পাড়ার পান সিগারেটের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলো কিছু ইলেকট্রন। আমি একটি বিশেষ সংবাদপত্র পড়ে হাম্পটি-ডাম্পটি কণা খুঁজতে বেরিয়েছিলাম।
ইলেকট্রনগুলো সারাদিন ডিপ্রেশনের কথা বলে, বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে মেঘের মত ঘুরে বেড়ায় ক্লাবে ক্লাবে। হাইসেনবার্গের অনিশ্চয়তা আজও তাদের ভবিষ্যৎ ঘিরে বর্তমান। শুধু টিউশন থেকে পাড়ার যুবতী মেয়েগুলো যখন সন্ধ্যেবেলা ফেরে ওদের দেখে, টোন কাটে, চারিদিকে ঘুরঘুর করে। মেয়েরা পড়শি প্রো-টোনের দল, পজিটিভ এনার্জি দিয়ে যায় ওদের মনে। চারিদিকে ওদের দাদা, অভিভাবক নিউট্রন এর মত ঘিরে থাকায় আজ অবদি ইলেকট্রনদের প্রেমপত্র বিতরণ হল না। নাহলে কত প্রেমের চিঠি কত ভাবে লেখা হয়ে পড়ে আছে। ওদের দেখে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ে কিছু ইলেকট্রন, কিন্তু ওরা চলে গেলে আবার নেতিয়ে যায়। ওদের নাম ফোটন মস্তান ইলেকট্রন।
তো ওদের জিজ্ঞেস করলাম
- ভাই তোমরা হাম্পটি ডাম্পটি কে দেখেছো?
- দাদা আমরা তো "হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া" দেখেছি। তাও অনেক আগে। আপনি টরেন্টে পেয়ে যাবেন।
- আরে না সেটা নয়। এটা একটা অন্য জিনিস।
- কি জিনিস দাদা?
- যেটা ছাড়া সমাজ চলেনা, যেটা মানুষের উপর মানুষের উপর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনে।
একটা মোটা ভারী নাম "আদর্শ "। খুবই ক্ষণস্থায়ী আর ভারী। হাম্পটি ডাম্পটির মত।
( সবাই সমস্বরে হাসলো)
আমি আবার বিনীত ভাবে বললাম -
আরে রাস্তা ঘাটে খুঁজতে বেরিয়েছি পেপার পড়ে, তাকে নাকি খুঁজে পাওয়া গেছে। তারপর দেখলাম পূজার নাম করে বক্স বাজিয়ে মদ খেয়ে উত্তাল নাচ চলছে। বাম হাত আর বাঁকা পথ এ এত সক্রিয় মানুষ। তারপর দেখলাম সব কিছুই শর্ট আজকাল। সম্পর্ক। বন্ধুত্ব। ঘরে এক, ফোনে দশ ; এক রাতের মজা। শুধু প্রেমের সম্পর্ক নয়। খুব সেনসিটিভ সম্পর্ক যেগুলো যেমন শিক্ষক-ছাত্র, ডাক্তার-রুগী, বাবা-মা-ছেলে সব জায়গায় খুঁজলাম। মানুষের মূল্যবোধ, জীবনের দাম ছাড়া পেট্রোল - ডিজেল সহ সব কিছুরই দাম শুধু বাড়ছে। বন্ধু বন্ধুকে ঠকাচ্ছে। শর্ট যুগে কোথাও হাম্পটি ডাম্পটি কে পেলাম না।
একজন ইলেকট্রন আমার দু:খ বুঝে বললো-
আরে দাদা, হোয়াটস্যাপ, ফেসবুকের যুগে মানুষের আটেনশন স্প্যান এত কমে গেছে
আজকাল সব কিছু শর্ট। আগে লোকে গোটা কবিতা পড়তো আর গোটা গান শুনতো। এখন একটা লাইন শোনে। আর কয়েক বছরে দেখবেন কয়েকটা শব্দ শুনবে। পরের শব্দের, পরের লাইনের প্রাসঙ্গিকতা কি ভেবেনা দেখলেও চলবে। লিরিসিস্ট দের ও সুবিধে, এক ছিলিম গাঁজা খাও যা মাথায় আসছে লিখে যাও।
- যেমন কিরকম?
- যেমন ধরুন, একটি মেয়ে তার ডিপি র নীচে আজকাল ক্যাপশন দেয় ধরুন "প্রতি চুম্বনে স্থির"। সে নিজে সেই গানটা পুরোটা শুনেছে কিনা সন্দেহ। তার শর্ট আটেনশন স্প্যান ওই তিনটি শব্দ শুধু ক্যাচ করেছে।
- কিন্তু মানুষ তো উপন্যাস পড়ছে।
- ছাই পড়ছে। কতজন আজকের যুগের লোক উপন্যাস পড়ে হাতে গুনে বলা যাবে। এখন মানুষের ছোট গল্প পড়ারও সময় নেই। অণু গল্প, পরমাণু গল্প এর যুগ বুঝলেন দাদা। এখন তো সরকার ডাক্তার হওয়ার ও শর্টকাট ব্যবস্থা করছে কয়েক মাসের ব্রিজ কোর্স করে।
- তাহলে কি হাম্পটি-ডাম্পটি কণাকে কোথাও খুঁজে পাবোনা ?? পেপারে যে লিখেছে সে নাকি সার্ণের সুড়ঙ্গ এ সুড়সুড়ি দিচ্ছিল।
- আরে ওরা এপ্রিল ফুল বানিয়েছে দাদা। সাংবাদিকেরও তো খবর দরকার। তাই ছেপে দিয়েছে। বাড়ি ফিরে যান। হাম্পটি ডাম্পটি কে শুধু বাচ্চাদের পড়ার বইতেই খুঁজে পাবেন ।।
ইলেকট্রনগুলো সারাদিন ডিপ্রেশনের কথা বলে, বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে মেঘের মত ঘুরে বেড়ায় ক্লাবে ক্লাবে। হাইসেনবার্গের অনিশ্চয়তা আজও তাদের ভবিষ্যৎ ঘিরে বর্তমান। শুধু টিউশন থেকে পাড়ার যুবতী মেয়েগুলো যখন সন্ধ্যেবেলা ফেরে ওদের দেখে, টোন কাটে, চারিদিকে ঘুরঘুর করে। মেয়েরা পড়শি প্রো-টোনের দল, পজিটিভ এনার্জি দিয়ে যায় ওদের মনে। চারিদিকে ওদের দাদা, অভিভাবক নিউট্রন এর মত ঘিরে থাকায় আজ অবদি ইলেকট্রনদের প্রেমপত্র বিতরণ হল না। নাহলে কত প্রেমের চিঠি কত ভাবে লেখা হয়ে পড়ে আছে। ওদের দেখে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ে কিছু ইলেকট্রন, কিন্তু ওরা চলে গেলে আবার নেতিয়ে যায়। ওদের নাম ফোটন মস্তান ইলেকট্রন।
তো ওদের জিজ্ঞেস করলাম
- ভাই তোমরা হাম্পটি ডাম্পটি কে দেখেছো?
- দাদা আমরা তো "হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া" দেখেছি। তাও অনেক আগে। আপনি টরেন্টে পেয়ে যাবেন।
- আরে না সেটা নয়। এটা একটা অন্য জিনিস।
- কি জিনিস দাদা?
- যেটা ছাড়া সমাজ চলেনা, যেটা মানুষের উপর মানুষের উপর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনে।
একটা মোটা ভারী নাম "আদর্শ "। খুবই ক্ষণস্থায়ী আর ভারী। হাম্পটি ডাম্পটির মত।
( সবাই সমস্বরে হাসলো)
আমি আবার বিনীত ভাবে বললাম -
আরে রাস্তা ঘাটে খুঁজতে বেরিয়েছি পেপার পড়ে, তাকে নাকি খুঁজে পাওয়া গেছে। তারপর দেখলাম পূজার নাম করে বক্স বাজিয়ে মদ খেয়ে উত্তাল নাচ চলছে। বাম হাত আর বাঁকা পথ এ এত সক্রিয় মানুষ। তারপর দেখলাম সব কিছুই শর্ট আজকাল। সম্পর্ক। বন্ধুত্ব। ঘরে এক, ফোনে দশ ; এক রাতের মজা। শুধু প্রেমের সম্পর্ক নয়। খুব সেনসিটিভ সম্পর্ক যেগুলো যেমন শিক্ষক-ছাত্র, ডাক্তার-রুগী, বাবা-মা-ছেলে সব জায়গায় খুঁজলাম। মানুষের মূল্যবোধ, জীবনের দাম ছাড়া পেট্রোল - ডিজেল সহ সব কিছুরই দাম শুধু বাড়ছে। বন্ধু বন্ধুকে ঠকাচ্ছে। শর্ট যুগে কোথাও হাম্পটি ডাম্পটি কে পেলাম না।
একজন ইলেকট্রন আমার দু:খ বুঝে বললো-
আরে দাদা, হোয়াটস্যাপ, ফেসবুকের যুগে মানুষের আটেনশন স্প্যান এত কমে গেছে
আজকাল সব কিছু শর্ট। আগে লোকে গোটা কবিতা পড়তো আর গোটা গান শুনতো। এখন একটা লাইন শোনে। আর কয়েক বছরে দেখবেন কয়েকটা শব্দ শুনবে। পরের শব্দের, পরের লাইনের প্রাসঙ্গিকতা কি ভেবেনা দেখলেও চলবে। লিরিসিস্ট দের ও সুবিধে, এক ছিলিম গাঁজা খাও যা মাথায় আসছে লিখে যাও।
- যেমন কিরকম?
- যেমন ধরুন, একটি মেয়ে তার ডিপি র নীচে আজকাল ক্যাপশন দেয় ধরুন "প্রতি চুম্বনে স্থির"। সে নিজে সেই গানটা পুরোটা শুনেছে কিনা সন্দেহ। তার শর্ট আটেনশন স্প্যান ওই তিনটি শব্দ শুধু ক্যাচ করেছে।
- কিন্তু মানুষ তো উপন্যাস পড়ছে।
- ছাই পড়ছে। কতজন আজকের যুগের লোক উপন্যাস পড়ে হাতে গুনে বলা যাবে। এখন মানুষের ছোট গল্প পড়ারও সময় নেই। অণু গল্প, পরমাণু গল্প এর যুগ বুঝলেন দাদা। এখন তো সরকার ডাক্তার হওয়ার ও শর্টকাট ব্যবস্থা করছে কয়েক মাসের ব্রিজ কোর্স করে।
- তাহলে কি হাম্পটি-ডাম্পটি কণাকে কোথাও খুঁজে পাবোনা ?? পেপারে যে লিখেছে সে নাকি সার্ণের সুড়ঙ্গ এ সুড়সুড়ি দিচ্ছিল।
- আরে ওরা এপ্রিল ফুল বানিয়েছে দাদা। সাংবাদিকেরও তো খবর দরকার। তাই ছেপে দিয়েছে। বাড়ি ফিরে যান। হাম্পটি ডাম্পটি কে শুধু বাচ্চাদের পড়ার বইতেই খুঁজে পাবেন ।।
No comments:
Post a Comment