Wednesday, March 1, 2017

আমাদের ব্যান্ডের গল্প

কি নাম দেওয়া যায় ? একজন বন্ধু মজা করে বললো, 'বিছুটি' দাও। ক্যাকটাস যদি ব্যান্ডের নাম হতে পারে। বিছুটিও হতে পারে।
কবিতা লিখতাম দুজনেই , কিন্তু গান লিখবো কখনো ভাবিনি। ভেতরে রবিবাসরীয় কবিতা গুলো জমছিলো চেপে চেপে। সেগুলো সুরের ভেলা চেপে গান হয়ে গেল। তারপর থেকে বাথরুম, গড়ের মাঠ থেকে ফেয়ারওয়েল ফাংশান হঠাত ফোন আসতো,
' দাদা, এসো। মাথায় একটা সুর এসেছে। '
জয়ন্ত না থাকলে আমি রুমের বাইরে কখনো গাইতাম না।
তারপর অনেকদিনের গ্যাপ।  আজকেই আমি এটা লিখছিলাম পোস্ট করবো বলে, দেখলাম জয়ন্ত তার আগে পোস্ট করেছে।
 হয়তো খুব শিগ্রি ফিরছি। আমরা একসাথে। আমাদের ডায়েরিতে এখনো অনেক অপ্রকাশিত গান, মাথায় অনেক জমে থাকা কবিতা, আর আমাদের চারিদিকে অসংখ্য সুর।
এনট্রপি বাড়ছে, গোলা- গুলি - সন্ত্রাস-ঘৃণা। একটাই জিনিস এগুলো জয় করতে পারে। গান।
আমরা তাই গানে বেশি ক্যাওস রাখিনা। আমি একটু হলেও রকের পক্ষপাতী। জয়ন্ত সেটাও নয়। এরকমও হয়েছে আমি একটা জায়গায় একরকম সুর চাইছি, জয়ন্ত একরকম। সেই ঝগড়াগুলো মিস করছি। প্রত্যেকটা গানের সংগে প্রচুর স্মৃতি জড়িয়ে।

ছোট্টবেলার স্বপ্ন হাজার,
হারিয়ে যাওয়া কত কবিতা,
আকাশ থেকে নেমে আসা,
কত সোনালী রোদ্দুর,
তাই ফিরে এলাম তোর কাছে,
তোকে আমার বলার আছে।

ফিরতে তো হবেই।

No comments:

Post a Comment

পাঁচ মিনিট

"বিষ টা খাওয়ার আগে একবার আমাকে বলতো!! " কথাটা শেষ করতে না করতেই গলা ধরে এলো কিরণ এর। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এর বাইরে ...