রিকায় আমার লেখা ছাপানো হল। আমি না চাইলেও যেচে লেখা নিয়ে যায় পত্রিকার সম্পাদক। দেবোনা বললে স্যারদের দিয়ে লেখা চাওয়ায়। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতাতে পরপর দু বছর পুরস্কার। তারপর প্রতিযোগিতার নিরপেক্ষতা নিয়ে ভেবে আমিই আর অংশগ্রহণ করিনি। বাংলা তে আগের থেকে নাম্বার বাড়লো৷ কিন্তু সর্বোচ্চ নাম্বার পেলাম না। সর্বোচ্চ পেলাম মাধ্যমিকে। তারপর এগারো বারো তে পরীক্ষায় আংবাং হাবিজাবি যাই লিখেছি আমার বাংলার নাম্বার সবচেয়ে বেশি এসেছে৷ আরো অনেক কিছুই লেখা যায়, তবে এই লেখার উদ্দেশ্য কোন বিশেষ স্কুল বা কোন বিশেষ শিক্ষক মহাশয় নয়। যেখানে গোটা জাত একই রোগে আক্রান্ত সেখানে আমি এত নরম জায়গা নিয়ে সমালোচনায় নিজেকে আবদ্ধ রাখতে যাবো কেন? আমি সেই সব বাঙালি জাতির বিজ্ঞ আঁতেল দের ঢ্যামনামি নিয়ে লিখছি৷ গোটা জাতটা কত প্রতিভাকে উঠতে দেয়নি৷ সে বিজ্ঞানের সুভাষ মুখার্জি থেকে শুরু করে আর্টের ঋত্বিক ঘটক। তোমরা কয়েকটা বই মুখস্ত করে নিজেদের বিশাল বিজ্ঞ আর আঁতেল ভেবে ফেলো। এখন তো বই পড়তেও লাগেনা, গুগুল বাবা আছে। করেছোটা কি? নিজের জাতকে নিজে ভাতে মেরেছো । পাশের বাড়ির কেউ ভালো কিছু করলে আড়ালে তাকে নিয়ে সমালোচনা করেছো। তার চরিত্র খারাপ, তার প্যান্ট ছোট ইত্যাদি ইত্যাদি। একজন আর্টিস্ট উঠতে চাইলে এমন ভাব দেখিয়েছো তোমার এত সময় নেই তার আর্ট বোঝার, তুমি রোজ পায়খানা করে পিকাসোর ছবি দিয়ে পেছন মোছো। ভ্যান ঘঘ তোমার বাগানে আম চুরি করতে এসে মাঝে মাঝেই কানমলা খায়। আর তুমি শুনবে আমার কাজ। আমার কি যোগ্যতা আছে তোমার মত গুরুদেবের এক্সটার্ণাল ইয়ার ক্যানালের ইয়ার ওয়াক্সে গিয়ে সুড়সুড়ি দেওয়ার। দিনের শেষে তো সেই রঙীন ছবি দেখে আত্মনির্ভর হও। তোমার দৌড় জানা আছে। পনের আগস্টে বুক ফুলিয়ে জয় হিন্দ আর বাকি দিনে গান্ধীজীর ছবি টাঙিয়ে টেবিলের তলায় হাত।
আজ মনটা প্রচন্ড ভারী। তাই এসব কথা লিখতে বাধ্য হলাম। আমি একটা গিটারে গান করলে বলবে পূর্ণ এরেঞ্জমেন্ট দরকার, গিটারের টুংটাং এ ঠিক জমছে না । পূর্ণ এরেঞ্জমেন্টে করলে বলবে এত যন্ত্রের আওয়াজে কিছু শুনতে পেলাম না। এই করলে বলবে ওই, ওই করলে বলবে এই। তুমি একটি ঘৃণাপূর্ণ প্রজাতির ড্রেনের জলের কীট যারা কাঠিবাজি করে বেড়াতে ভালোবাসে। তোমাদেরকে সেই ছোট থেকে কোনদিন পাত্তা দিইনি৷ আজো দিইনা। আমি যাই কাজ করি, সেটা আমার কাজ। শুনতে ইচ্ছে হলে শোনো। নাহলে শুনোনা। পড়তে ইচ্ছে হলে পড়, নাহলে পড়তে হবে না। মিটে গেল। আমার কাজ ভালো না লেগেও যদি তুমি যেচে এসে কাঠি করতে থাকো, তার মানে তোমাকে আমি কাঠি পোকা ফ্যান হিসেবে ধরে নেবো। বাকিদের আমি সম্মান করি।যারা সত্যি নিজেরাও গুণী আর আমার ভুল ধরিয়ে আমাকে আরো ভালো কাজে উত্সাহ দিয়ে চলেছে। যারা আমাকে ভালোবেসে আরো কাজ করতে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে। আসলে এখনো কিছু সত্যিকারের মানুষ আছে, যাদের জন্য এই কাঠিপোকারা পরজীবী হিসেবে টিকে থাকার জন্য একটা চায়ের দোকান, একটা সমাজ আস্ত পাচ্ছে।
*****
আমি যে আমার মনের কথা বলবো কা'রে,
বুঝবে আমায় কোন্ জন?
সব জায়গায় ঠোকর খেয়ে, ক্লান্ত এই মন।
তেমন করে বুঝবে, শুনবে আমায় কোন্ জন?
সবাই যে যার ধান্দা শেষে,
ছুঁড়বে ফেলে তোমায়,
তুমি তখন আপন দেশে,
যাবে অকুল স্রোতে ভেসে,
হয়তো কারো অপেক্ষায়।
কেউ নয় ভাই আপন মোদের,
আমরা ভাবের পাগল,
ভাবের সাগরে ডুব দিয়ে ভাই,
দিন হয়ে এল শেষ।
সময়ে কেউ কাছেতে আসে,
আঁকড়ে ধরি তারে,
দিনের শেষে,
কাজ ফুরালে -
বদল করে বেশ।
দরকারে সব ভক্ত তোমার,
যেদিন পাবে আঘাত কারো কাছে,
কেউ রবে না, বন্ধু তোমার -
যদি না থাকে স্বার্থ তাহার -
তোমার আশে পাশে।
কেউ শোনেনা আমার গান,
কেউ বোঝেনা আমার লেখা,
জ্ঞান দেওয়াতে কিন্তু আগে,
মেসেজে তে কলম জাগে।
যদি তোমার যায় না আসে,
কেন তবে জ্ঞানের বহর?
পেলেই বড় পুরস্কার,
তোমার কাছে আমি তখন হয়ে যাবো মহান।
তোমার জীবনে যেটুকু অবদান,
দুটো ছেলে আর একটা মেয়ে,
আমার ছবি দেওয়ালে টাঙিয়ে,
ফুলের মালা দিয়ে করবে কীর্তন।
যার বাবা দিত গালি,
পুরস্কারের পরে ছেলে,
বলবে আমার, অনেক বড় মন।
ভাবনার আগ্নেয়গিরি ভেতরে ফোঁপায়
কান্না হয়ে,
কেউ শোনেনা,
কেউ বোঝেনা -
কি বেদনা।
আমি শুধু নিজের দেশে -
নিজের কাছে ফাটতে থাকি।।
*****
বাংলা তে আমি নামে মাত্র নাম্বার পেতাম। আমি ক্লাস সিক্স থেকে লেখা-লিখি করি। মানছি সেগুলো ভালো লেখা নয়৷ কিন্তু লিখতাম। কেউ সেগুলো কোন পত্রিকা তেও ছাপেনি কোনদিন৷ স্কুলের পত্রিকাতে আমার জায়গা হয়নি৷ আমি কোন বিতর্ক সভাতে অংশগ্রহণ করিনি৷ কারণ আমার মনে হত ওখানে বিচার হবেনা। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় চুপচাপ লিখে আসতাম। কোনদিন সান্ত্বনা পুরস্কার জোটেনি। প্রসংগত, আমি স্কুলের কোন শিক্ষক মহাশয়ের কাছে কখনো টিউশন পড়িনি৷ এরপর জীবনে একটি ঘটনা ঘটল। নরেন্দ্রপুরে একটি ইন্টারস্কুল প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পেয়ে গেলাম। তারপর থেকে প্রতিবছর পত্রিকায় আমার লেখা ছাপানো হল। আমি না চাইলেও যেচে লেখা নিয়ে যায় পত্রিকার সম্পাদক। দেবোনা বললে স্যারদের দিয়ে লেখা চাওয়ায়। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতাতে পরপর দু বছর পুরস্কার। তারপর প্রতিযোগিতার নিরপেক্ষতা নিয়ে ভেবে আমিই আর অংশগ্রহণ করিনি। বাংলা তে আগের থেকে নাম্বার বাড়লো৷ কিন্তু সর্বোচ্চ নাম্বার পেলাম না। সর্বোচ্চ পেলাম মাধ্যমিকে। তারপর এগারো বারো তে পরীক্ষায় আংবাং হাবিজাবি যাই লিখেছি আমার বাংলার নাম্বার সবচেয়ে বেশি এসেছে৷ আরো অনেক কিছুই লেখা যায়, তবে এই লেখার উদ্দেশ্য কোন বিশেষ স্কুল বা কোন বিশেষ শিক্ষক মহাশয় নয়। যেখানে গোটা জাত একই রোগে আক্রান্ত সেখানে আমি এত নরম জায়গা নিয়ে সমালোচনায় নিজেকে আবদ্ধ রাখতে যাবো কেন? আমি সেই সব বাঙালি জাতির বিজ্ঞ আঁতেল দের ঢ্যামনামি নিয়ে লিখছি৷ গোটা জাতটা কত প্রতিভাকে উঠতে দেয়নি৷ সে বিজ্ঞানের সুভাষ মুখার্জি থেকে শুরু করে আর্টের ঋত্বিক ঘটক। তোমরা কয়েকটা বই মুখস্ত করে নিজেদের বিশাল বিজ্ঞ আর আঁতেল ভেবে ফেলো। এখন তো বই পড়তেও লাগেনা, গুগুল বাবা আছে। করেছোটা কি? নিজের জাতকে নিজে ভাতে মেরেছো । পাশের বাড়ির কেউ ভালো কিছু করলে আড়ালে তাকে নিয়ে সমালোচনা করেছো। তার চরিত্র খারাপ, তার প্যান্ট ছোট ইত্যাদি ইত্যাদি। একজন আর্টিস্ট উঠতে চাইলে এমন ভাব দেখিয়েছো তোমার এত সময় নেই তার আর্ট বোঝার, তুমি রোজ পায়খানা করে পিকাসোর ছবি দিয়ে পেছন মোছো। ভ্যান ঘঘ তোমার বাগানে আম চুরি করতে এসে মাঝে মাঝেই কানমলা খায়। আর তুমি শুনবে আমার কাজ। আমার কি যোগ্যতা আছে তোমার মত গুরুদেবের এক্সটার্ণাল ইয়ার ক্যানালের ইয়ার ওয়াক্সে গিয়ে সুড়সুড়ি দেওয়ার। দিনের শেষে তো সেই রঙীন ছবি দেখে আত্মনির্ভর হও। তোমার দৌড় জানা আছে। পনের আগস্টে বুক ফুলিয়ে জয় হিন্দ আর বাকি দিনে গান্ধীজীর ছবি টাঙিয়ে টেবিলের তলায় হাত।
আজ মনটা প্রচন্ড ভারী। তাই এসব কথা লিখতে বাধ্য হলাম। আমি একটা গিটারে গান করলে বলবে পূর্ণ এরেঞ্জমেন্ট দরকার, গিটারের টুংটাং এ ঠিক জমছে না । পূর্ণ এরেঞ্জমেন্টে করলে বলবে এত যন্ত্রের আওয়াজে কিছু শুনতে পেলাম না। এই করলে বলবে ওই, ওই করলে বলবে এই। তুমি একটি ঘৃণাপূর্ণ প্রজাতির ড্রেনের জলের কীট যারা কাঠিবাজি করে বেড়াতে ভালোবাসে। তোমাদেরকে সেই ছোট থেকে কোনদিন পাত্তা দিইনি৷ আজো দিইনা। আমি যাই কাজ করি, সেটা আমার কাজ। শুনতে ইচ্ছে হলে শোনো। নাহলে শুনোনা। পড়তে ইচ্ছে হলে পড়, নাহলে পড়তে হবে না। মিটে গেল। আমার কাজ ভালো না লেগেও যদি তুমি যেচে এসে কাঠি করতে থাকো, তার মানে তোমাকে আমি কাঠি পোকা ফ্যান হিসেবে ধরে নেবো। বাকিদের আমি সম্মান করি।যারা সত্যি নিজেরাও গুণী আর আমার ভুল ধরিয়ে আমাকে আরো ভালো কাজে উত্সাহ দিয়ে চলেছে। যারা আমাকে ভালোবেসে আরো কাজ করতে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে। আসলে এখনো কিছু সত্যিকারের মানুষ আছে, যাদের জন্য এই কাঠিপোকারা পরজীবী হিসেবে টিকে থাকার জন্য একটা চায়ের দোকান, একটা সমাজ আস্ত পাচ্ছে।
*****
আমি যে আমার মনের কথা বলবো কা'রে,
বুঝবে আমায় কোন্ জন?
সব জায়গায় ঠোকর খেয়ে, ক্লান্ত এই মন।
তেমন করে বুঝবে, শুনবে আমায় কোন্ জন?
সবাই যে যার ধান্দা শেষে,
ছুঁড়বে ফেলে তোমায়,
তুমি তখন আপন দেশে,
যাবে অকুল স্রোতে ভেসে,
হয়তো কারো অপেক্ষায়।
কেউ নয় ভাই আপন মোদের,
আমরা ভাবের পাগল,
ভাবের সাগরে ডুব দিয়ে ভাই,
দিন হয়ে এল শেষ।
সময়ে কেউ কাছেতে আসে,
আঁকড়ে ধরি তারে,
দিনের শেষে,
কাজ ফুরালে -
বদল করে বেশ।
দরকারে সব ভক্ত তোমার,
যেদিন পাবে আঘাত কারো কাছে,
কেউ রবে না, বন্ধু তোমার -
যদি না থাকে স্বার্থ তাহার -
তোমার আশে পাশে।
কেউ শোনেনা আমার গান,
কেউ বোঝেনা আমার লেখা,
জ্ঞান দেওয়াতে কিন্তু আগে,
মেসেজে তে কলম জাগে।
যদি তোমার যায় না আসে,
কেন তবে জ্ঞানের বহর?
পেলেই বড় পুরস্কার,
তোমার কাছে আমি তখন হয়ে যাবো মহান।
তোমার জীবনে যেটুকু অবদান,
দুটো ছেলে আর একটা মেয়ে,
আমার ছবি দেওয়ালে টাঙিয়ে,
ফুলের মালা দিয়ে করবে কীর্তন।
যার বাবা দিত গালি,
পুরস্কারের পরে ছেলে,
বলবে আমার, অনেক বড় মন।
ভাবনার আগ্নেয়গিরি ভেতরে ফোঁপায়
কান্না হয়ে,
কেউ শোনেনা,
কেউ বোঝেনা -
কি বেদনা।
আমি শুধু নিজের দেশে -
নিজের কাছে ফাটতে থাকি।।
*****