মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোলো। প্রথম, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী থেকে প্রথম দশের সিংহভাগ চায় ডাক্তার হয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে। বাহ্ হাততালি। তাহলে হিসেবটা কি হল ?? প্রতি বছর যদি প্রথম দশের মধ্যে কুড়ি জনের দশ জনও চায় বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে। দশ বছরে সেটা দাঁড়ায় কমপক্ষে একশ। রোজ যদি তারা একশ জনকে বিনামূল্যে দেখে। তাহলে শেষ দশ বছরের কৃতীদের রোজ রাজ্যের দশ হাজার রোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসা করে দেওয়ার কথা। ধরা যাক সত্যিই করলো। এরা সারাজীবন একা থেকে শাক ভাত খেয়ে সত্যিই করলো কাজটা ।
তবে বিনামূল্যে চিকিৎসা মানে তো শুধু ট্রিটমেন্ট লিখে দেওয়া নয়৷ বিনামূল্যে ওষুধ, অপারেশন লাগলে সেইসব বিনামূল্যে ওটি সেট আপ, ইন্সট্রুমেন্ট, বিনামূল্যে ভেন্টিলেটর, মনিটর, বিনামূল্যে টেনেকটাপ্লেজ, ইমউনোগ্লবিউলিন ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ এখন যদিও হচ্ছে সরকারী হাসপাতালে কিছুটা। কিন্তু নিজের সেট আপে!?
স্বপ্ন আর বাস্তবের কতটা ফারাক হতে পারে? পাঁচ বছরের মধ্যে এরা সবাই টের পায়৷
এদের সবাই ডাক্তারী পায়না। যারা পায়, তারা বোঝে
নিজেকে কিনে জামা-প্যান্ট পরতে হয়, গাড়ি না কিনলে কেউ ডাক্তার মানেনা, ভালো জামা-প্যান্ট হয়ে ফিটফাট হয়ে না ঘুরলে কেউ ডাক্তার মানতে চায়না। তো ফ্রি শপিং মল কোথাও নেই। হাফ গার্ল্ফ্রেন্ড হয়৷ ফ্রি হয় কি? নাথিং ইজ ফ্রি ইন দিস ওয়ার্ল্ড।
গার্ল্ফ্রেন্ডের দাবী অনেক, বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যেতেও পয়সা লাগে। টাকা ছাড়া নিজের ছেঁড়া জুতোও সেলাই করা যায়না৷ বাস্তব চোখে দেখে স্বপ্ন ভুলে যায়।
এদের মধ্যে নেহাত বাড়িতে যাদের টাকা দরকার তারা সরকারি হাসপাতালে জয়েন করে। বাকিরা পড়তেই থাকে। আরো ডিগ্রী, আরো ডিগ্রী। সরকারি হাসপাতালেও তো সরকার ট্যাক্সের টাকা থেকে মাইনে দেয়। বিনাপয়সায় হল কি? বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে চাইলে রাজনীতি জয়েন করা উচিৎ জয়েন্ট না দিয়ে। সরকার এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে স্বাস্থ্যখাতে জিডিপি বাড়াক। বিনামূল্যে চিকিৎসা এমনিই হবে। আমাদের রিকমেন্ডেশন এর অর্ধেক এর অর্ধেক এর অর্ধেক ও স্বাস্থ্যখাতে যায়না। কিন্তু রাজনীতি তো ছোটলোকেরা করে। আমরা ভেতো মধ্যবিত্ত বই এর চা তে বাতেল এর বিস্কুট চুবিয়ে খাওয়া বাঙালি৷ আমরা রাজনীতি র মাঠে নামবো কেন? বাবা-মা র বারণ আছে৷
মিডিয়ার মাধ্যমে পাবলিক প্রতি বছর বাচ্চাগুলোর এই স্বপ্ন দেখে, এদের কথা শোনে। কিন্তু আচ্ছে দিন আসেনা। আশা পূরণ হয়না। গাল খায় তামাম ডাক্তার সমাজ। আমাদের কলেজে ভর্তির দিন আমার সামনের জনকে ইন্ট্রো নিতে গিয়ে একজন সিনিয়র দাদা জিজ্ঞেস করেছিল - তুই ডাক্তারী পড়তে এলি কেন?
তবে বিনামূল্যে চিকিৎসা মানে তো শুধু ট্রিটমেন্ট লিখে দেওয়া নয়৷ বিনামূল্যে ওষুধ, অপারেশন লাগলে সেইসব বিনামূল্যে ওটি সেট আপ, ইন্সট্রুমেন্ট, বিনামূল্যে ভেন্টিলেটর, মনিটর, বিনামূল্যে টেনেকটাপ্লেজ, ইমউনোগ্লবিউলিন ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ এখন যদিও হচ্ছে সরকারী হাসপাতালে কিছুটা। কিন্তু নিজের সেট আপে!?
স্বপ্ন আর বাস্তবের কতটা ফারাক হতে পারে? পাঁচ বছরের মধ্যে এরা সবাই টের পায়৷
এদের সবাই ডাক্তারী পায়না। যারা পায়, তারা বোঝে
নিজেকে কিনে জামা-প্যান্ট পরতে হয়, গাড়ি না কিনলে কেউ ডাক্তার মানেনা, ভালো জামা-প্যান্ট হয়ে ফিটফাট হয়ে না ঘুরলে কেউ ডাক্তার মানতে চায়না। তো ফ্রি শপিং মল কোথাও নেই। হাফ গার্ল্ফ্রেন্ড হয়৷ ফ্রি হয় কি? নাথিং ইজ ফ্রি ইন দিস ওয়ার্ল্ড।
গার্ল্ফ্রেন্ডের দাবী অনেক, বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যেতেও পয়সা লাগে। টাকা ছাড়া নিজের ছেঁড়া জুতোও সেলাই করা যায়না৷ বাস্তব চোখে দেখে স্বপ্ন ভুলে যায়।
এদের মধ্যে নেহাত বাড়িতে যাদের টাকা দরকার তারা সরকারি হাসপাতালে জয়েন করে। বাকিরা পড়তেই থাকে। আরো ডিগ্রী, আরো ডিগ্রী। সরকারি হাসপাতালেও তো সরকার ট্যাক্সের টাকা থেকে মাইনে দেয়। বিনাপয়সায় হল কি? বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে চাইলে রাজনীতি জয়েন করা উচিৎ জয়েন্ট না দিয়ে। সরকার এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে স্বাস্থ্যখাতে জিডিপি বাড়াক। বিনামূল্যে চিকিৎসা এমনিই হবে। আমাদের রিকমেন্ডেশন এর অর্ধেক এর অর্ধেক এর অর্ধেক ও স্বাস্থ্যখাতে যায়না। কিন্তু রাজনীতি তো ছোটলোকেরা করে। আমরা ভেতো মধ্যবিত্ত বই এর চা তে বাতেল এর বিস্কুট চুবিয়ে খাওয়া বাঙালি৷ আমরা রাজনীতি র মাঠে নামবো কেন? বাবা-মা র বারণ আছে৷
মিডিয়ার মাধ্যমে পাবলিক প্রতি বছর বাচ্চাগুলোর এই স্বপ্ন দেখে, এদের কথা শোনে। কিন্তু আচ্ছে দিন আসেনা। আশা পূরণ হয়না। গাল খায় তামাম ডাক্তার সমাজ। আমাদের কলেজে ভর্তির দিন আমার সামনের জনকে ইন্ট্রো নিতে গিয়ে একজন সিনিয়র দাদা জিজ্ঞেস করেছিল - তুই ডাক্তারী পড়তে এলি কেন?
সে বলেছিল - বিনা পয়সায় চিকিৎসা করবো বলে।
সে এখন কি করে শুনিয়ে লাভ নেই, না বলাই ভালো । তবে দাদা তাকে চার অক্ষর এর শব্দ শুনিয়ে সেদিন ভাগিয়েছিল৷ আমি ভয়ে ভয়ে বলেছিলাম - রোগ ভালো করবো বলে শিখতে এসেছি৷
আমাকে কিছু বলেনি। ভাগ্যবান আমি।
দাদার উপর সেদিন রাগ হয়েছিল। আজ হয়না৷ এই যে দশটা টিউশন দিয়ে ছেলে মেয়ে কে বাস্তবের দেশের প্রবাসী দুধেভাতে বাঙালী করে জনগণের মনে আশা জোগানো হাততালি পেলেন, দেখলে এখন হাসি পায়। এরাই কিছুদিন পরে ছায়া প্রকাশনীর বিজ্ঞাপন দেবে টাকার বিনিময়ে । কোচিং ইন্সটিটিউটের হোর্ডিং এ এদের ছবি ছাপানো হবে। ভাই, বোন দের কাছে অনুরোধ - কখনো এমন কোন স্বপ্ন দেখাতে নেই, যা পূরণ করতে পারবেনা।
অস্কার ওয়াইল্ড এর ভাষায় - Society often forgives the criminal, but it never forgives the dreamer .
আমাকে কিছু বলেনি। ভাগ্যবান আমি।
দাদার উপর সেদিন রাগ হয়েছিল। আজ হয়না৷ এই যে দশটা টিউশন দিয়ে ছেলে মেয়ে কে বাস্তবের দেশের প্রবাসী দুধেভাতে বাঙালী করে জনগণের মনে আশা জোগানো হাততালি পেলেন, দেখলে এখন হাসি পায়। এরাই কিছুদিন পরে ছায়া প্রকাশনীর বিজ্ঞাপন দেবে টাকার বিনিময়ে । কোচিং ইন্সটিটিউটের হোর্ডিং এ এদের ছবি ছাপানো হবে। ভাই, বোন দের কাছে অনুরোধ - কখনো এমন কোন স্বপ্ন দেখাতে নেই, যা পূরণ করতে পারবেনা।
অস্কার ওয়াইল্ড এর ভাষায় - Society often forgives the criminal, but it never forgives the dreamer .
জনতার ভোট পেয়ে কাজ করতে আসা জননেতারা তাই যেরকম খিস্তি খান, ডাক্তাররাও খায়। শুধু পার্থক্য একটাই জননেতারা বাস্তব বুঝেও মিথ্যে স্বপ্ন দেখায় আর কাজ গুছিয়ে পালায়। আর এই বাচ্চাগুলো বাস্তব না বুঝে স্বপ্ন দেখায় আর মাকড়সার জালে আটকে থাকে অসহায় পতঙ্গের মতো, কাজ করে তবুও সমাজের অন্ধকার স্বপ্নে মজে থাকা জনতা র ঘৃণা জোটে শুধু । কারণ ডাক্তারি তা প্রফেসন নয়, বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার জিনিস, আমাদেরই কেউ কেউ সেই মাকড়সার জালের সূত্রপাত করেছি ।।
No comments:
Post a Comment