খেলা শেষ। এবার সবার বাড়ি ফেরার পালা। পলিটিক্সের খেলার কথা বলছি। আশা করি এমন কোন দল ক্ষমতায় আসবে দেশে, আমার - আপনার ভোটে, যারা আমার দেশ ভারতবর্ষের সব সমস্যার সমাধান করে দেবে। ও এক্ মিনিট। ভেবে দেখলাম, এরকম কোন দল নেই যে এটা পারবে। আর এমন কোন সমস্যা নেই যার সমাধান হলে আরো দশটা সমস্যা তৈরি হয়না। তাহলে কতটুকু আশা করা যায় - বেসিক সমস্যাগুলো ভেবেচিন্তে সমাধান করার কথা অন্তত চেষ্টা করবেন। নাও, এবার বেসিক সমস্যাগুলো কি সেটা নিয়েও মতভেদ। আমরা নিজেরাই জানিনা আমাদের বেসিক সমস্যা আসলে কি? আমাদের রাজনীতিবিদরা এটার সুযোগ নিয়ে আমাদের মধ্যে ঘৃণা ছড়ান বিপক্ষকে নিয়ে৷ এভাবেই চলে এসেছে যুগের পর যুগ। চলছে। চলবে। দিনের শেষে চায়ের কাপে চুমুক আর সিগারেটে টানে মশগুল জনতার খিস্তি খান রাজনীতিবিদরা। আর রাজনীতিবিদরা তাতে এক বিন্দুও কেয়ার না করে পাকা বাড়ি আর বেনামে গাড়ি কিনে যান (সবার কথা বলছিনা)। অথচ তারা আমাদের মতই মানুষ। আমাদের সমাজ থেকেই তারা উঠে এসেছেন। আসলে দোষী কে - আমরা। ভোটার রা। আমরা বড্ড বেশি ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নিয়ে ভাবি। তাতে ভবিষ্যতের ক্ষতি হয় হোক, অত ভাবার দরকার নেই। আচ্ছা, পরিবেশ রক্ষা নিয়ে একটাও পার্টি ক্যাম্পেন করেছে ? ইস্তাহারে হয়তো উল্লেখ আছে কোন কয়েক লাইনের দিশাহীন কলামে। আর ইস্তাহারগুলো পড়লে মনে হয় শ্বাশ-বহু সিরিয়ালের ডায়ালেক্ট। শ্বাশুড়ি আর বউমা যেন একে অপরকে নিয়ে অভিযোগ করছে। আসলে সবাই সব জানে কোন্ পার্টি কি? ঘৃণা তৈরি না করে নিজের পার্টি কি কি সমস্যা সমাধানে বেশি জোর দেবে সেইগুলো নিয়েই তো ইস্তেহার হওয়া উচিত। কিন্তু সেরকম হলে ম্যাড়মেড়ে হয়ে যাবে। জনতা খাবেনা। একটা বেশ গৃহযুদ্ধ গৃহযুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করা চাই। আমজনতা সকাল সন্ধ্যে ভোট না থাকলে বসে টিভিতে যে সিরিয়াল গেলে , ভোট এলে তখন এইসব কথা গিলবে।ফরাসী দার্শনিক জোসেফ মেরী সেই কবে বলে গেছিলেন - "আমরা সেই সরকার কেই নিয়ে আসি, যাদের আমরা যোগ্য।"
আমরা অদ্ভুত। রাজনীতিবিদদের অশিক্ষিত বলে গালাগালি দেবো, অথচ প্রকৃত শিক্ষিত যে দেশের কথা আরো ভালোভাবে বিচক্ষণ ভাবে ভাবতে পারে সে ভোটে দাঁড়ালে তাকে সুবিধেবাদী বলবো এবং ভোট দেবো নিজের প্রতীক দেখে। সেই প্রতীকে হাঁদা ভোঁদা যে কেউ জিততে পারে।
আমার এই লেখা এতদূর অব্দি যারা কষ্ট করে পড়েছেন তাদের কাছে অনুরোধ করবো একটু ভেবে পাঁচটা দেশের বেসিক সমস্যার কথা কমেন্টে লিখতে যেটা সরকারের সমাধান করার ক্ষেত্রে প্রথম প্রায়োরিটি হওয়া দরকার। আপনার সেটাও ল্যাদ লাগলে আপনি নিজের মনে ভাবুন। গিয়ে পাশের কাউকে জিজ্ঞেস করুন এই একই প্রশ্ন। দেখুন কারোর সাথে কারো প্রায়োরিটি মিলবেনা। পাশের জনের সাথে যদি প্রায়োরিটি না মেলে তাহলে এত কোটি মানুষের দেশে প্রথম পাঁচের কতরকম পারমুটেশন হতে পারে ভেবে দেখুন। ভাবতে আমাদের খুব কষ্ট হয়৷ তাই ভোট দিই নিজেদের দুর্বল স্মৃতিশক্তির জন্য নিজের পছন্দের প্রার্থী বা পার্টির অতীতের কীর্তি বেমালুম ভুলে গিয়ে, তার কাছ থেকে কি ব্যক্তিগত স্তরে পেয়েছি আর কোন পার্টিকে ঘৃণা করি - সেই ইম্পালসিভ ফ্লো তে। আমরা সত্যি কত সস্তা! গড্ডলিকা প্রবাহের সমার্থক শব্দ ভারতের ভোটদান হতে পারে। আর সেটা বুঝেই শুরু হয় খেলা। মানুষে মানুষে ঘৃণা-ঘৃণা খেলা। রাজনৈতিক বিভাজন, ধর্মীয় বিভাজন। একটা মানুষ অরাজনৈতিক হতে পারে? সে অবিশ্বাসী (আমি মনে করি নাস্তিক এথেইস্ট এর প্রকৃত বাংলা নয়) হতে পারে? বাম-ডান-হিন্দু-মুসলিম সবাই বলে থাকে এটা হতে পারেনা। তবে আমি মনে করি হতে পারে। আমার চার পাশে বেশ কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের কাজ নিয়ে প্রচন্ড রকম ডুবে থাকতে পছন্দ করে। যারা শিক্ষিত, পড়াশোনা, চিন্তাভাবনা করা লোকজন এবং এতটাও দুর্বল নয় যে তাদের বেঁচে থাকতে ধর্ম ও রাজনৈতিক বিশ্বাস রাখতে হয়। আপনারা মনে করতেই পারেন যে এটা মিথ, মিসনমার। কিন্তু আসলে এটা হয়। আপনাদেরটা ঘৃণা - হিংসা ছড়ায়৷ অবিশ্বাসীরা কিন্তু আপনাদের ঘৃণা করেনা । চোখের ছানি বিশ্বে তৃতীয় অন্ধত্বের কারণ। রাজনীতি ও ধর্ম হল প্রথম দুই। অবিশ্বাসীরা অন্ধ নয়। তারা কিন্তু অনেকে ভোট দেয় বিভিন্ন সময় যাকে উপযুক্ত মনে করে বুঝে। সরস্বতী পূজাতে অঞ্জলি না দিলেও , ইফতার পার্টি তে আল্লাহকে না ডাকলেও খেতে যায়৷
সুনীল গাঙ্গুলির ওই লাইনটি বড়ই প্রিয় - " সবাই বিশ্বাসী, বিশ্বাসী, বিশ্বাসী / এক-একবার ভাঙা গলায়/ বলতে ইচ্ছে করে /অবিশ্বাসীর দল জাগো।"
যাই হোক আবার প্রসঙ্গে ফিরি, আজ খেলা শেষ। এবার শুরু হবে এর আফটার এফেক্ট। সেই ভাঙা রেকর্ড - মোটের ওপর ভোট শান্তিপূর্ণ। নির্বাচন পরবর্তী ঘৃণা ছড়ানোর আফটার এফেক্ট এ পড়বে অনেক লাশ। পার্টিগুলি লাশে তাদের ট্যাগ লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে৷ এরকমই হয়ে আসছে। আমেরিকান রাজনীতিবিদ রবার্ট কেনেডির একটা কথা আছে - Every dictatorship has ultimately strangled in the web of repression it wove for its people, making mistakes that could not be corrected because criticism was prohibited.
হ্যাঁ সব রাজনীতিবিদ ও তাদের রাজনীতির রং তো পাল্টাবেই সময়ের সাথে। কিন্তু আমরা পাল্টাবো কি?? আমরা যদি না বদলাই নিজেদের চিন্তাকে, ভাবতে না শিখি - তাহলে রং বদলাতে পারে, কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন কোনদিন হবেনা। গণতন্ত্রকে মডিফায়েড রাজতন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা চলতেই থাকবে । ভোট ও প্রচারের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। পরিস্থিতি সময়ের সাথে খারাপ থেকে আরো খারাপ হবে । আর সবার শেষে বলি, আমার কেউ মতবিরোধ করলে আমি খুশি হব এবং আমাকে প্লিজ কেউ মারবেন না ।।
আমরা অদ্ভুত। রাজনীতিবিদদের অশিক্ষিত বলে গালাগালি দেবো, অথচ প্রকৃত শিক্ষিত যে দেশের কথা আরো ভালোভাবে বিচক্ষণ ভাবে ভাবতে পারে সে ভোটে দাঁড়ালে তাকে সুবিধেবাদী বলবো এবং ভোট দেবো নিজের প্রতীক দেখে। সেই প্রতীকে হাঁদা ভোঁদা যে কেউ জিততে পারে।
আমার এই লেখা এতদূর অব্দি যারা কষ্ট করে পড়েছেন তাদের কাছে অনুরোধ করবো একটু ভেবে পাঁচটা দেশের বেসিক সমস্যার কথা কমেন্টে লিখতে যেটা সরকারের সমাধান করার ক্ষেত্রে প্রথম প্রায়োরিটি হওয়া দরকার। আপনার সেটাও ল্যাদ লাগলে আপনি নিজের মনে ভাবুন। গিয়ে পাশের কাউকে জিজ্ঞেস করুন এই একই প্রশ্ন। দেখুন কারোর সাথে কারো প্রায়োরিটি মিলবেনা। পাশের জনের সাথে যদি প্রায়োরিটি না মেলে তাহলে এত কোটি মানুষের দেশে প্রথম পাঁচের কতরকম পারমুটেশন হতে পারে ভেবে দেখুন। ভাবতে আমাদের খুব কষ্ট হয়৷ তাই ভোট দিই নিজেদের দুর্বল স্মৃতিশক্তির জন্য নিজের পছন্দের প্রার্থী বা পার্টির অতীতের কীর্তি বেমালুম ভুলে গিয়ে, তার কাছ থেকে কি ব্যক্তিগত স্তরে পেয়েছি আর কোন পার্টিকে ঘৃণা করি - সেই ইম্পালসিভ ফ্লো তে। আমরা সত্যি কত সস্তা! গড্ডলিকা প্রবাহের সমার্থক শব্দ ভারতের ভোটদান হতে পারে। আর সেটা বুঝেই শুরু হয় খেলা। মানুষে মানুষে ঘৃণা-ঘৃণা খেলা। রাজনৈতিক বিভাজন, ধর্মীয় বিভাজন। একটা মানুষ অরাজনৈতিক হতে পারে? সে অবিশ্বাসী (আমি মনে করি নাস্তিক এথেইস্ট এর প্রকৃত বাংলা নয়) হতে পারে? বাম-ডান-হিন্দু-মুসলিম সবাই বলে থাকে এটা হতে পারেনা। তবে আমি মনে করি হতে পারে। আমার চার পাশে বেশ কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের কাজ নিয়ে প্রচন্ড রকম ডুবে থাকতে পছন্দ করে। যারা শিক্ষিত, পড়াশোনা, চিন্তাভাবনা করা লোকজন এবং এতটাও দুর্বল নয় যে তাদের বেঁচে থাকতে ধর্ম ও রাজনৈতিক বিশ্বাস রাখতে হয়। আপনারা মনে করতেই পারেন যে এটা মিথ, মিসনমার। কিন্তু আসলে এটা হয়। আপনাদেরটা ঘৃণা - হিংসা ছড়ায়৷ অবিশ্বাসীরা কিন্তু আপনাদের ঘৃণা করেনা । চোখের ছানি বিশ্বে তৃতীয় অন্ধত্বের কারণ। রাজনীতি ও ধর্ম হল প্রথম দুই। অবিশ্বাসীরা অন্ধ নয়। তারা কিন্তু অনেকে ভোট দেয় বিভিন্ন সময় যাকে উপযুক্ত মনে করে বুঝে। সরস্বতী পূজাতে অঞ্জলি না দিলেও , ইফতার পার্টি তে আল্লাহকে না ডাকলেও খেতে যায়৷
সুনীল গাঙ্গুলির ওই লাইনটি বড়ই প্রিয় - " সবাই বিশ্বাসী, বিশ্বাসী, বিশ্বাসী / এক-একবার ভাঙা গলায়/ বলতে ইচ্ছে করে /অবিশ্বাসীর দল জাগো।"
যাই হোক আবার প্রসঙ্গে ফিরি, আজ খেলা শেষ। এবার শুরু হবে এর আফটার এফেক্ট। সেই ভাঙা রেকর্ড - মোটের ওপর ভোট শান্তিপূর্ণ। নির্বাচন পরবর্তী ঘৃণা ছড়ানোর আফটার এফেক্ট এ পড়বে অনেক লাশ। পার্টিগুলি লাশে তাদের ট্যাগ লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে৷ এরকমই হয়ে আসছে। আমেরিকান রাজনীতিবিদ রবার্ট কেনেডির একটা কথা আছে - Every dictatorship has ultimately strangled in the web of repression it wove for its people, making mistakes that could not be corrected because criticism was prohibited.
হ্যাঁ সব রাজনীতিবিদ ও তাদের রাজনীতির রং তো পাল্টাবেই সময়ের সাথে। কিন্তু আমরা পাল্টাবো কি?? আমরা যদি না বদলাই নিজেদের চিন্তাকে, ভাবতে না শিখি - তাহলে রং বদলাতে পারে, কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন কোনদিন হবেনা। গণতন্ত্রকে মডিফায়েড রাজতন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা চলতেই থাকবে । ভোট ও প্রচারের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। পরিস্থিতি সময়ের সাথে খারাপ থেকে আরো খারাপ হবে । আর সবার শেষে বলি, আমার কেউ মতবিরোধ করলে আমি খুশি হব এবং আমাকে প্লিজ কেউ মারবেন না ।।
No comments:
Post a Comment