আগন্তুক - ভাইলোগ, কি খবর ??
১- আরে কাকা। তুই বেঁচে আছিস ?
- একদম। ওই তোর কি হল? কথা বলছেনা কেন ?
১- ওর *ড় মারা গেছে।
২- হাট বা*, *ট জ্বালাস না।
- হার্ট কেস ?
(হাল্কা মুচকি হেসে সম্মতি সূচক মাথা নাড়ল প্রথম জন।)
- চল্ ছাদে যাই।শুধু আমরা দুজন। কোন ভাইরাস যাবেনা।
২- আমার যেতে ইচ্ছে করছেনা।
- আরে চল্ না। এতদিন পর দেখা।
২- চল্।
(ছাদে গিয়েই কান্নাকাটি শুরু করে দিল দ্বিতীয়জন।)
২- ওকে খুব ভালোবাসতাম রে।
- হুম্।
২- তুই খিল্লি নিচ্ছিস তো ?
- (হাল্কা হেসে বললো) আরে আমারো এক মাসও হয়নি ব্রেক-আপ হল।
২- সে কি রে। তোরটাতো সব ঠিক ছিল বলে জানতাম।
- বাদ দে। তুই কি চাস আবার ঠিক করতে ?
২- ঠিক হবেনা। আমি জানি হয়তো ও ও কষ্ট পাচ্ছে আমার মত। কোথাও হয়তো ভালোবাসে। কিন্তু তোর কি করে হল ?
- হয়ে গেলো। তো এখন কি ভাবছিস?
২- এই একটা নতুন মেয়ের সাথে ভাঁটাচ্ছি।
- কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছিস ?
২- হ্যাঁ, অনেকটা সেরকমই।
- আগের জনকে ফোন করিস ?
২- না, ওই করে। কান্নাকাটি করে। সেদিন ফোন করে কাঁদছিল বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
- ভালো তো।
২- হুম্। আসলে মায়ার বাঁধন কেটে বেরোতে পারছিনা। হ্যাঁ এ আছে সময় কেটে যায়, কিন্তু..
- একটা কবিতার লাইন তোকে শোনাই,
তুমি আছো, আমি আছি, খুব ভালো,
তুমি নাই, আমি নাই, ক্ষতি নাই।
২- ওকে ভোলা চাপ হবে রে।
- কুল ম্যান। শ্যামাসংগীত শোন।
'ভেবে দেখ মন কেউ কারো নয়'
২- তোর কাটলো কি করে বললি না।
- আমার আসলে সাড়ে উনিশটা গার্লফ্রেন্ড। কাকে ছাড়ি, কাকে ধরি এই করতে করতে আসল যে তাকে সময় দিতে পারলাম না। ছাদে গিয়ে এখন তাকে মাঝে মাঝে মনে করি।
২- তুই এরকম **য়া জানতাম না।
- কেন ? কৃষ্ণ করলে লীলা, আর আমরা করলে **য়া।
২- আরে আমাকেও ধার দে। নাম বল। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই। টাইম পাস হবে।
- আনাটমি, ফিজিওলজি....
২- বোকা*দা, **কির ছেলে
- আর কিছু ।
২- তোর পারমানেন্ট এক্স গার্লফ্রেন্ডটা কে শুনি যাকে ছাদে গিয়ে মনে করিস।
- ( নাকে সর্দি টেনে মুখটা কাঁচুমাচু করে) গান।
২- *ওড়া, দাঁড়া !! তোকে আজকে কেলিয়ে বৃন্দাবন দেখাবো।
- মারিসনা ভাই। এইতো চেহারা। মারলে আর কিছু থাকবেনা। ভাই ইম্পোটেন্ট হয়ে যাবো মাইরি।
২- আচ্ছা মারবো না, এদিকে আয়। তুই হারামি আছিস।
- হ্যাঁ, এটা ঠিক। তোকে একটা কথা বলি- লাইফটাকে টার্গেটে ফিক্স কর। নিজেকে ভালোবাস। নিজের মেরুদন্ডটা শক্ত কর। বি হনেস্ট টু ইউরসেল্ফ।
২- হ্যাঁ কিন্তু যদি ভালোবাসা নাই থাকে, কোথায় শান্তি পাবো, কোথা গিয়ে। কেউ তো আমার রেজাল্ট মনে রাখবেনা। হ্যাপিনেস তখনই বাস্তব যখন সেটা সেয়ার করা যায় নিজের মতো কারোর সাথে।
- হ্যাঁ এসবই ঠিক কথা। ভালো-খারাপ সব দৃষ্টিভংগির ব্যাপার। সবাই পরিস্থিতির স্বীকার।কিন্তু ভেবে বল ধর তোর একটা মনের মত বউ হল, সে তোকে ছাড়া আর কাউকে চেনেনা। তারপর ৫০ বছরে দুম্ করে মরে গেল।
২- হাট্ বা*। তুই কি নিষ্ঠুর ভাবে কথা বলিস।
- না কথাটার উত্তর দে। যদি এরকম হয় বাকি জীবনটা তুই কি করবি ? তোর তো বউএর সাথে ঝুলে থাকা অভ্যেস।
২- নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখবো।
- হে বালক, এই অল্প বয়সে তুমি নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখতে পারছো না, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলছো। বন্ধুদের সাথে মদ খেয়ে কান্না করছো। তখন তো কেউ থাকবেনা। কি করবেন আপনি রাজা ?
২- ভেবে দেখিনি।
- অতএব একজন মহাপুরুষ বলিয়াছেন - নিজে বাঁচতে শেখো। নিজেকে ভালোবাসো। নিজে হাসতে শেখো। এতে কিক আছে।
২- তোকে আমি বুঝতে পারিনা। কখনো মনে হয় তোর মত ইমোশনাল ফুল আর কেউ নেই, কখনো শালা তোর মত কাঠখোট্টা ড্রামাবাজ আর কেউ নেই। তুই এত কম্পলেক্স। বাই দা ওয়ে, মহাপুরুষটা কে ?
- আপনার সামনে হাজির।
২- তুই হারামি আছিস, হনেস্ট হারামি।
(দুজন হাসতে লাগলো হা-হা করে।)
২- তুই কখনো বোকা হসনি ?
- হ্যাঁ, বহুবার, যতবার বায়াসড্ হয়েছি বোকা হয়েছি। যারা কবি, চরিত্র সৃষ্টি করে তাদের নিউট্রাল থাকতে হয়। তবেই সব কিছু চোখে পড়ে। কোন চরিত্রের উপর বায়াসড্ হলেই তারা পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায়। ঠেকে শেখে।
২- আমরাও তো তাই।
- ইয়া, উই অল আর পোয়েটস্। রিয়েলি। কেউ লেখে , কেউ পারেনা।
২- ওর যদি অন্য কোথাও বিয়ে হয়, অন্য কোন প্রেম করে আমি ছেড়ে দেবোনা।
- ওয়েট, ওয়েট। এটা কেন ? তুই ওকে ফিরে পেতে চাস? না, কিন্তু চাস যে ও তোর জন্য সারা জীবন বসে থাকুক হা-পিত্তিশ করে।
২- না ঠিক তা নয়।
- দেখ ভাউ, মেয়েদের দুনিয়াটা আমাদের থেকে আলাদা। নিউট্রাল থেকে ভাবিস। আমি এই দাবী করবোনা ওদের আমি পুরোপুরি বুঝতে পারি, কিন্তু ওদের দুনিয়াটা আমাদের মত নয়, এটা বুঝি। তোর না পোষালে একা থাক। ইটস্ সো সিম্পল।
২- একা থাকা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।
- তাহলে মেনে নিতে হবে।
২- কি মানতে হবে শুনি, যে আমায় খুঁটি করে ঘাস খেয়ে বেড়াবে চারিদিকে। জাস্ট ফিল লাইক স্পাইনলেস।তারপর বেটার পেলেই টা টা।
- তোর দৃষ্টিভংগি থেকে ঠিক এটা। কিন্তু ওদের দিক থেকে ভাবলে অন্যরকম।
২- কিরকম শুনি।
- দেখ এটা তো মানিস, মেয়েরা আছে বলেই স্বপ্ন আছে, নাহলে পৃথিবীটা শুধু হার-জিত, আর যুদ্ধে ভরে যেতো।
২- ওইসব বাতেল না দিয়ে কাজের কথায় আয়। গুড ফ্রেন্ড, বেস্ট ফ্রেন্ড, স্পেসাল ফ্রেন্ড, ভাইওয়ালা ফ্রেন্ড। এইরকম কত সার্কেল। তারপর একজন গান্ডু বড়লোক দেখে বিয়ে করবে। ছেলেরাও সেরকম গান্ডু হয়।মেয়েদের মতো কমপ্লিকেটেড ছকবাজ মিথ্যেবাদী খুব কম দেখেছি। মিথ্যে বলে ফাঁদে ফেলে। যখন দেখে ছেলে পুরো ফেঁসেছে জাল গোটাতে থাকে। সবাই এক।
- হ্যাঁ তোর দিক থেকে তুই ঠিক। ওরাও ওইভাবে ছেলেদের ভাবে। আসলে মেয়েদের দুনিয়া ভালোবাসাতে ভরা। ওরা ভালোবাসা চায়। যত চায় চাহিদার শেষ নেই। একজন থাকে যাকে সবকিছু দিয়ে ভালোবাসে। বাকিদেরও ভালোবাসে। বিভিন্ন ভাবে। এটাকে ছেলেদের দৃষ্টি থেকে দেখলে ওরকমই লাগবে। মেয়েদের সিক্সথ সেন্স, পলিটিক্যাল সেন্স প্রখর হয়। কিন্তু সেটা ভালোবাসার স্বার্থেই কাজে লাগায়। তোর না পোষালে থাকিসনা। ওদের সাথে খেলিস ও না। স্টে অনেস্ট টু ইউরসেল্ফ। কিন্তু তার জন্য সে বিয়ে করবে, না প্রেম করবে সেটা তোর ভাবার কথা নয়। মেয়েদের সমাজে থাকতে গেলে ভালোবাসা, সিকিউরিটি দরকার।যার কাছে ভালো পাবে তার কাছে যাবে। এতে নিউট্রাল দিক থেকে ভাবলে দোষের কিছু তো নেই। তাকে ছেড়ে তুই আবার একজনের সাথে কথা বলছিস। এ ও কম বেশি একই হবে।
২- সমাধান কি?
- নো সমাধান। হয় চক্রবূয়হ থেকে বেরোতে হবে। নাহলে দিল্লীকা লাড্ডু।
২- আমার সব গুলিয়ে গেলো। এভাবে ভাবলে তো আজকের যুগে হনেস্টলি কাউকে ভালোবাসা চাপ।
- ভালোবাসাই যদি তোর জীবনের লক্ষ্য হয় তাহলে যাওয়া - আসার দরজা খোলা রাখো, কিন্তু মাঝে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দিওনা। তা না হলে সব দরজা বন্ধ করে বিন্দাস থাকো। এখন ফেসবুক হোয়াটসাপের যুগ। মেয়েরা আপারহ্যান্ড তো নেবেই।একটা সময় ছেলেরা মেয়েদের ঝি-চাকর ভাবতো। এখন সব কিছু এত চাইলেই পাওয়া যায়। আগেকার যুগ আর নেই। এটা মেয়েরা করে কম- বেশি। ছেলেরাও করে তাল মিলিয়ে। তার মানে মেয়েরা অন্য কারো সাথে বিছানায় হয়তো শোবেনা। খুব লিবারেল না হলে। সেটাও ভালোবাসার স্বার্থে। এসব মেনে নিতে পারলে সিরিয়াস রিলেশনে যাও।
১- আরে কাকা। তুই বেঁচে আছিস ?
- একদম। ওই তোর কি হল? কথা বলছেনা কেন ?
১- ওর *ড় মারা গেছে।
২- হাট বা*, *ট জ্বালাস না।
- হার্ট কেস ?
(হাল্কা মুচকি হেসে সম্মতি সূচক মাথা নাড়ল প্রথম জন।)
- চল্ ছাদে যাই।শুধু আমরা দুজন। কোন ভাইরাস যাবেনা।
২- আমার যেতে ইচ্ছে করছেনা।
- আরে চল্ না। এতদিন পর দেখা।
২- চল্।
(ছাদে গিয়েই কান্নাকাটি শুরু করে দিল দ্বিতীয়জন।)
২- ওকে খুব ভালোবাসতাম রে।
- হুম্।
২- তুই খিল্লি নিচ্ছিস তো ?
- (হাল্কা হেসে বললো) আরে আমারো এক মাসও হয়নি ব্রেক-আপ হল।
২- সে কি রে। তোরটাতো সব ঠিক ছিল বলে জানতাম।
- বাদ দে। তুই কি চাস আবার ঠিক করতে ?
২- ঠিক হবেনা। আমি জানি হয়তো ও ও কষ্ট পাচ্ছে আমার মত। কোথাও হয়তো ভালোবাসে। কিন্তু তোর কি করে হল ?
- হয়ে গেলো। তো এখন কি ভাবছিস?
২- এই একটা নতুন মেয়ের সাথে ভাঁটাচ্ছি।
- কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছিস ?
২- হ্যাঁ, অনেকটা সেরকমই।
- আগের জনকে ফোন করিস ?
২- না, ওই করে। কান্নাকাটি করে। সেদিন ফোন করে কাঁদছিল বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
- ভালো তো।
২- হুম্। আসলে মায়ার বাঁধন কেটে বেরোতে পারছিনা। হ্যাঁ এ আছে সময় কেটে যায়, কিন্তু..
- একটা কবিতার লাইন তোকে শোনাই,
তুমি আছো, আমি আছি, খুব ভালো,
তুমি নাই, আমি নাই, ক্ষতি নাই।
২- ওকে ভোলা চাপ হবে রে।
- কুল ম্যান। শ্যামাসংগীত শোন।
'ভেবে দেখ মন কেউ কারো নয়'
২- তোর কাটলো কি করে বললি না।
- আমার আসলে সাড়ে উনিশটা গার্লফ্রেন্ড। কাকে ছাড়ি, কাকে ধরি এই করতে করতে আসল যে তাকে সময় দিতে পারলাম না। ছাদে গিয়ে এখন তাকে মাঝে মাঝে মনে করি।
২- তুই এরকম **য়া জানতাম না।
- কেন ? কৃষ্ণ করলে লীলা, আর আমরা করলে **য়া।
২- আরে আমাকেও ধার দে। নাম বল। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই। টাইম পাস হবে।
- আনাটমি, ফিজিওলজি....
২- বোকা*দা, **কির ছেলে
- আর কিছু ।
২- তোর পারমানেন্ট এক্স গার্লফ্রেন্ডটা কে শুনি যাকে ছাদে গিয়ে মনে করিস।
- ( নাকে সর্দি টেনে মুখটা কাঁচুমাচু করে) গান।
২- *ওড়া, দাঁড়া !! তোকে আজকে কেলিয়ে বৃন্দাবন দেখাবো।
- মারিসনা ভাই। এইতো চেহারা। মারলে আর কিছু থাকবেনা। ভাই ইম্পোটেন্ট হয়ে যাবো মাইরি।
২- আচ্ছা মারবো না, এদিকে আয়। তুই হারামি আছিস।
- হ্যাঁ, এটা ঠিক। তোকে একটা কথা বলি- লাইফটাকে টার্গেটে ফিক্স কর। নিজেকে ভালোবাস। নিজের মেরুদন্ডটা শক্ত কর। বি হনেস্ট টু ইউরসেল্ফ।
২- হ্যাঁ কিন্তু যদি ভালোবাসা নাই থাকে, কোথায় শান্তি পাবো, কোথা গিয়ে। কেউ তো আমার রেজাল্ট মনে রাখবেনা। হ্যাপিনেস তখনই বাস্তব যখন সেটা সেয়ার করা যায় নিজের মতো কারোর সাথে।
- হ্যাঁ এসবই ঠিক কথা। ভালো-খারাপ সব দৃষ্টিভংগির ব্যাপার। সবাই পরিস্থিতির স্বীকার।কিন্তু ভেবে বল ধর তোর একটা মনের মত বউ হল, সে তোকে ছাড়া আর কাউকে চেনেনা। তারপর ৫০ বছরে দুম্ করে মরে গেল।
২- হাট্ বা*। তুই কি নিষ্ঠুর ভাবে কথা বলিস।
- না কথাটার উত্তর দে। যদি এরকম হয় বাকি জীবনটা তুই কি করবি ? তোর তো বউএর সাথে ঝুলে থাকা অভ্যেস।
২- নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখবো।
- হে বালক, এই অল্প বয়সে তুমি নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখতে পারছো না, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলছো। বন্ধুদের সাথে মদ খেয়ে কান্না করছো। তখন তো কেউ থাকবেনা। কি করবেন আপনি রাজা ?
২- ভেবে দেখিনি।
- অতএব একজন মহাপুরুষ বলিয়াছেন - নিজে বাঁচতে শেখো। নিজেকে ভালোবাসো। নিজে হাসতে শেখো। এতে কিক আছে।
২- তোকে আমি বুঝতে পারিনা। কখনো মনে হয় তোর মত ইমোশনাল ফুল আর কেউ নেই, কখনো শালা তোর মত কাঠখোট্টা ড্রামাবাজ আর কেউ নেই। তুই এত কম্পলেক্স। বাই দা ওয়ে, মহাপুরুষটা কে ?
- আপনার সামনে হাজির।
২- তুই হারামি আছিস, হনেস্ট হারামি।
(দুজন হাসতে লাগলো হা-হা করে।)
২- তুই কখনো বোকা হসনি ?
- হ্যাঁ, বহুবার, যতবার বায়াসড্ হয়েছি বোকা হয়েছি। যারা কবি, চরিত্র সৃষ্টি করে তাদের নিউট্রাল থাকতে হয়। তবেই সব কিছু চোখে পড়ে। কোন চরিত্রের উপর বায়াসড্ হলেই তারা পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায়। ঠেকে শেখে।
২- আমরাও তো তাই।
- ইয়া, উই অল আর পোয়েটস্। রিয়েলি। কেউ লেখে , কেউ পারেনা।
২- ওর যদি অন্য কোথাও বিয়ে হয়, অন্য কোন প্রেম করে আমি ছেড়ে দেবোনা।
- ওয়েট, ওয়েট। এটা কেন ? তুই ওকে ফিরে পেতে চাস? না, কিন্তু চাস যে ও তোর জন্য সারা জীবন বসে থাকুক হা-পিত্তিশ করে।
২- না ঠিক তা নয়।
- দেখ ভাউ, মেয়েদের দুনিয়াটা আমাদের থেকে আলাদা। নিউট্রাল থেকে ভাবিস। আমি এই দাবী করবোনা ওদের আমি পুরোপুরি বুঝতে পারি, কিন্তু ওদের দুনিয়াটা আমাদের মত নয়, এটা বুঝি। তোর না পোষালে একা থাক। ইটস্ সো সিম্পল।
২- একা থাকা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।
- তাহলে মেনে নিতে হবে।
২- কি মানতে হবে শুনি, যে আমায় খুঁটি করে ঘাস খেয়ে বেড়াবে চারিদিকে। জাস্ট ফিল লাইক স্পাইনলেস।তারপর বেটার পেলেই টা টা।
- তোর দৃষ্টিভংগি থেকে ঠিক এটা। কিন্তু ওদের দিক থেকে ভাবলে অন্যরকম।
২- কিরকম শুনি।
- দেখ এটা তো মানিস, মেয়েরা আছে বলেই স্বপ্ন আছে, নাহলে পৃথিবীটা শুধু হার-জিত, আর যুদ্ধে ভরে যেতো।
২- ওইসব বাতেল না দিয়ে কাজের কথায় আয়। গুড ফ্রেন্ড, বেস্ট ফ্রেন্ড, স্পেসাল ফ্রেন্ড, ভাইওয়ালা ফ্রেন্ড। এইরকম কত সার্কেল। তারপর একজন গান্ডু বড়লোক দেখে বিয়ে করবে। ছেলেরাও সেরকম গান্ডু হয়।মেয়েদের মতো কমপ্লিকেটেড ছকবাজ মিথ্যেবাদী খুব কম দেখেছি। মিথ্যে বলে ফাঁদে ফেলে। যখন দেখে ছেলে পুরো ফেঁসেছে জাল গোটাতে থাকে। সবাই এক।
- হ্যাঁ তোর দিক থেকে তুই ঠিক। ওরাও ওইভাবে ছেলেদের ভাবে। আসলে মেয়েদের দুনিয়া ভালোবাসাতে ভরা। ওরা ভালোবাসা চায়। যত চায় চাহিদার শেষ নেই। একজন থাকে যাকে সবকিছু দিয়ে ভালোবাসে। বাকিদেরও ভালোবাসে। বিভিন্ন ভাবে। এটাকে ছেলেদের দৃষ্টি থেকে দেখলে ওরকমই লাগবে। মেয়েদের সিক্সথ সেন্স, পলিটিক্যাল সেন্স প্রখর হয়। কিন্তু সেটা ভালোবাসার স্বার্থেই কাজে লাগায়। তোর না পোষালে থাকিসনা। ওদের সাথে খেলিস ও না। স্টে অনেস্ট টু ইউরসেল্ফ। কিন্তু তার জন্য সে বিয়ে করবে, না প্রেম করবে সেটা তোর ভাবার কথা নয়। মেয়েদের সমাজে থাকতে গেলে ভালোবাসা, সিকিউরিটি দরকার।যার কাছে ভালো পাবে তার কাছে যাবে। এতে নিউট্রাল দিক থেকে ভাবলে দোষের কিছু তো নেই। তাকে ছেড়ে তুই আবার একজনের সাথে কথা বলছিস। এ ও কম বেশি একই হবে।
২- সমাধান কি?
- নো সমাধান। হয় চক্রবূয়হ থেকে বেরোতে হবে। নাহলে দিল্লীকা লাড্ডু।
২- আমার সব গুলিয়ে গেলো। এভাবে ভাবলে তো আজকের যুগে হনেস্টলি কাউকে ভালোবাসা চাপ।
- ভালোবাসাই যদি তোর জীবনের লক্ষ্য হয় তাহলে যাওয়া - আসার দরজা খোলা রাখো, কিন্তু মাঝে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দিওনা। তা না হলে সব দরজা বন্ধ করে বিন্দাস থাকো। এখন ফেসবুক হোয়াটসাপের যুগ। মেয়েরা আপারহ্যান্ড তো নেবেই।একটা সময় ছেলেরা মেয়েদের ঝি-চাকর ভাবতো। এখন সব কিছু এত চাইলেই পাওয়া যায়। আগেকার যুগ আর নেই। এটা মেয়েরা করে কম- বেশি। ছেলেরাও করে তাল মিলিয়ে। তার মানে মেয়েরা অন্য কারো সাথে বিছানায় হয়তো শোবেনা। খুব লিবারেল না হলে। সেটাও ভালোবাসার স্বার্থে। এসব মেনে নিতে পারলে সিরিয়াস রিলেশনে যাও।
এর কিছু পর তারা নিজের ঘরে ফিরে এলো। দ্বিতীয়জন অবচেতন মনে ভাবলো - নিজেকে খুব চালাক ভাবে, ভাবছে আমার কথা সব বের করে নিলো। আসলে আমিই ওর কাছে বলে সব হাল্কা হলাম।
প্রথম জন অবচেতন মনে ভাবলো - আগন্তুক, তুমি যতই চেষ্টা করো, প্যাচ আপ আর করাতে পারবেনা। আমি এখানে সিংগেল বসে, আমার রুম-মেট আমায় বাদ দিয়ে গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঝামেলা করবে, এসব আমার সহ্য হয়না। আগন্তুক দুজনের মনে চলা আরো হাজার রকম স্রোতকে দেখলো। তারপর হেসে বললো - ভাইলোগ এলাম।
১- আচ্ছা ভাই ( আয় বা**দ)
২- হ্যাঁরে ( সত্যি তুই আমার বন্ধু)
দশ বছর পরের কথা। আগন্তুক ওখান থেকে বেরিয়ে এখন তার গ্রামের স্কুলটায় বাচ্চাদের সংগে লুকোচুরি খেলছে। সে চোর। বাকি বাচ্চাগুলো লুকিয়েছে। একটা বাচ্চা দেখলো, বস্তা চাপা দিয়ে হাসছে খিল খিল করে। তাকে চেপে ধরতেই ধরা পড়েও খিল খিল করে হাসতে লাগলো। একটা কথাই মাথায় এলো। চালাকদের বোকা বানানো যায়, বোকাদের বোকা বানাবে কি করে ? এরা বোকামি করেও হাসে। সে ও হাসতে লাগলো। এরপর বাচ্চাদের নিয়ে চলে গেলো খাল পাড়ে। ছিপ ফেলে মাছ ধরা শেখাতে লাগলো। একটা একটা মাছ ধরছে। আর নাম্বার গোনা শেখাচ্ছে।
এর বেশ খানিকটা দূরে একটা বাড়িতে বাড়ির কর্তা গিন্নীকে বললেন -
কিগো বাবু কি এখনো সেই পাগলা-চন্ডী ডাক্তারটার সাথে ঘুরছে ?? তাকে আনবেনা?
গিন্নী কর্তাকে বললেন - থাকনা ওখানে। ওখানে খায়-দায় ভালোই তো থাকে। এইটুকু বয়সে ছেলেটা কত কিছু বলে।
কর্তা বললেন - চলো আমরা ঘরে যাই।... ডাক্তার কি বলছিলো, পরের মাস থেকে দুশো টাকা ফিজ নিয়ে দেখবে। শালা কি হারামি মাইরি। নিজের পপুলারিটির স্বার্থে এসব বাচ্চা পড়ানো।
- হ্যাঁ, সেদিন বললাম, আপনি মানুষ না হারামি ? নির্লজ্জর মত বললো - হারামি।
'কাকে নিয়ে কথা কইছিস, হ্যাঁ ? ডাক্তারকে নিয়ে কিছু বললি মুখ ভেংগে দিব '
পাশের ঘর থেকে ডেকে উঠলো কর্তার মা।
- 'কেউ না মা।'
এর বেশ খানিকটা দূরে একটা বাড়িতে বাড়ির কর্তা গিন্নীকে বললেন -
কিগো বাবু কি এখনো সেই পাগলা-চন্ডী ডাক্তারটার সাথে ঘুরছে ?? তাকে আনবেনা?
গিন্নী কর্তাকে বললেন - থাকনা ওখানে। ওখানে খায়-দায় ভালোই তো থাকে। এইটুকু বয়সে ছেলেটা কত কিছু বলে।
কর্তা বললেন - চলো আমরা ঘরে যাই।... ডাক্তার কি বলছিলো, পরের মাস থেকে দুশো টাকা ফিজ নিয়ে দেখবে। শালা কি হারামি মাইরি। নিজের পপুলারিটির স্বার্থে এসব বাচ্চা পড়ানো।
- হ্যাঁ, সেদিন বললাম, আপনি মানুষ না হারামি ? নির্লজ্জর মত বললো - হারামি।
'কাকে নিয়ে কথা কইছিস, হ্যাঁ ? ডাক্তারকে নিয়ে কিছু বললি মুখ ভেংগে দিব '
পাশের ঘর থেকে ডেকে উঠলো কর্তার মা।
- 'কেউ না মা।'
No comments:
Post a Comment