Sunday, September 29, 2024

The Unknown Rebel

 না, তার নাম অত পরিচিত নয়, কিন্তু সেই অপরিচিত ব্যক্তি এখন বিপ্লবের মুখ। ঠিক আর্‌য়া স্টার্ক এর মতো। " I am No One ".. "V for Vendetta" সিনেমাটিও এই কনসেপ্ট এর উপর দাঁড়িয়ে। বিপ্লবীর কোন মুখ হয়না, পতাকা হয়না, ধর্ম হয়না, দেশ হয়না, জাত হয়না, রঙ হয়না, গোষ্ঠী হয়না, সংগঠন হয়না।


সেইরকম এক বিপ্লবী আমাদের এই "The Tank Man" অথবা এই "The unknown rebel".. ১৯৮৯ সালে চীন এর কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী। একা গিয়ে ট্যাংকের সামনে তিয়ান্যান্মিন স্কোয়ারে দাঁড়িয়েছিল। সেইদিক থেকে ভাবলে সব বিপ্লবী চরিত্রগতভাবে বামপন্থী। উইকিপিডিয়া তে রয়েছে,

" Within the left–right political spectrumLeft and Right were coined during the French Revolution, referring to the seating arrangement in the French National Assembly. Those who sat on the left generally opposed the Ancien Régime and the Bourbon monarchy and supported the Revolution, the creation of a democratic republic and the secularisation of society while those on the right were supportive of the traditional institutions of the Ancien Régime. Usage of the term Left became more prominent after the restoration of the French monarchy in 1815, when it was applied to the Independents.The word wing was first appended to Left and Right in the late 19th century, usually with disparaging intent, and left-wing was applied to those who were unorthodox in their religious or political views."
সমাজটা কি আরো সুন্দর হতোনা যেখানে এইধরনের বিপ্লবীদের যদি রাষ্ট্রশক্তি শত্রু হিসেবে না দেখে রত্ন হিসেবে দেখতো? মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য একজন কি বামপন্থী বিপ্লবী ছিলেন না? সেই সময়ের শাসকের চক্ষুশূল ছিলেন মহাপ্রভু। এমনকি তার মৃত্যু নিয়েও অনেক রকম বিতর্ক রয়েছে। সিনেমার কথা যদি বলি, সত্যজিৎ রায়ের "গণশত্রু" র কথা তো বলতেই হয় যেখানে এক ডাক্তারবাবু মহামারীর কথা বলতে গিয়ে শাসকের শত্রু হয়ে ওঠেন। The "Das Capital" কি শুধু বামপন্থী বই নাকি, সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের রক্তকরবী, অচলায়তন কি বামপন্থী বই নয়?  তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবীতে গর্জে ওঠা প্রত্যেকে, প্রত্যেকে যাদের তিলোত্তমা রক্তচোখের যন্ত্রণার কথা মনে ভেবে, গলার কাছে কিছু একটা যেন দলা পাকিয়ে উঠেছে - সেই প্রত্যেকে এক এক জন বামপন্থী বিপ্লবী। তারা সবাই বাইরে জন লেননকে ডেঁফো ছেলে বলে গাল দিলেও ভেতরে সেই জন লেননকেই মানেন।
যারা স্বপ্ন দেখে - " Imagine theres no heaven, its easy if you try. / No hell below us, above us - only sky."
তারা প্রজা। বিয়ন্ড দ্য ওয়ালের Free Folks র মতো। যারা সবাই রাজা। কেউ কারো গোলাম নয়। এমন কোন দেশের কি আমরা স্বপ্ন দেখতে পারিনা যেখানে প্রতিবাদ করতে ঝান্ডা লাগেনা? কি বিপদ হতে পারে এরপর - তার কথা ভাবতে হয়না? এমন কোন কি কখনো দেশ হবে যেখানে বিপ্লবী বলে অপঘাতে মরতে হবেনা?  যেখানে "অত্যাচারীর খড়্গ-কৃপাণ ভীম-রণ ভূমে রণিবেনা।" এমন কোন কি দেশ হবে যেখানে সমাজে-খবরে কেষ্টবিষ্টু র খবর না ছেপে নজরুল-জীবনানন্দ দের খবর ছাপা হবে? আমি সেই দিন হবো শান্ত। ততদিন সমাজের কোন না কোন কোণে কোন না কোন "ট্যাংক ম্যান" জন্মেই যাবে। আমরা হলাম গিয়ে রক্তবীজের ঝাড়। যত অন্ধকারই আসুক, "তদাত্মানং সৃজাম্যহম্‌"।।

Saturday, September 7, 2024

লালবাজারে দ্বিতীয় দিন - We shall overcome

 সকাল ছটা। সেই দুপুর থেকে একটা গোটা রাত শেষ, তখনো সিপি মহাশয়ের ঘুম ভাঙেনি। এড্রেনালিনে কেটে গিয়েছে ১৬ টা ঘন্টা, এবার? চারিদিকে বিক্ষিপ্তভাবে পঞ্চাশ জন পড়ে রয়েছে। কেউ চা খেতে খেতে বলছে - আমার মনে হয় যারা ফ্রেশ হবে বলে গেছে, আর মনে হয় ফিরবেনা। আরেকজন উত্তর দিলো - তবু আমরা যেকজন আছি, পড়ে থাকবো। 

আরেকজন একটু আশাবাদী হলো - না, না। সবাইকে ডেকেছি। দশটা বাজতে দাও না। সবাই আসবে। 

আমিও ডেকেছিলাম সবাইকে। মাথা ভোঁ ভোঁ করছে। কাল সারা রাত যা গেছে। পুলিশের রাবার গানের সামনে  গান-বাজনা - স্লোগান। 

পুলিশ শুরুতে হেলমেট পরে বিরাট কোহলি সাজলেও একটু রাত হতেই বুঝে গেছে আমরা ছ্যাবলামি করছি জাস্ট ওদের সাথে। ওরাও তাই হেলমেট খুলে চেয়ারে বসে আছে। 

হঠাৎ লোকজন দাবী তুললো আমরা ব্যারিকেডের এপাশে রাস্তায় ট্রামলাইনের উপর শুয়ে আছি, আর তোমরা চেয়ারে বসে আরাম করছো। ভোরবেলা দেওয়া হলো জন-গণ-মন বাজিয়ে। পুলিশ উঠে দাঁড়ালো আমাদের সাথে। একসাথে গাইলাম। বুঝলাম - দেশ এখনো স্বাধীন আছে। আর থাকবে। 

কিন্তু এখন সকালে বেশি লোক আর নেই। আমি আবার এক কাপ চা খেলাম। সিগ্রেট টানলাম। একটা ছোট্ট জমায়েতে জনমত কি জানতে গেলাম। বুঝলাম, কেউ আর ওঠার কথা ভাবছে না। সত্যি বলতে কি - আমিও না। সবার মাথায় এক জেদ চেপে গেছে - এর শেষ দেখে ছাড়বো। পুলিশ ভেবেছিলো, সকালে লোক কমে গেলে আমরা অবস্থান তুলে নেবো। কিন্তু সেটা হলো না। ফোন করলাম বেহালার এক বন্ধুকে। এক বোতল ও.আর.এস আর একটা প্যারাসিটামল আনতে বললাম। সেও ফোনের অপেক্ষাতেই ছিলো। তার জ্বর ছিলো। কিন্তু এক ডাকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে এলো। লোকজন ছবি তুলে গ্রুপে গ্রুপে পাঠাতে লাগলো। ইটস নাও অর নেভার। লোক কম। সবাই সবাইকে ভরসা দিচ্ছে - আরে চিন্তা নেই, লোক আসবে। 

আর ওরা এলো। আমার বন্ধু এলো। তার এক ঘন্টার পরেই লোকজন ফিরে এলো। জানিনা সবাই কিভাবে তখনো স্লোগানিং করে যাচ্ছে। শরীরে এক ফোঁটা জোর নেই। শুধুমাত্র মনের জোরে। ততক্ষণে প্রচুর লোক আমাদের জন্য কেউ মুড়ি, কেউ রুটি কলা, কেউ সন্দেশ, কেউ কোল্ড ড্রিংক্স, কেউ জল ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে যাচ্ছে। এত খেয়েছি আমরা একজন তো বলেই দিলো - আর খেতে পারছিনা। এবার ঘুমিয়ে পড়বো। 

মানুষের এত ভালোবাসা আমরা সেদিন পেয়েছি। সেই মানুষের কোন ধর্‌ম, বর্‌ণ, জাত কিচ্ছু ছিলো না। আমরা সবাই সেদিন এক মানুষ ছিলাম।

আর দুপুর থেকে বিকেল গড়াতেই হল বাংলায় বাস্তিল দূর্গের পতন৷ আকাশটাও সেদিন কেঁদেছিলো ছাত্র আন্দোলনের এই ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে।। 

Wednesday, August 28, 2024

বাইনারি গারদ ২

আরো কিছু বাইনারি কনসেপ্ট মিডিয়া দখল করুক। বাইনারির জিলিপি আর তেলেভাজা দিয়ে সমাজ খেতে নাকি দারুণ লাগে। নারী-পুরুষ, শাসক-বিরোধী, কেন্দ্র-রাজ্য, হিন্দু-মুসলিম আরো অসংখ্য পিঁপড়ের মতো বাইনারি সমাজের অস্থিমজ্জায় রোজ কামড় বসাচ্ছে। প্যানসাইটোপেনিয়া হচ্ছে আর সমাজ তার অনাক্রম্যতা ধীরে ধীরে হারাচ্ছে। তারপর 'সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতো সন্ধ্যে আসে', তখন খাবারের প্লেটে পড়ে থাকে আমরা-ওরা, রাজা-প্রজা। শাসক বুঝিয়ে দেয় গণতন্ত্র আসলে একটা অভিশ্রুত ( ইংরেজি তে Modi-fied কথাটা লিখলে আমায় আবার এন্টিন্যাশনাল শুনতে হতে পারতো, তাই শুদ্ধ বাংলা একটি শব্দ ব্যবহার করলাম.. No Pun intended!!) রাজতন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। প্রজার কাছে রাজা আর আপন থাকেনা। আমরা-ওরা র যুদ্ধ বাঁধে। আর এই যুদ্ধে সুখের ষোলকলা পূর্ণ হয় Soros দের মতো কিছু মানুষ বা গোষ্ঠীর। প্রথমে কোলকাতা পুলিশ, তারপর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় ও সর্বোচ্চ অনুসন্ধানকারী সংস্থাতে দেশের এক মেয়ের নৃশংস হত্যার বিচার যদি শেষমেশ না হয়, নিশ্চিতভাবে রাজ্য ও দেশের প্রশাসন সাধারণ মানুষের ভরসা হারাবে। হয়তো ইতিমধ্যে অনেকটাই হারিয়েছে। আর যখনই এক তথাকথিত গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশে এই ভরসা হারায় তা জন্ম দেয় Anarchy র। Anarchy যদি রুখে দিতে হয়, তাহলে সবার প্রথমে যেকোনরকম বাইনারির গন্ডি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে। একজন স্বাধীন মানুষের মত প্রকাশে তাকে সেকু, মাকু, এন্টিন্যাশনাল, ভক্ত এসব বলা এবং ভাবা সচেতন ভাবে বন্ধ করতে হবে। আসল চক্রান্তকারীরা হয়তো আড়ালে হাসছে। আর এখানে শাসক-বিরোধী খেলা এখনো চলছে। বাইনারির এই থোড়-বড়ি-খাড়া-বড়ি-থোড় র প্যালিন্ড্রোমিক খেলা তিয়াত্তর বার নিজের মনে রুখে দিতে হবে। তিলোত্তমার রক্ত আর এত স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ যেন ব্যর্থ না যায়। কালকের আরেকটা বাইনারি মিডিয়াতে এলে আমরা যেন সমস্বরে বলতে পারি - 'সব ইয়াদ রাখা যায়েগা'। যেরকম মনে থাকবে ১৮ তারিখ ওই বিকেলে চিরশত্রু মোহনবাগান-ঈস্টবেংগল সমর্থকরা তাদের বাইনারি ভুলে রাস্তায় নেমেছিল সমস্বরে প্রতিবাদ জানাতে। যেভাবে ১৪ তারিখ মাঝরাতে মেয়েদের ডাকা 'রিক্লেম দ্য নাইট' কে বাইনারি ভুলে সমস্বরে সমর্থন জানাতে রাস্তায় নেমেছিলো বহু পুরুষ। এসবও মনে থাকবে। সব মনে থাকবে।।  

Saturday, June 29, 2024

SKY-ভার্স আর ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল ২০২৪


 ঘন রাত। শেয়াল-কুকুরও তখন নিদ্রামগ্ন। কোন কিছুতেই তখন সাউথ আফ্রিকাকে আটকানো যাচ্ছেনা।  যদিও তখন প্রায় সত্তর রান বাকি। ডিকক ও আউট। কিন্তু হেনরিক ক্লাসেন আর মিলারের গন্ধটা ঠিক ভালো ঠেকছিলোনা। ঠিক সেই সময় রোহিত শর্মা উইকেট তুলতে চেয়ে অক্ষর প্যাটেল কে নিয়ে এলো। ১৪ তম ওভার। খেলা ওখানেই শেষ হয়ে গেছিলো। এক সমান্তরাল বিশ্বের তৃতীয়বার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতা দেশ ভারতবর্ষে হয়তো আজ আমরা আলোচনা করছি ২০০৩, ২০২৩ এর মতো আবার একটা ফাইনালে হারের কথা। কিন্তু প্রতিপক্ষের নাম সাউথ আফ্রিকা। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে যে দল বিচ্ছিরি ভাবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে জেতা ম্যাচ হারতে পারে সে দলের সাথে আরেকটা নিষ্ঠুর পরিহাস লেখা হলো। তিরিশ বলে তিরিশ রান দরকার ছিল একটা সময়। মিলার আর ক্লাসেন তখন সুঁটিয়ে লাল করে দিচ্ছে ভারতীয় বোলারদের। তারপর কি হল? তিনজনের মাথায় হঠাৎ ভগবান ভর করলো। 

সূর্য কুমার যাদব ( ৩৬০°) = ব্রম্ভা

জসপ্রীত্ বুমরা = বিষ্ণু

হার্দিক পান্ড্য = মহেশ্বর 

যতদিন ভারতে ক্রিকেট থাকবে, ততদিন সূর্য কুমার যাদবের এই ক্যাচের নাম থাকবে। আমার কাছে সেরা ফাইনাল মানে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল। না ওটা ব্যাটিং করে জিতেছি। আজ বোলিং এ জিতলাম। বিরাটের ইনিংসকে সম্মান জানিয়েই বলছি, আজ জাস্ট বোলিং আর সূর্য কুমার যাদব জেতালো৷ ওই মুহূর্তে ওরকম একটা ক্যাচ ধরার লোক ২০০৩ এও ছিলো - মহম্মদ কাইফ। কিন্তু ২০০৩ এ বুমরা ছিলোনা। ১৭ তম ওভারে বুমরা দুই রান দিয়েছে। দুই রান৷ আর ওই ইনসুইংরা টা! রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, বুমরাকে স্মরণ করিবে। রণের থেকে কিছু কি আলাদা ছিলো!?? অন্য যেকোন ক্যাপ্টেন ১৯ তম ওভারে পান্ড্যকে এনে, ২০ তম ওভারে অর্শদীপকে আনতো। কারণ পান্ড্য র উপর কোন ভরসা নেই। ওর ওভারটা আগে শেষ করিয়ে রাখতো। কিন্তু ১৪ তম ওভারের অক্ষর কে আনা যেরকম বুমেরাং হয়েছিলো। হার্দিক পান্ড্যর উপর হঠাৎ ভগবান না চাপলে ওই পারফেক্ট ওয়াইড আফ দ্য অফস্ট্যাম্প লেংথে বল ওই চাপে করা সম্ভব ছিলনা। আর তারপর সেই ক্যাচ। না ২০০৩ এর দলে পান্ড্য ছিলোনা একজন। তাই পাঁচ নম্বর তারাটা এক বংগসন্তানের হাত দিয়ে উঠতে পারতো, কিন্তু উঠলোনা। সাউথ আফ্রিকা আপাতত ফাইনালে উঠুক আরো দু তিনটে। তারপর ভাবা যাবে। আজকের রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করার সেই বহু সমালোচিত সিদ্ধান্তও কিন্তু সেই বংগসন্তানের। রাহুল দ্রাবিড়ের উচ্ছাস দেখে মনে হচ্ছিলো আজ দ্রাবিড় যার হাত দিয়ে কোচ হলো, সেই মানুষটা এই ছবিতে নেই। 

রাহুল দ্রাবিড় কি ভারতবর্ষের জিনেদিন জিদান? সেই প্রশ্ন থাকলো। কিন্তু আমরা যেন সেই বংগসন্তানকে না ভুলি। আসল কবির খান কিন্তু পর্দার আড়ালেই থেকে গেলো। যাই হোক, আজ রিপ্লে দেখতে দেখতে ভাবছিলাম। মিলার যদি জানতো ফলাফল এত কাছাকাছি বিপক্ষের দিকে যাবে, সে কি কুলদীপের এই বলটা ডিফেন্স করতো? এরকম টানটান উত্তেজনাপূর্ন বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ একমাত্র নার্ভ ঠান্ডা না রাখলে জেতা যায়না। বারবার ফাইনাল হেরে রোহিত শর্মার দল জানতো, রাহুল জানতো সেটা কিভাবে ঠান্ডা রাখতে হয় চাপের মুখে। বহু যুদ্ধের পরাজিত সৈনিকরা যদি একজোট হয়, তাদের একসাথে স্নায়ুচাপে ফেলা মুশকিল। তাই যে ম্যাচে তিরিশ বলে তিরিশ রান দরকার ছিলো, সেই ম্যাচ সাত রানে হারলো সাউথ আফ্রিকা। এমন এক ফাইনাল ম্যাচ হলো, যার থেকে এক মুহূর্ত ও চোখ সরানো গেলোনা। সকল ভারতবাসীকে জানাই অভিনন্দন। ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস, ইয়াক, ইয়াক।।

Sunday, May 26, 2024

প্রবন্ধ ১ - জীবনের মানে কি?

 প্রশ্নটা খুব সহজ। উত্তরটাও সবাই কম বেশি জানে। এই যে আমরা পড়াশোনা করছি। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ইত্যাদি ইত্যাদি, কেউ দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছে। সবের শেষে জীবনের মানে কি? প্রেম, বিয়ে, বংশগতি , সংসার নাকি জ্ঞান, গবেষণা? একটা সময়ে গিয়ে বোঝা যায় জীবনের মানে এসব কিছুই না। তাহলে?  আমার জীবনের মানে বোঝার আগে 'আমি' কে বুঝে নেওয়া দরকার। কে 'আমি'? আমার শরীর 'আমি' নয়। আমার মন 'আমি' নয়। 'আমি' শরীর বা মনের দ্বারা পরিচালিত হয়না। বরং উল্টোটা সত্যি। 

গীতার ভাষায় - " অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।। " মানে - এই আত্মা শাশ্বত এবং পুরাতন, শরীরের হনন হলেও ইহা জীবিত থাকে।

আমি তাহলে চেতনা, গীতার ভাষায় আত্মা।  এই যে ইন্টারনাল ক্যাপসুলের পেছনের বাহু দিয়ে যে চেতনার তার গিয়ে সোমাটোসেনসরি কর্টেক্সে রিলে করে তার বাইরেও চেতনা হয়। তাকে এক্সট্রাসেনসরি পারসেপশন বলে। যারা গভীর ভাবে জীবনকে,  অনুভূতিকে বোঝার চেষ্টা করে তাদের এটা ধীরে ধীরে সংগঠিত হতে থাকে। তার জন্য তাকে তার চেতনাকে এক্সট্রা ডাইমেনশনে নিয়ে যেতে হয়, যাতে সে একটা ইউনিভার্সাল চেতনার সাথে মিলিত হতে পারে। একে অনেকে ভগবান বলে, কেউ আল্লাহ বলে, কেউ যীশু বলে। বাউল তত্ত্বে ইহাকে কৃষ্ণ চেতনা বলে।  তবে জীবনের উদ্দেশ্য এটাই - সে তার শরীরের তার-বিন্যাসের উপরে উঠে এক্সট্রাসেনসরি পারসেপশনকে খুঁজে পাক।  বিজ্ঞান এখনো এই চেতনাকে ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেনি। তাই একে নকল বিজ্ঞান আখ্যা পেতে হয়েছে। কিন্তু ইহা সত্য। আমাদের শরীর, মন, আমাদের রিয়েলিটি র থেকেও ইহা সত্য। হয়তো একমাত্র পরম সত্য। একদিন নিশ্চয়ই বিজ্ঞান এর গূঢ়তত্ত্ব অনুসন্ধান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। মানুষ নিশ্চয়ই ভাবতে পারবে,  যে সে কিভাবে ভাবে? সেটাই হবে আসল 'থিওরি অফ এভিরিথিং। ' মিউজিক হল একটি মাধ্যম। জ্ঞান অর্জন একটি মাধ্যম। ভক্তি একটি মাধ্যম। সাধনা একটি মাধ্যম। যৌনতা, বংশগতি একটি মাধ্যম। কাজ একটি মাধ্যম। ভ্রমণ একটি মাধ্যম। 

জীবনের মানে হল কোন এক মাধ্যমের দ্বারা এই ব্যক্তি চেতনাকে সমষ্টি চেতনাতে যুক্ত করা। আর কিছুই নয়। এটি আমার মত, আমার বিশ্লেষণ। তার মানে অন্য মতের প্রতি আমি বিরূপ নই। তারাও এক ব্যক্তি চেতনার ফসল। একদিন তারাও আমার কমরেড হবে। 'যত মত, তত পথ।' All path leads to Rome.. 

Monday, January 22, 2024

Tour guide to East-West Tamilnadu

 As you all know South India is a vast place with a long travel-bucket list, so I will guide my beloved readers to explore South India in part. In this part I shall mention the Madras Crocodile Bank, Mahabalipuram, Puducherry, Auroville, Thanjavur, Kotagiri, Adiyogi statue. And a rough guide of time management how to cover these within 5D4N. This travel itinerary includes zoo, archeological sites, French town, Spiritual town, Sea Beach, Road trip, hill station.

Ideal time to visit South India is winter season as general weather is very hot. One should avoid Pongal time due to high crowd rush.
Food in general is bland. Except Poducherry, one should rely on hotel food rather than local restaurants. One must try Annapurna in Coimbatore.
Drinks are easily available in South India. No special clothes required except hilly area.
Stay - For covering the above mentioned places within 4N, ideal stay will be first 2 nights in Poducherry followed by 2 nights in Kotagiri.
Budget - Rs 45-50k including flight and cab rent. It is advised to execute this trip along a group.

1) The Madras Crocodile Bank -
As you know, from Hindu Mythology to Crocodilopolis in ancient Egypt crocodile plays an important role in different religion and culture. And along with crocodiles, if you want to explore the fantastic world of reptiles then this place is ideal for you. This park remains closed on Monday. Till date, no extra charge will be claimed for cameras. Now, there are 15 different species of crocodiles and 33 other species of reptiles there. A snake venom extraction centre also exists here. Kids or reptile enthusiasts may enjoy the VR show of reptiles. One shouldn’t miss the Comodo Dragon, the healthy Python and the Aldabra Giant Tortoise besides the large number of Gharials and crocodiles. Though the place is green, but one should use a hat for Sun-protection. On the way to Poducherry from here next stop should be Mahabalipuram.


The Giant Tortoise

The crocodile nest

The Comodo Dragon

Arun and Shilpa are hungry

2) Mahabalipuram (aka Mamallapuram) - This town is a satelite town of Chennai, best known for the UNESCO World Heritage sites of 7th- and 8th-century Hindu Group of Monuments. Here, history comes alive. This town was one of two major port cities in the Pallava Kingdom. The town was named after Pallava king Narasimhavarman-I, who was also known as "Mamalla". Along with economic prosperity, it became the site of a group of royal monuments, many carved out of the living rock. These are dated to the 7th and 8th centuries: rathas (temples in the form of chariots), mandapas (cave sanctuaries), the giant open-air rock relief the Descent of the Ganges, and the Shore Temple dedicated to Shiva. The contemporary town plan was established by the British raj in 1827.
On the way from Chennai to Poducherry, the Shore temple (c. 725 AD) can be reached first. At the time of its creation, the site was a busy port during the reign of Narasimhavarman-II of the Pallava Dynasty. So it is inferred that the temple probably acted as a landmark for seafarers. It is one of the oldest structural (versus rock-cut) stone temples of Southern India. Marco Polo and the European merchants who came to Asia after him called the site Seven Pagodas. One of these is believed to be the Shore Temple.
Legend has it that six other temples once stood with it. Immediately before the 2004 tsunami struck the Bay of Bengal, the ocean water off Mahabalipuram's coast pulled back approximately 500 meters. Tourists and residents who witnessed this event from the beach recalled seeing a long, straight row of large rocks emerge from the water. As the tsunami rushed to shore, these stones were covered again by water. However, centuries' worth of sediment that had covered them was gone. The tsunami also made some immediate, lasting changes to the coastline, which left a few previously covered statues and small structures uncovered on the shore. The main Shore Temple, which faces east so that the sun rays shine on the main deity of Shiva Linga in the shrine. 

Sea beach of Mahabalipuram

The Shore Temple


After visiting the Shore temple, you can visit the Pancha-Ratha, the Mahisashurmardini Mandapa, the Mahabalipuram Light House, the Olakkannesvara Temple.

The Pancha Rathas is an example of monolithic Indian rock-out architecture. Historians such as Nagaswamy attributed all of monuments in Mahabalipuram to Narasimhavarman-II (c. 690-725 CE) with the discovery of new inscriptions. This monument complex includes
i) Dharmaraja Ratha, ii) Bhima Ratha, iii) Arjuna Ratha, iv) Nakula-Sahadeva Ratha, v) Draupadi Ratha. The ASI confirmed the unfinished nature of the structures and suggested that they instead be referred to as Vimanas rather than temples.
In the past of the Olakkanesvara Temple (aka old light house) bonfires were lit on rocks even at that time to aid the mariners. The British first used the temple atop the Mahishasuramardini cave as a light. The new lighthouse and the old lighthouse are adjacent to each other. A granite roof was constructed atop the temple to keep the light from 1887 to 1900. The Mahishasuramardini Mandapa (aka Yampuri) an example of Indian rock-out architecture. This Cave Temple has many interesting architectural features of which three exquisitely carved reliefs on the cave walls of three sanctums are prominent. One is of Vishnu reclining on the seven hooded serpent (Seshnaga) , another of Durga, the main deity of the cave temple Durga slaying the buffalo headed demon Mahishashura, and the third sanctum has a sculpture of Shiva.
Besides these you can visit the Descent of the Ganges or Arjuna's Penance (a giant open-air rock relief carved on two monolithic rock boulders) , the Ganesha Ratha, the Varaha cave temple, the Krishna Mandapam ( notable carvings inside are sculpted panels that bring out the story of Krishna lifting the Govardhana Hill to protect the cowherds and 'gopi's from heavy rains and floods), the Krishna's Butterball ( the gigantic balancing rock, granite-boulder resting on a short incline of naturally eroded hill - it is said to have been at the same place for 1,200 years).

The Olakkanesvara Temple during Pongal

The Panch Ratha ( Dharmaraja, Bhima, Arjuna in this picture)

The Panch Rathas together
                                                
The Panch Ratha (Bhima and Arjuna)





3) Puducherry - Pondicherry, now known as Puducherry is rich in diverse culture. The history of Puducherry can broadly be classified into two periods: pre-colonial and colonial.
The pre-colonial period started with the reign of the Pallavas, who ruled the empire from 325 to 900, after which came the Chola, from 900 to 1279, and the Pandya Dynasty, from 1279 to 1370. During the 14th century, the city was under the rule of Naikship of Gingee of the Vijaynagara empire, from 1370 to 1614, when it was conquered by the Sultan of Bijapur, who ruled it from 1614 to 1638. It was during this period that Portuguese and Danish merchants used it as a trading center.
The colonial period began with the Portuguese, the first Europeans to conduct trade in textiles, in 1521, and subsequently, the Dutch and the Danes in the 17th century.
The prospering trade of Puducherry attracted the French, and the predominant feature of the town was laid by the French pioneer Francois Martin in the form of a French settlement, in 1674. In 1693, Puducherry was captured by the Dutch and subsequently restored in 1699, with the Treaty of Rayswick.

The French acquired Mahe in 1720, Yanam in 1731, and Karaikal in 1738. The British captured the city from the French but returned it following the Treaty of Paris, in 1763. This Anglo-French war continued until 1814, where France found itself in control of the settlements of Puducherry, Mahé, Yanam, Karaikal, and Chandernagor, even during the British period, until 1954. It was a reign of 138 years under the French, who on 31 October 1954 left Indian shores following a de facto transfer of power.
The city has many colonial buildings, churches, temples, and statues which, combined with the town planning and French-style avenues in the old districts, still preserve much of the colonial ambiance.
This town is for free souls who want to roam around the lit up decorated streets from the evening beside a well maintained clean road with a refreshing sea-breeze and want to jog, meditate or sea trek in the spiritual sunrise. In my opinion, White town is the ideal place to stay. And in this 5D4N trip it is recommended to spend 2N in White Town. In the first night one can rest after finishing above two in whole day and explore the white town restaurants, sea beach. For smokers, it is advised to buy cigarettes on the way to Pudducherry as Cigarette shops are very rare. One may try heritage Pub cum restaurants here like 1 Rue Suffren. Tea from is must in my opinion. Sea food lovers will enjoy this town. After spending the first night, on the second day one should enjoy the Sunrise from Promenade sea beach (aka The Rock beach) here, then explore the Auroville, the Paradise sea beach and the Serenity Sea beach. One may enjoy sea-bath, jet ski ride, water park, speed boat, spa, net cricket, volley-ball and several other activities here in Paradise sea beach.

The sea food Platter in Puducherry

Lit up streets of Puducherrry at midnight 

The sunrise at the Rock beach

The Rock beach

The rock beach

The rock beach

The Sunrise at the Rock beach (May I live inside the soul of this ravishing universe, may you be entangled with this tranquil serenity of crashing sea waves with reflection of the spiritual sunrise)

The Serenity Beach

The Serenity Beach

The Paradise beach

1 Rue Suffren

1 Rue Suffren

Markets of Puducherry

The Old light House at Puducherry

Like a signature in the sky at the Sunrise in Puducherry - Ek jhak icchedana




 
4) Auroville - Book online for meditation inside Matrimandir some days before your arrival. But in this trip plan due to lack of time one may avail the free car ride inside Auroville to see the dome of higher evolution. Next step of human evolution is to realise the consciousness of all as one. This is the goal of this experimental township. For more information, please visit https://auroville.org/







The Matrimandir ( all the above are inside the Auroville)



5) Thanjavur - (aka Thanjai or Thanjore)
Thanjavur is an important pilgrim centre and a major tourist destination of Tamil Nadu. The most visited monument in Thanjavur is the Brihadisvara Temple, whose construction, the historian Percy Brown described as "a landmark in the evolution of building art in South India."
Check Opening time before reaching there. Try to reach here within 12.30 AM from Puducherry.
Built by Chola emperor Rajaraja I between 1003 and 1010 CE, the temple is a part of the UNESCO World Heritage Site known as the "Great Living Chola Temple". The main temple along with its gopurams is from the early 11th century. The temple also saw additions, renovations, and repairs over the next 1,000 years. The raids and wars, particularly between Muslim Sultans who controlled Madurai and Hindu kings who controlled Thanjavur caused damage. These were repaired by Hindu dynasties that regained control. In some cases, the rulers attempted to renovate the temple with faded paintings, by ordering new murals on top of the older ones. In other cases, they sponsored the addition of shrines. The significant shrines of Kartikeya (Murugan), Parvati (Amman) and Nandi are from the 16th and 17th-century Nayaka era. Similarly the Dakshinamurti shrine was built later. It was well maintained by Marathas of Tanjore.
If you have minimum love for history and architecture you shouldn’t miss this. Inside the Temple complex you can clearly see in your imagination the wheel of time and history rotating the timeline of the structure of the temple complex. This can rather be used as fortress. You should also add the Thanjavur doll in your collection as this is the speciality of Thanjavur.


The Amman Shrine

View of the vimana of the BT

The Ganesha Shrine

View of the vimana from right sided gate

The Subramanya Shrine

View of the gates from the vimana

The Nandi Mandapa





 
6) Kotagiri - This is a beautiful hill station situated in the Nilgiri, Western Ghat. The Nilgiri hills has been the traditional home of the "kota" tribes. Kotagiri is quietly tucked away in the Nilgiris and used to be one of the summer resort of Madras Presidency. The town was discovered in the year 1819 by John Sullivan.
You will reach Kotagiri by 9 pm by cab if you can finish Thanjavur by 2 pm. In this plan of 5D4N next 2N to be spent in Kotagiri. And after resting the third night of the trip on the very next day (4th day) you should explore the Ooty lake, the Kodanand View Point, the Catherine waterfall etc. And then return to Kotagiri hotel by 8 pm.











The Ooty Lake








 
7) Adiyogi - After resting the 4th night on the last day you take a cab and visit the main attraction of Coimbatore viz. Adiyogi of ISHA foundation and then go to the Coimbatore airport and plan to return to your Home. Adiyogi is steel bust of Shiva with Thirunamam at Coimbatore. It is recognized by the Guinness World Records as the "Largest Bust Sculpture” in the world. It is Designed by Sadhguru himself. Sadhguru said on the purpose of the statue, "This face is not a deity or temple, this is an iconic inspiration. In pursuit of the divine, you don't have to look up because it is not somewhere else. Each of the 112 possibilities is a method to experience the divine within you. You just have to pick one. [...] The idea is not to build one more monument but to use it as a galvanizing force towards self-transformation."
Its height, 112 ft, symbolizes the 112 possibilities to attain to moksha (liberation) that are mentioned in yogic culture, and also the 112 chakras in the human system. A linga named Yogeshwar Linga was consecrated and placed in front of the statue.








Best wishes. Enjoy and explore the Incredible India.

N.B.

Please write me a mail to sapronwhitecoat@gmail.com if you think i need to add or delete or modify something. All constructive criticism are welcome. Main source is Wikipedia and several google article which i mainly read during this long car trip. One must read Ponniyin Selvan.

Copyright claim - Suprabhat Das ( Owner of this Blog) 



পাঁচ মিনিট

"বিষ টা খাওয়ার আগে একবার আমাকে বলতো!! " কথাটা শেষ করতে না করতেই গলা ধরে এলো কিরণ এর। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এর বাইরে ...