|| ** চাঁদ উঠেছিল গগনে ||
আমি একটু অজ্ঞাতবাসে ধ্যানমগ্ন ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি চারটি খোলা পিঠে চারটি শব্দ নিয়ে ফেবু ও হোয়াটসঅ্যাপ এর অনলাইন চায়ের দোকানগুলো তে বিতর্কের ঝড় উঠেছে, সেটি নিয়েই ধ্যান ভেঙে ফিরে এসে এই লেখা। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আমার শিল্পীসত্তার ছাঁচের অধিকাংশই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা প্রভাবিত। আমি ওনার "সমাপ্তি" পড়ে কেঁদেছি। "অচলায়তন" পড়ে হেসেছি। "রক্তকরবী" পড়ে আমার কপালে ভাঁজ এসেছে। তাই আজ এই লেখা পড়ে কেউ আমাকে মারার সিদ্ধান্ত দয়া করে নেবেন না, আমি কব্জির জোরে সত্যি পারবো না। যাই হোক, মুষ্টিমেয় বাঙালি খোলা পিঠের চারটি শব্দ দেখে দাবী করেছেন, বাঙালির সংস্কৃতি উচ্ছন্নে গেছে। আপনারা যে আজ বুঝতে পেরেছেন সেটাই রোদ্দুর রয়ের কৃতিত্ব। আপনারা এতদিন ঘুমাচ্ছিলেন যখন বাংলা গানে ঊর্দু শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছিল? বাংলা সিনেমার নামেও অন্য ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেইসব সিনেমার গান বক্সে জোরে ঢিক্ চিক্ বিটে বাজছিল। ওনারা ঘুমাচ্ছিলেন যখন আমরা স্বাধীন শিল্পীরা যারা বাংলা ভাষায় গান লিখি, লেখালেখি করি, তারা একজন একজন করে হিন্দী গানের দিকে ঝুঁকছিলাম। আচ্ছা সিনেমা বাদ দিয়ে, শেষ দশ বছরে কজন স্বাধীন শিল্পী বাংলা গান লিখে উঠেছেন? বাংলা ব্যান্ড কই শেষ দশ ব্ছরে? রূপম ইসলামের পর নাম কোথায়? ট্যালেন্ট নেই বলছেন? আপনি অন্ধ ও হিংসুটে। একটা জাতি হঠাৎ করে ফাঁকা হয়ে যেতে পারেনা। আপনারা বিড়ালের মাছ খাওয়ার ভিডিও শেয়ার করতে পারেন, কারো হিন্দী গানের কভার ও শেয়ার করতে পারেন। কিন্তু স্বাধীন শিল্পীর বাংলা মৌলিক গান শেয়ার করতে আপনার আঙুল ব্যথা করে। আপনাদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ও সংবর্ধনা পাওয়ার সময় লিখে গেছেন, "এই মণিহার আমায় নাহি সাজে।" আচ্ছা "সহজপাঠের গপ্পো" তো বেশ ভালো সিনেমা, সেটা কেন আপনাদের সংস্কৃতিপ্রবণ মনে আঘাত করলোনা? এমনকি আই.এম.ডি.বি. রেটিং এও নেই। আচ্ছা আপনার প্লে লিস্টে কটা সাম্প্রতিক বাংলা গান (সিনেমার গান ছাড়া) আছে? আচ্ছা আপনি শেষ বাংলা বই কবে পড়েছেন? গ্লোবালাইজেশন এর যুগে শুধু বাংলা নিয়ে আটকে থাকার আমি পক্ষপাতী নই, কিন্তু কত বাঙালি শিল্পীকে বাংলা গান লিখে সেরকম শ্রোতা নেই বলে, হিন্দী বা বাজারী কাজের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে সেটার খবর রাখেন? আমারা যারা এই প্রজন্মের শিল্পী, প্রত্যেকেই মাঝে মাঝেই হতাশ হয়ে কথা বলি, আজ মৌলিক শিল্পীর থেকে কভার আর্টিস্ট রা বেশি দাম পায়। তখন আপনার সংস্কৃতি মরে যাচ্ছে মনে হয়নি? শেষ কবে থিয়েটারে গিয়ে নাটক দেখেছেন ফোন বন্ধ রেখে? আপনারা আজ বলছেন সংস্কৃতি মারা গেছে ?? বাঙালি আসলে তারা, যাদের যাই টিভিতে বা মাল্টিপ্লেক্সে দেখানো হয় তাই দেখে। সবাই দেখছে মানে ভালো। নিজের বিচারক্ষমতা আছে আপনাদের? আজ পাড়ায় কোন টলিউড হিরো এলে যেরকম ভিড় হবে, বং গাই এলেও সেরকম ভিড় হবে, জেসিবি র মেশিন এলেও সেরকম ভিড় হবে। একটা অলস জাতি যারা নিজে ভাবতে পারেনা, তারা আজ জেগে উঠেছেন কালচার রক্ষা করতে? আপনারা কি জানেন বাংলা গানের রেডিও চ্যানেল আমার এফ.এম. এই বছর নেতাজীর জন্মদিনে বন্ধ হয়ে গেছে ? আপনারা কোথায় ঘুমাচ্ছিলেন? সংস্কৃতি বহুদিন আগে মারা গেছে। সেটা চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর জন্য রোদ্দুর রয় কে ধন্যবাদ। যদিও আমি মনে করি, রোদ্দুর রয় এর মত কাউকে দরকার ছিল এই অচলায়তন ভাঙার জন্য। রবীন্দ্রনাথ এর দর্শন এতটাও ঠুনকো নয় যে কেউ পিঠে লিখে কি ঘুরে বেড়ালো তাতে ভেঙে যাবে এবং তার জন্য রোদ্দুর রয়কেও দায়ী করা যায়না। তবে যখন দেখি আধুনিক প্রজন্ম রোদ্দুর রয় কে দিয়ে এখন বাঙালি সংস্কৃতিকে সংজ্ঞায়িত করছে তখন বোঝা যায়, সংস্কৃতির দৈন্য দশা। আমার রবীন্দ্রনাথের লেখা গান গাইতে ভালো লাগে। কিন্তু কেউ শোনেনা, তাই সবার সামনে গাইনা। কেন শোনেনা? কারণ তারা হানি সিং,মিকা, একন, শাকিরা শোনে। তারা "বাতে ইয়ে কভি না তু ভুলনা" শোনে, গুনগুন করে, "আমি তোমারো বিরহে রহিবো বিলীন " শোনেনা। অথচ দুটো মানে এক। "মে রহু ইয়া না রহু " গায় প্রেমের গান হিসেবে, অথচ " তুমি রবে নীরবে" গাইতে গিয়ে হাতদুটো জড়ো হয়ে আসে। ভক্তি তে চোখ বুজে আসে। রবীন্দ্রনাথের পূর্ণিমার চাঁদকে ব্যঙ্গ করে সুকান্ত যখন লিখেছেন, "পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি", আপত্তি সেটা নিয়ে ছিলনা। আপত্তি বাঁড়া শব্দটা নিয়ে। যে বাঙালি আজ একটা বাঁড়া শুনে গেল গেল রব তুলেছে, তারাই সৃজিতের সিনেমায় হলে গিয়ে "বাইশে শ্রাবণ" এর সংলাপ শুনে হাততালি দিয়েছে। যারা রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতি নিয়ে মরাল পুলিশগিরি করছেন, তারাই রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে পানু জোক্স গিলেছেন। ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল এর কথা আপনারাই গেলেন। আজ টিভিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল বাংলা সিরিয়াল, গোটা পরিবার নিয়ে বসে ওই ছাইপাঁশ গেলেন। বাঙালি বাড়ির পাশ দিয়ে গেলে টিভিতে সিরিয়ালের শব্দ শোনা যায়। অনুষ্ঠানে বাংলা গান ছাড়া সব বাজে।
বিদেশী নতুন শিল্পীর গান শেয়ার করলে তাদের টাইমলাইনের গ্ল্যামার বাড়ে, কোন বাঙালির নিজের গান শেয়ার করলে ব্যাকডেটেড হয়ে যায়? যখন শুরুতে রবীন্দ্রনাথের গান গিটারে গাইতাম, সবাই আঁতকে উঠতো। ওভাবে গায় নাকি? গুরুদেবের গান দুহাত জড়ো করে চোখের অর্ধনিমীলিত অর্গাজমিক্ কম্পনের সাথে কীর্তন করতে করতে গাইতে হয়।
কেন এই দ্বিচারিতা?
এদের জন্য রোদ্দুর রায় হল রূপমের ভাষায় "ভক্তিপূর্ণ লাল গাল থাপ্পড়"। রোদ্দুর রয়ের এই ঠুনকো হিপোক্রিট বাঙালির এপ্রুভাল লাগবেনা। রবীন্দ্রনাথ ও স্বমহিমায় আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মাঝখান থেকে চায়ের কাপে ঝড় উঠবে। আর কোন একজন সুপ্রভাত গেয়ে যাবে - " গানটা শুনছো নাকি দেখছো তুমি বুঝতে পারো কি ভাই !! "
বিঃদ্রঃ - যারা আমার এই লেখায় আঘাত পেয়েছেন, তারা যেন অবশ্যই কিছু মনে করেন ও আমাকে ব্লক করে দেন। আমার কাজ এমনিতেও আপনারা মূল্য দেননি, দেবেন ও না জানি। যে কজন দেন তাতেই হবে। তাতে সত্যিটা পাল্টাবেনা। নিজের বক্তব্য বলতে কোন ট্যাক্স লাগেনা। আর যারা এগোচ্ছেনা, তারা অবশ্যই পিছিয়ে যাচ্ছে।
*****
ভাবছি একটা আখড়া খুলবো। ছোটখাটো। জংগলের মাঝখানে। জংগল কি কেনা যায়? জানিনা। সেখানে লোকজন পরীক্ষায় ফেল করলে বা জীবনে টাকা ইনকাম করতে করতে বোর ফিল করলে আসবে। আমরা একসাথে খাবো কঠিন, বায়বীয় জিনিসপত্তর। তরল নট এলাউড। রবীন্দ্রনাথ, আইনস্টাইন, টেসলা, জীবনানন্দ এসব নিয়ে আলোচনা হবে। যে অ আ ক খ জানেনা তাকে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বোঝাবো। দেশ বিদেশের গান বাজনা আনপ্লাগড্ একটা ক্যাওড়া জ্যাম হবে দিনরাত। আমি শুধু মুড হলে গাইবো। নাহলে চুপ করে মাঝখানে একটা ছোট টিলার উপর একটা গামছা পরে গাছে হেলান দিয়ে বসে থাকবো। কেমন হবে??
ভাবুন, একটা রাত। চারিদিকে নিকষ কালোর অন্ধকার সবার অবয়ব কেড়ে ছায়া করে দিয়েছে। সবাই চুপ করে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনছে। আর জোনাকির আলো জ্বলছে, নিভছে, জ্বলছে, নিভছে। শেয়াল ডাকছে৷ হাতি ডাকছে৷ আর চাঁদ উঠেছে.........
****
অলরেডি বেশ কিছু মানুষ ব্লক করে দিয়েছেন, কিন্তু তাতে কি লেখা বন্ধ করে দেবো? দেবোনা। আরো ভয়ংকর লেখা লিখবো। আজকাল একটা কথা শুনি শিক্ষক শিক্ষিকার হাতে বেত ফিরিয়ে দিন, তাহলে সমাজে আর রেপ-ভায়োলেন্স হবেনা, সমাজ পুরো শুধরে যাবে। এর থেকে হাস্যকর আর কিছু নয়৷ আমি তো মার খেয়েছি ছোটবেলায়, আমি কি তৈরি হয়েছি? একটা তারকাটা হিপোক্রিট অভদ্রলোক। আজ যাদের বয়স পঁচিশের উপরে তোমরা সবাই তো প্যাঁদানি খেয়েছো শিক্ষক, বাড়ির লোকের কাছে৷ কি তৈরি হয়েছো? একটা ফুটফুটে শিশু যার মনে ভায়োলেন্স নেই, আছে শুধু আর্ট। ফুলের মত সুন্দর। তার পেছনে দশ কেজির বই এর ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বলেছো যা টিউশনে গিয়ে গাঁতা৷ স্কুল, কলেজে শিখতে হবেনা। ওটা জাস্ট এমনি সার্টিফিকেট এর জন্য। যার মনে ভায়োলেন্স নেই তাকে ছোট থেকে তুমি বেত মেরে ভায়োলেন্স এর পাঠ পড়াচ্ছো। প্রত্যেকটা শিশু ক্রিয়েটিভ, তার ক্রিয়েটিভিটি কেড়ে নিয়ে তোমরা চাকর বানাচ্ছো চাবুক মেরে৷ শিশুশ্রম নাকি বন্ধ?? কই আমার তো মনে হয়না। যে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে এত কথা বলছো তিনি কি লিখেছেন জীবনস্মৃতি তে? "শাসনের দ্বারা, পীড়নের দ্বারা, কানমলা এবং কানে মন্ত্র-দেওয়ার দ্বারা আমাকে যাহা কিছু দেওয়া হইয়াছে তাহা আমি কিছুই গ্রহণ করি নাই। যতক্ষণ আমি আপনার মধ্যে আপনি ছাড়া না পাইয়াছি ততক্ষণ নিষ্ফল বেদনা ছাড়া আর কিছুই আমি লাভ করিতে পারি নাই। "
একটা শিশু কে তোমরা কি ভাবো? বোকা? তোমরা বোকা। "উলঙ্গ রাজা" পড়েছো? বুঝেছো কিছু? একজন শিশু যাই দেখে তাই শেখে। তোমার ট্যালেন্ট নেই শিশু কে হ্যান্ডেল করার মত। তাই বেত মেরে চুপ করাতে চাইছো। তোমার ট্যালেন্ট নেই তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত। তোমার গাঁত মারা সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন। তাই চড় মেরে চুপ করাতে চাইছো। তুমি রোবোট না মানুষ সেটা ভেবে ঠিক করো আগে। তোমাদের দেখে মেকলে সাহেব হাসছে শুনতে পাচ্ছো কি??
*****
|| ফ্লার্ট ||
মুড অফ। তাই ফেসবুক খুলে বসেছিল পায়েল। এই ভরসন্ধ্যে বসন্তবেলায় ফেবু অন করলে যা হয়। এক এক করে " হাই বিউটিফুল", "হাই সোনা " এইসব মেসেজ ঢুকতে থাকে। আজো ঢুকছে। পায়েল এগুলো সিন ও করেনা। হঠাত্ একটা মেসেজে দেখলো লেখা - আজি এ বসন্ত দিনে বাড়ি ফেরো মাংস কিনে।
খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো পায়েল। ছেলেটার নাম লেখা - ফাজিল ফাইনম্যান।
ডিপি তে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের ছবি। পায়েল রিপ্লাই দিলো একটা গম্ভীর ভাব এনে। "মানে? "
রিপ্লাই এল - ইভ টিজিং করার চেষ্টা করছি অনলাইনে।
- এইভাবে ফ্লার্ট শুরু করা হয়?
- ফ্লার্ট আমার হয়না। ফ্লার্ট করতে গেলেই ফার্ট বেরিয়ে যায়। সেদিক থেকে ভাবলে আমি ফ্লার্টিস্ট। ফ্লপ আর্টিস্ট।
পায়েল কিছুক্ষণ ভাবলো, তারপর ব্লক করে দিল।।
****
To my respected teachers, well-wishers, colleagues, friends, non-well wishers, haters,
I have decided long ago that i will not continue any kind of conventional educational course further.. I have withdrawn myself from any kind of rat race.. Today i am writing this publicly, because i am tired of some questions.. Please don't ask me about my career.. Or say such sentences like " i have destroyed my own career " in front of me.. Build your own career, best wishes.. Please don't think about me.. I have rejected this education system long ago.. I was just in little bit of confusion.. I had to reach somewhere.. I think i have destroyed my creativity enough.. This killing process has to be stopped somewhere.. If i have to regret later, that will be my own responsibility.. Everyone regrets at some point of life over some issues.. I have decided to live my life to the fullest without any kind of tension.. I love to know more .. And as i am free from the conventional education system, so i am free to learn anything.. I will learn whatever i want.. I will do whatever i want.. I will decide my own curriculum.. Thank you all for your kind hearted support..
****
স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে, আরো অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ যাতে কমিউনিটি স্প্রেড পর্যায়ে না পৌঁছায়। এটাকে আপাত দৃষ্টিতে অতিসতর্কতা মনে হতে পারে, কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে ইতালি এই স্টেপগুলো আগে নেয়নি বলেই সেখানে এই পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে৷ এই ভাইরাসে মানুষ কম মারা যায় এটা ঠিক, কিন্তু এর সংক্রমণ করার ক্ষমতা এত বেশি যে শতকরা হিসেব করলে মৃতের সংখ্যা অনেক দাঁড়াবে। তাই এত আগাম সতর্কতা। সবাই এটা বুঝুন, এত প্রস্তুতি ব্যর্থ হবে যদি জনগণ সহযোগিতা না করেন। নাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। মাস্টারমশাইদের অনুরোধ, একমাস স্কুল কলেজ বন্ধ আছে বলে গ্রুপে প্রাইভেট টিউশন না পড়ানোই ভালো । কোথাও এই একমাস ঘুরতে যাবেন না। খুব প্রয়োজন ছাড়া দূরে কোথাও বেরোবেন না। ব্যাপারটা সেই একই দাঁড়ায় নাহলে। আপনার অসতর্কতার কারণে একটা কমিউনিটি সংক্রমিত হতে পারে৷ আতঙ্কিত হবেন না যেমন, তেমন প্রয়োজনীয় সতর্কতাও অবলম্বন করুন ।।
****
সাদা মনে একটি কালো প্রশ্ন -
বাংলা বলতে বলতে English Word Use করাটা Smart আর
Why are we called as বোকা বা মূর্খ, when we use বাংলা শব্দ in speaking ইংরেজি ??
****
ঘটনা ১-
Second World War এর সময় জাপানে সৈন্যর অভাব পড়ায় হঠাৎ যুদ্ধে মৃত্যুকে বিভিন্ন নাটক, সাহিত্যে গ্লোরিফাই করা শুরু হয়। যারা যুদ্ধে যেত তাদের প্রাচীন বীর যোদ্ধার উপাধি দেওয়া হত।
ঘটনা ২ -
দুদিন আগে অসুর বানানো ডাক্তারদের আজকাল নেতা, অভিনেতা, খেলোয়াড় সবাই হঠাৎ ভগবান বানিয়ে বার খাইয়ে পোস্ট দিচ্ছে।
কনক্লুশন - দুটো ঘটনার কোন মিল নেই।
Credit- Suprabhat Das
****
কোনদিন চিন্তা হয়নি পাশের বাড়ির মানুষটা ঠিক আছে তো?
কিন্তু আজ হচ্ছে।
কোনদিন ভাবিনি মানুষ ধর্মের আগে,
আজ ভাবছি।
কোনদিন ভাবিনি যে বাচ্চাটি রোজ ইঁটভাটায় ইঁট বয়, তার শিক্ষার দরকার।
কিন্তু আজ ভাবছি।
যারা এসি তে বসে কফি খেতে খেতে বলশেভিক বুলি আওড়াতো,
তারা আজ মাটির খবর জানতে চাইছে।
আজ আমরা ভাবছি তারা কত অশিক্ষিত যারা রোগ বুঝেও ছড়ায়।
তাদের অশিক্ষার অন্ধকার আমাদের আলোয় তৈরি।
আজ ভাবছি তাদের ও স্বাস্থ্যের অধিকার চাই।
চাই সচেতনতা।
নাহলে আমরা কেউ বাঁচবোনা।
"যারে তুমি নীচে ফেলো সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে,
পশ্চাতে রেখেছো যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।"
****
সমান্তরাল মহাবিশ্বতে মানুষকে ভাইরাস ও করোনাকে ভ্যাকসিন বলে ঘোষণা করা হল। ভুল পড়ছেন না। উহানে এখন দূষণ কমে গেছে। ভেনিসের জল স্বচ্ছ পরিষ্কার। কলকারখানা, রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া বন্ধ থাকায় বায়ুদূষণ কিছুটা কমে গেছে।
****
রোগী বাঁচার সম্ভাবনা কম শুনে লামা (Leave against medical advice) করাতে চেয়েছে পেশেন্ট পার্টি, কারণ পার্টির সময় নেই হস্পিটালে থাকার। একদিন কাজ না করলে খেতে পাবেনা। যারা পেরিফেরি তে কাজ করেন, তাদের এরকম অদ্ভুত অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের নিশ্চয়ই আছে৷ এরকম দেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা কতটা বোঝাই যায়।
করোনা ভাইরাস নিয়ে মিডিয়া ও মানুষরা তাদের নিজের নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে যেরকম সালমান খান বাদ দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন জনসাধারণের সচেতনতা নিয়ে,আমি তো এরকমই সচেতন দেশ দেখতেই চাই। তার সাথে এটাও চাই অপুষ্টিতে মৃত্যু নিয়েও কথা হোক। সবার জন্য স্বাস্থ্য নিয়েও এই সচেতনতা তৈরি হোক। স্বাস্থ্যখাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ুক। অপুষ্টি তে অনেক শিশু মারা যায় প্রতি দিন। মিডিয়া তে এত কথা হয়না। কারণ কোন এলিট জনগণ তাতে সরাসরি এফেক্টেড হন না। সেদিক থেকে করোনা ভাইরাস সাম্যবাদী। তবে জানবেন এটা প্র্যাকটিস্ ম্যাচ। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর জন্য আরো বড় অসম লড়াই এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে লড়তে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে লড়তে হবে। সেদিন বেশি দূরে নেই।
*****
আমি আজ কোন ঋণাত্মক কথা লিখবোনা। সবার মুখস্ত। সবাই জানেন খুব শিগ্রী আমাদের গৃহবন্দী হতে হবে। কালকে আছে প্র্যাকটিস ম্যাচ। কিন্তু একটা উদ্দেশ্য বা স্বপ্ন ছাড়া এই গৃহবন্দী থাকা অভ্যেস করবেন কিভাবে। আমি তো স্বপ্ন দেখবো এমন একটা মহামারী, যুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীর যেখানে প্রত্যেক ঘরে একজন মিউজিশিয়ান থাকবেন। যারা রোজ সকালে ও বিকেলে ঘরের ছাদে উঠে মিউজিক চর্চা করবেন। প্রতিটা ঘরে মানুষ বই পড়বেন। কারণ টিভি আর মোবাইলে একই শো বারবার দেখে আর ভালো লাগবেনা। অনেকে তার হারানো শখ গুলো ফিরে পাবেন যেগুলো পেশাগত চাপে ভুলে গেছিলেন। কেউ আবার আঁকবেন, কেউ নাচবেন, কেউ গান গাইবেন, কেউ লিখবেন, কেউ পড়বেন, কেউ গাছ লাগাবেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
সভ্যতার প্রসার ঘটাতে গিয়ে যে অরণ্য আমরা ধ্বংস করেছি সেই অরণ্য ফিরে আসার সুযোগ পাবে। গঙ্গার মত নদী ও সমুদ্রতট গুলো দূষণ মুক্ত হওয়ায় জীব বৈচিত্র্য বাড়বে। মানুষ হঠাৎ আবিষ্কার করবে তার নিজের জন্য পাশের বাড়ির মানুষের সুস্থতা প্রয়োজন। রোজ বিকেলে ছাদে গল্প করবে বাড়ির মানুষেরা সিরিয়াল ফেলে রেখে। সমাজে চিকিৎসক, শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, স্থানীয় কবি, লোকগীতিকাররা তাদের সম্মান ফিরে পাবেন। মানুষের এটেনশন স্প্যান বাড়বে। কর্ম ব্যস্ত জীবনে সিনেমা ফরোয়ার্ড করে দেখা বা গান প্রথম এক মিনিট শুনে রেখে দেওয়ার অভ্যেস কমবে। এখন সময়ই সময়। অনেক ভেঙে যাওয়া প্রেম ঠিক হয়ে যাবে। এই একাকীত্ব তাদের চাওয়া পাওয়ার সব হিসেব মিলিয়ে দেবে। আর প্রচুর নবজাতক একটা দূষণ মুক্ত পৃথিবীতে প্রথম শ্বাস নিতে পারবে। পরীক্ষাই শেষ কথা নই, জীবন অনেক বড়। সাফল্যের দৌড় মানুষের আত্মাকে করোনার থেকে ভয়ংকর সংক্রমণ করেছে সেটা মানুষ বুঝবেন।
আপনারা কি স্বপ্ন দেখছেন??
*****
জনগণ শুনতে পাচ্ছেন? ওই যে ওরা মিছিল করে আসছে শাঁখ, করতাল, থালা বাজিয়ে। ওই যে ওরা বিশ্বাস করে এখনো বিপদ অনেক দূরে ওরা স্লোগান দিতে বাকি রেখেছে - আসছে বছর আবার হবে। ওরা ইন্ডিয়া নয়৷ ওরা ভারত৷ ইন্ডিয়া আর ভারত যে আলাদা হয়ে যাচ্ছে আমরা এতদিন ভাবিনি। কি যায় আসে তাতে। ওদের খাওয়ার লোভ দেখিয়ে মিছিলে লাইন বাড়িয়েছি৷ ওদের টাকা দিয়ে জনসভায় এনে ব্যবহার করেছি। ওদের মদ খাইয়ে রাস্তায় ঢাউস বক্স বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য করতে শিখিয়েছি আমরা এতদিন আমাদের বিজয়োল্লাসে। ওরা এসব এপিডেমিও-লজিক্যাল কচকচানি বোঝেনা। সেই মিড ডে মিল খেয়ে আসা দিন থেকে ওরা থালা বাজানো বোঝে। থালা বাজানো মানে এবার খাবার আসছে। এবার হবে জয়োল্লাস।
আপনারা ঘুমাতে পারছেন? আমার তো ঘুম আসছে না। আগামী ভয়ংকর দিনগুলো দেখতে পেয়ে। আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবুন। এই বিপদ কাটলে যদি ইন্ডিয়ার টনক নড়ে। তাহলে আগামী দিনে যখন আরো মারণ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া র আক্রমণ হবে আমরা সহজে রুখতে পারবো ।।
*****
মানুষ জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত লোকেদের উত্সাহ দিতে থালা বাজাচ্ছেন। আবার বিভিন্ন দিক থেকে খবর পাচ্ছি, তারাই মেস বা বাড়িতে ভাড়া থাকা স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার বা নার্সদের চলে যেতে বলছেন। দোহাই সম্মান। যেসব সতীর্থদের বুক ফুলেছিল, কান্না আসছিল এই পোড়া দেশে তারা কি ভাবছেন?? করোনা সংকট তো একদিন চলে যাবে। এই অসভ্য সমাজের চিকিৎসা কে করবে?
#Irony
****
||সরি স্যার, সকাল সকাল একটু হাই হয়ে গেছিলাম||
কলেজে পড়াকালীন রুমে যখন বলতাম এই প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন বিষয়টা খুব ক্রিয়েটিভ, লজিক্যাল এবং ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট, সবাই হাসতো ৷ আজকেও যা হয় সেদিনও তাই হয়েছিল,আমাকে তারকাটা বলতো এমনিতেই, আরো বলতো বেশি করে। পাত্তা দিত না। আমার রাগ হয়নি। আমিও হেসেছি। আমরা হেসেছিলাম কারণ টা আমার মতই তারাও নানা বোকা বোকা ঘটনার সাক্ষী, বিষয়টাকে কেন্দ্র করে। আমাদের বুঝতেই দেওয়া হয়নি পাশ করা ছাড়া এই সাবজেক্ট আমাদের নিত্যজীবনে কতটা জড়িয়ে। দুটো ঘটনা বলবো যাতে পরিষ্কার হবে। বুঝবেন ব্যাপারটা ভালো করে, আমরা তখন পার্ট ওয়ান এ পড়ি। অর্থাৎ প্রত্যেকের বয়স ন্যূনতম ২১ বছরের উপর। আমি আমার প্র্যাকটিকাল খাতা কিছু একটা সই করাতে গিয়েছিলাম এই বিষয়ের একজন ফ্যাকাল্টির কাছে। উনি একটা গ্রাফের ছবি দেখে বললেন বার থেকে পেনসিলের আঁচড় টা খানিকটা বেরিয়ে গেছে। আর বার এ নাম্বারিং করতে হবে। আমি তখন টেবিলে পড়ে থাকা একটা পেনসিল নিয়ে বার এ নাম্বারিং করতে উদ্যত হই। আমাকে তুমুল খিস্তি করা হয়৷ আমার মাথায় বুদ্ধি নেই, বেসিক সেন্স অফ এটিকেট নেই, ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে আমাকে আবার হস্টেলের রুমে গিয়ে, ওই কাজটা করে আবার পরেরদিন এসে ওনাকে দিয়ে সই করাতে হত। যেহেতু উনি শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রীকে শিক্ষার নামে হ্যারাস করা ওনার অধিকার।
বায়োস্ট্যাট এ ওই সিম্পল যোগ বিয়োগের কিছু তথাকথিত অংক থাকতো৷ যেটা নেট থেকে সূত্র দেখে নিলে একজন ক্লাস ফাইভের ছেলে ও পারবে। ভালো করে বুঝবেন ব্যাপারটা। আমরা প্রত্যেকে ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি সম্মিলিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স এ ভালো র্যাংক করে আসা ছেলে মেয়ে। ক্লাসের পর ক্লাস ধরে আমাদের যোগ বিয়োগ করানো হচ্ছে। তারমানে হয় জয়েন্ট মিথ্যে। নাহলে এই সিস্টেম মিথ্যে।
এই এডুকেশন সিস্টেমে বিষয়টাকে নিয়ে খিল্লি হবেনা তো কি হবে? আমার বন্ধু হাসনু যখন এই বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেল আমি কিন্তু খুব খুশি হয়েছিলাম। এরকম লোকজনদের দরকার। আমি আমার বন্ধুকে সেই রোলে দেখতে চাই। যারা হেলথ প্রোগ্রাম গাঁতাতে না বলে, ছাত্রদের মধ্যে ডিবেট ক্লাস করাবেন। কোথায় ঘাটতি আছে, কি নীতি প্রনয়ণ প্রয়োজন। যারা এই প্রোগ্রাম গুলো সংসদে পাশ করান, তারা যদি বলতে পারেন, আমার মতে, সেরকম চিন্তা ভাবনার পরিবেশ সৃষ্টি করলে ছাত্র ছাত্রীরাও পারবে। ক্লাসে এসে কোন একটা রোগের কেস স্ট্যাট দিয়ে দেওয়া হল। এক মাস পরে এর কত সংক্রমণ হতে পারে, আলোচনা হোক্। পায়খানার মাপ নেবোনা কেন? অবশ্যই নেবো। ফিতে দিয়ে কিভাবে মাপতে হয়, সবাই জানে কম বেশি। কিন্তু কেন মাপবো সেটা কখনো ছাত্রের চোখের সামনে ভেসেছে কি?
দোষ কার? প্রফেসররা অনেক বেশি জানেন মানছি। কিন্তু কিভাবে পড়ানো উচিত সেটা কি বোঝেন? তাঁরাও ওইভাবে পড়ে এসেছেন, এখনো ওইভাবে চলছে। একটা কেরানীমারা বিদ্যে। একটা প্রোগ্রামের দশটা পয়েন্ট গড়গড় করে বলো ৬০% নাম্বার। হেলথ্ প্রোগ্রাম নিয়ে নিজের দর্শন জানাতে বলো, ছেলে মেয়ে চুপ। এই শিক্ষায় লাভ কি?
আজ সংবাদমাধ্যম কে আমরা ধমনী, শিরা গুলিয়ে দিয়েছে বলে খিল্লি করি। তারা কিন্তু এই কদিনে সাধারণ জনগণকে এপিডেমিওলজি গুলে খাইয়ে দিয়েছে। এটা তাদের ক্রেডিট। কোথাও তো একটা ঘাটতি আছে, স্যার। একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস কে ইন্টারেস্টিং ভাবে পড়াতেই শেখানো হয়না। ছোট থেকে দুলে দুলে মৌমাছির জীবনকাহিনী পড়ানো হয়। তারপর অণু পরমাণু, উপপাদ্য, ইতিহাস, ভূগোল। কেন পড়বে তারা? শুধু নাম্বার পেয়ে ফার্স্ট আসার জন্য। কেন পড়বে? এই কেন টা প্রথমে বোঝাতে হয়। তারপর আমার মনে হয় ছাত্র রা অনেক বেশি বুদ্ধিমান হয়। কেন পড়তে হবে বুঝলে,নিজেও চাইলে পড়ে নিতে পারবে। আজ একটা স্কুলের ছেলের কাছে ইতিহাস ও একজন মেডিক্যাল ছাত্রের কাছে কমিউনিটি মেডিসিন দুটোই হাস্যকর। অথচ দুটো বিষয় কত প্রয়োজনীয়। দুটোই মানুষের দূরদৃষ্টি বাড়ায়। ইতিহাস মানে নোট পড়া নয়। ইতিহাস মানে তারিখের ক্যালেন্ডার গাঁতানো নয়। ইতিহাস মানে কাল ইতালি যে ভুল করেছে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, সর্বান্তকরণে লকডাউন কে সমর্থন করা। ইতিহাস মানে আজ আমাদের সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেলে আজ থেকে এক লক্ষ বছর পর কোন এক প্রজাতির দ্বারা আমাদের জীবাশ্ম থেকে আমাদের সভ্যতার গল্পগুলো আবিষ্কার করা। খুব বুদ্ধি লাগে এতে। মিউজিক, সাহিত্য, চলচিত্র এসব সৃষ্টি করতে অনেক বুদ্ধি লাগে যেটার এফেক্টে আপনারা হাসেন, কাঁদেন, অন্ধকার সময়ে চলার প্রেরণা পান। এসব কি বেসলেস ধারণা করে রেখেছেন। সায়েন্স নিয়ে কোথাও পায়নি, তাই আর্টস নিয়ে পড়ছে। আমার মতে একজন শিক্ষক তখনই সফল, যখন তিনি একজন ছাত্রের মধ্যে কি জানেনা র থেকে কি জানে সেটা বের করে আনতে পারেন, পাঠ্যবই পড়ানোর থেকে, আরো পড়ার জন্য অনুসন্ধিৎসা ও উৎসাহ তৈরি করতে পারেন। আমার জীবনে যারা কমবেশি এরকম এসেছেন, কখনো শিক্ষক, কখনো সহকর্মী, কখনও বাউল হিসেবে, তাদের প্রত্যেককে আমি সম্মান জানাই।।
****
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী -
১) চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের শিক্ষিত বাড়িওয়ালারা তাদের ভাড়াবাড়ি থেকে চলে যেতে বলছেন। Ola, Uber, taxi স্বাস্থ্যকর্মীদের হস্পিটালে নিয়ে আসতে চাইছেনা।
২) লকডাউনের আগের মুহূর্তে ওষুধের দোকানের থেকেও মদের দোকানে লম্বা লাইন। যেখানে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ আছে, সেখানে বাজারে চরম ভিড়।
৩) লকডাউন শুরু হওয়ার পরেও রাস্তায় ভিড়, চা র দোকানে আড্ডা, পাড়ার মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ৷ যেখানে মেসি, রোনাল্ডো রা আইসোলেটেড। সেখানে ম্যাচ চলছে পাড়ায়। একজনের বক্তব্য - এমনিও বেকার হয়ে মরছিলাম, এখন খেলে মরবো।
৪) কিছু বাইরে থেকে আসা বাঙালিরা সব রকম সহযোগিতা করা সত্ত্বেও তাদের অকারণ মানসিক হেনস্তা। খাপ বসানো।
৫) এই মন্দার বাজারে নানা রকম জিনিস পত্রের কালোবাজারি, কুসংস্কার প্রোমোশান, অনাবশ্যক ও অতিরিক্ত খাবার, ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার মজুত করে রাখা।
৬) থালা বাটি বাজিয়ে অভিবাদন জানাতে গিয়ে মিছিল করে বিজয়োল্লাস।
৭) এখনো চুরি, ডাকাতি, করোনা সন্দেহে মব লিঞ্চিং শুরু হয়নি, খুব শিগ্রি হবে।
We don't need Batman for this *ucked up society.. We need Joker.. I am sharing a movie dialogue delivered by joker to Batman in "The Dark Knight " -
" To them, you're just a freak, like me! They need you right now, but when they don't, they'll cast you out, like a leper! You see, their morals, their code, it's a bad joke. Dropped at the first sign of trouble. They're only as good as the world allows them to be. I'll show you. When the chips are down, these... these civilized people, they'll eat each other. See, I'm not a monster. I'm just ahead of the curve "...
*****
মাঝরাতের কবিতা। Night 2 of lockdown |
কেউ কি জেগে আছো? জেগে থাকা কাকে বলে আর ঘুমানোই বা কাকে বলে? না কাক বলেনা। সে শুধু কা কা করে৷ কাকা খুব ভালো পাস দিতো। আজকাল তো টুকেও পাশ করা যায়। সাল 2কে2কে। শালের বনে বুনো শুয়োরের বার্বি-কিউ।
©অবচেতন
*****
যখন এ যুদ্ধ শেষ হবে,
তখনো যারা থাকবে বেঁচে -
একটা নতুন পৃথিবীতে শ্বাস নেবে শিশু -
গলার তাবিজ খসে যাবে,
ব্রাত্য হবে যীশু।
তবে এই কদিনে চিনে নিতে হবে।
স্বার্থপর পাড়া চিনে নিতে হবে,
স্বার্থপর শিক্ষিত চিনে নিতে হবে।
স্বার্থপর ব্যবসায়ী চিনে নিতে হবে।
স্বার্থপর কর্মী চিনে নিতে হবে।
স্বার্থপর বন্ধু চিনে নিতে হবে।
যখন এ যুদ্ধ শেষ হবে -
তখন থালার কোণে পড়ে থাকা
কয়েকটা ভাত ও দামী হবে।
ওই ভাত ডাস্টবিন থেকে খেতে ছুটবে -
কুকুর ও কিছু মানুষ।
একদিনে বুঝে নিতে হবে -
দেশ কেন পিছিয়ে, দায়ী কে?
শুধুই নেতা, নাকি অতি সঞ্চয়ী ভুঁড়িওয়ালা ক্রেতা?
একদিনে বুঝে নিতে হবে -
আমার দুকামরার ফ্ল্যাটের বাইরেও -
একটা আকাশ আছে।
যেখানে বড় গোল পূর্ণিমার চাঁদ ছাড়াও -
ছোট কিন্তু উজ্জ্বল তারাগুলো
যেগুলো দূষণের ধোঁয়ায় এতদিন ঢাকা পড়ে যেতো-
তারা মিটমিট করে জ্বলে।
একটা পাখি আছে -
যে রোজ ব্যালকনিতে এসে বিশ্রাম নেয়।
একটা ফুল আছে যে রোজ পথের ধারে ফুটতে চায়-
কিন্তু কেউ এসে রোজ তুলে নিয়ে যায়।
একটা সমাজ আছে দুকামরার ফ্ল্যাটের বাইরে।
এটা বুঝে নিতে হবে,
সমাজ মানে বিয়ের সিঁদুর,
পরনিন্দা পরচর্চা বা নিয়ম নিষেধের র্যাপসোডি নয়।
সমাজকে বুঝে নিতে হবে,
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কেন
ফুটপাতবাসী থেকে মার্সিডিজ চড়া বড়লোক
সকলের জন্য জরুরী।
শুধু মদের দোকানের লাইন দেখে গাল দিলে কি হবে?
সমাজকে বুঝে নিতে হবে,
নাম্বারের থেকেও বড় মন কেন দামী?
যাদের রোজ একশোজন সেলাম না ঠুকলে
পেটের ভাত হজম হতনা -
তারা সবার থেকে আলাদা হয়ে ঘরের এক কোণে বসে।
যারা কোনদিন কোন সামাজিক অন্যায়ে ভয় পায়নি,
কারণ নিজের ফ্ল্যাটের দুকামরার ঘরে -
বউ বাচ্চার সাথে নিরাপদ তারা ভেবেছিল -
তারা আজ ভয় পাচ্ছে।
তারা আজ সমাজ নিয়ে ভাবছে।
তারা আজ সমাজের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
সবার শেষে প্রশ্ন করতে হবে -
করোনা তুমি আসলে কে?
ভাইরাস বলবে - আমি সমাজের আয়না।
সবাইকে স্বরূপ চেনাতে এসেছি।
প্রশ্ন করবে দামাল হাতি,
বনের মাঝখান থেকে যে রাস্তা চলে গেছে -
সেই রাস্তায় নির্দ্বিধায় প্রবল বিক্রমে শুয়ে থেকে।
প্রশ্ন করবে বন্য পশু পাখিরা-
যখন অতীতের সদাব্যস্ত স্টেশন টার্মিনাস,
শুনশান পেয়ে তারা জ্যামিং করবে।
এ পৃথিবী কারো বাবার একার নয়।
ওদের লকডাউন হয়নি।
মানুষের অহংকার ছিল -
যে তারা পৃথিবীর অধিপতি।
এতটাই অহংকার তারা বাঁচাবে প্রকৃতি।
নিজেকে বাঁচাও আগে হে ক্ষুদ্র প্রজাতি।
তুমি অসহায় এখন - দুর্বল, ভীতু, কাপুরুষ।
তুমি অনেক আগে মৃত, হে সমাজ।
অতি দর্পে রাবণ ও শেষ হয়েছিল,
একের পর এক আসবে এরকম যুদ্ধ।
হিপোক্রিট সমাজ, প্রস্তুত হও।।
*****
জিডিপি র সিংহভাগ যখন যুদ্ধক্ষেত্রে বা আমাদের দেশে পাকিস্তান কে জব্দ করতে ব্যয় হয়। বিদেশ থেকে ট্যাংক, ফাইটার প্লেন কিনতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় আর স্বাস্থ্যখাতে নাম মাত্র বাজেট পড়ে থাকে, তখন তালি দিয়েছো নাগরিক।
এবার তো শত্রু পাকিস্তান নয়, একটা ভাইরাস। এবার কাকে জব্দ করবে? এখন হাসপাতাল নেই, ব্যবস্থা নেই বলে চেঁচালে হবে? মেডিক্লেম করে রেখে নিজেদের নিরাপদ লাগছে এখন? ও নাগরিক, শুনতে পাচ্ছো?
****-
মাঝরাতের কবিতা। Night 4 of lockdown |
কখনো কোন রাত্রি আসে
প্যারাবোলার মত -
যার কোন শেষ নেই,
অথচ ঘুম আসেনা।
কখনো মনে প্রচুর কথার সুনামি আসে,
কিন্তু আছড়ে পড়ার বালুতট থাকেনা।
কখনো আমি বিজোড় সংখ্যার মত
আয়নার প্রতিবিম্বর দিকে চেয়ে থাকি -
ঈগলের মত।
প্রতিবিম্বের থেকেও আমি যেন নকল।
আমি কি চাই? কেন চাই?
বুঝে উঠতে পারিনা।
যেখানে আমির শেষ হয়
সেখানে বৃষ্টি নামে।
বর্ষাভেজা রাতে
একশো জনের ট্রাফিকে সবুজ আলো জ্বলে।
তবুও মনে হয় কি লাভ।
শিল্পী কে বা বোঝে?
একাধিক হলেও কখনো মেটেনা একা লাগার অভাব।
©অবচেতন
*****
Deep inside, i have nurtured a hope,
Despite all the disasters,
I'll see the open world again.
I'll again visit my home which is heaven.
I can hug my loved ones.
I can get high with my friends.
I don’t want anything else.
There is not enough money or degree -
To fill this emptiness.
There is not enough online events,
That can cure my senses .
Deep inside, i have nurtured a hope,
Despite all the fear and ignorance,
We will rise again.
I shall travel wherever i want,
To see the wild lives back,
I can sing infront of real audience.
We can sing together.
Together we can nurture,
A better world, a better future.
Meanwhile, many lives will be lost.
Many people will fight with hunger.
A smoke will arise from the ashes.
Some people with good heart remain,
We will build the world once again.
©Suprabhat
****
মাঝরাতের কবিতা | Night 6 of lockdown |
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি,
তবুও পৃথিবীর মুখ দেখিতে চাইছি আজ,
অন্ধকারে জেগে উঠে চেয়ে দেখি,
একশোটি সবুজ আলো জ্বলিতেছে চ্যাটবক্সে।
আমার হাই ওঠেনা, একেবারে ঘুম পায়।
ঘুমের মাঝে আমি হাঁটতে থাকি।
অনেক হেঁটেছি আমি,
নিশীথের অন্ধকারে,
কুহকী নিয়নে মোড়া পথ ধরে৷
না জানি কেন রে এতদিন পরে,
নয়নবারি আসিতেছে আমার পাড়ার মোড়ে,
অশ্রুসজল আঁখিপল্লব কুসুমের কাছে বেলা বোসের নাম্বার চায়,
না টুনিকে মিসকল দিবেনা,
করোনা কলারটিউন শুনিবেনা বলিয়া বার্তা পাঠাবে মাত্র।
আরব সাগরের জল ফুলিয়া ফাঁপিয়া উঠিতেছে।
লিঙ্গ ছোট বলে সমাজ হইতে ঠেলিয়া দিতেছো দূরে,
অথচ,
ভূকম্পের প্রক্সি দিতেছে একটি পিঁপড়ের থেকেও ছোট্ট ভাইরাস।
আর আমি কি করিতেছি?
ক্লান্ত বদনে অংগুলি চালনা করিয়া বাল বকিতেছি।
আর তোমরা হাসিতেছ।
বিকৃত বদনে ক্যালানের মত।
একশোটি সবুজ আলো জোনাকির মত আমার পিছনে লাগিয়া থাকে,
সবাইকে চিত্কার করিয়া কহিতে চাই,
ফুল ফুটে গেছে, তবুও বসন্ত আসে নাই।
ওরে জাতিভেদ ভুলে যা।
গুরুচন্ডালী দোষ নয়।
একটি বঞ্চিত নাগরিকের ভাষা মাত্র।
একশোটি জোনাকি তখনো তাড়া করছে।
তবু আমার মুখ ফোটেনা।
আয়নায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করি?
তুই কি নারী?
তোর কি মুখ ফাটে কিন্তু বুক ফাটেনা ভারী?
সরি, ভুল করিয়া মিসটেক হইয়া গেল।
তোর কি বুক ফাটে কিন্তু মুখ ফোটেনা?
আয়না বলে, এতদিন কোথায় ছিলেন?
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে আমি কহিলেন,
কে বা হিরো আর কে বা ভিলেন?
©অবচেতন
******
মাঝরাতের কবিতা। Night 007 of lockdown।
পেঁচা ডাকছে কানের মধ্যে। হাম্বা হাম্বা করে। আর অম্বাকে ধরে রথে তুলে নিয়ে চলেছেন পিতামহ ভীষ্ম। সে এক মায়াবী দৃশ্য। বালিবোড়া নয়, জলঢোঁড়াও নয়, এনাকন্ডার দেশে এন্যাইহিলিন পিস্তল নিয়ে আমি রেনকোট পরে হেঁটে চলেছি৷ জলের উপর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ হয়। কিন্তু ময়না কোথায়? তাকে কেউ কি মিসকল দিয়ে ডেকে দেবে? যারা শূয়োরের মত গান্ডে পিন্ডে গিলে আমার এই লেখা পড়েও গালি না দিয়ে যায় তারা কে? কে তুমি রমণী শকুন্তলা? গলায় বকুল মালা। বল বীর, বলো উন্নত মম শির। কেন তুঙ্গভদ্রার তীরে কি পাবলো আসেনি? সে হাঁটতে হাঁটতে এখনো বনলতা সেনকে খুঁজে পায়নি। মাধবীলতাকে ও পায়নি৷ ও এখন অনাহারে, কিন্তু ওর চোখ দুটো ইস্পাতের মত ধূসর। আমার ফুচকা দোকান বন্ধ। জানিনা অপু আর দুর্গা কি খাবে? রেলগাড়িও বন্ধ যে রেলের শব্দে ওদের ঘুম আসবে। এইসময়ে স্পক কে দরকার ছিল। জন স্নো কে দরকার ছিল রাস্তা পাহারা দেওয়ার জন্য। ওরে তোরা কেউ বলে দে সখা সখীগণকে ডেকে, আমি রাইলি ব্লু র প্রেমে পড়েছি। জুড়ে থাকি টেলিপ্যাথি দিয়ে আর এঁচড়ের মত পেকে যাই। যাই হোক্, আমার তার কাটা হতে পারে, কিন্তু পাগল নই।।
©অবচেতন
*****
কয়েকদিন আগে আমার এক স্কুলের ব্যাচমেটের বাড়ি গিয়েছিলাম। সে মিউজিশিয়ান। নাম করলাম না। তার বাবা আমাকে ডেকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলেন। তার মধ্যে একটা ছিল - "তুমি দেশের জন্য কি কাজ করার কথা ভাবো? "
প্রশ্নটা এই প্রথম শুনলাম না৷ উত্তর টা ওনাকে দিয়েছিলাম। আগে যারা করেছে তাদেরকেও একই উত্তর দিয়েছি। প্রশ্নটা কমন পড়ে গেছিল। তবে উদাহরণ দিইনি। আজ দিচ্ছি। তবে ঘটনাটা একটা নয়। প্রতিদিন ঘটছে আমাদের দেশে কোথাও না কোথাও।
ইন্দোরে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-19 এর স্ক্রিনিং এ একটি পাড়াতে ঢুকতে তাদের উপর ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়। লাঠি, রড যা হাতের কাছে পায় ছুঁড়ে মারতে শুরু করে জনতা। কয়েকটি ভিডিও দেখলাম, তার মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে, যে ভিডিওটি করেছে সে বলছে - "বারবার খুজানে আ রহে হ্যায়, *তিয়ে। " ভিডিওটির সত্যতা আমি যাচাই করিনি। তবে এটা যে খুব স্বাভাবিক আমরা জানি।
হায়দ্রাবাদে যেমন হাসপাতালেই আক্রমণ হল করোনা রোগী মারা যাওয়াতে।
এই ছোটলোক জনতার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে যে কাজ করছে এখনো সেটাই ভালো, নাহলে দেশ লাশে ছেয়ে যাবে। এই দেশের জন্য অতিরিক্ত কিছু করতে আর মন নেই।।
*****
মাঝরাতের কবিতা | Night 10 of lockdown |
একজন দিনমজুরের পেটের ভাত বলছি,
একজন খেতের চাষীর রেশনের ডাল বলছি,
একজন শ্রমিকের মাইলের পর মাইল হেঁটে -
ছিঁড়ে যাওয়া হাওয়াই চটি বলছি,
দশজন ফুটপাথবাসিকে লাইন করে পথে বসিয়ে,
গায়ে ছড়ানো সলিউশনের অণু বলছি।
ওরা আজ সম্মান পেল৷
এতদিন কোন কৃষক আত্মহত্যা করেনি।
কোন শ্রমিক গণপিটুনির শিকার হয়নি।
আজ মরতে পারে নতুন করে, তাই এত ব্যবস্থা।
তবে যে তুমি বলেছিলে কবিতার দেশে ছন্দ লাগে,
নিয়ম লাগে,
সব কি মিথ্যে ছিল?
কেউ যদি কোন কথা লিখে পুলকিত হয়,
কেউ যদি কোন ভাষা আবিষ্কার করে আনন্দ পায়।
সেটা কবিতা নয়?
মানে আমাকে একটা সমাজে থেকে,
সমাজেরই তৈরি করা ,
ম্যানুয়াল মেনে নিজেকে একটা রোবোট বানাতে হবে।
বানাতেই হবে।
তবে লোকে আমাকে সামাজিক বলবে।
নাহলে, আমি পাগল।
আমি বাঁদরের মত গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুললে, আমি পাগল।
আমি মাটিতে বসে উলঙ্গ হয়ে গিটার বাজালে, আমি পাগল।
আমি মুক্ত শিক্ষা নিয়ে গান লিখলে, আমি পাগল।
আমি স্বপ্ন নিয়ে ভাবতে চাইলে, আমি পাগল।
আমাকে নিয়ে অন্যের মতামতের থেকে নিজের ইচ্ছে নিয়ে ভাবলে বেশি, আমি পাগল।
আমি শিক্ষাকে জীবনে প্রয়োগ করলে, আমি পাগল।
আমি সবাইকে ভালোবাসলে, আমি পাগল।
আমি ঘৃণা করতে না জানলে, আমি পাগল।
সক্রেটিস, প্লেটো, লালন, ভ্যান গঘ্, মোজার্ট, টেসলা, জীবনানন্দ সবাই পাগল ছিল।
আর তুমি, তোমরা শুধু স্বাভাবিক ছিলে?
তা স্বাভাবিক থেকেও সমাজের কোন কেশটি বাঁকা করেছো হে গুনী?
কতজনের দর্শনকে প্রভাবিত করেছো ?
তুমি গুগল থেকে জ্ঞান ঝাড়ছো?
অনুভূতি আছে তোমার ?
আটলান্টিকের থেকেও অনেক গভীর এক অনুভূতি।
ঢাকুরিয়ার লেকের পাড়ে বসে,
তুমি এন্ড্রোমিডার কোন এক গ্রহের এক প্রাণকে অনুভব করতে পারবে?
তুমি শিল্পী? প্রেমের গান লেখো?
আমি তুমির বাইরে বেরিয়ে দেখো পৃথিবীটাকে বান*দ।
বাবী দা, একটা এমন মিউজিক বানাতে হবে বুঝলে,
যার কোন নিয়ম নেই৷
যেটা শুনে মনে হবে, টাইটানে বসে সালফার বেসড্ লাইফ ফর্মের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে নাকে সালফারের গন্ধ পাচ্ছি।
যেটা শুনে মনে হবে, খোলা ছাদে বসে সাইবেরিয়ার বাঘের শীতের শিহরণ বুঝতে পারছি।
যেটা শুনে নিজেকে উদ্ভিদ মনে হবে।
এই অন্ধকার দম বন্ধ ঘরে কি এরকম ছবি আঁকা সম্ভব ??
©অবচেতন
*****
আমার ঘরের আলো কবে নিভে গেছে,
আমার লাশ অনেকদিন ধরে -
কড়িকাঠে গোরু বাঁধার দড়িতে ঝুলছে।
আমার পেছনে অনেকদিন আগেই মোমবাতি গোঁজা আছে।
খুব ব্যথা হচ্ছিল৷
এখন বুঝলাম আমি একা নই৷
অনেকের ব্যথা হচ্ছে।
©অবচেতন
******
মাঝরাতের কবিতা | Night 12 of lockdown |
ইলেকট্রনের মেঘে ঢাকা আমার মন,
কালো কুঠুরিতে অনিশ্চিত গতিবিধি,
ঋণাত্মক জীবনে এটাই বিনোদন,
মস্তিষ্ক কার, কতটা স্তিতধী।
যে যার এজেন্ডা নিয়ে অনুভূতি ভুলে,
সবাই জীবন্মৃত ভীড় ও মিছিলে।
যুদ্ধক্ষেত্রে বন্দী সৈন্যের মত -
গায়ে ধুলো লেগে দিন গুনি।
আমার কোন বাড়ি নেই,
আবার গোটা পৃথিবীটাই আমার বাড়ি।
এই কুরুক্ষেত্রটাও আমার বাড়ি।
আমার কাছে বেয়নেট নেই,
রাইফেল নেই।
আছে দশটা আঙুল, বারোটা স্নায়ু।
তাই দিয়েই যুদ্ধ চলে।
দিনরাত অবসরে,
ছটা তার কথা বলে।
চারিদিকে নেগেটিভ শুধু।
ক্যামেরার ডিজিট্যাল যুগে,
আর নেগেটিভ লাগেনা।
ওতে কোন কাজ নেই।
তাই সভ্যতার ধ্বংসস্তুপে বসে -
প্রেমের গান গাই।
সোনার হরিণের মায়াবী ঘ্রাণ,
মাথাকে অবশ করে দেয়।
ঘুম আসে তারপর।
যেভাবে রাত্রি নামে পৃথিবীর বুকে।
জানিনা আবার জাগবো কিনা।
সূর্যও জানেনা আবার উঠবে কিনা৷
তবু কোন এক্ কুহকী আশায়,
চোখ বুজি।
©অবচেতন
****
মাঝরাতের কবিতা | Night 13 of lockdown |
আত্মীয়রা বলেছিল,
জয়েন্ট টা Pass কর তারপর লাইফ সেট।
জয়েন্ট পাশ করলাম।
লাইফ সেট হল কিনা জানিনা,
পদে পদে ডেথ সেট হয়ে গেল।
আমি ভাবলাম -
তবে কি ওরা মিথ্যে ছিল?
আসলে আমি বুঝিনি কথাটার মানে।
আজ বুঝেছি।
যখন রাত নটায় ধোঁয়া উড়ল আগুন থেকে।
আকাশে বাজি ফাটছে।
কি আনন্দ।
আমরা একসাথে আছি।
কি আনন্দ।
কত লোকের কাজ চলে গেছে,
আমি লকডাউনের শেষে আবার ফিরবো পদে,
আমার চিন্তা কি?
আজ নাহয় ভালো পদ খাই।
তবু আমরা একসাথে আছি।
আমরা কেউ একা নই।
কত পরিযায়ী শ্রমিকদের লাইন দিয়ে বসিয়ে,
গায়ে সলিউশন ছড়ানো হচ্ছে।
আর বিদেশী পরিযায়ী পাখির পাড়াতে গিয়ে গান গাইছি।
পতাকা উড়ছে।
পতাকার তলার বেদীতে মোমবাতি জ্বলছে।
আর আলোর নীচে গভীর অন্ধকার থালা বাজাচ্ছে।
©অবচেতন
*****
বসিয়া রহিনু তটিনী তিমিরে, গবিনী আমার পূর্ণ।
অশ্লীলতায় লাভ কি, ভকতি সারকাজমেই চূর্ণ।
বেণুবনে হেরি জ্বলিতেছে দীপ, উড়িতেছে কত ফানুস।
মানুষের মৃতদেহের উপর নাচিতেছে আজ মানুষ।
ভকতসকল উল্লাসে মাতে, ইহা গোদীজীর জয়।
মাকু ও করোনা জ্বলিতেছে সাথে, তাই বুঝি মনে হয়।
রঙ্গ চলিছে জীবন লইয়া, অস্ত্র স্টুপিডিটি।
একুশ হইতে মধ্যযুগে সমাজ ও গিরিগিটি।
© অবচেতন
****
Remember the movie scene of "Baby".. When personal assistant of a minister said, " Voh to marenge hi, unka to kam hai marna ", Akshay Kumar closed the door and slapped him..
I am not fond of these type of movies.. I am also not denying the fact life is not movie.. But someone has to slap.. We all have to slap.. Now
*****
মাঝরাতের কবিতা | রাত্রি চৌদ্দ |
আমি মৃদুমন্দ সমীরণে মোহিত হইয়া,
বলাকা হইতে দলছুট পাখি৷
বলাকার পঞ্চান্ন জন বালক নির্বাসনে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পাঠশালা বন্ধ।
যাহারা আঁখি থাকিতেও অন্ধ,
তাহাদের দর্পণ লইয়া দর্প করিতে নাই।
খচরমচর শব্দ লতায় পাতায়,
মধুর মাধুরী কথায় কথায় ,
কর্মে বিপরীত।
পশ্চাতে তব প্রতীক্ষায় বেণুদন্ড,
এলিট তুমি, বা**দ ডিগ্রীধারী।
আপনি ছিদ্রে আঙুল দিয়া ভাবিতেছো তুমি নিরাপদ।
যামিনীর ন্যায় তব নিঃস্তব্ধতা ,
সূচের ন্যায় বিঁধিতেছে।
আমাকে যুদ্ধে ঠেলিয়া, রিপোর্ট অন্যের কাছে বাঁধা।
তুমি অমেরুদন্ডী শুধু নয়, তুমি বোকা*দা।
তুমি উল্লাসে মাতিয়া প্রমাণ করিয়াছো,
তোমার বিবেক নাই,
তুমি আসলে একটি মুখোশধারী কীট।
শেষে সবার জন্যই কাটা থাকিবে টিকিট।
©অবচেতন
****-
প্রেমিক- প্রেমিকার প্রতীক্ষার থেকেও,
একজন সৈনিকের যুদ্ধশেষের প্রতীক্ষা আর একজন স্বাস্থ্যকর্মীর প্যান্ডেমিক শেষ হওয়ার প্রতীক্ষা অনেক বেশি রোমান্টিক।
***-
People don't prefer art,
People like celebrities.. Even they love, criticise their lifestyle.. But not art..
*****
যে বাড়িতে আকাশ ঢেকে দেওয়া হয়,
সেই বাড়িতে কোন কবি থাকেনা।
যে বাড়িতে উন্নয়নের জোয়ারে -
দেওয়াল থেকে ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়,
সেই বাড়িতে কোন শিল্পী থাকেনা।
যে বাড়িতে না খেটে টাকা ঢোকে,
সেখানে আনন্দ থাকেনা।
যে বাড়িতে বুদ্ধি-যুক্তি চর্চার বদলে,
বস্তাপচা সিরিয়ালের -
মাংস রান্না হয় সেই রান্নায় স্বাদ থাকেনা।
যে বাড়িতে সুবিধে বুঝে নিতে আত্মীয়তা বাড়ে,
সে বাড়িতে কেউ আপন থাকে না।
একটা একলা ছোট্ট একচালা বাড়ি আর বাগানেও,
স্বর্গ লোকাতে পারে।
একটা স্বল্পায়ু জীবন হতে পারে নান্দনিক সওগাত।
আকাশচুম্বী লাখ টাকার অট্টালিকায় নামতে পারে,
শ্মশানের নিস্তব্ধতা।।
©অবচেতন
*****
মাঝরাতের কবিতা | Night 19 of lockdown |
কিছু ভালো লাগছেনা | তোমার, আমার কিছু ভালো লাগছেনা৷ আজ বুঝতে পারছো কিভাবে আর্ট বেরোয়?যখন এক দমবন্ধ পরিবেশে, চারিদিকের দেওয়াল চেপে ধরে, সমাজে তোমার যাওয়া আসা বন্ধ হয়- স্পষ্ট বোকা*দার স্থান হয় ঘরের এক অন্ধকার কোণে,
তখন একটা চাপা কান্না কে যে ফুটিয়ে তুলতে পারে,
সেই আর্টিস্ট৷ বাকি আমরা বারবার বলতে থাকি,
কিছু ভালো লাগছেনা৷ কখন ঘুমাচ্ছি, কখন জাগছি,
কিছু হিসেব নেই। ক্লান্ত শরীরে জানালা দিয়ে তাকিয়ে ভাবি- ওই যে ঝিলের পাশের গাছটাতে পেরেক মেরেছো,
তোমার গায়ে যদি ওরকম পেরেক মারা হত, কেমন লাগতো ?? ওর প্রতিবেশীদের উদবাস্তুর মত তুলে পুড়িয়ে দিয়েছো। যে দেশ ভাইরাস আসার অনেক আগেই, নানা অযুহাতে ভঙ্গুর, সেই দেশে বড়লোক হয়ে লাভ কি?
যে নীতি বিপর্যয়ের মুখে পিকাচুর মত কার্টুন লাগে,
সেই নীতিমালা তে শ্যাওলা পড়েছে বুঝতে হবে।
বনে গিয়ে বিড়ি ধরাতে গিয়ে - বা**দের মতো আগুন ধরাচ্ছো। সুন্দরবনকে ধর্ষণ করে হাব করবে ভাবছো।
নেচার ছেড়ে দেবে তোমায়? পালিয়ে যাবে কোথায় ওহে শিক্ষিত ডিগ্রীধারী। তোমার ডিগ্রীগুলো স্যুটকেশে ভরে গঙ্গার জলে ছোঁড়ো আগে, তবে যদি কিছু বোধবুদ্ধি হয়। তোমার ডিগ্রী চাই, কারণ তুমি নিজের জ্ঞান নিয়ে সন্দিহান। তোমার কোন একটা চকচকে ইউনিভার্সিটির ভ্যালিডেশন লাগবে। তবে তুমি জ্ঞানী বলে বার খাবে। সমাজ কে বলবে আমি *ড়া লন্ডনে গিয়ে বারে রকেট বানাই। আমি স্টকহোমে বসে আইনস্টাইনের সাথে লুডো খেলি। আমি আমেরিকায় বসে *ল গুনি। আর এদিকে দেশে অশিক্ষার অন্ধকার বাড়তে থাকে। ভাইরাসের সংক্রমণ একদিন তো কেটে যাবে। রাজনীতি, ধর্মের নামে বজ্জাতির সংক্রমণ কাটবে কবে? আমিত্ব, স্বার্থপরতার বিষ কাটবে কবে?
নেচার কাউকে ছাড়বে না।
প্রত্যেকটা পেরেকের বদলা নেবে। আর তুমি নির্বোধের মত স্কোরকার্ড মেলাবে। দিনের শেষে বলবে ওটা আউট ছিলনা।
©অবচেতন
*****
আমি একটু অজ্ঞাতবাসে ধ্যানমগ্ন ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি চারটি খোলা পিঠে চারটি শব্দ নিয়ে ফেবু ও হোয়াটসঅ্যাপ এর অনলাইন চায়ের দোকানগুলো তে বিতর্কের ঝড় উঠেছে, সেটি নিয়েই ধ্যান ভেঙে ফিরে এসে এই লেখা। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আমার শিল্পীসত্তার ছাঁচের অধিকাংশই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা প্রভাবিত। আমি ওনার "সমাপ্তি" পড়ে কেঁদেছি। "অচলায়তন" পড়ে হেসেছি। "রক্তকরবী" পড়ে আমার কপালে ভাঁজ এসেছে। তাই আজ এই লেখা পড়ে কেউ আমাকে মারার সিদ্ধান্ত দয়া করে নেবেন না, আমি কব্জির জোরে সত্যি পারবো না। যাই হোক, মুষ্টিমেয় বাঙালি খোলা পিঠের চারটি শব্দ দেখে দাবী করেছেন, বাঙালির সংস্কৃতি উচ্ছন্নে গেছে। আপনারা যে আজ বুঝতে পেরেছেন সেটাই রোদ্দুর রয়ের কৃতিত্ব। আপনারা এতদিন ঘুমাচ্ছিলেন যখন বাংলা গানে ঊর্দু শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছিল? বাংলা সিনেমার নামেও অন্য ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেইসব সিনেমার গান বক্সে জোরে ঢিক্ চিক্ বিটে বাজছিল। ওনারা ঘুমাচ্ছিলেন যখন আমরা স্বাধীন শিল্পীরা যারা বাংলা ভাষায় গান লিখি, লেখালেখি করি, তারা একজন একজন করে হিন্দী গানের দিকে ঝুঁকছিলাম। আচ্ছা সিনেমা বাদ দিয়ে, শেষ দশ বছরে কজন স্বাধীন শিল্পী বাংলা গান লিখে উঠেছেন? বাংলা ব্যান্ড কই শেষ দশ ব্ছরে? রূপম ইসলামের পর নাম কোথায়? ট্যালেন্ট নেই বলছেন? আপনি অন্ধ ও হিংসুটে। একটা জাতি হঠাৎ করে ফাঁকা হয়ে যেতে পারেনা। আপনারা বিড়ালের মাছ খাওয়ার ভিডিও শেয়ার করতে পারেন, কারো হিন্দী গানের কভার ও শেয়ার করতে পারেন। কিন্তু স্বাধীন শিল্পীর বাংলা মৌলিক গান শেয়ার করতে আপনার আঙুল ব্যথা করে। আপনাদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ও সংবর্ধনা পাওয়ার সময় লিখে গেছেন, "এই মণিহার আমায় নাহি সাজে।" আচ্ছা "সহজপাঠের গপ্পো" তো বেশ ভালো সিনেমা, সেটা কেন আপনাদের সংস্কৃতিপ্রবণ মনে আঘাত করলোনা? এমনকি আই.এম.ডি.বি. রেটিং এও নেই। আচ্ছা আপনার প্লে লিস্টে কটা সাম্প্রতিক বাংলা গান (সিনেমার গান ছাড়া) আছে? আচ্ছা আপনি শেষ বাংলা বই কবে পড়েছেন? গ্লোবালাইজেশন এর যুগে শুধু বাংলা নিয়ে আটকে থাকার আমি পক্ষপাতী নই, কিন্তু কত বাঙালি শিল্পীকে বাংলা গান লিখে সেরকম শ্রোতা নেই বলে, হিন্দী বা বাজারী কাজের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে সেটার খবর রাখেন? আমারা যারা এই প্রজন্মের শিল্পী, প্রত্যেকেই মাঝে মাঝেই হতাশ হয়ে কথা বলি, আজ মৌলিক শিল্পীর থেকে কভার আর্টিস্ট রা বেশি দাম পায়। তখন আপনার সংস্কৃতি মরে যাচ্ছে মনে হয়নি? শেষ কবে থিয়েটারে গিয়ে নাটক দেখেছেন ফোন বন্ধ রেখে? আপনারা আজ বলছেন সংস্কৃতি মারা গেছে ?? বাঙালি আসলে তারা, যাদের যাই টিভিতে বা মাল্টিপ্লেক্সে দেখানো হয় তাই দেখে। সবাই দেখছে মানে ভালো। নিজের বিচারক্ষমতা আছে আপনাদের? আজ পাড়ায় কোন টলিউড হিরো এলে যেরকম ভিড় হবে, বং গাই এলেও সেরকম ভিড় হবে, জেসিবি র মেশিন এলেও সেরকম ভিড় হবে। একটা অলস জাতি যারা নিজে ভাবতে পারেনা, তারা আজ জেগে উঠেছেন কালচার রক্ষা করতে? আপনারা কি জানেন বাংলা গানের রেডিও চ্যানেল আমার এফ.এম. এই বছর নেতাজীর জন্মদিনে বন্ধ হয়ে গেছে ? আপনারা কোথায় ঘুমাচ্ছিলেন? সংস্কৃতি বহুদিন আগে মারা গেছে। সেটা চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর জন্য রোদ্দুর রয় কে ধন্যবাদ। যদিও আমি মনে করি, রোদ্দুর রয় এর মত কাউকে দরকার ছিল এই অচলায়তন ভাঙার জন্য। রবীন্দ্রনাথ এর দর্শন এতটাও ঠুনকো নয় যে কেউ পিঠে লিখে কি ঘুরে বেড়ালো তাতে ভেঙে যাবে এবং তার জন্য রোদ্দুর রয়কেও দায়ী করা যায়না। তবে যখন দেখি আধুনিক প্রজন্ম রোদ্দুর রয় কে দিয়ে এখন বাঙালি সংস্কৃতিকে সংজ্ঞায়িত করছে তখন বোঝা যায়, সংস্কৃতির দৈন্য দশা। আমার রবীন্দ্রনাথের লেখা গান গাইতে ভালো লাগে। কিন্তু কেউ শোনেনা, তাই সবার সামনে গাইনা। কেন শোনেনা? কারণ তারা হানি সিং,মিকা, একন, শাকিরা শোনে। তারা "বাতে ইয়ে কভি না তু ভুলনা" শোনে, গুনগুন করে, "আমি তোমারো বিরহে রহিবো বিলীন " শোনেনা। অথচ দুটো মানে এক। "মে রহু ইয়া না রহু " গায় প্রেমের গান হিসেবে, অথচ " তুমি রবে নীরবে" গাইতে গিয়ে হাতদুটো জড়ো হয়ে আসে। ভক্তি তে চোখ বুজে আসে। রবীন্দ্রনাথের পূর্ণিমার চাঁদকে ব্যঙ্গ করে সুকান্ত যখন লিখেছেন, "পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি", আপত্তি সেটা নিয়ে ছিলনা। আপত্তি বাঁড়া শব্দটা নিয়ে। যে বাঙালি আজ একটা বাঁড়া শুনে গেল গেল রব তুলেছে, তারাই সৃজিতের সিনেমায় হলে গিয়ে "বাইশে শ্রাবণ" এর সংলাপ শুনে হাততালি দিয়েছে। যারা রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতি নিয়ে মরাল পুলিশগিরি করছেন, তারাই রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে পানু জোক্স গিলেছেন। ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল এর কথা আপনারাই গেলেন। আজ টিভিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল বাংলা সিরিয়াল, গোটা পরিবার নিয়ে বসে ওই ছাইপাঁশ গেলেন। বাঙালি বাড়ির পাশ দিয়ে গেলে টিভিতে সিরিয়ালের শব্দ শোনা যায়। অনুষ্ঠানে বাংলা গান ছাড়া সব বাজে।
বিদেশী নতুন শিল্পীর গান শেয়ার করলে তাদের টাইমলাইনের গ্ল্যামার বাড়ে, কোন বাঙালির নিজের গান শেয়ার করলে ব্যাকডেটেড হয়ে যায়? যখন শুরুতে রবীন্দ্রনাথের গান গিটারে গাইতাম, সবাই আঁতকে উঠতো। ওভাবে গায় নাকি? গুরুদেবের গান দুহাত জড়ো করে চোখের অর্ধনিমীলিত অর্গাজমিক্ কম্পনের সাথে কীর্তন করতে করতে গাইতে হয়।
কেন এই দ্বিচারিতা?
এদের জন্য রোদ্দুর রায় হল রূপমের ভাষায় "ভক্তিপূর্ণ লাল গাল থাপ্পড়"। রোদ্দুর রয়ের এই ঠুনকো হিপোক্রিট বাঙালির এপ্রুভাল লাগবেনা। রবীন্দ্রনাথ ও স্বমহিমায় আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। মাঝখান থেকে চায়ের কাপে ঝড় উঠবে। আর কোন একজন সুপ্রভাত গেয়ে যাবে - " গানটা শুনছো নাকি দেখছো তুমি বুঝতে পারো কি ভাই !! "
বিঃদ্রঃ - যারা আমার এই লেখায় আঘাত পেয়েছেন, তারা যেন অবশ্যই কিছু মনে করেন ও আমাকে ব্লক করে দেন। আমার কাজ এমনিতেও আপনারা মূল্য দেননি, দেবেন ও না জানি। যে কজন দেন তাতেই হবে। তাতে সত্যিটা পাল্টাবেনা। নিজের বক্তব্য বলতে কোন ট্যাক্স লাগেনা। আর যারা এগোচ্ছেনা, তারা অবশ্যই পিছিয়ে যাচ্ছে।
*****
ভাবছি একটা আখড়া খুলবো। ছোটখাটো। জংগলের মাঝখানে। জংগল কি কেনা যায়? জানিনা। সেখানে লোকজন পরীক্ষায় ফেল করলে বা জীবনে টাকা ইনকাম করতে করতে বোর ফিল করলে আসবে। আমরা একসাথে খাবো কঠিন, বায়বীয় জিনিসপত্তর। তরল নট এলাউড। রবীন্দ্রনাথ, আইনস্টাইন, টেসলা, জীবনানন্দ এসব নিয়ে আলোচনা হবে। যে অ আ ক খ জানেনা তাকে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বোঝাবো। দেশ বিদেশের গান বাজনা আনপ্লাগড্ একটা ক্যাওড়া জ্যাম হবে দিনরাত। আমি শুধু মুড হলে গাইবো। নাহলে চুপ করে মাঝখানে একটা ছোট টিলার উপর একটা গামছা পরে গাছে হেলান দিয়ে বসে থাকবো। কেমন হবে??
ভাবুন, একটা রাত। চারিদিকে নিকষ কালোর অন্ধকার সবার অবয়ব কেড়ে ছায়া করে দিয়েছে। সবাই চুপ করে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনছে। আর জোনাকির আলো জ্বলছে, নিভছে, জ্বলছে, নিভছে। শেয়াল ডাকছে৷ হাতি ডাকছে৷ আর চাঁদ উঠেছে.........
****
অলরেডি বেশ কিছু মানুষ ব্লক করে দিয়েছেন, কিন্তু তাতে কি লেখা বন্ধ করে দেবো? দেবোনা। আরো ভয়ংকর লেখা লিখবো। আজকাল একটা কথা শুনি শিক্ষক শিক্ষিকার হাতে বেত ফিরিয়ে দিন, তাহলে সমাজে আর রেপ-ভায়োলেন্স হবেনা, সমাজ পুরো শুধরে যাবে। এর থেকে হাস্যকর আর কিছু নয়৷ আমি তো মার খেয়েছি ছোটবেলায়, আমি কি তৈরি হয়েছি? একটা তারকাটা হিপোক্রিট অভদ্রলোক। আজ যাদের বয়স পঁচিশের উপরে তোমরা সবাই তো প্যাঁদানি খেয়েছো শিক্ষক, বাড়ির লোকের কাছে৷ কি তৈরি হয়েছো? একটা ফুটফুটে শিশু যার মনে ভায়োলেন্স নেই, আছে শুধু আর্ট। ফুলের মত সুন্দর। তার পেছনে দশ কেজির বই এর ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বলেছো যা টিউশনে গিয়ে গাঁতা৷ স্কুল, কলেজে শিখতে হবেনা। ওটা জাস্ট এমনি সার্টিফিকেট এর জন্য। যার মনে ভায়োলেন্স নেই তাকে ছোট থেকে তুমি বেত মেরে ভায়োলেন্স এর পাঠ পড়াচ্ছো। প্রত্যেকটা শিশু ক্রিয়েটিভ, তার ক্রিয়েটিভিটি কেড়ে নিয়ে তোমরা চাকর বানাচ্ছো চাবুক মেরে৷ শিশুশ্রম নাকি বন্ধ?? কই আমার তো মনে হয়না। যে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে এত কথা বলছো তিনি কি লিখেছেন জীবনস্মৃতি তে? "শাসনের দ্বারা, পীড়নের দ্বারা, কানমলা এবং কানে মন্ত্র-দেওয়ার দ্বারা আমাকে যাহা কিছু দেওয়া হইয়াছে তাহা আমি কিছুই গ্রহণ করি নাই। যতক্ষণ আমি আপনার মধ্যে আপনি ছাড়া না পাইয়াছি ততক্ষণ নিষ্ফল বেদনা ছাড়া আর কিছুই আমি লাভ করিতে পারি নাই। "
একটা শিশু কে তোমরা কি ভাবো? বোকা? তোমরা বোকা। "উলঙ্গ রাজা" পড়েছো? বুঝেছো কিছু? একজন শিশু যাই দেখে তাই শেখে। তোমার ট্যালেন্ট নেই শিশু কে হ্যান্ডেল করার মত। তাই বেত মেরে চুপ করাতে চাইছো। তোমার ট্যালেন্ট নেই তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত। তোমার গাঁত মারা সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন। তাই চড় মেরে চুপ করাতে চাইছো। তুমি রোবোট না মানুষ সেটা ভেবে ঠিক করো আগে। তোমাদের দেখে মেকলে সাহেব হাসছে শুনতে পাচ্ছো কি??
*****
|| ফ্লার্ট ||
মুড অফ। তাই ফেসবুক খুলে বসেছিল পায়েল। এই ভরসন্ধ্যে বসন্তবেলায় ফেবু অন করলে যা হয়। এক এক করে " হাই বিউটিফুল", "হাই সোনা " এইসব মেসেজ ঢুকতে থাকে। আজো ঢুকছে। পায়েল এগুলো সিন ও করেনা। হঠাত্ একটা মেসেজে দেখলো লেখা - আজি এ বসন্ত দিনে বাড়ি ফেরো মাংস কিনে।
খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো পায়েল। ছেলেটার নাম লেখা - ফাজিল ফাইনম্যান।
ডিপি তে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের ছবি। পায়েল রিপ্লাই দিলো একটা গম্ভীর ভাব এনে। "মানে? "
রিপ্লাই এল - ইভ টিজিং করার চেষ্টা করছি অনলাইনে।
- এইভাবে ফ্লার্ট শুরু করা হয়?
- ফ্লার্ট আমার হয়না। ফ্লার্ট করতে গেলেই ফার্ট বেরিয়ে যায়। সেদিক থেকে ভাবলে আমি ফ্লার্টিস্ট। ফ্লপ আর্টিস্ট।
পায়েল কিছুক্ষণ ভাবলো, তারপর ব্লক করে দিল।।
****
To my respected teachers, well-wishers, colleagues, friends, non-well wishers, haters,
I have decided long ago that i will not continue any kind of conventional educational course further.. I have withdrawn myself from any kind of rat race.. Today i am writing this publicly, because i am tired of some questions.. Please don't ask me about my career.. Or say such sentences like " i have destroyed my own career " in front of me.. Build your own career, best wishes.. Please don't think about me.. I have rejected this education system long ago.. I was just in little bit of confusion.. I had to reach somewhere.. I think i have destroyed my creativity enough.. This killing process has to be stopped somewhere.. If i have to regret later, that will be my own responsibility.. Everyone regrets at some point of life over some issues.. I have decided to live my life to the fullest without any kind of tension.. I love to know more .. And as i am free from the conventional education system, so i am free to learn anything.. I will learn whatever i want.. I will do whatever i want.. I will decide my own curriculum.. Thank you all for your kind hearted support..
****
স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে, আরো অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ যাতে কমিউনিটি স্প্রেড পর্যায়ে না পৌঁছায়। এটাকে আপাত দৃষ্টিতে অতিসতর্কতা মনে হতে পারে, কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে ইতালি এই স্টেপগুলো আগে নেয়নি বলেই সেখানে এই পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে৷ এই ভাইরাসে মানুষ কম মারা যায় এটা ঠিক, কিন্তু এর সংক্রমণ করার ক্ষমতা এত বেশি যে শতকরা হিসেব করলে মৃতের সংখ্যা অনেক দাঁড়াবে। তাই এত আগাম সতর্কতা। সবাই এটা বুঝুন, এত প্রস্তুতি ব্যর্থ হবে যদি জনগণ সহযোগিতা না করেন। নাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। মাস্টারমশাইদের অনুরোধ, একমাস স্কুল কলেজ বন্ধ আছে বলে গ্রুপে প্রাইভেট টিউশন না পড়ানোই ভালো । কোথাও এই একমাস ঘুরতে যাবেন না। খুব প্রয়োজন ছাড়া দূরে কোথাও বেরোবেন না। ব্যাপারটা সেই একই দাঁড়ায় নাহলে। আপনার অসতর্কতার কারণে একটা কমিউনিটি সংক্রমিত হতে পারে৷ আতঙ্কিত হবেন না যেমন, তেমন প্রয়োজনীয় সতর্কতাও অবলম্বন করুন ।।
****
সাদা মনে একটি কালো প্রশ্ন -
বাংলা বলতে বলতে English Word Use করাটা Smart আর
Why are we called as বোকা বা মূর্খ, when we use বাংলা শব্দ in speaking ইংরেজি ??
****
ঘটনা ১-
Second World War এর সময় জাপানে সৈন্যর অভাব পড়ায় হঠাৎ যুদ্ধে মৃত্যুকে বিভিন্ন নাটক, সাহিত্যে গ্লোরিফাই করা শুরু হয়। যারা যুদ্ধে যেত তাদের প্রাচীন বীর যোদ্ধার উপাধি দেওয়া হত।
ঘটনা ২ -
দুদিন আগে অসুর বানানো ডাক্তারদের আজকাল নেতা, অভিনেতা, খেলোয়াড় সবাই হঠাৎ ভগবান বানিয়ে বার খাইয়ে পোস্ট দিচ্ছে।
কনক্লুশন - দুটো ঘটনার কোন মিল নেই।
Credit- Suprabhat Das
****
কোনদিন চিন্তা হয়নি পাশের বাড়ির মানুষটা ঠিক আছে তো?
কিন্তু আজ হচ্ছে।
কোনদিন ভাবিনি মানুষ ধর্মের আগে,
আজ ভাবছি।
কোনদিন ভাবিনি যে বাচ্চাটি রোজ ইঁটভাটায় ইঁট বয়, তার শিক্ষার দরকার।
কিন্তু আজ ভাবছি।
যারা এসি তে বসে কফি খেতে খেতে বলশেভিক বুলি আওড়াতো,
তারা আজ মাটির খবর জানতে চাইছে।
আজ আমরা ভাবছি তারা কত অশিক্ষিত যারা রোগ বুঝেও ছড়ায়।
তাদের অশিক্ষার অন্ধকার আমাদের আলোয় তৈরি।
আজ ভাবছি তাদের ও স্বাস্থ্যের অধিকার চাই।
চাই সচেতনতা।
নাহলে আমরা কেউ বাঁচবোনা।
"যারে তুমি নীচে ফেলো সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে,
পশ্চাতে রেখেছো যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।"
****
সমান্তরাল মহাবিশ্বতে মানুষকে ভাইরাস ও করোনাকে ভ্যাকসিন বলে ঘোষণা করা হল। ভুল পড়ছেন না। উহানে এখন দূষণ কমে গেছে। ভেনিসের জল স্বচ্ছ পরিষ্কার। কলকারখানা, রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া বন্ধ থাকায় বায়ুদূষণ কিছুটা কমে গেছে।
****
রোগী বাঁচার সম্ভাবনা কম শুনে লামা (Leave against medical advice) করাতে চেয়েছে পেশেন্ট পার্টি, কারণ পার্টির সময় নেই হস্পিটালে থাকার। একদিন কাজ না করলে খেতে পাবেনা। যারা পেরিফেরি তে কাজ করেন, তাদের এরকম অদ্ভুত অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের নিশ্চয়ই আছে৷ এরকম দেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা কতটা বোঝাই যায়।
করোনা ভাইরাস নিয়ে মিডিয়া ও মানুষরা তাদের নিজের নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে যেরকম সালমান খান বাদ দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন জনসাধারণের সচেতনতা নিয়ে,আমি তো এরকমই সচেতন দেশ দেখতেই চাই। তার সাথে এটাও চাই অপুষ্টিতে মৃত্যু নিয়েও কথা হোক। সবার জন্য স্বাস্থ্য নিয়েও এই সচেতনতা তৈরি হোক। স্বাস্থ্যখাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ুক। অপুষ্টি তে অনেক শিশু মারা যায় প্রতি দিন। মিডিয়া তে এত কথা হয়না। কারণ কোন এলিট জনগণ তাতে সরাসরি এফেক্টেড হন না। সেদিক থেকে করোনা ভাইরাস সাম্যবাদী। তবে জানবেন এটা প্র্যাকটিস্ ম্যাচ। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর জন্য আরো বড় অসম লড়াই এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে লড়তে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে লড়তে হবে। সেদিন বেশি দূরে নেই।
*****
আমি আজ কোন ঋণাত্মক কথা লিখবোনা। সবার মুখস্ত। সবাই জানেন খুব শিগ্রী আমাদের গৃহবন্দী হতে হবে। কালকে আছে প্র্যাকটিস ম্যাচ। কিন্তু একটা উদ্দেশ্য বা স্বপ্ন ছাড়া এই গৃহবন্দী থাকা অভ্যেস করবেন কিভাবে। আমি তো স্বপ্ন দেখবো এমন একটা মহামারী, যুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীর যেখানে প্রত্যেক ঘরে একজন মিউজিশিয়ান থাকবেন। যারা রোজ সকালে ও বিকেলে ঘরের ছাদে উঠে মিউজিক চর্চা করবেন। প্রতিটা ঘরে মানুষ বই পড়বেন। কারণ টিভি আর মোবাইলে একই শো বারবার দেখে আর ভালো লাগবেনা। অনেকে তার হারানো শখ গুলো ফিরে পাবেন যেগুলো পেশাগত চাপে ভুলে গেছিলেন। কেউ আবার আঁকবেন, কেউ নাচবেন, কেউ গান গাইবেন, কেউ লিখবেন, কেউ পড়বেন, কেউ গাছ লাগাবেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
সভ্যতার প্রসার ঘটাতে গিয়ে যে অরণ্য আমরা ধ্বংস করেছি সেই অরণ্য ফিরে আসার সুযোগ পাবে। গঙ্গার মত নদী ও সমুদ্রতট গুলো দূষণ মুক্ত হওয়ায় জীব বৈচিত্র্য বাড়বে। মানুষ হঠাৎ আবিষ্কার করবে তার নিজের জন্য পাশের বাড়ির মানুষের সুস্থতা প্রয়োজন। রোজ বিকেলে ছাদে গল্প করবে বাড়ির মানুষেরা সিরিয়াল ফেলে রেখে। সমাজে চিকিৎসক, শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, স্থানীয় কবি, লোকগীতিকাররা তাদের সম্মান ফিরে পাবেন। মানুষের এটেনশন স্প্যান বাড়বে। কর্ম ব্যস্ত জীবনে সিনেমা ফরোয়ার্ড করে দেখা বা গান প্রথম এক মিনিট শুনে রেখে দেওয়ার অভ্যেস কমবে। এখন সময়ই সময়। অনেক ভেঙে যাওয়া প্রেম ঠিক হয়ে যাবে। এই একাকীত্ব তাদের চাওয়া পাওয়ার সব হিসেব মিলিয়ে দেবে। আর প্রচুর নবজাতক একটা দূষণ মুক্ত পৃথিবীতে প্রথম শ্বাস নিতে পারবে। পরীক্ষাই শেষ কথা নই, জীবন অনেক বড়। সাফল্যের দৌড় মানুষের আত্মাকে করোনার থেকে ভয়ংকর সংক্রমণ করেছে সেটা মানুষ বুঝবেন।
আপনারা কি স্বপ্ন দেখছেন??
*****
জনগণ শুনতে পাচ্ছেন? ওই যে ওরা মিছিল করে আসছে শাঁখ, করতাল, থালা বাজিয়ে। ওই যে ওরা বিশ্বাস করে এখনো বিপদ অনেক দূরে ওরা স্লোগান দিতে বাকি রেখেছে - আসছে বছর আবার হবে। ওরা ইন্ডিয়া নয়৷ ওরা ভারত৷ ইন্ডিয়া আর ভারত যে আলাদা হয়ে যাচ্ছে আমরা এতদিন ভাবিনি। কি যায় আসে তাতে। ওদের খাওয়ার লোভ দেখিয়ে মিছিলে লাইন বাড়িয়েছি৷ ওদের টাকা দিয়ে জনসভায় এনে ব্যবহার করেছি। ওদের মদ খাইয়ে রাস্তায় ঢাউস বক্স বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য করতে শিখিয়েছি আমরা এতদিন আমাদের বিজয়োল্লাসে। ওরা এসব এপিডেমিও-লজিক্যাল কচকচানি বোঝেনা। সেই মিড ডে মিল খেয়ে আসা দিন থেকে ওরা থালা বাজানো বোঝে। থালা বাজানো মানে এবার খাবার আসছে। এবার হবে জয়োল্লাস।
আপনারা ঘুমাতে পারছেন? আমার তো ঘুম আসছে না। আগামী ভয়ংকর দিনগুলো দেখতে পেয়ে। আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবুন। এই বিপদ কাটলে যদি ইন্ডিয়ার টনক নড়ে। তাহলে আগামী দিনে যখন আরো মারণ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া র আক্রমণ হবে আমরা সহজে রুখতে পারবো ।।
*****
মানুষ জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত লোকেদের উত্সাহ দিতে থালা বাজাচ্ছেন। আবার বিভিন্ন দিক থেকে খবর পাচ্ছি, তারাই মেস বা বাড়িতে ভাড়া থাকা স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার বা নার্সদের চলে যেতে বলছেন। দোহাই সম্মান। যেসব সতীর্থদের বুক ফুলেছিল, কান্না আসছিল এই পোড়া দেশে তারা কি ভাবছেন?? করোনা সংকট তো একদিন চলে যাবে। এই অসভ্য সমাজের চিকিৎসা কে করবে?
#Irony
****
||সরি স্যার, সকাল সকাল একটু হাই হয়ে গেছিলাম||
কলেজে পড়াকালীন রুমে যখন বলতাম এই প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন বিষয়টা খুব ক্রিয়েটিভ, লজিক্যাল এবং ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট, সবাই হাসতো ৷ আজকেও যা হয় সেদিনও তাই হয়েছিল,আমাকে তারকাটা বলতো এমনিতেই, আরো বলতো বেশি করে। পাত্তা দিত না। আমার রাগ হয়নি। আমিও হেসেছি। আমরা হেসেছিলাম কারণ টা আমার মতই তারাও নানা বোকা বোকা ঘটনার সাক্ষী, বিষয়টাকে কেন্দ্র করে। আমাদের বুঝতেই দেওয়া হয়নি পাশ করা ছাড়া এই সাবজেক্ট আমাদের নিত্যজীবনে কতটা জড়িয়ে। দুটো ঘটনা বলবো যাতে পরিষ্কার হবে। বুঝবেন ব্যাপারটা ভালো করে, আমরা তখন পার্ট ওয়ান এ পড়ি। অর্থাৎ প্রত্যেকের বয়স ন্যূনতম ২১ বছরের উপর। আমি আমার প্র্যাকটিকাল খাতা কিছু একটা সই করাতে গিয়েছিলাম এই বিষয়ের একজন ফ্যাকাল্টির কাছে। উনি একটা গ্রাফের ছবি দেখে বললেন বার থেকে পেনসিলের আঁচড় টা খানিকটা বেরিয়ে গেছে। আর বার এ নাম্বারিং করতে হবে। আমি তখন টেবিলে পড়ে থাকা একটা পেনসিল নিয়ে বার এ নাম্বারিং করতে উদ্যত হই। আমাকে তুমুল খিস্তি করা হয়৷ আমার মাথায় বুদ্ধি নেই, বেসিক সেন্স অফ এটিকেট নেই, ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে আমাকে আবার হস্টেলের রুমে গিয়ে, ওই কাজটা করে আবার পরেরদিন এসে ওনাকে দিয়ে সই করাতে হত। যেহেতু উনি শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রীকে শিক্ষার নামে হ্যারাস করা ওনার অধিকার।
বায়োস্ট্যাট এ ওই সিম্পল যোগ বিয়োগের কিছু তথাকথিত অংক থাকতো৷ যেটা নেট থেকে সূত্র দেখে নিলে একজন ক্লাস ফাইভের ছেলে ও পারবে। ভালো করে বুঝবেন ব্যাপারটা। আমরা প্রত্যেকে ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি সম্মিলিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স এ ভালো র্যাংক করে আসা ছেলে মেয়ে। ক্লাসের পর ক্লাস ধরে আমাদের যোগ বিয়োগ করানো হচ্ছে। তারমানে হয় জয়েন্ট মিথ্যে। নাহলে এই সিস্টেম মিথ্যে।
এই এডুকেশন সিস্টেমে বিষয়টাকে নিয়ে খিল্লি হবেনা তো কি হবে? আমার বন্ধু হাসনু যখন এই বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেল আমি কিন্তু খুব খুশি হয়েছিলাম। এরকম লোকজনদের দরকার। আমি আমার বন্ধুকে সেই রোলে দেখতে চাই। যারা হেলথ প্রোগ্রাম গাঁতাতে না বলে, ছাত্রদের মধ্যে ডিবেট ক্লাস করাবেন। কোথায় ঘাটতি আছে, কি নীতি প্রনয়ণ প্রয়োজন। যারা এই প্রোগ্রাম গুলো সংসদে পাশ করান, তারা যদি বলতে পারেন, আমার মতে, সেরকম চিন্তা ভাবনার পরিবেশ সৃষ্টি করলে ছাত্র ছাত্রীরাও পারবে। ক্লাসে এসে কোন একটা রোগের কেস স্ট্যাট দিয়ে দেওয়া হল। এক মাস পরে এর কত সংক্রমণ হতে পারে, আলোচনা হোক্। পায়খানার মাপ নেবোনা কেন? অবশ্যই নেবো। ফিতে দিয়ে কিভাবে মাপতে হয়, সবাই জানে কম বেশি। কিন্তু কেন মাপবো সেটা কখনো ছাত্রের চোখের সামনে ভেসেছে কি?
দোষ কার? প্রফেসররা অনেক বেশি জানেন মানছি। কিন্তু কিভাবে পড়ানো উচিত সেটা কি বোঝেন? তাঁরাও ওইভাবে পড়ে এসেছেন, এখনো ওইভাবে চলছে। একটা কেরানীমারা বিদ্যে। একটা প্রোগ্রামের দশটা পয়েন্ট গড়গড় করে বলো ৬০% নাম্বার। হেলথ্ প্রোগ্রাম নিয়ে নিজের দর্শন জানাতে বলো, ছেলে মেয়ে চুপ। এই শিক্ষায় লাভ কি?
আজ সংবাদমাধ্যম কে আমরা ধমনী, শিরা গুলিয়ে দিয়েছে বলে খিল্লি করি। তারা কিন্তু এই কদিনে সাধারণ জনগণকে এপিডেমিওলজি গুলে খাইয়ে দিয়েছে। এটা তাদের ক্রেডিট। কোথাও তো একটা ঘাটতি আছে, স্যার। একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস কে ইন্টারেস্টিং ভাবে পড়াতেই শেখানো হয়না। ছোট থেকে দুলে দুলে মৌমাছির জীবনকাহিনী পড়ানো হয়। তারপর অণু পরমাণু, উপপাদ্য, ইতিহাস, ভূগোল। কেন পড়বে তারা? শুধু নাম্বার পেয়ে ফার্স্ট আসার জন্য। কেন পড়বে? এই কেন টা প্রথমে বোঝাতে হয়। তারপর আমার মনে হয় ছাত্র রা অনেক বেশি বুদ্ধিমান হয়। কেন পড়তে হবে বুঝলে,নিজেও চাইলে পড়ে নিতে পারবে। আজ একটা স্কুলের ছেলের কাছে ইতিহাস ও একজন মেডিক্যাল ছাত্রের কাছে কমিউনিটি মেডিসিন দুটোই হাস্যকর। অথচ দুটো বিষয় কত প্রয়োজনীয়। দুটোই মানুষের দূরদৃষ্টি বাড়ায়। ইতিহাস মানে নোট পড়া নয়। ইতিহাস মানে তারিখের ক্যালেন্ডার গাঁতানো নয়। ইতিহাস মানে কাল ইতালি যে ভুল করেছে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, সর্বান্তকরণে লকডাউন কে সমর্থন করা। ইতিহাস মানে আজ আমাদের সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেলে আজ থেকে এক লক্ষ বছর পর কোন এক প্রজাতির দ্বারা আমাদের জীবাশ্ম থেকে আমাদের সভ্যতার গল্পগুলো আবিষ্কার করা। খুব বুদ্ধি লাগে এতে। মিউজিক, সাহিত্য, চলচিত্র এসব সৃষ্টি করতে অনেক বুদ্ধি লাগে যেটার এফেক্টে আপনারা হাসেন, কাঁদেন, অন্ধকার সময়ে চলার প্রেরণা পান। এসব কি বেসলেস ধারণা করে রেখেছেন। সায়েন্স নিয়ে কোথাও পায়নি, তাই আর্টস নিয়ে পড়ছে। আমার মতে একজন শিক্ষক তখনই সফল, যখন তিনি একজন ছাত্রের মধ্যে কি জানেনা র থেকে কি জানে সেটা বের করে আনতে পারেন, পাঠ্যবই পড়ানোর থেকে, আরো পড়ার জন্য অনুসন্ধিৎসা ও উৎসাহ তৈরি করতে পারেন। আমার জীবনে যারা কমবেশি এরকম এসেছেন, কখনো শিক্ষক, কখনো সহকর্মী, কখনও বাউল হিসেবে, তাদের প্রত্যেককে আমি সম্মান জানাই।।
****
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী -
১) চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের শিক্ষিত বাড়িওয়ালারা তাদের ভাড়াবাড়ি থেকে চলে যেতে বলছেন। Ola, Uber, taxi স্বাস্থ্যকর্মীদের হস্পিটালে নিয়ে আসতে চাইছেনা।
২) লকডাউনের আগের মুহূর্তে ওষুধের দোকানের থেকেও মদের দোকানে লম্বা লাইন। যেখানে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ আছে, সেখানে বাজারে চরম ভিড়।
৩) লকডাউন শুরু হওয়ার পরেও রাস্তায় ভিড়, চা র দোকানে আড্ডা, পাড়ার মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ৷ যেখানে মেসি, রোনাল্ডো রা আইসোলেটেড। সেখানে ম্যাচ চলছে পাড়ায়। একজনের বক্তব্য - এমনিও বেকার হয়ে মরছিলাম, এখন খেলে মরবো।
৪) কিছু বাইরে থেকে আসা বাঙালিরা সব রকম সহযোগিতা করা সত্ত্বেও তাদের অকারণ মানসিক হেনস্তা। খাপ বসানো।
৫) এই মন্দার বাজারে নানা রকম জিনিস পত্রের কালোবাজারি, কুসংস্কার প্রোমোশান, অনাবশ্যক ও অতিরিক্ত খাবার, ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার মজুত করে রাখা।
৬) থালা বাটি বাজিয়ে অভিবাদন জানাতে গিয়ে মিছিল করে বিজয়োল্লাস।
৭) এখনো চুরি, ডাকাতি, করোনা সন্দেহে মব লিঞ্চিং শুরু হয়নি, খুব শিগ্রি হবে।
We don't need Batman for this *ucked up society.. We need Joker.. I am sharing a movie dialogue delivered by joker to Batman in "The Dark Knight " -
" To them, you're just a freak, like me! They need you right now, but when they don't, they'll cast you out, like a leper! You see, their morals, their code, it's a bad joke. Dropped at the first sign of trouble. They're only as good as the world allows them to be. I'll show you. When the chips are down, these... these civilized people, they'll eat each other. See, I'm not a monster. I'm just ahead of the curve "...
*****
মাঝরাতের কবিতা। Night 2 of lockdown |
কেউ কি জেগে আছো? জেগে থাকা কাকে বলে আর ঘুমানোই বা কাকে বলে? না কাক বলেনা। সে শুধু কা কা করে৷ কাকা খুব ভালো পাস দিতো। আজকাল তো টুকেও পাশ করা যায়। সাল 2কে2কে। শালের বনে বুনো শুয়োরের বার্বি-কিউ।
©অবচেতন
*****
যখন এ যুদ্ধ শেষ হবে,
তখনো যারা থাকবে বেঁচে -
একটা নতুন পৃথিবীতে শ্বাস নেবে শিশু -
গলার তাবিজ খসে যাবে,
ব্রাত্য হবে যীশু।
তবে এই কদিনে চিনে নিতে হবে।
স্বার্থপর পাড়া চিনে নিতে হবে,
স্বার্থপর শিক্ষিত চিনে নিতে হবে।
স্বার্থপর ব্যবসায়ী চিনে নিতে হবে।
স্বার্থপর কর্মী চিনে নিতে হবে।
স্বার্থপর বন্ধু চিনে নিতে হবে।
যখন এ যুদ্ধ শেষ হবে -
তখন থালার কোণে পড়ে থাকা
কয়েকটা ভাত ও দামী হবে।
ওই ভাত ডাস্টবিন থেকে খেতে ছুটবে -
কুকুর ও কিছু মানুষ।
একদিনে বুঝে নিতে হবে -
দেশ কেন পিছিয়ে, দায়ী কে?
শুধুই নেতা, নাকি অতি সঞ্চয়ী ভুঁড়িওয়ালা ক্রেতা?
একদিনে বুঝে নিতে হবে -
আমার দুকামরার ফ্ল্যাটের বাইরেও -
একটা আকাশ আছে।
যেখানে বড় গোল পূর্ণিমার চাঁদ ছাড়াও -
ছোট কিন্তু উজ্জ্বল তারাগুলো
যেগুলো দূষণের ধোঁয়ায় এতদিন ঢাকা পড়ে যেতো-
তারা মিটমিট করে জ্বলে।
একটা পাখি আছে -
যে রোজ ব্যালকনিতে এসে বিশ্রাম নেয়।
একটা ফুল আছে যে রোজ পথের ধারে ফুটতে চায়-
কিন্তু কেউ এসে রোজ তুলে নিয়ে যায়।
একটা সমাজ আছে দুকামরার ফ্ল্যাটের বাইরে।
এটা বুঝে নিতে হবে,
সমাজ মানে বিয়ের সিঁদুর,
পরনিন্দা পরচর্চা বা নিয়ম নিষেধের র্যাপসোডি নয়।
সমাজকে বুঝে নিতে হবে,
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কেন
ফুটপাতবাসী থেকে মার্সিডিজ চড়া বড়লোক
সকলের জন্য জরুরী।
শুধু মদের দোকানের লাইন দেখে গাল দিলে কি হবে?
সমাজকে বুঝে নিতে হবে,
নাম্বারের থেকেও বড় মন কেন দামী?
যাদের রোজ একশোজন সেলাম না ঠুকলে
পেটের ভাত হজম হতনা -
তারা সবার থেকে আলাদা হয়ে ঘরের এক কোণে বসে।
যারা কোনদিন কোন সামাজিক অন্যায়ে ভয় পায়নি,
কারণ নিজের ফ্ল্যাটের দুকামরার ঘরে -
বউ বাচ্চার সাথে নিরাপদ তারা ভেবেছিল -
তারা আজ ভয় পাচ্ছে।
তারা আজ সমাজ নিয়ে ভাবছে।
তারা আজ সমাজের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
সবার শেষে প্রশ্ন করতে হবে -
করোনা তুমি আসলে কে?
ভাইরাস বলবে - আমি সমাজের আয়না।
সবাইকে স্বরূপ চেনাতে এসেছি।
প্রশ্ন করবে দামাল হাতি,
বনের মাঝখান থেকে যে রাস্তা চলে গেছে -
সেই রাস্তায় নির্দ্বিধায় প্রবল বিক্রমে শুয়ে থেকে।
প্রশ্ন করবে বন্য পশু পাখিরা-
যখন অতীতের সদাব্যস্ত স্টেশন টার্মিনাস,
শুনশান পেয়ে তারা জ্যামিং করবে।
এ পৃথিবী কারো বাবার একার নয়।
ওদের লকডাউন হয়নি।
মানুষের অহংকার ছিল -
যে তারা পৃথিবীর অধিপতি।
এতটাই অহংকার তারা বাঁচাবে প্রকৃতি।
নিজেকে বাঁচাও আগে হে ক্ষুদ্র প্রজাতি।
তুমি অসহায় এখন - দুর্বল, ভীতু, কাপুরুষ।
তুমি অনেক আগে মৃত, হে সমাজ।
অতি দর্পে রাবণ ও শেষ হয়েছিল,
একের পর এক আসবে এরকম যুদ্ধ।
হিপোক্রিট সমাজ, প্রস্তুত হও।।
*****
জিডিপি র সিংহভাগ যখন যুদ্ধক্ষেত্রে বা আমাদের দেশে পাকিস্তান কে জব্দ করতে ব্যয় হয়। বিদেশ থেকে ট্যাংক, ফাইটার প্লেন কিনতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় আর স্বাস্থ্যখাতে নাম মাত্র বাজেট পড়ে থাকে, তখন তালি দিয়েছো নাগরিক।
এবার তো শত্রু পাকিস্তান নয়, একটা ভাইরাস। এবার কাকে জব্দ করবে? এখন হাসপাতাল নেই, ব্যবস্থা নেই বলে চেঁচালে হবে? মেডিক্লেম করে রেখে নিজেদের নিরাপদ লাগছে এখন? ও নাগরিক, শুনতে পাচ্ছো?
****-
মাঝরাতের কবিতা। Night 4 of lockdown |
কখনো কোন রাত্রি আসে
প্যারাবোলার মত -
যার কোন শেষ নেই,
অথচ ঘুম আসেনা।
কখনো মনে প্রচুর কথার সুনামি আসে,
কিন্তু আছড়ে পড়ার বালুতট থাকেনা।
কখনো আমি বিজোড় সংখ্যার মত
আয়নার প্রতিবিম্বর দিকে চেয়ে থাকি -
ঈগলের মত।
প্রতিবিম্বের থেকেও আমি যেন নকল।
আমি কি চাই? কেন চাই?
বুঝে উঠতে পারিনা।
যেখানে আমির শেষ হয়
সেখানে বৃষ্টি নামে।
বর্ষাভেজা রাতে
একশো জনের ট্রাফিকে সবুজ আলো জ্বলে।
তবুও মনে হয় কি লাভ।
শিল্পী কে বা বোঝে?
একাধিক হলেও কখনো মেটেনা একা লাগার অভাব।
©অবচেতন
*****
Deep inside, i have nurtured a hope,
Despite all the disasters,
I'll see the open world again.
I'll again visit my home which is heaven.
I can hug my loved ones.
I can get high with my friends.
I don’t want anything else.
There is not enough money or degree -
To fill this emptiness.
There is not enough online events,
That can cure my senses .
Deep inside, i have nurtured a hope,
Despite all the fear and ignorance,
We will rise again.
I shall travel wherever i want,
To see the wild lives back,
I can sing infront of real audience.
We can sing together.
Together we can nurture,
A better world, a better future.
Meanwhile, many lives will be lost.
Many people will fight with hunger.
A smoke will arise from the ashes.
Some people with good heart remain,
We will build the world once again.
©Suprabhat
****
মাঝরাতের কবিতা | Night 6 of lockdown |
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি,
তবুও পৃথিবীর মুখ দেখিতে চাইছি আজ,
অন্ধকারে জেগে উঠে চেয়ে দেখি,
একশোটি সবুজ আলো জ্বলিতেছে চ্যাটবক্সে।
আমার হাই ওঠেনা, একেবারে ঘুম পায়।
ঘুমের মাঝে আমি হাঁটতে থাকি।
অনেক হেঁটেছি আমি,
নিশীথের অন্ধকারে,
কুহকী নিয়নে মোড়া পথ ধরে৷
না জানি কেন রে এতদিন পরে,
নয়নবারি আসিতেছে আমার পাড়ার মোড়ে,
অশ্রুসজল আঁখিপল্লব কুসুমের কাছে বেলা বোসের নাম্বার চায়,
না টুনিকে মিসকল দিবেনা,
করোনা কলারটিউন শুনিবেনা বলিয়া বার্তা পাঠাবে মাত্র।
আরব সাগরের জল ফুলিয়া ফাঁপিয়া উঠিতেছে।
লিঙ্গ ছোট বলে সমাজ হইতে ঠেলিয়া দিতেছো দূরে,
অথচ,
ভূকম্পের প্রক্সি দিতেছে একটি পিঁপড়ের থেকেও ছোট্ট ভাইরাস।
আর আমি কি করিতেছি?
ক্লান্ত বদনে অংগুলি চালনা করিয়া বাল বকিতেছি।
আর তোমরা হাসিতেছ।
বিকৃত বদনে ক্যালানের মত।
একশোটি সবুজ আলো জোনাকির মত আমার পিছনে লাগিয়া থাকে,
সবাইকে চিত্কার করিয়া কহিতে চাই,
ফুল ফুটে গেছে, তবুও বসন্ত আসে নাই।
ওরে জাতিভেদ ভুলে যা।
গুরুচন্ডালী দোষ নয়।
একটি বঞ্চিত নাগরিকের ভাষা মাত্র।
একশোটি জোনাকি তখনো তাড়া করছে।
তবু আমার মুখ ফোটেনা।
আয়নায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করি?
তুই কি নারী?
তোর কি মুখ ফাটে কিন্তু বুক ফাটেনা ভারী?
সরি, ভুল করিয়া মিসটেক হইয়া গেল।
তোর কি বুক ফাটে কিন্তু মুখ ফোটেনা?
আয়না বলে, এতদিন কোথায় ছিলেন?
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে আমি কহিলেন,
কে বা হিরো আর কে বা ভিলেন?
©অবচেতন
******
মাঝরাতের কবিতা। Night 007 of lockdown।
পেঁচা ডাকছে কানের মধ্যে। হাম্বা হাম্বা করে। আর অম্বাকে ধরে রথে তুলে নিয়ে চলেছেন পিতামহ ভীষ্ম। সে এক মায়াবী দৃশ্য। বালিবোড়া নয়, জলঢোঁড়াও নয়, এনাকন্ডার দেশে এন্যাইহিলিন পিস্তল নিয়ে আমি রেনকোট পরে হেঁটে চলেছি৷ জলের উপর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ হয়। কিন্তু ময়না কোথায়? তাকে কেউ কি মিসকল দিয়ে ডেকে দেবে? যারা শূয়োরের মত গান্ডে পিন্ডে গিলে আমার এই লেখা পড়েও গালি না দিয়ে যায় তারা কে? কে তুমি রমণী শকুন্তলা? গলায় বকুল মালা। বল বীর, বলো উন্নত মম শির। কেন তুঙ্গভদ্রার তীরে কি পাবলো আসেনি? সে হাঁটতে হাঁটতে এখনো বনলতা সেনকে খুঁজে পায়নি। মাধবীলতাকে ও পায়নি৷ ও এখন অনাহারে, কিন্তু ওর চোখ দুটো ইস্পাতের মত ধূসর। আমার ফুচকা দোকান বন্ধ। জানিনা অপু আর দুর্গা কি খাবে? রেলগাড়িও বন্ধ যে রেলের শব্দে ওদের ঘুম আসবে। এইসময়ে স্পক কে দরকার ছিল। জন স্নো কে দরকার ছিল রাস্তা পাহারা দেওয়ার জন্য। ওরে তোরা কেউ বলে দে সখা সখীগণকে ডেকে, আমি রাইলি ব্লু র প্রেমে পড়েছি। জুড়ে থাকি টেলিপ্যাথি দিয়ে আর এঁচড়ের মত পেকে যাই। যাই হোক্, আমার তার কাটা হতে পারে, কিন্তু পাগল নই।।
©অবচেতন
*****
কয়েকদিন আগে আমার এক স্কুলের ব্যাচমেটের বাড়ি গিয়েছিলাম। সে মিউজিশিয়ান। নাম করলাম না। তার বাবা আমাকে ডেকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলেন। তার মধ্যে একটা ছিল - "তুমি দেশের জন্য কি কাজ করার কথা ভাবো? "
প্রশ্নটা এই প্রথম শুনলাম না৷ উত্তর টা ওনাকে দিয়েছিলাম। আগে যারা করেছে তাদেরকেও একই উত্তর দিয়েছি। প্রশ্নটা কমন পড়ে গেছিল। তবে উদাহরণ দিইনি। আজ দিচ্ছি। তবে ঘটনাটা একটা নয়। প্রতিদিন ঘটছে আমাদের দেশে কোথাও না কোথাও।
ইন্দোরে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-19 এর স্ক্রিনিং এ একটি পাড়াতে ঢুকতে তাদের উপর ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়। লাঠি, রড যা হাতের কাছে পায় ছুঁড়ে মারতে শুরু করে জনতা। কয়েকটি ভিডিও দেখলাম, তার মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে, যে ভিডিওটি করেছে সে বলছে - "বারবার খুজানে আ রহে হ্যায়, *তিয়ে। " ভিডিওটির সত্যতা আমি যাচাই করিনি। তবে এটা যে খুব স্বাভাবিক আমরা জানি।
হায়দ্রাবাদে যেমন হাসপাতালেই আক্রমণ হল করোনা রোগী মারা যাওয়াতে।
এই ছোটলোক জনতার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে যে কাজ করছে এখনো সেটাই ভালো, নাহলে দেশ লাশে ছেয়ে যাবে। এই দেশের জন্য অতিরিক্ত কিছু করতে আর মন নেই।।
*****
মাঝরাতের কবিতা | Night 10 of lockdown |
একজন দিনমজুরের পেটের ভাত বলছি,
একজন খেতের চাষীর রেশনের ডাল বলছি,
একজন শ্রমিকের মাইলের পর মাইল হেঁটে -
ছিঁড়ে যাওয়া হাওয়াই চটি বলছি,
দশজন ফুটপাথবাসিকে লাইন করে পথে বসিয়ে,
গায়ে ছড়ানো সলিউশনের অণু বলছি।
ওরা আজ সম্মান পেল৷
এতদিন কোন কৃষক আত্মহত্যা করেনি।
কোন শ্রমিক গণপিটুনির শিকার হয়নি।
আজ মরতে পারে নতুন করে, তাই এত ব্যবস্থা।
তবে যে তুমি বলেছিলে কবিতার দেশে ছন্দ লাগে,
নিয়ম লাগে,
সব কি মিথ্যে ছিল?
কেউ যদি কোন কথা লিখে পুলকিত হয়,
কেউ যদি কোন ভাষা আবিষ্কার করে আনন্দ পায়।
সেটা কবিতা নয়?
মানে আমাকে একটা সমাজে থেকে,
সমাজেরই তৈরি করা ,
ম্যানুয়াল মেনে নিজেকে একটা রোবোট বানাতে হবে।
বানাতেই হবে।
তবে লোকে আমাকে সামাজিক বলবে।
নাহলে, আমি পাগল।
আমি বাঁদরের মত গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুললে, আমি পাগল।
আমি মাটিতে বসে উলঙ্গ হয়ে গিটার বাজালে, আমি পাগল।
আমি মুক্ত শিক্ষা নিয়ে গান লিখলে, আমি পাগল।
আমি স্বপ্ন নিয়ে ভাবতে চাইলে, আমি পাগল।
আমাকে নিয়ে অন্যের মতামতের থেকে নিজের ইচ্ছে নিয়ে ভাবলে বেশি, আমি পাগল।
আমি শিক্ষাকে জীবনে প্রয়োগ করলে, আমি পাগল।
আমি সবাইকে ভালোবাসলে, আমি পাগল।
আমি ঘৃণা করতে না জানলে, আমি পাগল।
সক্রেটিস, প্লেটো, লালন, ভ্যান গঘ্, মোজার্ট, টেসলা, জীবনানন্দ সবাই পাগল ছিল।
আর তুমি, তোমরা শুধু স্বাভাবিক ছিলে?
তা স্বাভাবিক থেকেও সমাজের কোন কেশটি বাঁকা করেছো হে গুনী?
কতজনের দর্শনকে প্রভাবিত করেছো ?
তুমি গুগল থেকে জ্ঞান ঝাড়ছো?
অনুভূতি আছে তোমার ?
আটলান্টিকের থেকেও অনেক গভীর এক অনুভূতি।
ঢাকুরিয়ার লেকের পাড়ে বসে,
তুমি এন্ড্রোমিডার কোন এক গ্রহের এক প্রাণকে অনুভব করতে পারবে?
তুমি শিল্পী? প্রেমের গান লেখো?
আমি তুমির বাইরে বেরিয়ে দেখো পৃথিবীটাকে বান*দ।
বাবী দা, একটা এমন মিউজিক বানাতে হবে বুঝলে,
যার কোন নিয়ম নেই৷
যেটা শুনে মনে হবে, টাইটানে বসে সালফার বেসড্ লাইফ ফর্মের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে নাকে সালফারের গন্ধ পাচ্ছি।
যেটা শুনে মনে হবে, খোলা ছাদে বসে সাইবেরিয়ার বাঘের শীতের শিহরণ বুঝতে পারছি।
যেটা শুনে নিজেকে উদ্ভিদ মনে হবে।
এই অন্ধকার দম বন্ধ ঘরে কি এরকম ছবি আঁকা সম্ভব ??
©অবচেতন
*****
আমার ঘরের আলো কবে নিভে গেছে,
আমার লাশ অনেকদিন ধরে -
কড়িকাঠে গোরু বাঁধার দড়িতে ঝুলছে।
আমার পেছনে অনেকদিন আগেই মোমবাতি গোঁজা আছে।
খুব ব্যথা হচ্ছিল৷
এখন বুঝলাম আমি একা নই৷
অনেকের ব্যথা হচ্ছে।
©অবচেতন
******
মাঝরাতের কবিতা | Night 12 of lockdown |
ইলেকট্রনের মেঘে ঢাকা আমার মন,
কালো কুঠুরিতে অনিশ্চিত গতিবিধি,
ঋণাত্মক জীবনে এটাই বিনোদন,
মস্তিষ্ক কার, কতটা স্তিতধী।
যে যার এজেন্ডা নিয়ে অনুভূতি ভুলে,
সবাই জীবন্মৃত ভীড় ও মিছিলে।
যুদ্ধক্ষেত্রে বন্দী সৈন্যের মত -
গায়ে ধুলো লেগে দিন গুনি।
আমার কোন বাড়ি নেই,
আবার গোটা পৃথিবীটাই আমার বাড়ি।
এই কুরুক্ষেত্রটাও আমার বাড়ি।
আমার কাছে বেয়নেট নেই,
রাইফেল নেই।
আছে দশটা আঙুল, বারোটা স্নায়ু।
তাই দিয়েই যুদ্ধ চলে।
দিনরাত অবসরে,
ছটা তার কথা বলে।
চারিদিকে নেগেটিভ শুধু।
ক্যামেরার ডিজিট্যাল যুগে,
আর নেগেটিভ লাগেনা।
ওতে কোন কাজ নেই।
তাই সভ্যতার ধ্বংসস্তুপে বসে -
প্রেমের গান গাই।
সোনার হরিণের মায়াবী ঘ্রাণ,
মাথাকে অবশ করে দেয়।
ঘুম আসে তারপর।
যেভাবে রাত্রি নামে পৃথিবীর বুকে।
জানিনা আবার জাগবো কিনা।
সূর্যও জানেনা আবার উঠবে কিনা৷
তবু কোন এক্ কুহকী আশায়,
চোখ বুজি।
©অবচেতন
****
মাঝরাতের কবিতা | Night 13 of lockdown |
আত্মীয়রা বলেছিল,
জয়েন্ট টা Pass কর তারপর লাইফ সেট।
জয়েন্ট পাশ করলাম।
লাইফ সেট হল কিনা জানিনা,
পদে পদে ডেথ সেট হয়ে গেল।
আমি ভাবলাম -
তবে কি ওরা মিথ্যে ছিল?
আসলে আমি বুঝিনি কথাটার মানে।
আজ বুঝেছি।
যখন রাত নটায় ধোঁয়া উড়ল আগুন থেকে।
আকাশে বাজি ফাটছে।
কি আনন্দ।
আমরা একসাথে আছি।
কি আনন্দ।
কত লোকের কাজ চলে গেছে,
আমি লকডাউনের শেষে আবার ফিরবো পদে,
আমার চিন্তা কি?
আজ নাহয় ভালো পদ খাই।
তবু আমরা একসাথে আছি।
আমরা কেউ একা নই।
কত পরিযায়ী শ্রমিকদের লাইন দিয়ে বসিয়ে,
গায়ে সলিউশন ছড়ানো হচ্ছে।
আর বিদেশী পরিযায়ী পাখির পাড়াতে গিয়ে গান গাইছি।
পতাকা উড়ছে।
পতাকার তলার বেদীতে মোমবাতি জ্বলছে।
আর আলোর নীচে গভীর অন্ধকার থালা বাজাচ্ছে।
©অবচেতন
*****
বসিয়া রহিনু তটিনী তিমিরে, গবিনী আমার পূর্ণ।
অশ্লীলতায় লাভ কি, ভকতি সারকাজমেই চূর্ণ।
বেণুবনে হেরি জ্বলিতেছে দীপ, উড়িতেছে কত ফানুস।
মানুষের মৃতদেহের উপর নাচিতেছে আজ মানুষ।
ভকতসকল উল্লাসে মাতে, ইহা গোদীজীর জয়।
মাকু ও করোনা জ্বলিতেছে সাথে, তাই বুঝি মনে হয়।
রঙ্গ চলিছে জীবন লইয়া, অস্ত্র স্টুপিডিটি।
একুশ হইতে মধ্যযুগে সমাজ ও গিরিগিটি।
© অবচেতন
****
Remember the movie scene of "Baby".. When personal assistant of a minister said, " Voh to marenge hi, unka to kam hai marna ", Akshay Kumar closed the door and slapped him..
I am not fond of these type of movies.. I am also not denying the fact life is not movie.. But someone has to slap.. We all have to slap.. Now
*****
মাঝরাতের কবিতা | রাত্রি চৌদ্দ |
আমি মৃদুমন্দ সমীরণে মোহিত হইয়া,
বলাকা হইতে দলছুট পাখি৷
বলাকার পঞ্চান্ন জন বালক নির্বাসনে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পাঠশালা বন্ধ।
যাহারা আঁখি থাকিতেও অন্ধ,
তাহাদের দর্পণ লইয়া দর্প করিতে নাই।
খচরমচর শব্দ লতায় পাতায়,
মধুর মাধুরী কথায় কথায় ,
কর্মে বিপরীত।
পশ্চাতে তব প্রতীক্ষায় বেণুদন্ড,
এলিট তুমি, বা**দ ডিগ্রীধারী।
আপনি ছিদ্রে আঙুল দিয়া ভাবিতেছো তুমি নিরাপদ।
যামিনীর ন্যায় তব নিঃস্তব্ধতা ,
সূচের ন্যায় বিঁধিতেছে।
আমাকে যুদ্ধে ঠেলিয়া, রিপোর্ট অন্যের কাছে বাঁধা।
তুমি অমেরুদন্ডী শুধু নয়, তুমি বোকা*দা।
তুমি উল্লাসে মাতিয়া প্রমাণ করিয়াছো,
তোমার বিবেক নাই,
তুমি আসলে একটি মুখোশধারী কীট।
শেষে সবার জন্যই কাটা থাকিবে টিকিট।
©অবচেতন
****-
প্রেমিক- প্রেমিকার প্রতীক্ষার থেকেও,
একজন সৈনিকের যুদ্ধশেষের প্রতীক্ষা আর একজন স্বাস্থ্যকর্মীর প্যান্ডেমিক শেষ হওয়ার প্রতীক্ষা অনেক বেশি রোমান্টিক।
***-
People don't prefer art,
People like celebrities.. Even they love, criticise their lifestyle.. But not art..
*****
যে বাড়িতে আকাশ ঢেকে দেওয়া হয়,
সেই বাড়িতে কোন কবি থাকেনা।
যে বাড়িতে উন্নয়নের জোয়ারে -
দেওয়াল থেকে ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়,
সেই বাড়িতে কোন শিল্পী থাকেনা।
যে বাড়িতে না খেটে টাকা ঢোকে,
সেখানে আনন্দ থাকেনা।
যে বাড়িতে বুদ্ধি-যুক্তি চর্চার বদলে,
বস্তাপচা সিরিয়ালের -
মাংস রান্না হয় সেই রান্নায় স্বাদ থাকেনা।
যে বাড়িতে সুবিধে বুঝে নিতে আত্মীয়তা বাড়ে,
সে বাড়িতে কেউ আপন থাকে না।
একটা একলা ছোট্ট একচালা বাড়ি আর বাগানেও,
স্বর্গ লোকাতে পারে।
একটা স্বল্পায়ু জীবন হতে পারে নান্দনিক সওগাত।
আকাশচুম্বী লাখ টাকার অট্টালিকায় নামতে পারে,
শ্মশানের নিস্তব্ধতা।।
©অবচেতন
*****
মাঝরাতের কবিতা | Night 19 of lockdown |
কিছু ভালো লাগছেনা | তোমার, আমার কিছু ভালো লাগছেনা৷ আজ বুঝতে পারছো কিভাবে আর্ট বেরোয়?যখন এক দমবন্ধ পরিবেশে, চারিদিকের দেওয়াল চেপে ধরে, সমাজে তোমার যাওয়া আসা বন্ধ হয়- স্পষ্ট বোকা*দার স্থান হয় ঘরের এক অন্ধকার কোণে,
তখন একটা চাপা কান্না কে যে ফুটিয়ে তুলতে পারে,
সেই আর্টিস্ট৷ বাকি আমরা বারবার বলতে থাকি,
কিছু ভালো লাগছেনা৷ কখন ঘুমাচ্ছি, কখন জাগছি,
কিছু হিসেব নেই। ক্লান্ত শরীরে জানালা দিয়ে তাকিয়ে ভাবি- ওই যে ঝিলের পাশের গাছটাতে পেরেক মেরেছো,
তোমার গায়ে যদি ওরকম পেরেক মারা হত, কেমন লাগতো ?? ওর প্রতিবেশীদের উদবাস্তুর মত তুলে পুড়িয়ে দিয়েছো। যে দেশ ভাইরাস আসার অনেক আগেই, নানা অযুহাতে ভঙ্গুর, সেই দেশে বড়লোক হয়ে লাভ কি?
যে নীতি বিপর্যয়ের মুখে পিকাচুর মত কার্টুন লাগে,
সেই নীতিমালা তে শ্যাওলা পড়েছে বুঝতে হবে।
বনে গিয়ে বিড়ি ধরাতে গিয়ে - বা**দের মতো আগুন ধরাচ্ছো। সুন্দরবনকে ধর্ষণ করে হাব করবে ভাবছো।
নেচার ছেড়ে দেবে তোমায়? পালিয়ে যাবে কোথায় ওহে শিক্ষিত ডিগ্রীধারী। তোমার ডিগ্রীগুলো স্যুটকেশে ভরে গঙ্গার জলে ছোঁড়ো আগে, তবে যদি কিছু বোধবুদ্ধি হয়। তোমার ডিগ্রী চাই, কারণ তুমি নিজের জ্ঞান নিয়ে সন্দিহান। তোমার কোন একটা চকচকে ইউনিভার্সিটির ভ্যালিডেশন লাগবে। তবে তুমি জ্ঞানী বলে বার খাবে। সমাজ কে বলবে আমি *ড়া লন্ডনে গিয়ে বারে রকেট বানাই। আমি স্টকহোমে বসে আইনস্টাইনের সাথে লুডো খেলি। আমি আমেরিকায় বসে *ল গুনি। আর এদিকে দেশে অশিক্ষার অন্ধকার বাড়তে থাকে। ভাইরাসের সংক্রমণ একদিন তো কেটে যাবে। রাজনীতি, ধর্মের নামে বজ্জাতির সংক্রমণ কাটবে কবে? আমিত্ব, স্বার্থপরতার বিষ কাটবে কবে?
নেচার কাউকে ছাড়বে না।
প্রত্যেকটা পেরেকের বদলা নেবে। আর তুমি নির্বোধের মত স্কোরকার্ড মেলাবে। দিনের শেষে বলবে ওটা আউট ছিলনা।
©অবচেতন
*****
No comments:
Post a Comment