ভগার নাম কি শুরু থেকেই ভগা ছিল? কখনোই না। ওর নাম আমাদের মধ্যে সব থেকে ভালো। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে ওকে ওরকম একটা নাম পেতে হয়েছে। গল্পটা বলি তাহলে। MBBS এর একদম শুরুর দিকে এনাটমি প্র্যাক্টিকাল ক্লাস চলছে। হঠাৎ স্যার দেখতে পেলেন আমার দিকে তাকিয়ে একজন মুখ ভেঙাচ্ছে।
স্যার ডাকলেন - হেই ইউ, তোমার নাম কি?
ছেলেটি উঠে দাঁড়িয়ে বললো - স্যার, অংকুর।
তুমি এদিকে এসো ৷ বলে অংকুরকে একটা ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম ধরিয়ে দিয়ে বললেন - তোমাকে আমি কঠিন প্রশ্ন করবোনা। তুমি এটা ধরে বিভিন্ন অংশের নাম বলো।
অংকুর সবই ঠিক ঠাক বললো, শুধু ক্লাইটোরিস এ আংগুল দেখিয়ে বললো - স্যার এর বাংলা টা মনে আছে। ইংরেজিটা মনে নেই। আসলে বাংলা মিডিয়াম তো।
স্যার বললেন - বেশ বলো।
অঙ্কুর বললো - ভগাঙ্কুর।
ব্যাস্ ক্লাসে সেই যে হাসির রোল উঠেছিল সেই থেকে অংকুর কে দেখলেই সবার ভগাঙ্কুরের কথা মনে পড়ে৷ সেখান থেকে ছোট হতে হতে ভগা। বাকিদের নীলাদ্রি থেকে নীল, বিশ্বজিৎ থেকে বিশু, শিলাদিত্য থেকে শীলু আর আমার ধর্মদাস থেকে ধীরু। শিবেনের আসল নামটা কি মনে নেই। আমি ছিলাম বাংলার বদ। শিবেন বং এর ব্যাড। ভগার ছিল সং সাজার শখ। নীলের চং আর বিশুর ল্যাদ৷ এই নিয়ে ছিলো আমাদের জীবন। আমরা স্বপ্ন দেখতাম সমাজ থেকে wedding ceremony র ধারণা বদলে weeding ceremony হবে একদিন। তো যাই হোক্। বিশু সেদিন দীঘার সমুদ্রের ধারে যে গল্পটা বললো সেটা হলো বিশু একবার ভগার বাড়ি গিয়েছিলো। ভগার পাশের বাড়ির মেয়েটাকে দেখে ওর মনে প্রেম জেগেছে৷ মেয়েটার নাম সায়নী৷ ঘটনাচক্রে ও ভগার বন্ধু৷ কথাটা ওর ভগাকে বলার সাহস নেই। তাই আমায় বলছে। আমি ওখান থেকে ফিরে ভগাকে বললাম৷ ভগা রেগে তো গেলোই না বরং আমার কানে কানে বললো - ভাই চলো, হস্টেল ফিরে মস্তি হবে।
ভগা বিশু কে বললো - কোন চাপ নেই ভাই। তোদের দেখা করানোর দায়িত্ব আমার। ও আমার বন্ধুই হয়।
কয়েকদিন পরে ক্লাস বাংক করে মানি স্কোয়ার মলে আমাকে ধরে নিয়ে গেল ভগা, অবশ্যই সাথে বিশু আছে। আর ওদিক থেকে দেখা করতে আসছে মেয়েটি। মেয়েটি প্রেসিডেন্সির ছাত্রী। ওকে ভগা বলেছে - এমনি তিনজন গল্প করবো।
বিশু খাওয়াবে।
তিনজন মানে আমার তখনও যাওয়ার প্ল্যান ছিলনা। শেষ মুহূর্তে ভগা আর বিশু আমাকে অনেক জোর টোর করে নিয়ে গেল। প্রথম দৃশ্য আমরা ফুড কোর্টে অপেক্ষা করছি। সায়নী এসে সবার সাথে হ্যান্ড শেক করলো। পরিচয় হল। ও তিনটেই চকলেট কিনেছিল। আমি বাড়তি। বললো ভাগ করে খেয়ে নিতে। সায়নীর হাত থেকে যখন চকোলেট টা নিল বিশু দেখি পাথরের মূর্তি হয়ে গেছে। চোখ দুটো স্থির। পিউপিল ডাইলেটেড। বুঝলাম ওর মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে। আমরা কেএফসি তে খাবো বলে কেএফসি র সামনে বসলাম। বিশু দেখি তখনো সায়নীর দিকেই তাকিয়ে আছে। আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বললাম - ঠিক আছে, তোরা কথা বল্। আমি কেএফসি তে অর্ডার দিয়ে নিয়ে আসি।
বলে উঠতে যাবো, বিশু বললো - নো, ম্যান্। আজ আমার ট্রিট। আমি যাচ্ছি।
ভগা আমার কানে কানে বললো, এই ছেলের কিছু হবে তোর মনে হয়?
আমরা গল্প করছিলাম খেতে খেতে। বিশু হাঁ করে তাকিয়ে ছিল।
খেয়ে দেয়ে উঠে সায়নী বললো একটা জামাকাপড়ের সেকশনে ঢুকবে। সায়নীর পেছনে সবসময় বিশু হাঁটছিল। সায়নী যখন ওকে বলছে - এই তুই সামনে হাঁট।
ও আরো নার্ভাস হয়ে যাচ্ছে। আর ভগা ওকে বলছে- যা ওর সাথে আঁঠার মতো সেঁটে থাক্। নাহলে হবে কি করে৷
বিশু আবার চলে যাচ্ছে। এমন অবস্থা সায়নী জামাকাপড়ের লেডিজ সেকশনে ঢুকে অন্তর্বাস দেখছিল। তাকিয়ে দেখে বিশু হাঁ করে তাকিয়ে।
আবার ওকে তাড়িয়ে দিল। শেষে বিশু বেরিয়ে আসার সময় নার্ভাস হয়ে সিঁড়িতে স্লিপ খাচ্ছিলো। ভগা ওকে বললো - যা সায়নীর নাম্বার চা।
বিশু ও হ্যাঁ বলে নাম্বার চেয়ে আনলো।
সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে ফিরেই প্রোপোজ। প্রোপোজ মানে কি একদম কাঁচা পনীরের মত ভাষা। আমি তোমায় ছাড়া বাঁঁচবোনা।
যা হয়। ব্লক। আমি আমার নাম্বার থেকে একবার বোঝাতে গেলাম। আমাকেও ব্লক করে দিল। আমি বিশুকে বুদ্ধি দিলাম - ভাই তুই বেলুনে সরি লিখে প্রেসিডেন্সির সামনে দাঁড়িয়ে থাক।
প্রসংগত বলে রাখি, আমি কিন্তু তখন এতটা ঢ্যামনা ছিলাম না। আমি সত্যিই ভেবেছিলাম জীবনটা বাংলা সিনেমার মত কিছুটা তো বটেই।
বিশু একটা কাগজে লিখে নিয়ে চলে ও গেছিল। প্রেসির সামনে প্রায় এক সপ্তাহ এরকম দাঁড়িয়ে থাকা ওর রুটিন ছিল। শুধু কাগজটা বের করেনি। করলেই মার টা খেত।
ভগার দৌলতে বিশুর জীবন টা ভগ্ন অংকুরের মত হয়ে গেছিল। যাই হোক্, এই সময়ে গালাগাল ছাড়া এমনি ডাকতাম না। কোথাও গাল দিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করতাম। যত রকমের বাজে কাজের বুদ্ধি আসতো আমার আর শিবেণের মাথায়। একদিন ঠিক করেছিলাম ফার্মার হেড ম্যাডামের ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসে তাস খেলবো। কারণ ক্লাস তো চরম বোরিং। আমরাই হয়তো বোকা ছেলে। বুঝতে পারিনা। বাকিরা চালাক ক্লাসে বসে ঘাড় নাড়ে। যাই হোক আমরা যে শেষ বেঞ্চে বসে কিছু একটা কুকর্ম করছি, ম্যাডাম সেটা বুঝতে পেরে ক্লাসের মাঝে পাঁচজনকে দাঁড় করিয়ে দুজনকে বের করে দিলেন। আর আমি, ভগা আর শিবেণ কে ক্লাসের তিন প্রান্তে বসিয়ে দিলেন। খোলা দরজা দিয়ে দেখছিলাম বাইরে বেরিয়ে বিশু আর নীল লাফাচ্ছে। আমাদের দিকে তাকিয়ে অংগভংগি করছে। যেন কৃতিত্বটা তাদেরই। এরকমই একবার আমার পাশে শিবেণ বসে। ফরেন্সিক মেডিসিন হেড এর ক্লাস চলছে। শিবেণ শেষ বেঞ্চে বসে হেডস্যারের ছবি আঁকছে। আমি মন দিয়ে তার ছবি আঁকা দেখছি। হঠাৎ মুখ তুলে দেখি, সামনে স্যার দাঁড়িয়ে শিবেণের ছবি আঁকা দেখছে। আমি অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। শিবেণকে স্যার ডিপার্টমেন্টে ডেকেছিলেন। ওখানে ওর সাথে কি হয়েছিল শিবেণ আজ ও বলেনা।
যাই হোক্, এভাবেই একদিন তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা চলে এল। আমাদের মধ্যে চুক্তি হল কে কত কম পড়ে বা না পড়ে বাজে ভাবে ফেল করতে পারে এটা এই সেমে পরীক্ষা হবে৷ যে সফল হবে সবচেয়ে তার দুঃসাহস সব থেকে বেশি। আমি না পড়ে সেম দেওয়ার কয়েকটা নীতি আবিষ্কার করলাম। নাম দিলাম - রুল অফ নাইন।
(To be continued)
(Share the story with your friends if you like it.. Follow the blog to stay connected)
স্যার ডাকলেন - হেই ইউ, তোমার নাম কি?
ছেলেটি উঠে দাঁড়িয়ে বললো - স্যার, অংকুর।
তুমি এদিকে এসো ৷ বলে অংকুরকে একটা ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম ধরিয়ে দিয়ে বললেন - তোমাকে আমি কঠিন প্রশ্ন করবোনা। তুমি এটা ধরে বিভিন্ন অংশের নাম বলো।
অংকুর সবই ঠিক ঠাক বললো, শুধু ক্লাইটোরিস এ আংগুল দেখিয়ে বললো - স্যার এর বাংলা টা মনে আছে। ইংরেজিটা মনে নেই। আসলে বাংলা মিডিয়াম তো।
স্যার বললেন - বেশ বলো।
অঙ্কুর বললো - ভগাঙ্কুর।
ব্যাস্ ক্লাসে সেই যে হাসির রোল উঠেছিল সেই থেকে অংকুর কে দেখলেই সবার ভগাঙ্কুরের কথা মনে পড়ে৷ সেখান থেকে ছোট হতে হতে ভগা। বাকিদের নীলাদ্রি থেকে নীল, বিশ্বজিৎ থেকে বিশু, শিলাদিত্য থেকে শীলু আর আমার ধর্মদাস থেকে ধীরু। শিবেনের আসল নামটা কি মনে নেই। আমি ছিলাম বাংলার বদ। শিবেন বং এর ব্যাড। ভগার ছিল সং সাজার শখ। নীলের চং আর বিশুর ল্যাদ৷ এই নিয়ে ছিলো আমাদের জীবন। আমরা স্বপ্ন দেখতাম সমাজ থেকে wedding ceremony র ধারণা বদলে weeding ceremony হবে একদিন। তো যাই হোক্। বিশু সেদিন দীঘার সমুদ্রের ধারে যে গল্পটা বললো সেটা হলো বিশু একবার ভগার বাড়ি গিয়েছিলো। ভগার পাশের বাড়ির মেয়েটাকে দেখে ওর মনে প্রেম জেগেছে৷ মেয়েটার নাম সায়নী৷ ঘটনাচক্রে ও ভগার বন্ধু৷ কথাটা ওর ভগাকে বলার সাহস নেই। তাই আমায় বলছে। আমি ওখান থেকে ফিরে ভগাকে বললাম৷ ভগা রেগে তো গেলোই না বরং আমার কানে কানে বললো - ভাই চলো, হস্টেল ফিরে মস্তি হবে।
ভগা বিশু কে বললো - কোন চাপ নেই ভাই। তোদের দেখা করানোর দায়িত্ব আমার। ও আমার বন্ধুই হয়।
কয়েকদিন পরে ক্লাস বাংক করে মানি স্কোয়ার মলে আমাকে ধরে নিয়ে গেল ভগা, অবশ্যই সাথে বিশু আছে। আর ওদিক থেকে দেখা করতে আসছে মেয়েটি। মেয়েটি প্রেসিডেন্সির ছাত্রী। ওকে ভগা বলেছে - এমনি তিনজন গল্প করবো।
বিশু খাওয়াবে।
তিনজন মানে আমার তখনও যাওয়ার প্ল্যান ছিলনা। শেষ মুহূর্তে ভগা আর বিশু আমাকে অনেক জোর টোর করে নিয়ে গেল। প্রথম দৃশ্য আমরা ফুড কোর্টে অপেক্ষা করছি। সায়নী এসে সবার সাথে হ্যান্ড শেক করলো। পরিচয় হল। ও তিনটেই চকলেট কিনেছিল। আমি বাড়তি। বললো ভাগ করে খেয়ে নিতে। সায়নীর হাত থেকে যখন চকোলেট টা নিল বিশু দেখি পাথরের মূর্তি হয়ে গেছে। চোখ দুটো স্থির। পিউপিল ডাইলেটেড। বুঝলাম ওর মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে। আমরা কেএফসি তে খাবো বলে কেএফসি র সামনে বসলাম। বিশু দেখি তখনো সায়নীর দিকেই তাকিয়ে আছে। আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বললাম - ঠিক আছে, তোরা কথা বল্। আমি কেএফসি তে অর্ডার দিয়ে নিয়ে আসি।
বলে উঠতে যাবো, বিশু বললো - নো, ম্যান্। আজ আমার ট্রিট। আমি যাচ্ছি।
ভগা আমার কানে কানে বললো, এই ছেলের কিছু হবে তোর মনে হয়?
আমরা গল্প করছিলাম খেতে খেতে। বিশু হাঁ করে তাকিয়ে ছিল।
খেয়ে দেয়ে উঠে সায়নী বললো একটা জামাকাপড়ের সেকশনে ঢুকবে। সায়নীর পেছনে সবসময় বিশু হাঁটছিল। সায়নী যখন ওকে বলছে - এই তুই সামনে হাঁট।
ও আরো নার্ভাস হয়ে যাচ্ছে। আর ভগা ওকে বলছে- যা ওর সাথে আঁঠার মতো সেঁটে থাক্। নাহলে হবে কি করে৷
বিশু আবার চলে যাচ্ছে। এমন অবস্থা সায়নী জামাকাপড়ের লেডিজ সেকশনে ঢুকে অন্তর্বাস দেখছিল। তাকিয়ে দেখে বিশু হাঁ করে তাকিয়ে।
আবার ওকে তাড়িয়ে দিল। শেষে বিশু বেরিয়ে আসার সময় নার্ভাস হয়ে সিঁড়িতে স্লিপ খাচ্ছিলো। ভগা ওকে বললো - যা সায়নীর নাম্বার চা।
বিশু ও হ্যাঁ বলে নাম্বার চেয়ে আনলো।
সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে ফিরেই প্রোপোজ। প্রোপোজ মানে কি একদম কাঁচা পনীরের মত ভাষা। আমি তোমায় ছাড়া বাঁঁচবোনা।
যা হয়। ব্লক। আমি আমার নাম্বার থেকে একবার বোঝাতে গেলাম। আমাকেও ব্লক করে দিল। আমি বিশুকে বুদ্ধি দিলাম - ভাই তুই বেলুনে সরি লিখে প্রেসিডেন্সির সামনে দাঁড়িয়ে থাক।
প্রসংগত বলে রাখি, আমি কিন্তু তখন এতটা ঢ্যামনা ছিলাম না। আমি সত্যিই ভেবেছিলাম জীবনটা বাংলা সিনেমার মত কিছুটা তো বটেই।
বিশু একটা কাগজে লিখে নিয়ে চলে ও গেছিল। প্রেসির সামনে প্রায় এক সপ্তাহ এরকম দাঁড়িয়ে থাকা ওর রুটিন ছিল। শুধু কাগজটা বের করেনি। করলেই মার টা খেত।
ভগার দৌলতে বিশুর জীবন টা ভগ্ন অংকুরের মত হয়ে গেছিল। যাই হোক্, এই সময়ে গালাগাল ছাড়া এমনি ডাকতাম না। কোথাও গাল দিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করতাম। যত রকমের বাজে কাজের বুদ্ধি আসতো আমার আর শিবেণের মাথায়। একদিন ঠিক করেছিলাম ফার্মার হেড ম্যাডামের ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসে তাস খেলবো। কারণ ক্লাস তো চরম বোরিং। আমরাই হয়তো বোকা ছেলে। বুঝতে পারিনা। বাকিরা চালাক ক্লাসে বসে ঘাড় নাড়ে। যাই হোক আমরা যে শেষ বেঞ্চে বসে কিছু একটা কুকর্ম করছি, ম্যাডাম সেটা বুঝতে পেরে ক্লাসের মাঝে পাঁচজনকে দাঁড় করিয়ে দুজনকে বের করে দিলেন। আর আমি, ভগা আর শিবেণ কে ক্লাসের তিন প্রান্তে বসিয়ে দিলেন। খোলা দরজা দিয়ে দেখছিলাম বাইরে বেরিয়ে বিশু আর নীল লাফাচ্ছে। আমাদের দিকে তাকিয়ে অংগভংগি করছে। যেন কৃতিত্বটা তাদেরই। এরকমই একবার আমার পাশে শিবেণ বসে। ফরেন্সিক মেডিসিন হেড এর ক্লাস চলছে। শিবেণ শেষ বেঞ্চে বসে হেডস্যারের ছবি আঁকছে। আমি মন দিয়ে তার ছবি আঁকা দেখছি। হঠাৎ মুখ তুলে দেখি, সামনে স্যার দাঁড়িয়ে শিবেণের ছবি আঁকা দেখছে। আমি অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। শিবেণকে স্যার ডিপার্টমেন্টে ডেকেছিলেন। ওখানে ওর সাথে কি হয়েছিল শিবেণ আজ ও বলেনা।
যাই হোক্, এভাবেই একদিন তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা চলে এল। আমাদের মধ্যে চুক্তি হল কে কত কম পড়ে বা না পড়ে বাজে ভাবে ফেল করতে পারে এটা এই সেমে পরীক্ষা হবে৷ যে সফল হবে সবচেয়ে তার দুঃসাহস সব থেকে বেশি। আমি না পড়ে সেম দেওয়ার কয়েকটা নীতি আবিষ্কার করলাম। নাম দিলাম - রুল অফ নাইন।
(To be continued)
(Share the story with your friends if you like it.. Follow the blog to stay connected)
No comments:
Post a Comment