Friday, April 17, 2020

Last vocal revolt

আমি নিজেকে উপহাস করতে ভালোবাসি। আমি অবশ্যই আমাদের পল সিস্টেমকেও উপহাস করব। যে কেউ এটি নিয়ে উপহাস করতে পারেন। তবে তার পরে, আরও ভাল পরিকল্পনা নিয়ে আসুন। একটি নতুন ধারণা বা দর্শন তৈরি করা হোক্। কোন ধারণা বা দর্শন 100% নিখুঁত হতে পারে বলে আমি মনে করিনা। তবে "দাস ক্যাপিটাল " এর প্রভাব নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়। এটি আজ অবধি সামাজিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে উদ্ধৃত গ্রন্থ। কার্ল মার্কস 1867 সালে দাস কাপিটালের খণ্ড 1 প্রকাশ করেছিলেন।  কার্ল মার্কস 1883 সালে মারা যান। পরবর্তী খণ্ডগুলি তার মৃত্যুর পরে তার বন্ধু ফ্রিডরিচ এঙ্গেলস তাঁর নোটবই থেকে বই লিখে প্রকাশ করেছিলেন। দাস কপিটাল খণ্ড ১ প্রকাশের পরে লক্ষ্য করুন, মার্কসের মৃত্যুর আগে ১৬ বছরের একটা ফাঁক ছিল। তাঁর কাজটি তখন সঠিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। কিন্তু সময় এবং প্রয়োজনীয়তার সাথে তার কাজগুলি স্বীকৃত হয়। দার্শনিক নীটশে-র ক্ষেত্রেও একই কথা সত্যি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কোনও সিস্টেম পারফেক্ট নয়। আমরা আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চক্রের মধ্যে সবসময় বিভিন্ন দর্শন এবং ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করি। আমি এই কদিন হল পল সিস্টেমটি প্রকাশ করেছি, তবে এর কাঠামোটি বহু বছর ধরে আমাদের সবার চর্চার মাধ্যমে তৈরি হচ্ছিল। আমি আমার সমস্ত বন্ধু এবং অবদানকারীদের হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। এটি করার জন্য এই লকডাউন পিরিয়ডের চেয়ে ভাল সময় আর নেই। দুমদাম চ্যালেঞ্জ এবং পিএনপিসি খেলার পরিবর্তে একটি হাসি মুখের সাথে কমেডি থেকে একসঙ্গে একটি দর্শন তৈরি করা যাক্। আলোচনায় বাম,ডান, মধ্যপন্থী সবাইকে স্বাগত। কারো যদি "পল মেনিফেস্টো" র কোন পয়েন্ট বুঝতে অসুবিধে হয় সে জিজ্ঞেস করলে, তাকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বুঝিয়ে দেবেন। তবে একটু ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে, এই যা।

****


||অসুবিধে হচ্ছে ||
প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ভুগছি। প্রচন্ড। কতজন আছে যারা প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ভুগছে? যারা মুক্তি চাইছে এই ঘুণ ধরে যাওয়া সমাজ থেকে? ভাইরাল লেখা কি খুব কঠিন? আমি জানি কিভাবে ভাইরাল লেখা লিখতে হয়। যে ইস্যুটা বাজারে খাচ্ছে সেটা নিয়ে একটা শাঁসালো ঝাঁঝালো চমকালো মনে পিনিক জাগানো প্রতিবাদী লেখা কি খুব কঠিন? তারপর আমার লেখা আমাকেই লোকজন বেনামে বা কপিড করে ফরোয়ার্ড করবে। অপরিচিত বন্ধুত্ব গ্রহণের কিছু আবেদন আসবে। আমার ঠোঁটের কোণে ডিপ্রেশন আসবে এই ভেবে নয়, যে আমারই ভাইরাল লেখা দাম পেলোনা। বরং এই ভেবে আমার বাজে লেখা কিছু লোক তাও পড়লো, যেগুলো ভালো লেখা কেউ পড়লো না। এসব হিসেব হলে দিনের শেষে তোমার আমার ভাঁড়ারে সেই ডিপ্রেশনের গুড় পড়ে থাকে। সেটা মাখিয়ে যে কিছু রুটি খাবো, তার উপায় নেই।
প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ভুগছি। চারিদিকে এত ইস্যু। আমি প্রতিবাদ জানিয়ে যে লিখবো, কি লাভ। ঘৃণার বিপক্ষে ঘৃণা বাড়বে। দিশাহীন মানুষ আরো দিশাহীন হয়ে পড়বে। আসলে মাঠের কৃষক থেকে ডাক্তার সবাই প্রলেতারিয়েত৷ সবাই। সবাই তারা কোন অংগুলিহেলনে চলে। তাদের স্বপ্ন নিয়ে, তাদের স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে কেউ ভাবেনা। আর গাছের গায়ে পেরেক মেরে সেখানে সাইনবোর্ডে সমাজের মৃতদেহ ঝুলতে থাকে। সমাজের পিস্টনে নিষ্পেষিত সর্বহারা যখন বিলের ধারে পাখিটিকে ঝুপ করে জলে ডুব মারতে দেখে, সে বুঝতে পারে ভগবান আছেন। সে যখন সমাজের সর্বস্তরে ডিপ্লোম্যাসির লাথি খেতে খেতে, মাথা নামিয়ে নদীর পাড়ে বসে দেখে লাল গোল সূর্য পশ্চিমদিকে নামছে, সে অনুভব করে ভগবান আছেন। কিন্তু ভগবান নেই। ভগবান সর্বহারার অলীক কল্পনা মাত্র। চেষ্টা করলে কোন অলৌকিক আদর্শবাদী সামাজিক সিস্টেম কার্যকরী হতে পারে। কিন্তু ভগবান হাজার চেষ্টাতেও সামনে এসে দাঁড়াবেন, এটা বিজ্ঞানভিত্তিক কথা নয়। যদি কেউ এনে দিতে পারেন, আমি মাথা নত করে প্রণাম করবো। একটা সুস্থ সমাজের সর্বহারার দাবী খুব সামান্য। শান্তি ও ভালোবাসা। বাকিসব এই দুটো না পাওয়ার হতাশা থেকে তৈরি হয়। নববধূর মত ফুলের কুঁড়িটা ফুটছে। পাপড়ি মেলছে। আর দিশাহীন সমাজ ইস্যুর পর ইস্যু খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে ফেলেছে। মানুষ এমন একটা প্রজাতি যাদের মধ্যে এমপ্যাথি সবচেয়ে বেশি। মানুষ তার এই অভ্যেস হারিয়ে ফেলেছে। মানুষ ঘৃণা অভ্যেস করেছে। হিংস্রতা অভ্যেস করেছে। কোথায় আমরা চলেছি খেয়াল নেই। নদীতে জোয়ার এলে জলের টানে নৌকা যেভাবে দিশাহীন হয়ে ভেসে যায়, আমরাও সেভাবে ভেসে চলেছি। সামনে অসীম সমুদ্র। আমাদের সভ্যতা সেখানে গিয়ে প্যারাবোলার মত মিশবে। ঘরে খোকাকে বাবা বলবে - "বাবু, রায় ও মার্টিনের ওই পেপার টা চতুর্থবার করে ফেলো। সমাজের মংগল হবে।"
অসুবিধে হচ্ছে? হ্যাঁ, অসুবিধে হচ্ছে।

****

আজ সভ্যতা যতদূর -
কিছু পাগলের অবদান।
স্বাভাবিকেরা সেই সভ্যতায় ঘর বাঁধে,
নিশ্চুপ, নিরুত্তাপ জীবনের পরে মারা যায়।
যতদিন বেঁচে থাকে তারা,
কিছু পাগলের গড়া -
ভুল-ঠিকে ভরা সভ্য সমাজে,
ততদিন পাগল দাগাতে থাকে।
সেই পাগলরাই আবার নতুন সূর্য আনে।।

****
**উচ্ছে**
বিগত এক বছরে আমি খুবই উচ্ছের মতো তিক্ত এক ব্যক্তি হয়ে উঠেছি৷ খুব আজে বাজে কথা যেখানে সেখানে বলে দিই৷ আজে বাজে লিখছি৷ লোকজন দুমদাম ব্লক করছে, আনফলো করছে।
আর আমার বিন্দুমাত্র যায় না এসে, অন্ধকার একটা ঘরের কোণে ব্যাঙ এর মতো বসে থেকে আরো আজে বাজে লিখছি।
আসলে আমি একটা লেবুর মত, সমাজ আমাকে এমন কচলাচ্ছে যে দিনদিন তিতো হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তিতো ভিলানোভা হলে অকালে মরতে হবে। মরে গেলে তো আমি শেষ। আমি শেষ হলে "আমরা"র অস্তিত্ব নেই। আমড়া না থাকলে চাটনি কি দিয়ে বানাবো? শেষপাতে একটু, মানে কথা চাটনি না পেলে কি বরফ জমে? কি যেন বলছিলাম। হ্যাঁ, উচ্ছে। জঘন্য একটা সবজি। গোটা গায়ে নিউরোফাইব্রোমা হয়ে থাকে। আর স্বাদ অতীব জঘন্য। লোকে আবার ডায়েটিং করার জন্য উচ্ছের জুস খায়। না মানে, সবার যেরকম পেচ্ছাপ, পায়খানা পায়। আমারো সেরকম মাঝে মাঝে লেখা পায়৷ তাই এই লেখাটা। এর কোন মর্মার্থ নেই ৷।



****

নাগরিক জীবনে হাঁফিয়ে উঠেছি। এখানে হাওয়া নেই, গাছ নেই, ঝিল নেই, মানুষ নেই। আছে শুধু কিছু রোবোট৷ সবাই পাগলের মত দৌড়চ্ছে৷ এরা এতে অভ্যস্ত। আমি তো নই। আমার ঝিলের ধারে বসে পাখি দেখতে দেখতে মনের ভেতর ডানা না মেললে দম বন্ধ লাগে। নিশুতি কুয়াশা রাতে চুপ করে বাঁশঝাড়ে বসে হ্যাল হয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক না শুনলে আমার অশান্ত লাগে৷ ভুলভাল কাজ করি, আজেবাজে বকি। লোকে ভাবে পাগল৷ মাথায় অক্সিজেনের অভাব। কিন্তু মাছকে ভালো লাইফের লোভ দেখিয়ে ডাঙায় তুললে মাছের কেমন লাগবে? আমি আবার ভেবেছিলাম এই দেশ ছেড়ে পালাবো৷ মাথা খারাপ নাকি? মার খাই, যাই খাই এখানেই থাকতে হবে আমাকে৷
 আমার বেশিরভাগ পাঠক, শ্রোতা সবাই নগর জীবন ভালোবাসে । তাই আমার কাজের ভাষাও ওইরকম হয়ে গেছে। তোমরা কি কেউ জানো যে "শাপমোচন" আমার খুব প্রিয় সিনেমা? "সন্ধ্যারাগ" আমার খুব প্রিয় বই। শেষ দশ বছরে যত সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছি, একমাত্র "সহজপাঠের গপ্পো" দেখে আমি দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছি। আমার সব থেকে প্রিয় সিনেমা "আগস্ট রাশ"। এই এখন যে জীবন কাটাচ্ছি, আমার জন্য নয়৷ আমাকে ফিরে যেতে হবে কোন সবুজ জায়গায়৷ যেখানে কেউ আমাকে চিনবেনা, ঘাঁটাবেনা। কাছেই কোথাও সাঁওতালি গান ভেসে আসবে। হ্যাল হয়ে শুনবো। কাছে পিঠে কোথাও মাদল বাজবে৷ তোমাদের কারো কালী দাশগুপ্ত র গান ভালো লাগে?? বড়ন্তী লেক ঘুরে এসে মনটা আরো উচাটন হয়ে গেছে। ওখানে একটা ছোটখাটো ঘর লাগবে আমার। কিন্তু জীবনের সমীকরণ বড়ই জটিল। একটা অংক মেলাতে গেলে অন্যটা মেলেনা৷


****



|| বিড়ি ও আদিম মানুষ ||
লকডাউনের মার্কেটে বিড়ি কিনতে বেরিয়েছি। আমার পথে হাঁটতে হাঁটতে একাকীত্ব কাটাতে বিড়ি ধরানো স্বভাব। তো সেই আমি মাস্ক পড়ে বিড়ি কিভাবে খাওয়া যায় ভাবছিলাম। N-95 মাস্কের এক্সপিরেটরি ভালভের ফুঁটো দিয়ে যদি বিড়িটা গলিয়ে ফোঁকা যায় কিনা চিন্তা করছিলাম। হঠাৎ পথে এক উলঙ্গ মানুষের সাথে দেখা৷ আমাকে এসে বললো - আচ্ছা দাদা, আমি এখানে চকমকি পাথর খুঁজছি। খুঁজে দেবেন?
আমি কিন্তু চকমকি পাথরের কথা শুনে একটুও না চমকে ভাবতে লাগলাম বাঙালী আজকাল বাংলা জানেনা৷ আর এই উলঙ্গ মানব কিনা পরিষ্কার বাংলায় কথা বলছে!

আমি জিজ্ঞাসা করলাম - আপনি কে মশাই? চকমকি পাথর কেন খুঁজছেন?

সে উত্তর দিল - আমি আদিম মানুষ। আমার নাম উলংগ রাজা। আমি বহু বছর আগে তীর ধনুক নিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলাম৷ জংগলে এক এলিয়েনের পেছনে শূকর ভেবে তীর মারি৷ সে আমাকে ধরে নিয়ে যায় তাদের উড়ুক্কু যানে। সেখানে আমার উপর নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। আজ আমাকে এখানে ছেড়ে দিয়ে গেছে। পথে একটা বাঁদুড় পেয়েছি। ওটাকে পুড়িয়ে খেতে হলে আগুন লাগবে। তাই চকমকি পাথর খুঁজছি।

আমি তাকে দেশলাই আর বাক্সর টেকনলজি টা শেখালাম। তাকে একটা দেশলাই বাক্স উপহার দিলাম। সে সেই এক টাকার বাক্স পেয়ে কি খুশি। তাকে এটাও বললাম বাঁদুড় না খেতে। যত রোগের আঁতুড় ঘর ওটাই৷ সব শেষে বললাম - আচ্ছা আপনাদের সময় কমিটি ছিল?

বললো - হ্যাঁ ছিল। তারা সবাই মিলে বসে ঠিক করতো কিছুই করা সম্ভব নয়। কেন বলো তো ভায়া?

আমার উপর নীরেন্দ্রনাথ ভর করেছিল৷ ফস্ করে বলে ফেললাম - রাজা তুমি উলংগ৷

বললো - হ্যাঁ, জানি তো আমার নামই উলংগ রাজা।

এত কিউট রাজার সাথে আলাপ হয়ে কি মনে হল রুমে ফিরে আমিও উলংগ হয়ে গিটার বাজালাম। একটা উপলব্ধি হল - এই পোশাক আশাকের কি দরকার? সভ্যতা সমাজের দোহাই দিয়ে প্রখর গ্রীষ্মেও জামা কাপড় পরে থাকি৷ কিন্তু যেখানে সভ্যতা উলংগ সেখানে জামা কাপড় পরে থাকা বিলাসিতা।
© Suprabhat Das


*****

এই লেখা করোনা, করোনা বলার জন্য নয়, বরং করতে বলার জন্য লেখা। ওগো, মাঝরাতে আমাকে কেউ বার খাইয়ে যাও। যেমন বলতে পারো - আমি খুব ভালো। আমি খুব ভালো গান গাই৷ আমি করোনা যোদ্ধা। আমি খুব বড় হিরো আলম৷ আমি খুব দারুণ তরতাজা চিন্তার জোয়ার নিয়ে আসি। আমার লেখাতে মণিমুক্তো ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমির বাসা থেকে বিগব্যাং হয়ে বেরিয়ে আসে। আমার যাপন হিপ্পোপটেমাসের হিপোক্রেসিতে নিষিক্ত হয়।
আমার তো বার খেয়ে গাইনোকোম্যাস্টিয়া হয়ে গেল। কিন্তু ওদিকে ক্লাই-মেট চেঞ্জ এর ফলে সমাজের ক্লাই-টোরেস প্রচন্ড সেনসিটিভ হয়ে গোলপোস্টের বাইরে পেনাল্টি মারে ৷ পত্রালাপে বাক্-যুদ্ধ শুরু হয়৷ আর জনগণের মাথার গোবর ওয়ার্মিং হলে মুখ ঘুরিয়ে গাল পাড়ে আমার নামে। তার থেকে গালই দাও সামনে দাঁড়িয়ে, হে উদ্ধত ফাঁপা নাগরিক । প্রমাণ দাও, তুমি আমাকে বার খাইয়ে মেশিন নিতে আসোনি। আমি বারবার বার্বণ খেয়ে কবে মরে ভূত হয়ে, পুনর্জন্মের অপেক্ষায় কলতলায় বসে খড়-বিচালী চিবাচ্ছি। তুমি বরং তোমাকে নিয়ে বলো। তুমি কেমন আছো? সব ভালো তো কাকা? ছবিটি একটি বাচ্চা মেয়ের আঁকা। আর নিজের কথা শুনে বা লিখে কি হবে? মন কি বাতেলা মেরে মেরে বাঙালীর তো আর কিছুই বাকি নেই। সবাই যদি ভাবতে পারতো, তাহলে এক্সট্রা জ্যামিতি কষতে মেড-ইজি লাগতোনা। তোমাদের কথা লিখতে লিখতে ভোর হয়ে এলো ৷

©অবচেতন

No comments:

Post a Comment

পাঁচ মিনিট

"বিষ টা খাওয়ার আগে একবার আমাকে বলতো!! " কথাটা শেষ করতে না করতেই গলা ধরে এলো কিরণ এর। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এর বাইরে ...