Thursday, January 23, 2020

তাহাদের কথা

ইতিহাস থেকে কয়েকটি তথ্য তুলে ধরলাম। বর্তমানের সাথে মিল পেলে সেটা কাকতালীয় ও অনভিপ্রেত৷
১) প্রফেসর ইয়ামাশিটা বলছেন - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে জাপানের শিশুরা অনাহারে নিজেদের ক্ষত থেকে পূঁজ বের করে খেতো৷
তবুও জাপান কিন্তু আত্মসমর্পণ করেনি। কারণ তারা জাপানের নেতাকে ভগবান বলে মানতো। তার জন্য মৃত্যুকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখতো।
২) সেই সময় জাপানের যুদ্ধনীতির যে বা যারা প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতো তাদেরকে চিন্হিত করে দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে মেরে ফেলা হত।
৩) মার্কিন মিডিয়াতে জাপানীদের নিয়ে রেসিস্ট কার্টুন খুব জনপ্রিয় ছিল। জাপানীদের ইঁদুর, এপ, বাঁদর ইত্যাদির সাথে তুলনা করা হত৷ জাপানীরাও একইরকম ঘৃণা করতো আমেরিকানদের৷
৪) হিরোশিমা তে পারমাণবিক বোমা ফেলার খবর পেয়ে ট্রুম্যান সহ সবাই আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। একজন ছাড়া। রুজভেল্টের আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি গুরুত্ব হারান ট্রুম্যানের কাছে৷
৫) পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পাইলট ছিলনা জাপানের, তাই জাপানীজ দের মদ খাইয়ে মানব বোমা হিসেবে প্লেন নিয়ে আমেরিকার জাহাজের উপর আঘাত করা হত৷ এতে ফিরে আসার তেলের খরচ বেঁচে যেত। সেই সময় জাপানে যুদ্ধের জন্য মৃত্যুকে গ্লোরিফাই করার প্রচার চলছিল। এটাকে বিভিন্ন জায়গায় রোমান্টিসাইজ করা হত৷
৬) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার পারমাণবিক বোমে ইউরেনিয়াম আর প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছিল৷ এখনকার নিউক্লিয়ার অস্ত্র এর তুলনায় সেগুলো শব্দবাজি লংকাপটকার মত৷
৭) আমেরিকা প্রথমে জাপানের দুটি শহরে বোম ফেলে, তারপর জাপানের আত্মসমর্পণের পর ওই দুটি শহরে মেডিক্যাল টিম নিয়ে গিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে গিনিপিগ বানায়৷ পারমাণবিক বোমার প্রভাব শুধু সেই প্রজন্ম নয়, ভবিষ্যতেও পড়ে।
৮) হিরোশিমার ঘটনার পরই কমিউনিস্ট রাশিয়াতে স্টালিন ভয় পেয়ে আমেরিকাকে খুশি করতে মাঞ্চুরিয়াতে জাপানীদের আক্রমণ করেন৷ কয়েক বছর পর সোভিয়েত যখন প্রথম পারমাণবিক বোমা সফল ভাবে এক্সপেরিমেন্ট করে, আমেরিকা আবার জাপানের সাথে হাত মিলিয়ে কমিউনিস্ট রাশিয়াকে প্রতিহত করার চেষ্টা শুরু করে। এটাই রাজনীতি। 

No comments:

Post a Comment

পাঁচ মিনিট

"বিষ টা খাওয়ার আগে একবার আমাকে বলতো!! " কথাটা শেষ করতে না করতেই গলা ধরে এলো কিরণ এর। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এর বাইরে ...