-মা-র শরীর খারাপ, পাশের ঘরে শুয়ে ছেলে স্ট্যাটাস আপডেট দিয়েছে - মা, সুস্থ হয়ে ওঠো। সেখানে অনেক লাইক। কমেন্টে কাল কি সিনেমা রিলিজ করবে তাই নিয়ে আলোচনা। অথচ পাশের ঘরে গিয়ে ছেলে একবারও দেখতে যেতে পারছেনা। মেসেঞ্জারে ব্যস্ত।
-রুগী বিছানায় শুয়ে আছে, বলছে তার কষ্টের কথা, ডাক্তারবাবু হোয়াটস্আপে আপডেট দিলেন- ইন রাউন্ড।
-ফোটোতে কমেন্ট পড়ছে - তুই আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু। অথচ জানেও না তার সেই প্রিয় বন্ধু এখন কোথায় ?
-সবথেকে হাস্যকর হল ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। কাউকে হয়তো সহ্য করতে পারেন না। অথচ দিব্যি তারা একে অপরের ফ্রেন্ডলিস্টে তিল আর আঁচিল এর মত সহাবস্থান করছে।
এটাই হল সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। বেশি সামাজিক হতে গিয়ে, সত্যি সামাজিক হচ্ছি কি? নাকি ভার্টুয়্যাল দুনিয়ার গ্রাসে নিজেকে বলি করছি। কাছে আসতে গিয়ে আমরা আরো দূরে চলে যাচ্ছি। বলছি এক, বুঝছে আর এক। একটা দিন আসবে, যখন, বাবা-মা রা ছেলে দের টাইমলাইনে নিজেদের ফটো পোস্ট করে বলবে - if you remember this , your childhood was awesome...
ছোট থেকে ফেসবুক ম্যানেজমেন্ট এর জন্য আলাদা একটা সাবজেক্ট পড়ানো হবে। তার একটা চ্যাপ্টার হবে কিভাবে ফেসবুকে লাইক বাড়াবেন !!!
এটি একটি বিজনেস পলিসি। এর জন্য আলাদা টিউশানি নিতে হবে। কেউ সৎ, কেউ অসৎ পথে লাইক বাড়াতে শেখাবে। সৎ পথে লাইক বাড়াতে হলে আপনাকে সামাজিক আচরণ করতে হবে। মানুষটিকে ব্যক্তিগতভাবে যেরকমই লাগুকনা কেন/ চেনা হোক বা অচেনা তার ফটোতে, কমেন্ট বা মিনিমাম লাইক দিতে হবে। ভবিষ্যতে তারাও দেবে। গিভ আন্ড টেক পলিসি। সবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করতে হবে। আপনার কোনকিছু পোস্ট করব মনে করলেই যখন খুশি পোস্ট করতে পারেন না। পিক আওয়ার দেখে পোস্ট করতে হবে। খুব সহজ হিসেব - আপনার ফ্রেন্ড সংখ্যা যদি হাজার এর উপরে হয়, আপনার যেকোন ছবিতে ১০% এর হিসেবে ১০০ লাইক থাকতে বাধ্য। আপনার ইগো তখন পুষ্ট হবে।ছোটবেলায়একটা গান শুনেছিলাম -' খিড়কি থেকে সিংহ-দুয়ার এই তোমাদের পৃথিবী, এর বাহিরে জগত আছে তোমরা জানোনা। '
গানটা অন্ত্যাক্ষরী খেলাতে খুব কাজে লাগত। যেহেতু 'খ' দিয়ে শুরু গান খুব কম।
সত্যি আমরা সামাজিক হচ্ছি ?
একবার লংড্রাইভে গিয়ে দেখুন না, নদীর পাড়ে হাল্কা আওয়াজে রবিশংকরের সেতার শুনতে শুনতে সূর্যাস্ত দেখুন। হাইওয়ের ধারে ওই যে ঝোপঝাড়ে জংলি ফুল গুলো ফুটেছে ওদের গায়ে অনেক প্রজাপতি বসে, ওদের একজনকে ধরে এনে আপনার প্রেমিকার হাতে দিন। হ্যাঁ,কোন কে.এফ.সি তে গিয়ে সেল্ফি তুলে পোস্ট করার থেকে এটা ঢের বেশি রোম্যান্টিক। একবার ওই ভার্চুয়্যাল দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে দেখুন, আসল দুনিয়া টা অনেক রঙীন আর সুন্দর। যেখানে বন্ধু রিক্যোয়েস্ট ছাড়াই হয়। যত খুশি বকুন, কোন ক্যারেক্টার লিমিট নেই। একটা ষাঁড়ের লড়াই দেখতে স্ট্রিমিং এর ঝামেলা পোহাতে হয়না। খেলুন, হাসুন, গান গেয়ে বেড়ান রাস্তাতে। কেউ আপনাকে ব্লক করবেনা। আপনার চোখ, আর কান ছাড়াও আরো তিনটে ইন্দ্রিয় আছে। সোশ্যাল মিডিয়া এগুলোর চাহিদা মেটাতে পারেনা। চলুন এবার একসাথে বৃষ্টি ভেজা যাক। চলুন না একবার, মানস সরোবর ঘুরে আসি।
সত্যি কি আমরা সামাজিক হচ্ছি ?
-রুগী বিছানায় শুয়ে আছে, বলছে তার কষ্টের কথা, ডাক্তারবাবু হোয়াটস্আপে আপডেট দিলেন- ইন রাউন্ড।
-ফোটোতে কমেন্ট পড়ছে - তুই আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু। অথচ জানেও না তার সেই প্রিয় বন্ধু এখন কোথায় ?
-সবথেকে হাস্যকর হল ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। কাউকে হয়তো সহ্য করতে পারেন না। অথচ দিব্যি তারা একে অপরের ফ্রেন্ডলিস্টে তিল আর আঁচিল এর মত সহাবস্থান করছে।
এটাই হল সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। বেশি সামাজিক হতে গিয়ে, সত্যি সামাজিক হচ্ছি কি? নাকি ভার্টুয়্যাল দুনিয়ার গ্রাসে নিজেকে বলি করছি। কাছে আসতে গিয়ে আমরা আরো দূরে চলে যাচ্ছি। বলছি এক, বুঝছে আর এক। একটা দিন আসবে, যখন, বাবা-মা রা ছেলে দের টাইমলাইনে নিজেদের ফটো পোস্ট করে বলবে - if you remember this , your childhood was awesome...
ছোট থেকে ফেসবুক ম্যানেজমেন্ট এর জন্য আলাদা একটা সাবজেক্ট পড়ানো হবে। তার একটা চ্যাপ্টার হবে কিভাবে ফেসবুকে লাইক বাড়াবেন !!!
এটি একটি বিজনেস পলিসি। এর জন্য আলাদা টিউশানি নিতে হবে। কেউ সৎ, কেউ অসৎ পথে লাইক বাড়াতে শেখাবে। সৎ পথে লাইক বাড়াতে হলে আপনাকে সামাজিক আচরণ করতে হবে। মানুষটিকে ব্যক্তিগতভাবে যেরকমই লাগুকনা কেন/ চেনা হোক বা অচেনা তার ফটোতে, কমেন্ট বা মিনিমাম লাইক দিতে হবে। ভবিষ্যতে তারাও দেবে। গিভ আন্ড টেক পলিসি। সবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করতে হবে। আপনার কোনকিছু পোস্ট করব মনে করলেই যখন খুশি পোস্ট করতে পারেন না। পিক আওয়ার দেখে পোস্ট করতে হবে। খুব সহজ হিসেব - আপনার ফ্রেন্ড সংখ্যা যদি হাজার এর উপরে হয়, আপনার যেকোন ছবিতে ১০% এর হিসেবে ১০০ লাইক থাকতে বাধ্য। আপনার ইগো তখন পুষ্ট হবে।ছোটবেলায়একটা গান শুনেছিলাম -' খিড়কি থেকে সিংহ-দুয়ার এই তোমাদের পৃথিবী, এর বাহিরে জগত আছে তোমরা জানোনা। '
গানটা অন্ত্যাক্ষরী খেলাতে খুব কাজে লাগত। যেহেতু 'খ' দিয়ে শুরু গান খুব কম।
সত্যি আমরা সামাজিক হচ্ছি ?
একবার লংড্রাইভে গিয়ে দেখুন না, নদীর পাড়ে হাল্কা আওয়াজে রবিশংকরের সেতার শুনতে শুনতে সূর্যাস্ত দেখুন। হাইওয়ের ধারে ওই যে ঝোপঝাড়ে জংলি ফুল গুলো ফুটেছে ওদের গায়ে অনেক প্রজাপতি বসে, ওদের একজনকে ধরে এনে আপনার প্রেমিকার হাতে দিন। হ্যাঁ,কোন কে.এফ.সি তে গিয়ে সেল্ফি তুলে পোস্ট করার থেকে এটা ঢের বেশি রোম্যান্টিক। একবার ওই ভার্চুয়্যাল দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে দেখুন, আসল দুনিয়া টা অনেক রঙীন আর সুন্দর। যেখানে বন্ধু রিক্যোয়েস্ট ছাড়াই হয়। যত খুশি বকুন, কোন ক্যারেক্টার লিমিট নেই। একটা ষাঁড়ের লড়াই দেখতে স্ট্রিমিং এর ঝামেলা পোহাতে হয়না। খেলুন, হাসুন, গান গেয়ে বেড়ান রাস্তাতে। কেউ আপনাকে ব্লক করবেনা। আপনার চোখ, আর কান ছাড়াও আরো তিনটে ইন্দ্রিয় আছে। সোশ্যাল মিডিয়া এগুলোর চাহিদা মেটাতে পারেনা। চলুন এবার একসাথে বৃষ্টি ভেজা যাক। চলুন না একবার, মানস সরোবর ঘুরে আসি।
সত্যি কি আমরা সামাজিক হচ্ছি ?
No comments:
Post a Comment